চাঁদপুরে ৫ ভুয়া ডিবি পুলিশ আটক
চাঁদপুর সদরের রামপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড থেকে পাঁচজন ভুয়া ডিবিকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ১০টার দিকে মধুরোধ রেলস্টেশনের পাশে সিএনজিযোগে এসে লোকজনের পথ অবরুদ্ধ করে তল্লাশি করার সময় তাদের আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর মডেল থানার এএসআই জসীম উদ্দিন। রামপুরের মধুরোড রেলস্টেশন এলাকার দোকানি অলী আহমদ বেপারী জানান, রেলস্টেশনের ক্যানটিনের পাশে পাকা রাস্তার ওপর চাঁদপুর-থ-১১৪২২৫ নাম্বার প্লেটের সিএনজি নিয়ে ওত পেতে ছিল ৫ যুবক। তাদের সকলেই ডিবির পোশাক পরেছিল। তারা নানা স্থানে লোকজনকে আটক করে এখানে এসে অবস্থান নেয়। তাদের আচার আচরণে সন্দেহ দেখে সবাই অবরুদ্ধ করে পুলিশকে খবর দেয়। থানা পুলিশ সূত্র জানায়, আটককৃতরা হচ্ছেন ফরিদগঞ্জের পশ্চিম গোবিন্দিয়ার ইলিয়াস কাজীর ছেলে নাজির হোসেন (৩৬), শাহরাস্তির উয়ারুকের ফকির বাড়ির তাজুল ইসলামের ছেলে মহিবুল ইসলাম (৩০), মতলব দক্ষিণের গোবিন্দিয়া পিংড়ার মিলন খানের দিদার খান (৪২), মতলব দক্ষিণের ভাংগারপার এলাকার সোহরাব উদ্দিনের ছেলে শরিফুল্লা প্রদানিয়া (৪০) এবং চাঁদপুর সদরের মান্দারি এলাকার মৃত ওসমান গনির ছেলে খোকন সর্দার (৪০)। স্থানীয়রা জানান, এই ৫ জন এর আগেও সিএনজিযোগে এসে লোকজনকে ডিবির নাম ব্যবহার করে বোকা বানিয়ে তল্লাশির নামে হয়রানি করে প্রতারণার মাধ্যমে চাঁদাবাজি করেছে। আজকেও কয়েক জায়গায় এরা লোকজনকে হয়রানি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর মধুরোড রেলস্টেশন এলাকায় এসে তরুণ যুবকদের তল্লাশিকালে অনেকের সন্দেহ হয় এবং তাদেরকে অবরুদ্ধ করা হয়। এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার এএসআই জসীম উদ্দিন বলেন, স্থানীয়রা খবর দিলে আমরা ডিবির এপ্রোন পরা অবস্থায় তাদের পাই। পরে প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে ওরা যে ভুয়া ডিবি সেজে মানুষ হয়রানি এবং প্রতারণা করছিলে তার সত্যতা পাই। পরে ওদেরসহ সিএনজিটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসি। এদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন সঙ্গে আলাপ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
১৪ ঘণ্টা আগে

ভুয়া সনদের ছড়াছড়ি বাউবির এলএলবি কোর্সে
করোনা মহামারি ও সেশনজটের কারণে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাউবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক আইন বিভাগের (এলএলবি) শিক্ষার্থীরা এখন অষ্টম বা শেষ সেমিস্টারের ক্লাস করছেন। এর আগে তারা সপ্তম সেমিস্টারের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও ফল ঘোষণা হয়নি। এখন পর্যন্ত তাদের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ফল বেরিয়েছে। অর্থাৎ এই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এখনো তাদের স্নাতক শেষ করতে পারেনি। অথচ বাউবির ওই সেশনের এলএলবি সনদ নিয়ে ঘুরছেন কেউ কেউ। একটি চক্রের মাধ্যমে ভুয়া সনদ বানিয়ে গ্র্যাজুয়েট বনে যাচ্ছেন অনেকেই। অবাক হওয়ার বিষয় হলো, এসব ভুয়া সনদ আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেই আপলোড করা হয়েছে। ফলে ‘শর্ষের ভেতরই যে ভূত’ লুকিয়ে আছে, তা নিশ্চিত বলা যায়। প্রশাসনের মধ্যেই কারা এই ভুয়া সনদ বাণিজ্যে জড়িত, তা চিহ্নিত করতে তদন্ত করছে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলবিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় দুইভাবে। একটি নিয়মিত, অন্যটি অনিয়মিত। বেশি বয়সী চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ীরা অনিয়মিত হিসেবে ভর্তি হতে পারেন। এর মধ্যে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্লাস হয় রবি থেকে বুধবার এবং অনিয়মিত যে কোনো বয়সের শিক্ষার্থীদের ক্লাস হয় শুক্র ও শনিবার। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এখন দুই ব্যাচে ৬০ জন করে ১২০ শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হয়। এসব শিক্ষার্থীর ক্লাসের রোল নম্বরও ১ থেকে ৬০-এর মধ্যে হয়। জানা গেছে, এলএলবি প্রথম ব্যাচে শুধু শুক্র ও শনিবার ক্লাস হতো। সেই ব্যাচে ৫৯ শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও বাউবির ওয়েবসাইটের তালিকা অনুযায়ী ৬১ নম্বরধারী একজনের সনদ পাওয়া গেছে। মাহবুব রহমান নামে ওই শিক্ষার্থীকে চেনে না তারই সহপাঠীরা। আবার অনিয়মিত ষষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের এখনো অষ্টম সেমিস্টারের পরীক্ষা না হলেও ৬৯ রোলধারী নুর নবীর পরীক্ষার ফল দেখানো হচ্ছে জিপিএ-৩.