সরকারি ল্যাপটপ বন্ধক রেখে টাকা ধার নিল দপ্তরি
সরকারি ল্যাপটপ বন্ধক রেখে টাকা ধার নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শরীয়তপুর গোসাইরহাট উপজেলার ২৭নং দাতরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরির বিরুদ্ধে। স্কুলের দপ্তরি সাকিবুল ঢালী ভোগকাঠী গ্রামের হুমায়ুন বেপারীর কাছে ল্যাপটপটি বন্ধক রাখেন বলে অভিযোগ উঠেছে।  রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) স্কুলে ল্যাপটপ না দেখতে পেয়ে এ ঘটনা জানাজানি হয়। পরে পাওনাদার হুমায়ুন বেপারীকে টাকা পরিশোধ করে ল্যাপটপ উদ্ধার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৭নং দাতরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনলাইনের কাজের জন্য সরকার থেকে ২টি ল্যাপটপ দেওয়া হয়েছে। কম্পিউটারের সকল কাজ দপ্তরি সাকিবুল করে তাই দুটি ল্যাপটপ তিনি তার বাসায় নিয়ে যান। তবে এর মধ্যে একটি এইচপি ব্রান্ডের ল্যাপটপ বন্ধক রেখে তিনি স্থানীয় হুমায়ুন বেপারীর কাছ থেকে টাকা ধার করেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ কেউ এ বিষয়ে অবহিত ছিলেন না। এরই মধ্যে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। হুমায়ুন বেপারী জানান, একটি ব্যাগসহ ল্যাপটপ নিয়ে এসে আমার কাছে টাকা ধার চায় সাকিবুল। স্কুলের ল্যাপটপ দেখে প্রথমে রাজি হইনি। পরে অল্প সময়ে টাকা পরিশোধ করে দেবে বলে অনেক অনুরোধ করলে আমি সাড়ে চার হাজার টাকা সাকিবুলকে দেই। এরপর দুই মাস পর রোববার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা টাকা দিয়ে  ল্যাপটপটি আমার কাছ থেকে ছাড়িয়ে স্কুলে নিয়ে যান।  অভিযুক্ত দপ্তরি সাকিবুল বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি আমার ব্যক্তিগত ল্যাপটপ বন্ধক রেখেছি। স্কুলের ল্যাপটপ আমার বাসায় ছিল।  বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষক নাসরিন সুলতানা বলেন, সব মিটমাট হয়ে গেছে। ল্যাপটপ দপ্তরি সাকিবুলের কাছেই থাকত। তার কাছ থেকে ফেরত নিয়ে স্কুলে রাখা হয়েছে। গোসাইরহাট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান কালবেলাকে বলেন, দপ্তরি সাকিবুল স্কুলের আইটি কাজগুলো করে। তাই স্কুলের ল্যাপটপ সেই ব্যবহার করে। তাছাড়া ওর ব্যক্তিগত ল্যাপটপ রয়েছে। স্কুলের ল্যাপটপ স্কুলের আলমিরাতেই রক্ষিত আছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

দেশের সার্বভৌমত্বকে বন্ধক রেখেছে সরকার : রিজভী 
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভোটবিহীন ডামি নির্বাচন করে অবৈধ সরকার বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে হাস্যরসে পরিণত করেছে। ‘বিএনপি নির্বাচনে না এসে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার চেষ্টা করছে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, অজ্ঞ ওবায়দুল কাদেররা এই দেশটাকে দোজখে পরিণত করেছেন। আমরা তো সার্বভৌমত্ব ফিরিয়ে আনার আন্দোলন করছি। আপনারা তো সার্বভৌমত্বকে বন্ধক রেখেছেন। দেশের সার্বভৌমত্বকে বন্ধক রেখে একটি ভোটবিহীন ডামি নির্বাচন করে দেশকে বিশ্বের কাছে হাস্যরসে পরিণত করেছেন। শনিবার (২০ জানুয়ারি) জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীতে দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা যদি সার্বভৌমত্ব বন্ধক রাখতাম, প্রভুদের কথা শুনতাম, নিজেদের শক্তি বলে আন্দোলন করতাম না। এ দেশের জনগণ আমাদের