সমুদ্রপাড়ে সিডিএ প্রকৌশলীদের ‘বারবিকিউ পার্টি’
ঘড়ির কাঁটায় রাত ১০টা। চট্টগ্রাম নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়াম থেকে একে একে যাত্রা শুরু করে গাড়ির বহর। উদ্দেশ্য টুঙ্গিপাড়া, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি। একে তো সিডিএ’র দায়িত্বে এসেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ। পাশাপাশি প্রথমবার সবাই যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে। এই দুই কারণে যাত্রার শুরুতে বহরে থাকা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কর্মকর্তা-কর্মচারী, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাসের কমতি ছিল না। কিন্তু যাত্রা শেষে ফিরে এলো এক রাশ হতাশা নিয়ে। কেননা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া-মিলাদ কেন্দ্র করে যে আয়োজন, সেসব আয়োজনে সিডিএর কয়েকজন শীর্ষ প্রকৌশলীকে দেখা যায়নি। বরং তারা ছুটে গেছেন পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে। সেখানে করেছেন বারবিকিউ পার্টি।   শুক্রবার (১৭ মে) টুঙ্গিপাড়ায় ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় আলোচনা-সমালোচনা চলছে চট্টগ্রামে। আলোচিত চার প্রকৌশলী জোট সরকারের আমলে নিয়োগ পেলেও গত ১৫ বছর ধরেই আছেন সিডিএ’র বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে। বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে গিয়ে বারবিকিউ পার্টির আয়োজনের ছবি ফেসবুক প্রোফাইলে আপলোড দিয়ে তারা বিতর্কের ফাঁদে পড়েছেন। ওই পার্টিতে অংশ নেওয়া কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত কানেকশনের অভিযোগ রয়েছে। আলোচনায় আসা সিডিএ’র এসব কর্মকর্তারা হলেন- মহিউদ্দিন চৌধুরী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান, জলাবদ্ধতা প্রকল্পের পরিচালক আহমেদ মাঈনুদ্দিন, সিডিএ’র অথরাইজড অফিসার-১ প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসান, নির্বাহী প্রকৌশলী-১ মোহাম্মদ শামীম ও প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী রাজীব দাশ। তাদের মূল পদবি সহকারী প্রকৌশলী হলেও তারা কীভাবে এসব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন এসব নিয়েও বিতর্কের শেষ নেই। মূলত, বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়া সিডিএ’র কয়েকজন কর্মকর্তাকে ঘিরেই এই পরিস্থিতি। বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে যাওয়ার নামে টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে আলোচনা সভা থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস কিংবা  খাবার টেবিলে তাদের উদ্ভট কাণ্ডে সৃষ্টি হয়েছে এ সমালোচনা। বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে জেয়ারতের পর ফটোসেশন শেষে উধাও হয়ে যান তারা। এরপর দুপুরের পর থেকে এক মুহূর্তের জন্যও কর্মকর্তাদের আর দেখা পায়নি কেউ। সবশেষ বিকেলের দিকে তাদের যার যার প্রোফাইলে ভেসে ওঠে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে প্রমোদ ভ্রমণের ছবি। কিন্তু এর আগে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফটোসেশনের পালা শেষে সেই ছবি আপলোড দেননি কেউ। পরে এ নিয়ে ক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন উপস্থিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে জলাবদ্ধতা প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী আহমেদ মাইনুদ্দিন কালবেলাকে বলেন, ‘শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ছিলাম। ফুলও দিয়েছি, মোনাজাতেও অংশগ্রহণ করেছি। জুমার নামাজ অন্য একটি মসজিদে পড়েছি। এরপর দুপুরের আগেই অন্য একটি কাজ থাকায় বরিশালে চলে গিয়েছি। তবে আমাদের একটি টিম টুঙ্গিপাড়ায় ছিল।’ কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ভ্রমণের ছবি ফেসবুকে দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, ওইখানেও একটু গিয়েছিলাম।’ সিডিএ’র চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ কালবেলাকে বলেন, ‘সুন্দর একটি আয়োজন হয়েছে। টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা, জিয়ারত ও মোনাজাত করেছি। দুপুরের পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও আলোচনা সভাও করেছি। পাশাপাশি সকলের খাবারের আয়োজনও করেছি। যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আশা করি, আগামীতেও আমরা সকলের সমন্বয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের অঙ্গীকারে এগিয়ে যাব।’ এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ি এলাকা থেকে যাত্রা শুরু করে প্রায় ১০টি বাস, ১০টি প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস। পরে সেগুলো শুক্রবার সকালে গিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছায়। দুপুর ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়, করা হয় মোনাজাত। এরপরই উধাও হয়ে যান সিডিএ’র কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানজুড়ে সব আয়োজন একাই সামলিয়েছেন সিডিএ’র চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ। সঙ্গে ছিলেন সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামসসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। সিডিএর এসব প্রকৌশলীরা অনুপস্থিত থাকায় দুপুরের দিকে খাবারের টেবিল তদারকিতে নেমে পড়েন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের দোয়া, মিলাদ ও আলোচনা সভাতেও দেখা যায়নি সিডিএ’র ওই পাঁচ প্রকৌশলীকে। এসব নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে থাকা সিডিএ’র স্টাফরা বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েন। অনেকেই তাদের ‘দলছুট’ বলে মন্তব্য করেন। উপস্থিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা মন্তব্য করেন, এসব কর্মকর্তা জোট সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত। তারা যে এখানে এসেছে এটাই বেশি। একইভাবে বিএনপি-জামায়াত কানেকশনের অভিযোগ রয়েছে। এসব তদন্তের জোর দাবি জানান ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
১৮ মে, ২০২৪

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শিল্পী সমিতির শ্রদ্ধা
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ। নবনির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজলের নেতৃত্বে তারা শনিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে জাতির পিতার সমাধিসৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সহসভাপতি ডিএ তায়েব, সহসাধারণ সম্পাদক আরমান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, কোষাধ্যক্ষ কমল, কার্যনির্বাহী সদস্য সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, চুন্নু ও সনি রহমান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি, নাহিদা আশরাফ আন্না, ডি জে সোহেলসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন হয়। মিশা সওদাগর পেয়েছেন ২৬৫ ভোট এবং ২২৫ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নতুন চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরীসহ ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সদস্যরা। রোববার (২৮ এপ্রিল) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তারা।   গত ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী। আগামী ৩ বছরের জন্য তাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখা থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সিনিয়র সহকারী সচিব স্নেহাশীষ দাশ স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘দ্য বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি অর্ডার, ১৯৭৩ (প্রেসিডেন্টস্‌ অর্ডার নম্বর ২৬, ১৯৭৩) এর আর্টিকেল ১০(১) এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রেসিডেন্ট কর্তৃক এতদ্বারা অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরীকে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হিসেবে আগামী ২৮ এপ্রিল ২০২৪ থেকে পরবর্তী ৩ বছরের জন্য নিয়োগ প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।’ চিকিৎসাবিদ্যায় স্বাধীনতা পুরস্কার- ২০২০ প্রাপ্ত বিশিষ্ট অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী প্রায় ৫০ বছরের কর্মজীবনে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে অসামান্য প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন। তিনি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একজন আজীবন সদস্য। অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী ১৯৭৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে একই কলেজে ১৯৭৬ সালে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরবর্তীকালে ভিয়েনা ইউনিভার্সিটি থেকে এক্সিলেন্ট গ্রেডে চর্ম ও যৌনরোগে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। এরপর গ্লাসগো রয়েল কলেজ ফেলোশিপ সনদ ও আমেরিকান কলেজ অব এনজিওলজি থেকে অ্যাসোসিয়েট ফেলো নির্বাচিত হন।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে বিএসএমএমইউর নতুন প্রোভিসির শ্রদ্ধা
