ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত মৌলভীবাজার
ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত মৌলভীবাজারের পর্যটন স্পটগুলো। উঁচু-নিচু পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে সবুজের গালিচায় মোড়ানো চা-গাছ। একইসঙ্গে পাহাড়ি ঝর্ণার কলতান। মৌলভীবাজার জুড়েই রয়েছে প্রকৃতির নানা নৈসর্গিক সৌন্দর্য। জেলায় প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা একাধিক লেক আর শতাধিক পর্যটন স্পট এখন একেবারেই পর্যটক শূন্য। তবে ঈদুল ফিতরের টানা ছুটিতে জেলার বিভিন্ন স্পটে অর্ধ লক্ষাধিক পর্যটক ঘুরতে আসবেন বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রশাসন থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই জেলাটিকে সাজাতে কোনো কার্পণ্য করেনি প্রকৃতি। চা বাগানের সবুজ গালিচা লাউয়াছড়ার প্রাণ-প্রকৃতি কিংবা হাওরের অথই জল এনিয়েই পযর্টন জেলা মৌলভীবাজার। একসময়ে পর্যটক মোখর এই জেলার নান্দনিক পর্যটন কেন্দ্র দেখতে দর্শনাথীর নেই তেমন আনাগোনা। প্রতিদিন দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটকের পদচারণায়  মুখরিত হয়ে উঠতো জেলার অন্তত ১০০টির ও বেশী দর্শনীয় স্থান। কিন্তু অবকাঠামোগত দুর্ভলতা এবং দর্শনীয় পর্যটন স্থানগুলোকে ঢেলে না সাজানোর কারণে প্রকৃতির এমন মায়াভরা আঙিনা এখন পর্যটকশূন্য। ফলে এ শিল্পের সাথে জড়িতরা বেকার হয়ে পড়েছেন। অনেকেই কাটাচ্ছেন মানবেতর জীবন। তবে এবারের ঈদে আবারও ঘুড়ে দাড়ানোর চেষ্টা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। পর্যটকদের জন্য মৌলভীবাজারের প্রধান পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- শ্রীমঙ্গল উঁচু-নিচু পাহাড়ে ভাঁজে ভাঁজে সবুজের গালিচায় মোড়ানো চা-বাগান, খাসিয়া পুঞ্জি, মণিপুরি ও ত্রিপুরাদের গ্রাম, বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন, বাইক্কাবিল হাইল, বধ্যভূমি ৭১, নিমাই শিববাড়ী, শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ফিনলে চা বাগানের ভেতরে ডিনস্টন সিমেট্রি। জেলার উল্লেখযোগ্য পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে আরও আছে- কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, ধলই বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ, রাজকান্দি বন খাসিয়া পল্লী,হাম হাম জলপ্রপাত,কলাবন, বড়লেখায় মাধবকুন্ড জলপ্রপাত, হাকালুকি হাওর, রাজনগর উপজেলার কমলা রাণীর দীঘি, কাউয়াদীঘি হাওর, জলের গ্রাম অন্তেহরি। জেলায় প্রায় দেড় শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ ইতোমধ্যে ৭০ শতাংশ বুকিং সম্পন্ন করেছে। ইতোমধ্যে হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ ও কটেজগুলো সাজানো-গোছানোর কাজ শেষ হয়ে গেছে। ঈদের টানা ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুদের আগমনে ভালো ব্যবসার প্রত্যাশা কথা জানিয়েছেন শ্রীমঙ্গলে পর্যটন সেবা সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কাজী সামছুল হক । হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের ছুটিতে পর্যটকরা এখানে আসবেন। তাদের সেবা দিতে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। অতিথির জন্য রিসোর্টগুলো সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। আশা করছি এবার বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসবেন। শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক ও গ্রীনলিফ গেস্ট-হাউজ এর স্বত্বাধিকারী এসকে দাশ সুমন বলেন, পর্যটন স্থানগুলো নতুন করে সাজিয়ে না তুলা হলে এবং সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি না করা হলে পর্যটকদের ভিমুখ করবে এই জেলা ভ্রমনে। এতে দেশি পর্যটকরা বিদেশ ভ্রমনে উৎসাহিত হবেন। ফলে সরকার বিপুল পরিমানের রাজস্ব হারাবেন বলে মনে করেন তিনি।   মৌলভীবাজার সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, ঈদের বন্ধে ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মৌলভীবাজারে স্পটগুলো বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। টুরিস্ট পুলিশও পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে পরিকল্পনা করবে; আর জেলা পুলিশও সজাগ থাকবে। 