শক্তি। তাদের ভরেই আমরা রাজনীতি করছি। কোনো প্রভুদের ভরে নয়। যারা প্রভু রাষ্ট্রের ভরে রাজনীতি করে তারাই এ দেশের সার্বভৌমত্বকে বিক্রি করে। রুহুল কবির রিজভী বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শে আমরা চলছি বলেই দুর্নীতিবাজ সরকারের নির্যাতনের মধ্যেও আমাদের আন্দোলন চলমান। এই ফ্যাসিবাদ ও দুর্নীতিবাজ সরকার আমাদের দলের পুরুষ নেতাকর্মীদের ওপর জেল জুলুম অত্যাচার তো করছেই সেই সঙ্গে আমাদের নারী নেত্রীদের ওপরও জুলুম অত্যাচার করছে। এর মধ্যেও আমাদের নারী নেত্রীরা পুরুষ নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। রিজভী বলেন, আমাদের জীবন চলে যাবে তারপরও বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটি ইজারা দিতে দেব না আমরা। এটাই হচ্ছে বিএনপি। কারণ এই শিক্ষাটাই স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র- এই তিনটি সুরক্ষার বাণী শুনিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। বাণী শুনিয়েছিলেন বলেই আন্তর্জাতিক চক্রান্ত দ্বারা তাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, অকুতোভয় দেশপ্রেমিক জিয়াউর রহমানের যে পতাকা সেই পতাকা হাতে তুলেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। এই অবৈধ সরকার তাকে জেলে ভরে নিপীড়ন নির্যাতন করছে। তিনি এখন রোগে আক্রান্ত হলেও তার সঙ্গে আপস করা যায়নি। সার্বভৌমত্ব রক্ষার বড় প্রমাণ হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়ার। জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আলোজনে এই শীতবস্ত্র বিতরণকালে এনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ মহিলা দলের নেতৃত্ববৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
২০ জানুয়ারি, ২০২৪

সেন্টমার্টিন বন্ধক দিয়ে ক্ষমতা চাই না
-আমাদের যারা ভোট চোর বলে, তারা হলো ভোট ডাকাত -একজন নির্বাচিতের জায়গায় আরেক নির্বাচিতকেই আসতে হবে -যথাসময়ে সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন হবে --অনেকেই প্রার্থী হতে পারে, শত ফুল ফুটতে দিন। যে ফুলটি সুন্দর সেটি বেছে নেব -দেশে অপরাধ করে পালিয়ে বিদেশে গিয়ে অনেকে মানবাধিকার বক্তা হয়েছে -আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানে ওপর নির্ভরতা কমাতে ব্রিকসে যোগদান সেন্টমার্টিন দ্বীপ লিজ (বন্ধক) দিলে ক্ষমতায় থাকতে সমস্যা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু ক্ষমতার জন্য তা করবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা, এই দেশের কোনো সম্পদ কারও কাছে বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চাই না। গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিলে আমিও ক্ষমতায় (২০০১ সালে) থাকতে পারতাম। আর এখনো যদি আমি বলি, ওই সেন্টমার্টিন দ্বীপ বা আমাদের দেশ কাউকে লিজ দেব, তাহলে আমাদের ক্ষমতায় থাকতে কোনো অসুবিধা নেই। আমি জানি সেটা। কিন্তু আমার দ্বারা সেটি হবে না। গতকাল বুধবার সুইজারল্যান্ড ও কাতার সফর নিয়ে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল। তখন তো গ্যাস বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। তাহলে এখন তারা দেশ বিক্রি করবে, নাকি সেন্টমার্টিন বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে আসতে চায়? তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে খেলতে দেব না, আমার দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কারও নেই। আমার দেশের মাটি ব্যবহার করে কোনো জায়গায় কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে, কাউকে আক্রমণ করবে—এ ধরনের কাজ আমরা হতে দেব না। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি, শান্তিপূর্ণ সহযোগিতায় বিশ্বাস করি। আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, কী এমন পরিস্থিতি যে নির্বাচন আগে দিয়ে মুক্তি দিতে হবে? নির্বাচন যখন সময় হবে তখন হবে। অনেক ত্যাগের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখেছি। আপনারা কি চান না, এই গণতান্ত্রিক ধারাটা অব্যাহত থাকুক? ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ করে বাংলাদেশে নির্বাচন বাধাগ্রস্তকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে লেখা ছয় কংগ্রেস সদস্যের লেখা চিঠির বিষয়টি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা দেশে অপরাধ করেছে, দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, তারা বিদেশে গিয়ে এখন মানবাধিকারের বিরাট প্রবক্তা হয়ে গেছে। কেউ কেউ দুর্নীতির ওপর বক্তাও হয়ে গেছে। এ সময় তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা তুলে ধরেন। শেখ হাসিনা আরও বলেন, দেশের মানুষকে সচেতন হতে হবে। ঠিক যেভাবে আমাদের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সম্প্রদায় প্রতিবাদ করেছে, বলেছে—না, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভুয়া তথ্য। সেভাবে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। মানুষকে তারা বিভ্রান্ত করছে। আমি দেশবাসীকে বলব এ সব অপপ্রচারে কান দেবেন না, বিভ্রান্ত হবেন না। এরা বলতেই থাকবে, যত ইলেকশন সামনে আসবে, আরও বেশি বলবে। কিন্তু নিজেকে নিজে প্রশ্ন করতে হবে, আসলে ভালো আছেন কি না, দেশটা ভালো চলছে কি না, দেশটা এগোচ্ছে কি না, দেশটার আরও উন্নতি হবে কি না। বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে গণতন্ত্রের প্রবক্তা সেজেছে স্বাভাবিকভাবে তারা কখনোই এদেশের কল্যাণ চাইবে না। তারা একটা ঘোলাটে পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইবে। সেখানে দেশি-বিদেশি নানা রকমের লোকই থাকবে। দেশের সচেতন নাগরিক এসবকে কেন গুরুত্ব দেবে? মানুষের যদি পছন্দ হয় আমাকে ভোট দেবে, না হয় না দেবে। না দিলে নেই। আমি থাকব না। আমি কি ভোট চুরি করতে যাব? দুর্ভাগ্য হলো আমরা ভোটের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করলাম আর আমাদের যারা ভোট চোর বলে, তারা হলো ভোট ডাকাত। যাদের উত্থানটাই হলো ডাকাতি করে, খুন করে হত্যা করে। নির্বাচনীকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন নির্বাচিত সরকারপ্রধান আরেকজন নির্বাচিত সরকারপ্রধান দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবেন, এর বাইরে অনির্বাচিত কেউ আসতে পারবে না। জনগণ গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা চায়, নাকি ২০০৭ সালের মতো তত্ত্বাবধায়ক সরকার, আবার সেই জরুরি অবস্থা, আবার সেই ধরপাকড় সেগুলো চায়, এটা দেশের মানুষকে বিবেচনা করতে হবে। নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, প্রার্থী হওয়ার জন্য অনেকেরই আগ্রহ থাকবে এতে তো কোনও সন্দেহ নাই। কাকে প্রার্থী করা হবে কাকে হবে না এ ব্যাপারে আমাদের দলেরও একটা লক্ষ্য থাকে। একটা অবাধ নিরপেক্ষ স্বচ্ছ নির্বাচন হবে, এটা আমাদেরও দাবি। অনেকেই তো প্রার্থী হতে