চলছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইসলামী বইমেলা
রমজান মাস উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে চলছে মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলা। গত ১১ মার্চ ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান মেলা উদ্বোধন করেন। এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানায়, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ চত্বরে আয়োজিত এই মেলা চলবে রমজানজুড়ে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকবে। এবারের মেলায় ৬৪ স্টল রয়েছে। মেলায় পবিত্র কুরআনের অনুবাদ, তাফসির, হাদিসগ্রন্থসহ ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মৌলিক ও গবেষণামূলক গ্রন্থ এবং বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বিভিন্ন বই স্থান পেয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের স্টলে সব বইয়ে ৩৫ এবং বিশেষ কিছু বইয়ে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ কমিশন পাওয়া যাবে।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলা শুরু
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলা। সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান মেলার উদ্বোধন করেন। বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ চত্বরে আয়োজিত এই মেলা পুরো রমজান মাসজুড়ে চলবে।প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকবে। এবারের মেলায় মোট ৬৪টি স্টল রয়েছে। এতে পবিত্র কোরআনের অনুবাদ, তাফসির, হাদিসগ্রন্থসহ ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মৌলিক ও গবেষণামূলক গ্রন্থ এবং বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বিভিন্ন বই স্থান পেয়েছে। মেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের স্টলে সব বইয়ে ৩৫ শতাংশ এবং বিশেষ কিছু বইয়ে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ছাড় থাকবে।
১১ মার্চ, ২০২৪

বইমেলার সমাপনী দিনে যারা পেলেন গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার
শেষ হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। সমাপনী অনুষ্ঠানে ২০২৩ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক বই প্রকাশের জন্য গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।  শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে পুরস্কার দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সম্মানিত অতিথি সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমেদ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।  বইমেলায় সমাপনী অনুষ্ঠানে গুণমানসম্মত সর্বাধিকসংখ্যক বই প্রকাশের জন্য এ বছর কথাপ্রকাশকে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার, বইয়ের শৈল্পিক ও গুণমান বিচারে সেরা বইয়ের জন্য মনজুর আহমদ রচিত একুশ শতকে বাংলাদেশ: শিক্ষার রূপান্তর গ্রন্থের জন্য প্রথমা প্রকাশন, মঈন আহমেদ রচিত যাত্রাইতিহাস, বাংলার যাত্রাশিল্পের আদিঅন্ত গ্রন্থের জন্য ঐতিহ্য এবং আলমগীর সাত্তার রচিত কিলো ফ্লাইট প্রকাশের জন্য জার্নিম্যান বুকস-কে মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার,  শিশুতোষ বইয়ের মধ্য থেকে গুণমান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য ময়ূরপঙ্খি রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার, প্রকাশনাগুলোর নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্যপ্রকাশ (প্যাভিলিয়ন), নিমফিয়া পাবলিকেশন (২-৪ ইউনিট), বেঙ্গল বুকস (১ ইউনিট)-কে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।  সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম। একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, বই পড়ার মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মের তরুণদের মধ্যে মানবিক দর্শন জাগ্রত হবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলা একাডেমি আয়োজিত এ বছরের বইমেলার প্রতিপাদ্য ছিল ‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।’  