২০ (৪-এর মধ্যে)। পাসের সাল ২০২৩। আবার ৭০ রোলধারী আসিফ উল্লাহ রাহাতের পরীক্ষার পাসের সাল ২০২২ এবং ফল দেখানো হচ্ছে ৩.২২ (৪-এর মধ্যে)। অথচ ৬১ থেকে ৬৭ রোলধারীদের নামের পাশে কোনো ফল দেখানো হচ্ছে না। আবার দ্বিতীয় ব্যাচ থেকে শুক্র ও শনিবারের সঙ্গে রবি থেকে বুধবার পর্যন্ত (নিয়মিত শিক্ষার্থীদের) ক্লাস শুরু হয়। তবে অনিয়মিত নবম ব্যাচে ৬১ রোলধারী একজনকে পাওয়া গেছে। আবার দ্বিতীয় থেকে দশম পর্যন্ত রবি ও বুধবারের ব্যাচে ১ থেকে ৬০ পর্যন্ত রোল ঠিক থাকলেও ষষ্ঠ ব্যাচে ৬১ ও ৬২ রোলধারী দুজনকে পাওয়া গেছে। তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ৬১ বা এরপর কোনো রোল থাকার কথা নয়। কিন্তু যাদের এই তালিকার পরে রোল পাওয়া যাচ্ছে, তাদের ভর্তিতে কারসাজি হয়েছে। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন। ষষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা কালবেলাকে বলেন, ‘আমাদের তো অষ্টম সেমিস্টারের পরীক্ষাই হয়নি। তাহলে সনদ আসবে কীভাবে? তা ছাড়া সনদে যে ফল দেখানো হয়েছে সেটিও সম্ভব নয়।’ তারা বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতা ছাড়া এটি করা সম্ভব নয়। তাদের হাত না থাকলে জাল সনদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়ার কথা নয়। আমরা শুনছি, কর্মকর্তাদের যোগসাজশে আগের ব্যাচগুলোতেও অনেকে জাল সনদ নিয়েছে।’ জানা গেছে, জাল সনদ বাণিজ্যের জন্য দালাল চক্র সামাজিক যোগাযোগকে কাজে লাগায়। ফেসবুকের ইনবক্সে মেসেজ দিলে বিস্তারিত জেনে সনদের জন্য টাকা দিতে বলা হয়। টাকার অঙ্ক ৫০ হাজার থেকে লাখের কাছাকাছি। টাকা দিলে এক বা দুই দিনের মধ্যেই সনদ দেওয়া হয়। কালবেলার অনুসন্ধানে এ ধরনের বেশ কয়েকটি ফেসবুক গ্রুপের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই দালালদের টাকা দেওয়া হলে তারা যেই সনদ দেন সেটি আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেই লগইন করে দেখা যায়। জানা গেছে, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভারে ফল আপলোডের মূল দায়িত্ব সহকারী সিনিয়র প্রোগ্রামার খালিদ সাইফুল্লাহর। তিনিসহ ওই বিভাগে কাজ করেন মোট ৫ জন। তাদের কাছেই মূলত পাসওয়ার্ড থাকে। এরই মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হলে গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে খালিদ সাইফুল্লাহসহ পাঁচজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের কেউ এই জালিয়াতি করেছে, নাকি তাদের আইডি ব্যবহার করে অন্য কেউ করেছে, সেটিই তদন্ত করছে কমিটি। এ বিষয়ে জানতে সহকারী সিনিয়র প্রোগ্রামার খালিদ সাইফুল্লাহ ও প্রোগ্রামার সঞ্জিব কুমার সাহাকে টেলিফোন করা হয়। খালিদ সাইফুল্লাহ ফোন ধরেননি আর সঞ্জিব সাহা কল কেটে দিয়েছেন। জানতে চাইলে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সদরুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘এখনো যেহেতু পরীক্ষাই (এলএলবি) হয়নি, এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। সবকিছু তদন্ত কমিটির হাতে। তাদের রিপোর্ট না পেলে কিছু বলা যাবে না।’ বিশ্ববিদ্যালয়টির সামাজিক বিজ্ঞান, মানবিক ও ভাষা স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম কালবেলাকে বলেন, ‘এমন ঘটনা আমাদেরও অবাক করেছে। পরীক্ষাই যেখানে শেষ হয়নি, সেখানে তারা ফল কীভাবে পেয়ে গেল? এর পেছনে দুষ্টচক্র তো রয়েছেই। আমরাও চাই সেই চক্রের তথ্য সামনে আসুক।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাউকে ছাড় দেবে না। এরই মধ্যে তদন্তের স্বার্থে ওই বিভাগের পাঁচজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিও কাজ করছে। সময় নিয়ে হলেও তাদের মাধ্যমে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে, এটাই কামনা।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. নাসিম বানু কালবেলাকে বলেন, ‘তদন্ত চলছে। এগুলো উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) দেখছেন। তিনিই বিষয়টি নিয়ে ভালো বলতে পারবেন। তবে আমার কথা হলো, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটা উচিত নয়। এটি প্রতিষ্ঠানের সম্মানহানি করে।’ সার্বিক বিষয়ে বাউবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিন কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি আগে থেকে জানতাম না। বিশেষ করে আমি দায়িত্বে আসার পর কখনো এমন কোনো অভিযোগ পাইনি।’ তিনি বলেন, ‘যাদের কাছে সার্ভারের পাসওয়ার্ড রয়েছে, তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। এরই মধ্যে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তাদের কাজ শুরু করেছে। তাদের রিপোর্টে পেলে প্রয়োজনে যারা আগে এভাবে সনদ নিয়েছে, তাদেরটাও বাতিল করা হবে।’
১৭ ঘণ্টা আগে

১৪ বছর ভুয়া সনদে চাকরি করেন আব্দুল মালেক
যশোরের মনিরামপুরে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি ওই সনদ নিয়ে নিয়োগ নেওয়ার পর ১৪ বছর সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন। উপজেলার খেদাপাড়া গাংগুলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (কৃষি) হিসেবে চাকরিরত ছিলেন তিনি। এ নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন জুলফিক্কার আলী নামে এক ব্যক্তি। পরে আব্দুল মালেকের জাল সনদের বিষয়টি তদন্ত বেরিয়ে আসে। তিনি মাদ্রাসা থেকে পদত্যাগ করে অন্য একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন। এ নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর আব্দুল মালেক উপজেলার খেদাপাড়া গাংগুলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (কৃষি) হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৯ সালে পাশ দেখানো শিক্ষক নিবন্ধন সনদে রোল নম্বর ৩১৯১২৫৭১। যোগদানের পর থেকে দাখিলকৃত নিবন্ধন সনদটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এ নিয়ে খেদাপাড়া গ্রামের মৃত মকছেদ আলী সরদারের ছেলে জুলফিক্কার আলী আদালতে একটি মামলা করেন। মনিরামপুর থানাকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তৎকালীন থানার এএসআই সৈয়দ আজাদ আলী ২০২০ সালে ৫ জুলাই আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। দাখিলকৃত প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়, সহকারী শিক্ষক আব্দুল মালেক এনটিআরসির যে সনদটি নিজের দাবি করছেন সেটি তার নয়। ৩১৯১২৫৭১ এ রোল নম্বরের সনদের প্রকৃত মালিক বগুড়ার সাইদুর রহমানের ছেলে আইয়ুব আলী। অথচ আব্দুল মালেক ওই রোল নম্বর ব্যবহার করে ভুয়া শিক্ষক নিবন্ধন সনদ তৈরি করে চাকরি করে আসছেন। তিনি গত ঈদুল ফিতরের আগ পর্যন্ত খেদাপাড়া গাগুলিয়া ফাজিল মাদ্রাসা হতে সরকারি বেতন বোনাস উত্তোলন করেছেন।  চলতি মাসের ১ তারিখ তিনি ওই মাদ্রাসা থেকে পদত্যাগ করেছেন। অবশ্য, শিক্ষক নিবন্ধনটি সঠিক বলে মোবাইল ফোনে দাবি করেছেন অভিযুক্ত আব্দুল মালেক। খেদাপাড়া গাগুলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছায়াদাত হোসেন বলেন, আব্দুল মালেক চলতি মাসের ১ তারিখে পদত্যাগ করে অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ বলেন, সনদ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা শুনেছি। তবে, কখনো যাচাই করে দেখিনি। খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আব্দুল মালেককে বোয়ালিয়াঘাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান দেখানো হয়েছে। এ নিয়েও একটি পক্ষ অভিযোগ তুলছেন।  বোয়ালিয়াঘাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মতিয়ার রহমান বলেন, আব্দুল মালেক নামের একজনকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে চলতি মাসের ৫ তারিখে প্রতিষ্ঠানে আসা যাওয়া করছেন। মাঝেমধ্যে তিনি ক্লাসও নিচ্ছেন। বোয়ালিয়াঘাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুদ্দুস আলমের কাছে যোগদানের বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়েটি এড়িয়ে যান এবং সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন। মনিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, আব্দুল মালেকের নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি। এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, কীভাবে স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন সেটা প্রধান শিক্ষকই ভালো বলতে পারবেন।
১৪ মে, ২০২৪

ভুয়া নিয়োগে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ টাকা
একটি গোয়েন্দা সংস্থার পরিচয়ে ভুয়া নিয়োগ দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক চক্রের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় প্রশিক্ষণ মডিউল বই, কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। গতকাল সোমবার মহানগর পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) উপকমিশনার নাজির আহমেদ খান। গ্রেপ্তাররা হলেন লিয়ন ইসলাম, হুমায়ন কবির প্রিন্স, মোজাহিদুল ইসলাম পায়েল, রাজিয়া সুলতানা, রিপা আক্তার ও রিখা মনি। পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গত রোববার এনএসআইর তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ এবং এনএসআই যৌথ অভিযান