পারে। শত ফুল ফুটতে দিন, যে ফুলটি সবচেয়ে সুন্দর, সেটি আমি বেছে নেব। ব্রিকসে যোগ দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাচ্ছি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনো একটার ওপর যেন নির্ভরশীলতা না হয়। অন্যান্য দেশের সঙ্গেও যেন আমাদের অর্থ বিনিময়ের সুযোগ থাকে। আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো যেন আমরা সহজে ক্রয় করতে পারি, আমার দেশের মানুষের কষ্ট লাঘব করতে পারি। সেসব বিষয় বিবেচনায় করেই ব্রিকসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আন্তর্জাতিক কোনো মুদ্রা চালু করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুচকি হেসে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আদার ব্যাপারি জাহাজের খবর নিতে বলছেন। এখানে আমরা দেখব যে বিকল্প কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা অর্থ ব্যবহারের ব্যবস্থা কেউ যদি নেয়, আমরা তার সঙ্গে আছি। এরই মধ্যে আমরা কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলোচনা করছি, আমরা যেন আমাদের নিজস্ব অর্থের বিনিময়ে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারি, সেই পদক্ষেপ আমরা এরই মধ্যে নিয়েছি। নিত্যপণ্যের বাজারে সিন্ডিকেটের কারণে অস্থিরতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ সরবরাহ থাকার পরে যখন দাম বাড়ে—কিছু লোক তো মজুতদারি করে। যারা এভাবে মজুতদারি করে কালোবাজারি করার চেষ্টা করে, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আপনারাও (গণমাধ্যম) খুঁজে বের করে দেন। কোথায় কে মজুত করল। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। ঈদুল আজহা উপলক্ষে এক কোটি মানুষকে বিনা পয়সায় খাবার দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে সময় ব্যবসায়ীদের জন্য সব ধরনের প্রণোদনা দিয়েছি। গ্রামের মানুষ যাতে কষ্ট না পায়, সেটা দেখেছি। এখন ঈদ উপলক্ষে এক কোটি মানুষকে বিনা পয়সায় খাবার দেব, এটা আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
২২ জুন, ২০২৩

সংসদে বিল / ঋণ মিলবে গাছ মাছ বন্ধক রেখে
স্থাবর সম্পত্তির পাশাপাশি এবার অস্থাবর সম্পত্তির বিপরীতেও ঋণ নেওয়ার সুযোগ তৈরি করছে সরকার। অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রেখে ব্যাংকসহ যে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়া যাবে। এজন্য ‘সুরক্ষিত লেনদেন (অস্থাবর সম্পত্তি) বিল-২০২২’ জাতীয় সংসদে তোলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি সংসদে তোলেন। বর্তমানে শুধু স্থাবর সম্পত্তি জামানত রেখে ঋণ নেওয়া যায়। বিলটিতে আপত্তি জানিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, স্থাবর সম্পত্তি জামানত রেখে ঋণ নেওয়া হয়, এখানে ব্যাংকগুলো লুটপাটের আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিলটি ভালো। ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাদের জন্য এই আইন প্রয়োজন। কিন্তু এটি বিপর্যয় ডেকে আনবে। কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, সেটা প্রশ্ন। তিনি বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, উচ্চ আদালত বলেছেন বেসিক ব্যাংকের মামলা নিয়ে নাটক হচ্ছে। তবে তার আপত্তি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে বিলটি পরীক্ষা করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। জামানতযোগ্য অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে আছে—রপ্তানির উদ্দেশ্যে অথবা রপ্তানি আদেশ অনুযায়ী পণ্য প্রস্তুতের কাঁচামাল, যা প্রয়োজনীয় দলিল দ্বারা সমর্থিত ও সুরক্ষিত, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গচ্ছিত স্থায়ী আমানতের সনদ, স্বর্ণ, রৌপ্য এবং অন্যান্য মূল্যবান ধাতু যার ওজন ও বিশুদ্ধতার মান স্বীকৃত কর্তৃপক্ষ দ্বারা সার্টিফাইড, নিবন্ধিত কোম্পানির শেয়ার সার্টিফিকেট, মেধাস্বত্ব অধিকার দ্বারা স্বীকৃত মেধাস্বত্ব পণ্য, কোনো সেবার প্রতিশ্রুতি, যার বিপরীতে সেবা গ্রহীতার মূল্য পরিশোধের স্বীকৃত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, মৎস্য, গবাদি পশু, দণ্ডায়মান বৃক্ষ ও শস্যাদি, ফলদ উদ্ভিদ ও ঔষধি উদ্ভিদ। আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক পণ্য, সফটওয়্যার ও অ্যাপস, যার মূল্য প্রাক্কলন করা সম্ভব, যথাযথ কর্তৃপক্ষের রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত যান্ত্রিক বা অযান্ত্রিক যানবাহন, যথাযথভাবে সংরক্ষিত কৃষিজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত মৎস্য বা জলজ প্রাণী, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তপশিলে বর্ণিত রক্ষিত বন্যপ্রাণী ও উভচর ব্যতীত কোনো আয়বর্ধক জীবজন্তু (অজাত শাবকসহ), সুরক্ষা স্বার্থ সৃষ্টিকারী যে কোনো ধরনের চুক্তি, বন্ধক, শর্তসাপেক্ষে বিক্রয়, ডিবেঞ্চার, যে কোনো চার্জ বা কিস্তিতে ক্রয় চুক্তি। এই আইনের অধীন সৃষ্ট সুরক্ষা স্বার্থের, সম্পূর্ণকরণ এবং কার্যকর সংক্রান্ত বিধানাবলি ব্যতীত অন্য কোনো আইনে অনুমোদিত বা উহার অধীন কোনো পূর্বস্বত্ব, চার্জ বা অন্যান্য স্বার্থ। কোনো হিসাবের হস্তান্তর বা স্বত্ব অর্পণ যদি এইরূপ হস্তান্তর বা স্বত্ব অর্পণ কোনো দায় এর কার্যসম্পাদন বা পরিশোধ নিশ্চিত না করিয়া থাকে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত ১ (এক) বৎসরের অধিক মেয়াদি কোনো ইজারা, সড়ক পরিবহন আইনের অধীন রেজিস্ট্রিকৃত কোনো মোটরযান এবং জামিনদারের দখলে থাকা কোনো পণ্যের ওপর সৃষ্ট সুরক্ষা স্বার্থ, কোনো বার্ষিক ভাতা বা বীমা পলিসির অধীন সৃষ্ট কোনো স্বার্থ বা দাবি এবং জামানতের কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা লোকসান হইতে উদ্ভূত ক্ষতিপূরণ বা ক্ষতিপূরণের নিশ্চয়তা হিসাবে কোনো বীমা পলিসির অধীন প্রাপ্য অর্থ বা অন্য কোনো আর্থিক অধিকার। বিলে বলা হয়েছে, অর্থ ঋণ আদালতে সংজ্ঞায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা আইন অনুযায়ী বীমাকারী, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি আইনে সংজ্ঞায়িত ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান এবং মানি ল্যান্ডার্স অ্যাক্টে সংজ্ঞায়িত মানি ল্যান্ডার এবং বিদ্যমান অন্য কোনো আইনে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অস্থাবর সম্পত্তি জামানত রেখে লেনদেন করতে পারবে। বিলে বলা হয়েছে, সুরক্ষা স্বার্থ সৃষ্টির ক্ষেত্রে জামানত হিসাবে ব্যবহারযোগ্য অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য প্রবিধান দিয়ে নির্ধারিত হবে। আইন কার্যকর হলে সরকার একটি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করবে। এই কর্তৃপক্ষ জামানতযোগ্য অস্থাবর সম্পত্তি অর্থায়ন বিবরণী নিবন্ধন, জামানত হিসাবে অস্থাবর সম্পত্তির ইলেকট্রনিক নিবন্ধন সংক্রান্ত ইলেকট্রনিক তথ্যভান্ডার পরিচালনা করবে।
২১ জুন, ২০২৩
X