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নতুন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। গতকাল শুক্রবার বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। পরে পবিত্র ফাতিহা পাঠ করে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, ১৫ আগস্টের শহীদ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ৩০ লাখ শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপ-উপাচার্য সমাধিসৌধের প্রশাসনিক ভবনে যান। সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে তিনি মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন। এরপর তিনি বঙ্গবন্ধুর আদি পৈতৃক বাড়ি ও স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউর ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক একেএম খুরশিদুল আলম, হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুল আজিজ, সাবেক প্রক্টর ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বিজয় কুমার পাল, বিএসএমএমইউ স্বাচিপের সহযোগী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো, সহযোগী অধ্যাপক হাসান শাহরিয়ার আহমেদ, কেএম তারিকুল ইসলাম, আশীষ কুমার সরকার, জাকির হোসেন সুমন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, জাহান শামস নিটোল, টুঙ্গিপাড়া পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, সাবেক মেয়র ইলিয়াস হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফোরকান বিশ্বাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ জিয়াউল বশির টুটুল, উপাচার্যের একান্ত সচিব আমিনুল ইসলাম পলাশ ও সহকারী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে চীনা রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে সফরসঙ্গীদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি। বেদির পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব, ৭৫-এর ১৫ আগস্টের শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ৩০ লাখ শহীদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনায় অংশ নেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধের অ্যাডমিন ভবনে যান। সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। এরপর সমাধিসৌধের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন চীনা রাষ্ট্রদূত। এ সময় গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আল বেলী আফিফা, গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. গোলাম কবির, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক, টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি খন্দকার আমিনুর রহমানসহ চীন দূতাবাসের পদস্থ কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

বাজার ব্যবস্থাপনায় বঙ্গবন্ধুর সমবায় ভাবনা
বাজার ব্যবস্থাপনায় পরিবেশন এবং প্রচারণার মাধ্যমে যেমন যে কোনো পণ্যের তুমুল বিপণন ও বিনিময় সম্ভব, তেমনি পতনও নিশ্চিত করা সম্ভব। উত্তর-আধুনিক এ বিশ্বে বাজার ব্যবস্থাপনার এই কৌশল মানুষের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ হতে দেখা যায়। তা ছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্ষমতা কাঠামোর দিক বিবেচনা করেও ভালো-খারাপ বা সত্য-মিথ্যা নিরূপণ হয়। পরিবেশন, মার্কেটিং কিংবা ব্র্যান্ডিংয়ের এ ধরনকে ব্যবহার করে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বিশেষ করে দেশ গঠনের কালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়। তার দর্শনকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়। কার্যত বঙ্গবন্ধুর একক নেতৃত্বগুণে বাঙালি স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। এ কারণেই এমন প্রোপাগান্ডা বা কুৎসা রটানো হয়েছিল। ঘরে-বাইরের স্বাধীনতাবিরোধীরা পরাজয়ের জ্বালা মেটাতে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন যেমন সমবায় ভাবনাসহ বাকশালকে আক্রমণের বিষয়বস্তু করেছিল। নতুনকে গ্রহণে স্বভাবতই মানবমনে একটা অন্তরীণ ভীতি ও অনীহা কাজ করে। জালিমরা সেই মানসিক স্বভাবকে আতঙ্ক এবং বিরোধিতার ক্ষেত্রমঞ্চে পরিণত করেছিল। অথচ বঙ্গবন্ধুর সমবায় ভাবনায় ঠিকাদার, দালাল ও মধ্যস্বত্বভোগীর কোনো স্থান ছিল না। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় জনগণের ভোগান্তির সুযোগ ছিল না। বঙ্গবন্ধুর ভাবনায় জমির মালিকানা জমির মালিকের কাছে রেখেই মালিক, শ্রমজীবী শ্রেণি এবং সরকার—সবার স্বার্থ সংরক্ষিত ও সুরক্ষিত ছিল। ফসলের এক ভাগ জমির মালিকের, এক ভাগ শ্রমিকের এবং এক ভাগ সরকারের ছিল। সরকারের নেওয়া সেই ভাগটুকুও দুর্যোগকালে জনগণের জন্য সংরক্ষিত ছিল। সাম্প্রতিক সময়ের বাজারের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলে হুটহাট করে পণ্যের মূল্য বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে কৃষক ও ভোক্তাশ্রেণিই সবচেয়ে অসহায় অবস্থায় পড়ে যায়। কারণ কৃষক-শ্রমিক ও ভোক্তাশ্রেণির মাঝে একশ্রেণির মজুতদার ও দালালশ্রেণির উদয় ঘটেছে। যারা কৃষক এবং ভোক্তাশ্রেণিকে জিম্মি করে অযাচিত মুনাফা লুটে নিচ্ছে। বঙ্গবন্ধু এসব দালালশ্রেণি যারা সমাজকে কুরে কুরে খাচ্ছে তাদের চরম আঘাত করতে চেয়েছিলেন। সেই চিন্তা থেকেই তার সমবায় ভাবনা, যা একটা ভারসাম্যসম্পন্ন সমাজ বিনির্মাণের জন্য সবসময়ের জন্য প্রাসঙ্গিক। বঙ্গবন্ধুর এ চিন্তা বাস্তবায়ন করা গেলে কখনোই কেউ বাজার ব্যবস্থাপনায় অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারবে না। কারণ এ ব্যবস্থায় পুরো সাপ্লাই চেইনের নিয়ন্ত্রণ জনগণের ওপর ন্যস্ত থাকত। সমস্যাকে জিইয়ে রাখে এবং অরাজকতা সৃষ্টি করে একশ্রেণির ব্যবসায়ী। এরাই ওই সময় বঙ্গবন্ধুর সমবায় ভাবনার বিরোধিতা করেছিলেন। এর সঙ্গে সিজনাল রাজনীতিবিদ, দুর্নীতিগ্রস্ত আমলা, দালালশ্রেণিও যুক্ত ছিল। বঙ্গবন্ধু যা বিশ্বাস করতেন তাই করতেন। যার প্রমাণ তিনি নিজেও পাটগাতী ইউনিয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতির সদস্য ছিলেন। বিশ্বমঞ্চে বাংলা সংস্কৃতির নেতৃত্বদানকারী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও সমবায় ভাবনার লালনকারী ছিলেন। নোবেল বিজয়ের পয়সা দিয়ে কৃষকের জন্য ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অর্থাৎ বাংলা ও বাঙালিকে নিয়ে যারা চিন্তা করেছিলেন, তারা সমবায় ভাবনাকে লালন করেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ঝড়-ঝঞ্ঝা, বিক্ষুব্ধ সময়কে চোখ রাঙিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। এর মাধ্যমে বাঙালির উবে যাওয়া আশা ফিরে আসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, ভাত ও ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন। এককথায় পিতার অসমাপ্ত স্বপ্নকে বাস্তবায়নের চেষ্টায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। দিনে দিনে বাঙালির সাহস হয়ে উঠেছেন। জাতির পিতার অপূর্ণ স্বপ্নের আরেকটি হলো, সমবায় ভাবনার বাস্তবায়ন; যা পুঁজিবাদী ব্যবস্থার জন্য চ্যালেঞ্জের। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ ডিজিটাল ব্যবস্থা থেকে স্মার্ট ব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে। সেই অনুরণনে মডেল হিসেবে হলেও বঙ্গবন্ধুর ‘সমবায় ভাবনা’ বাস্তবায়নের উদ্যোগ প্রয়োজন। এ দর্শন বাস্তবায়ন করা গেলে পণ্যের কালোবাজারি থেকে শুরু করে মানুষের জীবনধারণের নাভিশ্বাস নাই হয়ে যাবে। এসবই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন-সাধের সোনার বাংলার উপাদান। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধুর মতো কেউ যেন শেখ হাসিনাকে ভুল ব্যাখ্যা করতে না পারে। অপপ্রচার চালাতে না পারে। কেননা বঙ্গবন্ধুর সময়ও অপপ্রচারকারী জমির মালিকানা জমির মালিকের থাকবে না, সরকার সব নিয়ে যাবে, এ ধরনের প্রোপাগান্ডা চালিয়েছিল। লেখক: রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব [email protected]
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর মুখচ্ছবি ফুটিয়ে তুলে মেডিকেল কলেজ নির্মাণ করতে চান বগুড়ার মিঠু