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

মৌলভীবাজার আদালত প্রাঙ্গণেই আইনজীবীর মৃত্যু
মৌলভীবাজার আদালত প্রাঙ্গণেই অসুস্থ হয়ে প্রবীণ আইনজীবী অমল কান্তি চৌধুরী (৬৭) মারা গেছেন। রোববার (২৪ মার্চ) সকালে জেলা আইনজীবী সমিতির বারে কর্মরত অবস্থায় নিজ চেয়ারেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অমল কান্তি চৌধুরীর বন্ধু অধ্যাপক সৈয়দ মুজিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রোববার সকালে অমল কান্তি চৌধুরী মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির বারে যান। সেখানে নিজ চেয়ারে বসা অবস্থায় হঠাৎ অসুস্থ বোধ করে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে, তার সহকর্মীরা দ্রুত শহরের লাইফ লাইন কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা জানান, তিনি ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। অ্যাডভোকেট অমল কান্তি চৌধুরী মৌলভীবাজারের পোস্ট অফিস রোডের একটি বাসায় সপরিবার থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজার সদরের মোস্তফাপুর ইউনিয়নের পাগুরিয়া গ্রামে। তিনি স্ত্রীসহ দুই ছেলে-মেয়ে রেখে গেছেন। এদিকে অ্যাড. অমল কান্তি চৌধুরীর মৃত্যুতে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনসহ জেলা বার সমিতিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিকেলে নিজ গ্রামের শশ্মানঘাটে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। 
২৪ মার্চ, ২০২৪

মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত, মিষ্টি বিতরণ 
মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। শুক্রবার (২২ মার্চ) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষারিত বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এক‌ইসঙ্গে নতুন কমিটি গঠন করার জন্য জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করা হয়েছে।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মৌলভীবাজার জেলা শাখার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। একইসঙ্গে, 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ার লক্ষ্যে ছাত্রসমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মৌলভীবাজার জেলা শাখার সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে নতুন কমিটি গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। উক্ত কমিটিতে পদ প্রত্যাশীদের আগামী ২৪ মার্চ তারিখ থেকে ২ এপ্রিলের মধ্যে ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।  এদিকে, কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার পর আনন্দের জোয়ার ব‌ইছে মৌলভীবাজার জেলার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে। কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার পর মৌলভীবাজার শহরে মিষ্টি বিতরণ করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা।  উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল এক বছরের জন্য মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। এরপর দীর্ঘ ছয় বছর এই কমিটি দিয়ে সাংগঠনিক কাজ চালিয়ে আসছে। দীর্ঘ ছয় বছর নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও সংগঠন বিরোধী কার্যক্রমের অভিযোগ উঠে এই কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে। যার প্রেক্ষিতে এই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সংসদ।  
২৩ মার্চ, ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে স্মার্ট মৌলভীবাজার বিনির্মাণ করব: জিল্লুর রহমান