০২ মার্চ, ২০২৪

শেষ সময়ে বইমেলার নিরাপত্তায় ঢিলেঢালা
আগামী ২ মার্চ শেষ হচ্ছে এবারের একুশে বইমেলা। তবে শেষ সময়ে এসে শুরু হয়েছে নিরাপত্তায় ঢিলেঢালা। এই সুযোগে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণ এলাকায় ধূমপায়ীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ বইপ্রেমী দর্শনার্থীরা। সিগারেট কিংবা যে কোনো ধরনের মাদকদ্রব্য নিয়ে মেলায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অবাধে চলছে সিগারেট বিক্রি আর ধূমপান।  অভিযোগ উঠেছে, মেলার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা দিনপ্রতি ২শ’ থেকে ৪শ’ টাকার বিনিময়ে ভ্রাম্যমাণ সিগারেট বিক্রেতাদের মেলায় প্রবেশের সুযোগ করে দিচ্ছে।   মেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে পলিথিনের ব্যাগে সিগারেট বিক্রি করছিল মো. আলী। সিগারেট বিক্রি করতে মেলা প্রাঙ্গণে কীভাবে প্রবেশ করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভেতরে ঢুকতে তাকে ৩০০ টাকা দিতে হয়েছে। তার মতো এমন আরও ৪০ থেকে ৫০ জন হকার আছেন, যারা প্রতিদিন আনসার সদস্যদের টাকা দিয়ে ভেতরে ঢুকছে।  চা-কফি আর সিগারেটের আরেক ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা সুমী আক্তার বাইরে ১৭ টাকা মূল্যের সিগারেটের দাম নিচ্ছিলেন ২০ টাকা। কেন বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, দোকান থেকে তাদের একটু বেশি দাম নিতে হবে, কারণ ভেতরে ঢুকতে টাকা দিতে হয়েছে। তার দাবি, অনেক আনসার সদস্যদের ফ্রি চা-সিগারেট খাওয়াতে হয়, তা না খাওয়ালে বের করে দেয় এবং চায়ের ফ্ল্যালাক্স ভেঙে ফেলে।  গত রোববার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের টিএসসি সামনের গেটে ফুল বিক্রেতা সাইমুনকে বের হয়ে যেতে বলছিলেন একজন আনসার সদস্য। তখনো অসহায়ের মতো গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। জানালেন, তার কাছে আনসার সদস্যরা ৫০ থেকে ১০০ টাকা চায়। কিন্তু সারাদিন ফুল বিক্রি হয় ২শ-৩শ টাকা। এর মধ্যে থেকে যদি ১০০ টাকা দিতে হয় তাহলে পুঁজি থাকবে না।   মেলায় আসা একজন দর্শনার্থী আবদুল্লাহ খান বলেন, বই মেলার ভেতরে অবাধে ধূমপান ও হকারদের ঘুরে ঘুরে খাবার বিক্রি বেশ বিরক্তিকর এবং মেলার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। যত্রতত্র চানাচুর, বাদাম, ফুল, সিগারেট-চা বিক্রেতারা ঘোরাঘুরি করে বিক্রি করছে। এতে করে অনেক দর্শনার্থী এগুলো খেয়ে যত্রতত্র কাগজ-পলিথিনসহ জ্বলন্ত সিগারেটের মুখ ফেলছে।  বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনীর বিক্রয় কর্মী পৃথ্বিলা দাস অনেকটা ক্ষোভ নিয়েই কালবেলাকে বলেন, বইমেলায় ছোট-বড় সকলেই আসেন, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ সিগারেট খেতেই পারেন, কিন্তু মেলার ভেতরে প্রবেশ করতে হলে যেখানে সবার সিগারেট-দিয়াশলাই চেক করে রেখে দিচ্ছে, সেখানে পুলিশ ও আনসারের সামনে মেলার মাঠ এবং মুক্ত মঞ্চের আশপাশে সিগারেট বিক্রেতারা ঢুকে পড়ছে।  মেলার ভেতর ভ্রাম্যমাণ চা-সিগারেট বিক্রেতাদের বিষয়ে মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, মেলার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ও মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা বিষয়টি ভালো জানবেন। আমার কাছে এই বিষয়ে এখনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। যদি এই সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ আসে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগের বিষয়ে মেলার নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা শাহবাগ থানার ওসি মোস্তাজিরুর রহমান বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি মেলার ভেতরে যেন সিগারেট-দিয়াশলাই বিক্রেতা হকার প্রবেশ করতে না পারে। কিন্তু বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান লেক দিয়ে অনেকে ঢুকে পড়ছে। মেলা কর্তৃপক্ষ ওই অংশে কোনো বেষ্টনী দেয়নি। তবে আমরা দেখা মাত্রই মেলা প্রাঙ্গণ থেকে এসব সিগারেট বিক্রেতা হকারদের বের করে দিচ্ছি।
