ঈদে শুধু ঢাকাতেই ১৭২ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা
ঈদুল ফিতরের দিনে শুধু রাজধানী ও এর আশেপাশের এলাকায় অর্থাৎ ঢাকা বিভাগেই প্রায় ১৭২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত তিনজন মারা গেছেন।   বুধবার (১০ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তথ্য দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, ঈদের ছুটিতে বন্ধ থাকায় রাস্তাঘাট এমনিতেই ফাঁকা হয়ে যায়। এই সুযোগে মোটরসাইকেল চালকরা বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে তাদের স্বজনদের কাছ থেকে জানা গেছে। গতকাল রাত ১২টা থেকে আজ রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলেই ১৭২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহতদের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এরমধ্যে ৮২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আরো অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা আমাদের জানিয়েছেন। আমরা ঢাকা মেডিকেলের পক্ষ থেকে প্রতিটি দুর্ঘটনার খবর সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি। তারাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। তিনি আরো বলেন, গুলশান, ডেমরা ও নরসিংদীতে নারীসহ এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত হয়েছেন। তিনজনের মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। এদিকে রাজধানীর সদরঘাটে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পন্টুনে বেঁধে রাখা একটি লঞ্চের রশি ছিঁড়ে নিচে পড়ে পাঁচ যাত্রী নিহত হন এবং আহত হন আরও অন্তত ৫ জন। ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ১১ নম্বর পন্টুনের সামনে এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি পুবালী-১ নামে দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। লঞ্চ দুটির মাঝখান দিয়ে ফারহান-৬ নামের আরেকটি লঞ্চ প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এ সময় এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে গেলে পাঁচজন যাত্রী লঞ্চে ওঠার সময় গুরুতর আহত হন। এদের মধ্যে বাবা-মা ও সন্তান ছিল। পরে তাদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পাঁচজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
১২ এপ্রিল, ২০২৪

শীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা এড়াতে করণীয় 
শীতকালের ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই বাইকার হিসেবে আপনারও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, কারণ বাইকার হিসেবে আপনার কিছু অসাবধানতাও হতে পারে বড় দুর্ঘটনা। শীতকালে বাইক রাইডের ক্ষেত্রে আপনাকে বেশকিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পালসার বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে শীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলতে বেশ কিছু টিপস দেওয়া হয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক টিপসগুলো- * কুয়াশায় রাইডিংয়ের সময় বেশি সতর্ক থাকুন। কুয়াশার কারণে দেখতে সমস্যা হলে কোথাও দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। * শীতকালে রাইডে বের হওয়ার আগে আবহাওয়া চেক করুন। * শীতের সকালে এবং রাতে অনেক কুয়াশা থাকে ফলে রাস্তায় রাস্তায় চলাচল করা অন্যান্য যানবাহন যাতে সহজেই আপনাকে দেখতে পায় সেজন্য রিফ্লেক্টিভ জ্যাকেট ব্যবহার করুন। * রাস্তায় বের হবার আগে উভয় ব্রেক ঠিকমতো কাজ করছে কিনা দেখুন। * বাইক চালানোর সময় কুয়াশায় সঠিকভাবে ইন্ডিকেটর ব্যবহার করুন এবং মোটরসাইকেলের হেডলাইট অন রেখে বাইক রাইডিং করুন। রাতের বেলা ভালো মানের ফগ লাইট ব্যবহার করুন। * হুটহাট ব্রেক করা থেকে বিরত থাকুন। ব্রেক করার জন্য নিরাপদ দূরত্ব রেখে রাইড করুন। * বাইক রাইডিংয়ের সময় যাতে ঠান্ডা বাতাস সরাসরি বুক এবং গলায় না লাগে সেজন্য ভালো মানের জ্যাকেট পরুন। প্রয়োজন অনুযায়ী শীতের কাপড় সঙ্গে রাখুন। ঠান্ডা বাতাস এবং সর্দিতে আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা পেতে ফুল ফেইস হেলমেট ব্যবহার করুন। * রাস্তায় অন্যান্য যানবাহনের সঙ্গে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি দূরত্ব রাখুন। * শীতের সময়ে বাইক রাইডিংয়ের সময় অবশ্যই হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করা উচিত। এই ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকা জরুরি কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডা পরলে, বাইকের হ্যান্ডেল দীর্ঘ সময় ধরে রাখলে, হাতের আঙুল নড়াচড়া করতে সমস্যা হয়। তাই আঙুল গরম রাখতে ভালো মানের হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করুন। * রাইডের আগে লুকিং গ্লাসগুলো ঠিক অবস্থানে আছে কিনা চেক করুন।    * একজনের বেশি পিলিওন নেবেন না। পিলিওনকেও হেলমেট ব্যবহার করতে বলুন।    * শীতের সকালে কুয়াশায় অতিরিক্ত গতির জন্য অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে, অতিরিক্ত গতি জীবন পুরাটাই নষ্ট করে দিতে পারে। তাই বাইকের গতি নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখুন। পাশাপাশি গতিসীমা মেনে চলুন। * হেডলাইট ও টেইললাইট কাজ করছে কিনা চেক করুন। নিয়মিত টায়ার, টায়ার প্রেশার চেক করুন।
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩
X