চালিয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকার ভাদাম পশ্চিমপাড়ার একটি ভবনের ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা স্বীকার করে, তারা গোয়েন্দা সংস্থার পরিচয়ে জালজালিয়াতির মাধ্যমে, ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারা গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য হিসেবে ‘নিয়োগ’ দিতে প্রশিক্ষণ দেয় এবং নিয়োগপত্র ও ভুয়া আইডি কার্ড দিয়ে বিভিন্ন জেলা-থানায় পোস্টিং এবং বদলি করে থাকে। নিজেদের তৈরি বিধি মোতাবেক পদোন্নতি ও শাস্তিও দেয়। প্রতারণার শিকার আফরোজ, আশিক, সিনথি ও কানিজ ফাতেমাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হলে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, প্রতারক চক্রের সদস্যরা তাদের চাকরি দেওয়ার জন্য ৫-৬ মাস ধরে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে এবং জনপ্রতি ১৫-১৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
১৪ মে, ২০২৪

এনএসআই পরিচয়ে ভুয়া নিয়োগ, হাতিয়ে নিয়েছে লাখ টাকা
জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচয়ে ভুয়া নিয়োগ দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক চক্রের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় প্রশিক্ষণ মডিউল বই, কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে মহানগর পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) উপকমিশনার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, লিয়ন ইসলাম (২৫),  হুমায়ন কবির প্রিন্স (৩৬),  মোজাহিদুল ইসলাম ওরফে পায়েল (২৩), রাজিয়া সুলতানা (২২), মোছা. রিপা আক্তার (২১) ও মোছা. রিখা মনি (১৭)। পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গেল রোববার জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) এর তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ এবং এনএসআই যৌথ অভিযানে টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকার ভাদাম পশ্চিমপাড়ার শহীদ মিয়ার ৫ তলা বিল্ডিংয়ের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেন, তারা জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরিচয়ে জালজালিয়াতির মাধ্যমে, ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারক চক্রের সদস্যরা ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে দেশের যুবক ছেলেমেয়েদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ঘটনাস্থলে এনে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদান করে এবং নিয়োগপত্র ও ভুয়া আইডি কার্ড প্রদান করে বিভিন্ন জেলা থানায় পোস্টিং, বদলি দিয়ে থাকে এবং তাদের নিজেদের তৈরি বিধি মোতাবেক পদোন্নতি ও শাস্তি দেয়। প্রতারণার শিকার আফরোজ, আশিক, সিনথি এবং কানিজ ফাতেমাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হলে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, প্রতারক চক্রের সদস্যরা ভিকটিমদের এনএসআইতে চাকরি দেওয়ার জন্য ৫-৬ মাস ধরে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে এবং বিভিন্ন জেলায় পোস্টিং দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১৫-১৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। চক্রটি চাকরিপ্রার্থী এক গ্রুপকে ভুয়া পোস্টিং অর্ডার দিয়ে সব টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর  তাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র/ঠিকানা পরিবর্তন করে আসছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
১৩ মে, ২০২৪

ভুয়া নিয়োগপত্রে এমপিওভুক্তির চেষ্টা শিক্ষকের
চট্টগ্রামের আছিয়া মোতালেব রিজিয়া নাছরিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সোহেল মাহমুদের বিরুদ্ধে ভুয়া নিয়োগপত্র দেখিয়ে এমপিওভুক্তির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। কর্ণফুলী এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীন। শিক্ষা বোর্ড থেকে বারবার সতর্ক করা হলেও নির্দেশনায় পাত্তা না দিয়ে অভিযুক্ত এমপিওভুক্তির জন্য তদবির করে যাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা বোর্ড এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সোহেল মাহমুদ নিজকে প্রধান শিক্ষক দাবি করে দীর্ঘদিন কাগজপত্রে স্বাক্ষর করে আসছেন। বিষয়টি শিক্ষা বোর্ডের নজরে এলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়। এরপরও নিজেকে প্রধান শিক্ষক পরিচয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাকে শিক্ষা বোর্ড