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বইমেলা স্মরণ করল প্রগতিশীল লেখক হুমায়ূন আজাদকে
বহুমাত্রিক লেখক হুমায়ুন আজাদের ওপর মৌলবাদী চক্রের সন্ত্রাসী হামলার বার্ষিকী স্মরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় ‘হুমায়ুন আজাদের দিবসের ডাক-একুশে বইমেলা হোক প্রকৃত সৃজনশীল লেখক ও প্রকাশকদের’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এবার বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউসের সামনে লেখক প্রকাশক পাঠক ফোরামের আয়োজনে স্মরণসভা করা হয়। সভায় বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, কবি আসলাম সানী, কবি মোহন রায়হান, অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, হুমায়ুন আজাদের মেয়ে মৌলি আজাদ, হুমায়ূন আজাদের ভাই সাজ্জাদ কবীর, অনুপম প্রকাশনীর প্রকাশক প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন আগামী প্রকাশনীর নির্বাহী ওসমান গনি। স্মরণসভায় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নূরুল হুদা বলেন, হুমায়ূন আজাদ ছিলেন বাংলাদেশের এক প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তি তিনি যা করেছেন তার জন্য বাঙালি কৃতজ্ঞ। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু যেমন ৭ মার্চ বলেছিলেন আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, আমি আমার দেশের মানুষের অধিকার চাই। হুমায়ূন আজাদও ছিল সেই মাপের একজন প্রগতিশীল সৃজনশীল লেখক যিনি তার লেখার প্রতি শতভাগ সৎ ছিলেন। সভার অন্যান্য বক্তারা বলেন, হুমায়ুন আজাদের হত্যাচেষ্টার বিচার অবিলম্বে বাস্তবায়ন এবং মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ এবং সাম্প্রদায়িকতামুক্ত সমাজ-রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমেই তাকে যথাযোগ্যভাবে স্মরণ করা হবে।
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

যে কারণে স্মরণীয় থাকবে ২০২৪ বইমেলা 
মেলা মানেই বাঙালির জন্য উৎসব। সেটা হোক বইমেলা কিংবা বাণিজ্য মেলা। সেজেগুজে মেলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পুরোটাই ঘোরা চাই সতীর্থের হাত ধরে। বই কেনা হোক বা না হোক, মেলার স্মৃতি ফ্রেমবন্দি করে রাখতে ভোলেন না আগন্তুকরা। বইমেলায় চোখে পড়ে স্থিরচিত্র ধারণের এমন অনেক দৃশ্য। এতে মেলার সৌন্দর্য বাড়ে বৈ কমে না। তবে এবারের মেলা যেসব কারণে আলোচিত, তা ভালো কোনো বই বা প্রথিতযশা লেখকের কারণে নয়। মেয়ের বয়সী ছাত্রীকে বিয়ে করে বরাবরাই আলোচিত খন্দকার মোশতাক। জেল খেটে আইডিয়ালের পদ হারিয়ে বইমেলায় হঠাৎ লিখে ফেললেন বই। নাম দিলেন ‘তিশার ভালোবাসা’; বইটি কে লিখেছে তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। রাতারাতি জনপ্রিয়তায় বাদ সাধে কতিপয় বিদ্রোহী যুবক। নানা কুটূক্তি দিয়ে মেলা থেকে বের করে দেয় তিশা ও মুশতাককে। আরেক আলোচিত লেখিকা ডা. সাবরিনা। করোনার সময় পরীক্ষা না করিয়েই রিপোর্ট দিয়ে যে অপরাধ করেছিলেন তার প্রায়শ্চিত্ত করেছিলেন কারাবাস করে। সম্প্রতি জামিন পান তিনি। জামিন পেয়েই রাতারাতি লিখে ফেলেন বই। জেল জীবনের ঘটনা নিয়ে তিনিও লিখেছেন ‘বন্দিনী’ নামের একটি বই। কান্নাকাটি করে বই বিক্রির ছবিও প্রকাশ পেয়েছে গণমাধ্যমে। তিশা-মোশতাকের