মৌলভীবাজার-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বলেছেন, আমাকে যারা তিরস্কার করেছিলেন, আমি তাদের বলতে চাই–আমি শিখিনি যারা নৌকা পায় তাদের তিরস্কার করতে হবে। বিগত দশ বছর ধরে আমাকে এবং আমার বাবাকে অপমান করেছেন। আমি বলতে চাই, আপনাদের আমার বাবার চেয়েও বেশি মূল্যায়ন করব। ভালোবাসা দিয়ে আপনাদের মন জয় করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে আমি স্মার্ট মৌলভীবাজার বিনির্মাণ করব। গতকাল বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজারের চৌমুহনায় বিশাল নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জনসভায় মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রাম থেকে হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে জিল্লুর রহমান বলেন, মৌলভীবাজারে মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয় উপহার দিব। অন্যান্য জেলায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আছে; কিন্তু মৌলভীবাজারে নেই। আমি নির্বাচিত হলে যে কোনো মূল্যে মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয় করব। জাতির পিতার নামে একটি লাইব্রেরি করব। শিশুদের জন্য বিশেষায়িত পার্ক করব। মনু ও কুশিয়ারা নদীর ভাঙন থেকে এই জনপদকে রক্ষা করব। খেলাধুলার বিকাশে দুটি মিনি স্টেডিয়াম হবে। জনসভায় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুহিবুর রহমান তরফদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, সাবেক এমপি সৈয়দা সায়রা মহসিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মসুদ আহমদ, রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান খান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক তরফদার ভিপি সুয়েব, যুবলীগের উপ মহিলা সম্পাদক সৈয়দা সানজিদা মহসিন প্রমুখ।
০৫ জানুয়ারি, ২০২৪

দুর্নীতিমুক্ত মৌলভীবাজার গড়ে তোলা হবে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মৌলভীবাজার শহরে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেছেন মৌলভীবাজার-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। গতকাল মঙ্গলবার শহরের চৌমুহনা ও কোর্ট এলাকায় তিনি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। ৭ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান বাবুল ও পৌর কাউন্সিলর পার্থ সারথী পাল প্রমুখ। গণসংযোগ শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, মৌলভীবাজারকে দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমি গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা করে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য মানুষের দাবি আছে। আমি সেটা করব। সব সিন্ডিকেট ভেঙে দুর্নীতিমুক্ত মৌলভীবাজার গড়ে তুলব। আমার ইশতেহার তৈরি করেছি।
০৩ জানুয়ারি, ২০২৪

দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট মৌলভীবাজার উপহার দেব
মৌলভীবাজার-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বলেছেন, আমি টিআর-কাবিখা মেরে খাওয়ার জন্য আসিনি। আমি কোনো গ্রুপিং করার জন্য আসিনি। অনেক জনপ্রতিনিধি বিচারে গিয়ে টাকা খান। পরে আর বিচারের খবর থাকে না। নির্বাচিত হলে দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট মৌলভীবাজার উপহার দেব। সেই লক্ষ্যেই আমরা মৌলভীবাজারের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইশতেহার তৈরি করেছি। যেখানে একটি সুন্দর আধুনিক মৌলভীবাজার গড়ার জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার মৌলভীবাজারের রাজনগর কলেজ পয়েন্টে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জনসভায় রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রাম থেকে হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। জিল্লুর রহমান বলেন, মৌলভীবাজারে মেডিকেল কলেজ হবে, বিশ্ববিদ্যালয় হবে, মৌলভীবাজার-শেরপুর ও রাজনগর সড়ক চার লেন হবে। রাজনগর পৌরসভা হবে, কর্মসংস্থানের জন্য কলকারখানা হবে, আইসিটি পার্ক হবে। কোথায় কে কোনো দলের সেটি দেখব না, উন্নয়ন করব সবার জন্য। আমার দরজা সবার জন্য খোলা। দলমত নির্বিশেষে সব মানুষ আমার কাছে আসতে পারবেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান খানের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন টেংরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু খান, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, সাবেক এমপি সৈয়দা সায়রা মহসিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুহিবুর রহমান তরফদার, সহ সভাপতি মসুদ আহমদ, কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ, সদ্য উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক তরফদার ভিপি সুয়েব, যুবলীগের উপ মহিলা সম্পাদক সৈয়দা সানজিদা মহসিন প্রমুখ। এছাড়াও জেলা ও উপজেলার নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেন।