থেকে শোকজও করা হয়। সোহেল মাহমুদ ২০১৩ সালে ওই স্কুলে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। তবে তিনি এমপিওভুক্ত নন। ২০১৯ সালে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক অন্যত্র বদলি হলে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পান। ২০২২ সালে স্কুলটি এমপিওভুক্ত হলে ভুয়া নিয়োগ পরীক্ষা দেখিয়ে জাল সনদ তৈরি করেন সোহেল মাহমুদ। ওই ভুয়া নিয়োগপত্র দেখিয়ে এমপিওভুক্তির চেষ্টা চালান তিনি। পরে ২০২৩ সালের মার্চে বিষয়টি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের নজরে এলে সোহেল মাহমুদকে সতর্ক করেন শিক্ষা বোর্ডের স্কুল পরিদর্শক। তবে একই বছর আগস্টে সেই জাল সনদ আবারও শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠিয়ে এমপিওভুক্তির চেষ্টা চালান তিনি। ওই স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক (অতিরিক্ত) জিয়া উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, আমি এই স্কুলে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের (অতিরিক্ত) দায়িত্ব পালন করেছি। আমি ও সোহেল মাহমুদ ২০১৩ সালেই একসঙ্গে নিয়োগ পাই। আমি প্রধান শিক্ষক হিসেবে এবং সোহেল সহকারী প্রধান শিক্ষক। তবে আমি বদলি হওয়ার পর জানতে পারি ২০১৫ সালের একটি ভুয়া নিয়োগ দেখিয়ে ২০২৩ সালে তিনি এমপিওভুক্তির আবেদন করেছেন। অভিযোগ অস্বীকার করে সোহেল মাহমুদ কালবেলাকে বলেন, ২০১৩ সালে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাই এবং ২০১৫ সাল থেকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। এখন কেউ যদি বলে যে তিনি (জিয়া উদ্দিন) ওই সময়ে প্রধান শিক্ষক ছিলেন, এটি তিনিই ভালো ব্যাখ্যা করতে পারবেন। আমার কাছে নিয়োগপত্র আছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক (চট্টগ্রাম) উপপরিচালক এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। সোহেল মাহমুদ এমপিওভুক্তির আবেদন করেছিলেন। তবে এ বিষয়ে একটি পক্ষের অভিযোগ থাকায় সেটি আমরা ফেরত পাঠিয়েছি। আমি দায়িত্ব নিয়েছি আট মাসের মতো। এর মধ্যে তিনবার এ আবেদন এসেছে। তবে আমরা বারবার বলেছি স্কুল কমিটি যদি বিষয়টি নিষ্পত্তি করে না দেয় তাহলে ওই ফাইলটি ফরওয়ার্ড করা সম্ভব নয়।
১২ মে, ২০২৪

পাসপোর্ট অফিস থেকে তথ্য পায় ভুয়া এসবি
পাসপোর্ট তৈরির জন্য যে কোনো নাগরিকই পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের কাছে অকপটে সব তথ্য দেন। দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগটিতে নাগরিকের যে কোনো তথ্যই থাকবে সুরক্ষিত, এমনটাই সবার বিশ্বাস। কিন্তু এবার শর্ষের মধ্যেই ভূত পাওয়া গেল। কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার হয়ে চলে যাচ্ছে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের কাছে। ওই চক্রের সদস্যরা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) ভুয়া কর্মকর্তা সেজে পাসপোর্টের আবেদনকারীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন অর্থ। গত রোববার এ চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রাজধানীর আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস, উত্তরা পাসপোর্ট অফিস ও গাজীপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন, কাজী মো. বেলাল হোসেন, মো. জসিম উদ্দিন, মো. আল-আমিন গাজী, হাসান আহম্মেদ, মো. সোহাগ আলম, মো. হোসাইন মোল্লা, নুরুজ্জামান মিয়া, মামুনুর রহমান ও মো. রাসেল ইসলাম। পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন শাখা রাজধানীর সবুজবাগ থানায় মামলা করার পর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় পাসপোর্ট অফিসের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। গতকাল সোমবার রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি প্রধান) হারুন আর রশীদ। তিনি বলেন, চক্রের সঙ্গে পাসপোর্ট অফিসের আনসার সদস্য এবং কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত বলে জানিয়েছে প্রতারকরা। গ্রেপ্তাররা পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী, পিয়ন, আনসার সদস্য ও কর্মকর্তাদের মাধ্যমে আবেদনকারীদের গোপন তথ্য সংগ্রহ করত। এরপর ডেলিভারি ও আবেদন ফরমে দেওয়া মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে আবেদনকারীদের ফোন করত। প্রথমে তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (এনআইডি ও বিদ্যুৎ বিলের কপি) হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাতে বলত। এরপর ভেরিফিকেশনের কথা বলে মোটা অংকের টাকা দাবি করত। ডিবিপ্রধান আরও জানান, চক্রটি পুলিশের ছবি ও নাম ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে ট্রু কলারে সেই নামে নম্বর সেভ করত। এরপর ভুয়া নামে রেজিস্ট্রেশন করা সিম সংগ্রহ করে প্রতারণার কাজে ব্যবহার করে। অন্যের নামে বিকাশ/নগদ মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টযুক্ত সিম সংগ্রহ করে অর্থ লেনদেন করত। হারুন বলেন, এ বিষয়ে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন শাখা সবুজবাগ থানায় একটি মামলা করে। পরে ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ অভিযান চালিয়ে ৯ প্রতারককে গ্রেপ্তার করে। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার বেলাল হোসেনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩টি মামলা রয়েছে। মো. জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে। অন্যদের বিরুদ্ধেও মামলা আছে কি না সে বিষয়ে খোঁজ চলছে। হারুন আর রশীদ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, পাসপোর্ট অফিসের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় তারা এ চক্র গড়ে তুলেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। চক্রের সঙ্গে যাদেরই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
০৭ মে, ২০২৪

৩৩৫ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার পর জানা গেল তিনি ডাক্তারই নন
নেত্রকোনার মদনে এক ভুয়া ডাক্তারকে আটক করেছে জনতা। বেশ কয়েক দিন ধরে মদন পৌর শহরের স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেডিসিন, মা ও শিশু, যৌন ও চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন তিনি। ডা. সাধন কুমার মন্ডল পরিচয়ধারী এ ব্যক্তির প্রকৃত নাম শংকর দাস (২৮)। তিনি টাঙ্গাইলের ধনবাড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা সুমেশ দাসের ছেলে। বিএমডিসি রেজি. নম্বর ব্যবহার করে ৫০০ টাকা ভিজিট নিতেন তিনি। দুই মাস ধরে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৩৫ রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন তিনি। মূলত তিনি একজন প্রতারক ও ভুয়া চিকিৎসক এমন একটি সংবাদ স্থানীয় লোকজনের কানে আসে। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্থানীয়রা তার খোঁজ করলে, তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন।  এ সময় এলাকার লোকজন তাকে উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে নিয়ে গেলে মো. শাহ আলম মিয়া ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. তায়েব হোসেন তার সঠিক পরিচয় নিশ্চিত করে জানান, সে একজন ভুয়া চিকিৎসক। চট্টগ্রামের একজন ডাক্তারের নাম ও রেজি. নম্বর ব‍্যবহার করে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন তিনি। তার আসল নাম শংকর দাস। তার পিতার নাম সুমেশ দাস। তার কাছে ভিন্ন নামের তিনটি আইডি কার্ড পাওয়া গেছে। আমরা তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছি। পরে শংকর দাস সাংবাদিকদের জানান, আমি কোনো ডাক্তার না। আমি অর্থ উপার্জনের উদ্দেশে এমন প্রতারণা করেছি। আমি দেড় মাস যাবৎ স্বদেশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকগণের সহযোগিতায় ডাক্তার সেজে রোগী দেখছি।  স্বদেশ ডায়াগানস্টিক সেন্টারের মালিক পক্ষের খাইয়ুম জানান, সে আমাদের সঙ্গেও প্রতারণা করেছে। ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া কি সঠিক হয়েছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি নীরবতা অবলম্বন করেন। মদন থানার ওসি উজ্জল কান্তি সরকার কালবেলাকে জানান, শংকর দাস নামে একজন ভুয়া ডাক্তারকে আটক করে ইউএনও সাহেব সন্ধ্যায় মদন থানায় সোপর্দ করেছেন। আমি প্রকৃত ডাক্তার সাধন কুমার মন্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তিনি চট্টগ্রাম হতে রওনা দিয়েছেন। তিনি আসার পর আটককৃত ভুয়া ডাক্তার শংকর দাসের বিরুদ্ধে আইনগত ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৫ মে, ২০২৪

ফ্ল্যাটের ভুয়া দলিলে ব্যাংক থেকে শতকোটি টাকা ঋণ