পথ ধরেই ডা. সাবরিনাকের বের করে দেওয়া হয় বইমেলা থেকে। আলোচিত হকার লেখক টিপু সুলতান। নিজে ততটা জ্ঞানী না হলেও তরুণ-তরুণীদের অযথা বিভিন্ন ইংরেজি শব্দের বাংলা অর্থ জানতে চেয়ে বিব্রত করেন তিনি। শেষে তাকেও বিব্রত অবস্থায় মেলা ছেড়ে যেতে হয়। সর্বশেষ কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমকেও বইমেলা থেকে বের করে দেয় কথিত বিপ্লবীরা। তবে ডিবি অফিসে গিয়ে নালিশ করে নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে, লজ্জার মাথা খেয়ে আবারও বইমেলায় ফিরেছেন হিরো আলম। ফিরেছেন ডা. সাবরিনাও। এসব সমালোচিত লেখকদের বই প্রকাশ করে যারা বইমেলার পরিবেশ নষ্ট করল, তাদের বিরুদ্ধে কি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? না তারা আছেন বহাল তবিয়তেই। লেখক হতে চাওয়া সমালোচিত এসব ব্যক্তিদের বইমেলা থেকে বের করে দিল তারাই বা কারা? তারা কি আসলে পাঠক? না তারা পাঠক নয়, বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়- তারা আসলে মেলায় বিভিন্ন উদ্দেশ্যে নিয়ে আসে। একজন জানাল তারা আসলে তিশাকে দেখতে এসেছিল। তিশা আর মেলায় না আসায় হতাশ তারা। আরেকজন সরল বললেন- মেলায় মেয়েরা আসে সেজেগুজে তাদের সঙ্গে ভাব জমাতেই আসেন মেলায়। গত মেলায় একজনের সঙ্গে প্রেম হয়েও গিয়েছিল, সেই প্রেম বেশি দিন টিকেনি। এবারো সেই আশাতেই এসেছে। এবারের মেলায় বখাটেদের উৎপাতে প্রকৃত পাঠকরাও ছিল তটস্থ। কী চায় তারা বইমেলায়? প্রতিভা প্রকাশের প্রকাশক কবি মঈন মুরসালিন জানান, এবার বখাটেদের উৎপাত অতীতের তুলনায় বেশি মনে হয়েছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার ছিল। তবে যাদের দেখার কথা, তারা চোখ বুঝে আছে মনে হয়। মেলার এমন বিশৃঙ্খলা দেখে এক পাঠক জানান, এসব উটকো ঝামেলা এড়াতে অন্তত ২শ টাকার টিকিট করা জরুরি। তবে মেলায় বই কিনলে সেই টাকা ফেরত দেওয়া বা বইয়ের মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করা যেতে পারে। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি ও পুঁথিনিলয়ের প্রকাশক শ্যামল পাল বলেন, এটা সত্যি এবারে প্রচুর দর্শনার্থী মেলায়। তবে পাঠক তুলনামূলক কম। ভুঁইফোঁড় লেখক আর বখাটে আগন্তুকদের উপদ্রবে এবারের মেলায় যেমন আতঙ্কিত ছিল লেখকরা তেমনি পাঠকরাও। মেলার পরিবেশ নষ্ট করতে যারা বিশেষ ভূমিকা রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে কে ব্যবস্থা নেবে জানতে চায় প্রকৃত লেখক ও পাঠকরা।
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

আজ বইমেলা শুরুর সময় পরিবর্তন
পবিত্র শবেবরাতের ছুটির দিনে আজ সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলা শুরুর সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। পরিবর্তিত সময় অনুযায়ী, দুপুর ১২টায় শুরু হবে বইমেলা, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমির জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগ থেকে বিষয়টি জানানো হয়। বাংলা একাডেমি জানিয়েছে, অমর একুশে বইমেলার ২৬তম দিনে বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণ: আবুবকর সিদ্দিক এবং স্মরণ: আজিজুর রহমান আজিজ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ফরিদ আহমদ দুলাল এবং কামরুল ইসলাম। আলোচনায় অংশ নেবেন মামুন মুস্তাফা, মো. মনজুরুর রহমান, তৌহিদুল ইসলাম ও আনিস মুহম্মদ। কবি আসাদ মান্নান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। উল্লেখ্য, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায় ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চলছে অমর একুশে বইমেলা।
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

শেষ শুক্রবার শিশুদের পদচারণায় মুখর বইমেলা