০২ জানুয়ারি, ২০২৪

নির্বাচিত হলে স্মার্ট ও দুর্নীতিমুক্ত মৌলভীবাজার উপহার দিব : জিল্লুর রহমান 
মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বলেছেন, আমি টিআর কাবিখা মেরে খাওয়ার জন্য আসিনি‌। আমি কোনো গ্রুপিং করার জন্য আসিনি। অনেক জনপ্রতিনিধি বিচারে গিয়ে টাকা খান। পরে আর বিচারের খবর থাকে না। আমরা যদি নির্বাচিত হ‌ই তাহলে আপনাদের দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট মৌলভীবাজার উপহার দিব। সেই লক্ষ্যেই আমরা মৌলভীবাজারের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইশতেহার তৈরি করেছি‌। যেখানে একটি সুন্দর আধুনিক মৌলভীবাজার গড়ার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।  সোমবার (১ জানুয়ারি) মৌলভীবাজারের রাজনগর কলেজ পয়েন্টে এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  জনসভায় রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রাম থেকে হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত হন। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে উপস্থিত হন তারা । জনসভায় আওয়ামী লীগসহ অন্যন্য সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সরব উপস্থিতি ছিল। নৌকার জয়লাভের লক্ষ্যে জনসভায় বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে মুহুর্মুহু স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা।  মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বলেন, মৌলভীবাজারে মেডিকেল কলেজ হবে, বিশ্ববিদ্যালয় হবে, মৌলভীবাজার শেরপুর ও রাজনগর সড়ক চার লেন হবে, রাজনগর পৌরসভা হবে, কর্মসংস্থানের জন্য কলকারখানা হবে, আইসিটি পার্ক হবে। কোথায় কে কোন দলের সেটা দেখব না, উন্নয়ন করব সবার জন্য। আমার দরজা সবার জন্য খোলা। দলমত নির্বিশেষে সব মানুষ আমার কাছে আসতে পারবেন।  জনসভায় রাজনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান খানের সভাপতিত্বে ও টেংরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু খানের বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, সাবেক এমপি সৈয়দা সায়রা মহসিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুহিবুর রহমান তরফদার, সহসভাপতি মসুদ আহমদ, কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ, সদ্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক তরফদার ভিপি সুয়েব, যুবলীগের উপমহিলা সম্পাদক সৈয়দা সানজিদা মহসিন প্রমুখ। এ ছাড়াও জেলা ও উপজেলার নেতা এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এ বিশাল নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেন।‌ 
০১ জানুয়ারি, ২০২৪

মৌলভীবাজার শহরে বাইপাস ও মনু নদীতে সেতু হবে
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে মনু নদীতে আরেকটি সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন মৌলভীবাজার-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। গত শুক্রবার রাতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের বালিকান্দি বাজারে নির্বাচনী সভায় তিনি এ কথা জানান। এ সময় গুজারাই, বালিকান্দি ও চাঁদনীঘাটের আশপাশের হাজারো মানুষ এ সভায় যোগ দেন। একই সঙ্গে চাঁদনীঘাটে আধুনিক বাস টার্মিনাল ও মৌলভীবাজার শহর বাইপাস সড়ক হয়ে রাজনগর পর্যন্ত চারলেন সড়ক নির্মাণের কথাও জানান জিল্লুর রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জ সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুহিবুর রহমান তরফদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নওশের আলী খোকন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক তরফদার ভিপি সুয়েব, কানাডা আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আব্দুল গফফার প্রমুখ।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

মৌলভীবাজার শহর বাইপাস ও মনু নদীতে সেতু হবে : জিল্লুর রহমান