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুখচ্ছবি ফুটিয়ে তুলে ভবন নির্মাণের নকশা প্রণয়ন করেছেন বগুড়ার তরুণ প্রকৌশলী এ বি এম মনোয়ারুল হাসান মিঠু। এই স্থাপত্যশৈলীর ভবন নির্মাণ করা গেলে সেটিই হবে বিশ্বের কোনো মানুষের আবক্ষ প্রতিকৃতির প্রথম ভবন এমনটিই দাবি মিঠুর। নকশাটি তৈরি করতে তার লেগেছে প্রায় ২০ বছর। একটি থ্রি-ডি নকশা প্রদর্শন করে মিঠু জানিয়েছেন এই আদলে ভবন নির্মাণ করলে ওপর থেকে (আকাশ) দেখতে হুবহু বঙ্গবন্ধুর মুখচ্ছবি ভেসে উঠবে। ৫ তলা বিশিষ্ট এই অবকাঠামোটি নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সময় প্রয়োজন লাগবে প্রায় ৩ বছর।  সম্প্রতি তার এই গবেষণা নিয়ে বগুড়ার একটি মোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেন এ বি এম মনোয়ারুল হাসান মিঠু। এ সময় তিনি বলেন, এতদিন রঙতুলি, শস্যচিত্র, মুর‌্যাল ও ভাস্কর্যে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ চিত্র সবাইকে দেখলেও ব্যতিক্রমী এই স্থাপত্যশৈলীর চিত্র দেখেননি কেউ। মনোয়ারুল হাসান মিঠু বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া এলাকার বাসিন্দা। লেখাপড়া করেছেন বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। তার বাবা প্রয়াত আব্দুল বাসেদও ছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। লেখাপড়া শেষে পিবিএল, ম্যাক্স, শামীম এন্টারপ্রাইজসহ বেশ কিছু নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে ভবন ও রাস্তা নির্মাণ কাজের প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। এই স্থাপত্য ভবনার বিষয়ে মিঠু বলেন, ১৯৯৫ সালে সবেমাত্র বগুড়া জিলা স্কুল থেকে এসএসসি পাস করে বগুড়া পলিটেকনিকে ভর্তি হয়েছি। পলিটেকনিকে ভর্তির পর ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করি। আওয়ামী লীগ তখন বিরোধী দলে। সেসময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান বগুড়া এসেছিলেন। সেই সফরে বগুড়ায় ছাত্রলীগের একটি সভায় দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘তোমাদের চিন্তাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশকে নতুন কিছু দিতে হবে।’ তার সেই কথা আমার মনে ধরে। এ কারণে নতুন কিছু করার আগ্রহ থেকেই ১৯৯৮ সালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা করার পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নিয়ে কাজ করতে শুরু করি। এরই মাঝে কিছুদিন চাকরিতে সময় দিয়েছি। তবে ওই গবেষণা থেকে সরে যাইনি। বঙ্গবন্ধু জন্ম শতবার্ষিকীতে এসে চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুনরায় এই কাজে মনোযোগ দিই। এখন সেটির থ্রি-ডি ভার্সন সম্পন্ন হয়েছে। একটি ৫ তলা ভবনের স্থাপত্য নকশায় বঙ্গবন্ধুর মুখচ্ছবি ফুটে তুলতে সক্ষম হয়েছি। মিঠু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু আমাদের জাতির পিতাই নন, তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই উদ্যোগ। পৃথিবীর কোথাও মানুষের প্রতিকৃতি দিয়ে কোনো স্থাপনা নির্মিত হয়নি। এই নকশায় ভবন নির্মাণ করা গেলে মানুষের প্রতিকৃতি দিয়ে প্রস্তুতকৃত সেটিই হবে পৃথিবীর প্রথম স্থাপনা। ভবনে এমন এক নেতার মুখচ্ছবি ফুটিয়ে তোলার মধ্য দিয়ে তার স্মৃতিকে ধরে রাখা সম্ভব। উপস্থাপিত মডেল সম্পর্কে তিনি বলেন, একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণের উদ্দেশ্যে মডেলটি তৈরি করা হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিলে বঙ্গবন্ধুর নামে যে কোনো বৃহৎ বা ছোট স্থাপনাও এই স্থাপত্যশৈলীতে নির্মাণ করা সম্ভব। মিঠু তার থ্রি-ডি নকশায় যে ভবনটির নির্মাণের কথা বলেছেন সেটি বাস্তবায়নে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৭৬৫ বর্গফুট বা ৯ দশমিক ৮৮১ একর জমির প্রয়োজন। সেখানে মূল অবকাঠামো হবে ২ লাখ ২৪ হাজার ৪১৫ দশমিক ২৩ বর্গফুটের। 
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের এই দিনে মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথগ্রহণ করে। এদিন পঠিত হয় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার প্রণীত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। পরে বৈদ্যনাথতলা মুজিবনগর নামে পরিচিতি পায়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গণহত্যা শুরু করলে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হওয়ার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এর ধারাবাহিকতায় ১০ এপ্রিল মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী এলাকার মুক্তাঞ্চলে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এক বিশেষ অধিবেশনে মিলিত হয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন। অধিবেশনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, তার অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে স্বরাষ্ট্র এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে গঠিত হয় বাংলাদেশ সরকার। মেহেরপুর হয়ে ওঠে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাজধানী। মুজিবনগর সরকারের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তান বিমানবাহিনী মেহেরপুর দখল করে। ফলে সরকারের প্রতিনিধিরা ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন এবং সেখান থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকেন। অবশেষে সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। আওয়ামী লীগ, সহযোগী এবং সমমনা সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো যথাযথ মর্যাদায় এবার পালন করবে দিনটি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে সংগঠনের কার্যালয়গুলোয় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। মুজিবনগরের কর্মসূচির মধ্যে আছে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, গার্ড অব অনার প্রদান এবং শেখ হাসিনা মঞ্চে মুজিবনগর দিবসের জনসভা। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচি যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত
যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়েও বেতবুনিয়ায় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে মনে করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বঙ্গবন্ধু স্থাপন করেছিলেন ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র। আর ২০১৮ সালের ১২ মে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। গতকাল শুক্রবার রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর জন্য স্থাপিত সজীব ওয়াজেদ উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র বেতবুনিয়া বিকল্প নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র পরিদর্শনকালে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ১৪ জুন বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধনের ৪৯ বছর পূর্ণ হবে। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতিতে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয় ‘মুজিব থেকে সজীব’; এই তিনজনের অবদান চির অম্লান হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত এ ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র আবার গুরুত্ব পেয়ে দেশ-বিদেশে পরিচিতি পাচ্ছে। বেতবুনিয়া কেন্দ্র শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটেলাইটের সঙ্গে সংযুক্ত। এ কেন্দ্রের মাধ্যমে ১১টি দেশের সঙ্গে টেলিফোন ডাটা কমিউনিকেশন, ফ্যাক্স, টেলেক্স ইত্যাদি আদান-প্রদান শুরু করা হয়।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

আইন সমিতির চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আইন সমিতির চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং দোয়া ও ইফতার গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী মোতাহার হোসেন (সায়েন্স অ্যানেক্স) ভবন চত্বরে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীমা জামান এবং আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ। আইন সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মনজুর মোহাম্মদ শাহনেয়াজ টিপু অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন অ্যাডভোকেট মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার। অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিমণ্ডলী, সংসদ সদস্য, আমন্ত্রিত অতিথি, সচিব, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, জেলা ও দায়রা জজসহ বিচারিক কর্মকর্তা, সিনিয়র আইনজীবী ও সরকারের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় তিনটি গ্রুপে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ক গ্রুপে তিনজন, খ গ্রুপে তিনজন ও গ গ্রুপে তিনজনকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী সবাইকে সনদসহ শুভেচ্ছা পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের সার্বিক সমন্বয় এবং সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পুলিশ সুপার (পিবিআই) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন।
৩১ মার্চ, ২০২৪
X