অমর একুশে বইমেলার শেষ শুক্রবার আজ। এদিন পাঠক, লেখক, প্রকাশকের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণ। বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা ঘুরে পছন্দের বই ক্রয় করতে পারবেন পাঠকরা। যদিও শিশুপ্রহর খোলা ছিল দুপুর ১টা পর্যন্ত। বিক্রয়কর্মী ও প্রকাশকরা বলছেন, মেলায় পড়ার মতো মানসম্পন্ন বহু বই আছে। এসব বই পাঠান মনের খুদা মিটাবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিশুচত্বরে সিসিমপুরের আয়োজকরা জানান, শেষ দিনের শিশুপ্রহরের সিসিমপুর ছিল মুখর উপস্থিতি।  বইমেলার ২৩ তম দিনে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, বড়দের পাশাপাশি উপস্থিতি ছিল শিশুদের। পরিবারের বড়দের হাত ধরে এসেছেন তারা। এসব খুদে পাঠকের কারও কারও ব্যস্ততা ছিল পছন্দের বই নিয়ে। ছুটে বেড়াচ্ছেন এক স্টল থেকে আরেক স্টলে। তবে শিশুদের আকর্ষণ ছিল সিসিমপুরের হালিম, টুকটুকি, ইকরিরা দিকে। প্রথম শ্রেণিতে পড়েন জান্নাতুল আঁখি। বইমেলায় এসেছেন মায়ের সঙ্গে। সকালে রমনা পার্কসহ বিনোদনের স্থানগুলো ঘুরাঘুরি শেষে এসেছেন মেলায়। গ্রিনরোড থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে আরিফকে নিয়ে মেলায় এসেছে তার বাবা শিহাব মাহমুদ। তিনি বলেন, শিশুপ্রহর ঘুরেছি। আরিফ বই কিনেছে। এবার নিজের কিছু পছন্দের বই নেব। এদিকে বিক্রয়কর্মীরা জানান, আজ অন্য যে কোনো দিনের তুলনায় বইমেলায় ভিড় বেশি। বিক্রিও ভালো হচ্ছে। বেলা বাড়তেই মেলার প্রবেশদ্বারে দেখা যায় বইপ্রেমীদের দীর্ঘ সারি।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ফেনীতে ছয় দিনব্যাপী একুশে বইমেলা শুরু
ফেনীতে শুরু হয়েছে ৬ দিনব্যাপী অমর একুশে বইমেলা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এ মেলার উদ্বোধন করেন ফেনীর জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এ মেলা ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ মেলা পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। পাশাপাশি ফেনীর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের অংশগ্রহণে বইমেলায় প্রতিদিন চলবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মেলায় অংশ নিয়েছে ১৫টি প্রতিষ্ঠান। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ফেনী পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীর সভাপতিত্বে ও মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট রাশেদ মাযহারের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ফেনীর জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার এবং পুলিশ সুপার জাকির হাসান।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বইমেলা থেকে হিরো আলমকে বের করে দিল দর্শনার্থীরা
এবার হিরো আলমকে দুয়োধ্বনি দিয়ে অমর একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের করে দিলেন দর্শনার্থীরা। মেলায় আসা শতাধিক দর্শনার্থীর ‘ভুয়া ভুয়া’ ও ‘ছিছি ছিছি’ দুয়োধ্বনিতে পুলিশি সহায়তায় বের হয়ে যেতে বাধ্য হন তিনি। এবারের মেলায় ‘দৃষ্টিভঙ্গি বদলান, আমরা সমাজকে বদলে দেব’ বইয়ের লেখক হিরো আলম। মেলার একুশতম দিন গতকাল বুধবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ছিল দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড়। সে সময় বইমেলা পরিদর্শন করে নিজের বই হাতে নিয়ে সেটি কিনতে পাঠকদের উৎসাহিত করতে দেখা যায় হিরো আলমকে। হঠাৎ একদল দর্শনার্থী দুয়োধ্বনি দিয়ে তাকে তাড়া করেন। তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাকে নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে টিএসসি গেট দিয়ে বের হয়ে যেতে সহায়তা করেন। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল মুস্তাক-তিশা ও সাবরিনাকে একইভাবে বের করে দেন সাধারণ দর্শনার্থী ও পাঠকরা।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X