ফ্ল্যাটের ভুয়া দলিল দিয়ে ব্যাংক থেকে শতকোটি টাকা ঋণ নেওয়া জয়নাল চক্রের মূলহোতা জয়নাল আবেদীনসহ ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। চক্রটি প্রথমে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও টিআইএন নম্বর তৈরি করত। পরে এসব দিয়ে রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বানাত ফ্ল্যাটের ভুয়া দলিল। সেই দলিল বিভিন্ন ব্যাংকে মর্টগেজ দিয়ে বড় অঙ্কের ঋণ নিত এই চক্র। এর আগে গত বছরের ৭ মে কালবেলায় ‘আবাসনে জয়নালের জালিয়াতির জাল’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেই প্রতিবেদনের পর চক্রটির জালিয়াতির বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত করছিল সিআইডি। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, জয়নাল চক্র রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় ফ্ল্যাটের ফাঁদ পেতে জাল দলিলের মাধ্যমে পথে বসিয়েছে বহু ফ্ল্যাট মালিককে। সেইসঙ্গে ফ্ল্যাট বিক্রির অগ্রিম টাকা এবং ব্যাংক ঋণের বোঝা চাপিয়ে নিঃস্ব করেছে ক্রেতাদের। ফ্ল্যাটের ভুয়া মালিকানার কাগজে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাতিয়েছে কোটি কোটি টাকা। জয়নাল কয়েক বছর আগেও রাজধানীর মিরপুরে কো-অপারেটিভ মার্কেটের একটি দোকানের কর্মচারী ছিলেন। সেখান থেকে প্রতারক চক্র গড়ে তুলে হয়েছেন শতকোটি টাকার মালিক। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ এই ফ্ল্যাট জালিয়াতি চক্রের সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। গ্রেপ্তার বাকিরা হলেন ইদ্রিসের প্রধান সহযোগী রাকিব হোসেন (৩৩), চক্রের সদস্য জয়নালের ভায়রা কে এম মোস্তাফিজুর রহমান (৫৪), জাল কাগজপত্র ও এনআইডি প্রস্তুতকারক লিটন মাহমুদ (৪০), ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল প্রস্তুতকারক হাবিবুর রহমান মিঠু (৩০), এনআরবিসি ব্যাংক কর্মকর্তা হিরু মোল্যা (৪৪), আব্দুস সাত্তার (৫৪) ও সৈয়দ তারেক আলী (৫৪)। এর আগে চক্রের মাস্টারমাইন্ড জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিসসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিলমোহর, একই ব্যক্তির একাধিক এনআইডি ও টিআইএন নম্বর, মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডসহ ৩ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের এই সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। তিনি বলেন, সংঘবদ্ধ এই চক্র এনআইডি নিবন্ধন পরিদপ্তরের কিছু অসাধু সদস্যের সহযোগিতায় চক্রের সদস্যদের নামে একাধিক এনআইডি ও টিআইএন তৈরি করে আসছিল। পরে সেগুলো ব্যবহার করে ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের অসাধু লোকদের মাধ্যমে চক্রের সদস্যদের নামে ফ্ল্যাট/জমির একাধিক মূল দলিল তৈরি করত। এরপর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এসব জাল দলিল বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মর্টগেজ রেখে একটি ফ্ল্যাটের বিপরীতে একাধিক ঋণ নিত। এভাবে প্রায় শতকোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে তারা। তিনি বলেন, চক্রের মূলহোতা জয়নাল আবেদীন ইদ্রিস। চক্রের সদস্যরা ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের ক্রেতা হিসেবে হাজির হন। ফ্ল্যাট কেনার জন্য শুরুতে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে বায়না করেন। এরপর মালিকানার তথ্য যাচাইয়ের কথা বলে মালিকের কাছ থেকে দলিল এবং অন্যান্য কাগজপত্রের কপি সংগ্রহ করেন। সেই কাগজপত্রের তথ্য নিয়ে ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের অসাধু লোকদের মাধ্যমে তৈরি করেন জাল দলিল। তাতে কখনো জয়নাল নিজে মালিক হন, আবার কখনো চক্রের অন্য সদস্যদের বানান। এরপর সেই জাল দলিল দিয়ে পাতেন ফ্ল্যাট বিক্রির ফাঁদ। ফ্ল্যাট পছন্দ হলে ক্রেতার কাছ থেকে বায়না বাবদ অগ্রিম টাকাও নেন জয়নাল। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন ৫০ কোটি টাকা। মোহাম্মদ আলী মিয়া আরও বলেন, অনুসন্ধানে ফ্ল্যাট জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে জয়নালের মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান রুমানা জুয়েলার্স, নীড় এস্টেট প্রোপার্টিস লিমিটেড, স্নেহা এন্টারপ্রাইজ, ই আর ইন্টারন্যাশনালসহ চক্রের ২৫ জন সদস্যের বিরুদ্ধে ডিএমপির উত্তরা-পূর্ব থানায় মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করে সিআইডি। সিআইডি প্রধান বলেন, জয়নাল মিরপুরে কো-অপারেটিভ মার্কেটের একটি স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী ছিলেন। পরে জয়নাল ও শহিদুল ইসলাম সবুজ মিলে ফ্ল্যাট জালিয়াতি শুরু করেন। তার অন্যতম প্রধান সহযোগী দুই স্ত্রী রোমানা সিদ্দিক ও রাবেয়া আক্তার মুক্তা। প্রতারণার জন্য নিজ নামে ছয়টি এনআইডি ব্যবহার করেন। এসব এনআইডি দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে ৫০টির অধিক হিসাব খোলেন। অবৈধ অর্থে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সাততলা বাড়ি, তিনটি ফ্ল্যাট, মিরপুর ও আশকোনায় তিনটি ফ্ল্যাট কিনেছেন জয়নাল।
০৫ মে, ২০২৪

ভুয়া নিয়োগপত্রে কোটি টাকা হাতিয়ে নেন শিবলু, অতঃপর...
চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে ভুয়া পরীক্ষা ও নিয়োগপত্র দিয়ে বিপুল টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় এক প্রতারক চক্রের প্রধানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩ মে) বিকালে গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার ওই আসামির নাম শিবলু লোমান চৌধুরী। তিনি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের বাসিন্দা। এর আগে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ বুধবার (১ মে) রাতে ঢাকার উত্তরা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। ভুয়া নিয়োগপত্র ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় মিজানুর রহমান নামে এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে চক্রের প্রধান শিবলু লোমান চৌধুরীসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে লালমনিরহাট আদালতে একটি মামলা করেছিলে।  এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রতারক শিবলু লোমান চৌধুরী নিজেকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের ডিজির এপিএসের পরিচয় দিয়ে চাকরির দেওয়ার ফাঁদ পাতে। তিনি রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় একটি চক্র  তৈরি করে। গত ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে ঢাকা ফার্মগেটে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়িতে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে জনবল নিয়োগের একটি ভুয়া বিজ্ঞপ্তি তৈরি করে প্রতারণা চক্রের সদস্যদের মাধ্যমে তা খবর ছড়িয়ে দেয়।  পরে ওই পদে চাকরি দেওয়ার জন্য চক্রের সদস্য আলমগীর ও ভুয়া ডিবি কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী আব্দুর রহমানের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী চামটারপাড় এলাকার মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ১৯ লাখ, ভুরুঙ্গামারি উপজেলার আসাদুজ্জামানের কাছ থেকে ৫ লাখ, লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের ধনঞ্জয় গ্রামের ইউনুস আলীর কাছ থেকে ৫ লাখ, রংপুর মিঠাপুকুর এলাকার শোয়েব আলীর কাছ থেকে ৫ লাখ, একই এলাকার আতিকুর রহমানের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল টাকা হাতিয়ে নেয়।  টাকা নেওয়ার পর প্রতারক চক্রটি গত বছরের ২৭ নভেম্বর কৌশলে ঢাকা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একটি কক্ষে ভুয়া পরীক্ষা নেয়। পরবর্তীতে গত ১ জানুয়ারি চাকরি প্রত্যাশীদের হাতে একটি করে নিয়োগপত্র তুলে দেয়। নির্ধারিত তারিখে চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে তারা বুঝতে পারে এটি ভুয়া নিয়োগপত্র এবং নিয়োগ পরীক্ষা ছিল সাজানো। ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চাইলে প্রতারক চক্রের সদস্যরা ভুক্তভোগীদের নামে মামলা করে। সম্প্রতি চক্রের সদস্য আব্দুর রহমান চাকরিপ্রত্যাশী কুড়িগ্রামের মিজানুর রহমানের নামে অপহরণ মামলা করে। এ ছাড়া চাকরির নামে টাকা নিয়ে প্রতারণার ঘটনায় সংবাদ করায় প্রতারক চক্রটি রংপুরের স্থানীয় দৈনিক গণকন্ঠ, দৈনিক লাখোকণ্ঠ পত্রিকা ও স্থানীয় দৈনিক দাবানল পত্রিকার প্রতিবেদকদের নামেও মামলা করে। ভুক্তভোগী চাকরিপ্রত্যাশী মিজানুর রহমান বলেন, গোয়ালের গরু ও জমি বন্ধক রেখে টাকা দিয়েছি। এখন আবাদি কোনো জমি নেই। অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষ করে জীবন চালাচ্ছি। লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের ধনঞ্জয় আরেক ভুক্তভোগী ইউনুস আলী বলেন, নিয়োগ পরীক্ষা শেষে নিয়োগপত্র দেওয়ার পর বিশ্বাস করে টাকা দিয়েছি। অর্থের অভাবে এখন পরিবার নিয়ে খুব কষ্ট আছি। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে প্রতারক চক্রের সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, কুড়িগ্রামের মিজানুর রহমানের সঙ্গে আমার যে লেনদেন ছিল তা প্রায় শোধ করে দিয়েছি। বাকি টাকাও দ্রুত পরিশোধ করব। তবে পত্রিকার প্রতিবেদকদের নামে কেন মামলা করেছেন? এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি তিনি। লালমনিরহাট সদর থানার ওসি ওমর ফারুক কালবেলাকে বলেন, গ্রেপ্তার শিবলু চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে লালমনিরহাটে এনে শুক্রবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
০৩ মে, ২০২৪
X