মৌলভীবাজার-৩ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বলেছেন, মৌলভীবাজার শহরতলীতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য মনু নদীতে আরেকটি সেতু নির্মাণ করা হবে। এটা এ এলাকার মানুষের প্রাণের দাবি। আমি আশ্বাস দিচ্ছি আমরা নির্বাচিত হলে এটা হবে। এক‌ইসঙ্গে চাঁদনীঘাটে আধুনিক বাস টার্মিনাল ও মৌলভীবাজার শহর বাইপাস সড়ক হয়ে রাজনগর পর্যন্ত চার লেন সড়ক নির্মাণ করা হবে।  শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের বালিকান্দি বাজারে নির্বাচনী সভায় জিল্লুর রহমান এসব প্রতিশ্রুতি দেন। গুজারাই, বালিকান্দি ও চাঁদনীঘাটের আশপাশের হাজারো মানুষ এ সভায় যোগ দেন। এমন আশ্বাসে এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়। তিনি বলেন, আমি এসেছি উন্নয়ন করতে। গরিবের টি‌আর কাবিখার বরাদ্দ মেরে খেতে আসিনি। আপনারা ৭ তারিখ দলমত নির্বিশেষে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। আমি কথা দিচ্ছি সংসদে গেলে আমার কাছে সকল মানুষ দলমত নির্বিশেষে আসতে পারবেন।  সভায় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জ সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুহিবুর রহমান তরফদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ন‌ওশের আলী খোকন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক তরফদার ভিপি সুয়েব, কানাডা আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আব্দুল গফফার প্রমুখ।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

হঠাৎ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে মৌলভীবাজার
১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বর। এইদিনে মৌলভীবাজারে রচিত হয় এক কালো অধ্যায়। দিনটি স্থানীয় শহীদ দিবস হিসেবে পালন করেন জেলাবাসী। একাত্তর সালের এদিনে সারা দেশ যখন বিজয়ের আনন্দে ভাসছিল, সেইদিন মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে রহস্যজনকভাবে মাইন বিস্ফোরণে মারা যান অর্ধ শতাধিক ঘরে ফেরা মুক্তিযোদ্ধা।  সাবেক জেলা কমান্ডার জামাল উদ্দিন জানান, দেশ স্বাধীনের মাত্র ৪ দিন পর যুদ্ধজয়ী মুক্তিযোদ্ধারা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে এসে জড়ো হন। তখন তারা একে একে নিজেদের ঘরে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এদিকে বিভিন্ন স্থানে পাক বাহিনীর ফেলে যাওয়া ও পুঁতে রাখা মাইন এবং গ্রেনেড উদ্ধার করে এনে বিদ্যালয়ের এক পাশে জড়ো করে রাখা হয়। সেদিন দুপুরে দিকে ক্যাম্পে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধারা যখন দুপুরের খাবারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন হঠাৎ এক বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে শহর। রহস্যজনকভাবে পরপর বেশকয়েকটি বিকট শব্দে মাইন বিস্ফোরণ ঘটে। ক্যাম্পে অবস্থানরত অর্ধশতাধিক মুক্তিযোদ্ধাদের দেহ ছিন্ন-বিছিন্ন হয়ে এদিকে সেদিক ছিটকে পড়েছিল। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে আরও জানা যায়, সেদিন উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের দেহ বিচ্ছিন্ন হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়লে অজানা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়। এক পলকেই তছনছ হয়ে যায় পুরো এলাকা। মুক্ত দেশে নিশ্চিত ঘরে ফেরার পূর্ব মুহূর্তে তারা হয়ে গেলেন কেবলই স্মৃতি। স্বাধীন দেশে নিজেদের বাড়িতে ফেরা হলো না মুক্তিযোদ্ধাদের। এলাকাবাসী ছিন্নভিন্ন মুক্তিযোদ্ধাদের দেহভস্ম একত্র করে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে সমাধিস্থ করেন। জানা গেছে, এই ক্যাম্পের অধিকাংশই ছিলেন গেরিলা বাহিনীর সদস্য। তবে কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছিল এবং কতজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছিলেন তা এখনো অজানাই রয়ে গেছে। পরে সময়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল ক্যাম্পে অবস্থানরতদের কিছু নাম উদ্ধার করে একটি তালিকা তৈরি করা হয়। পরে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্মৃতিসৌধ ও শহীদ মিনারের মধ্যখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়।  ২০ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে মৌলভীবাজারের মাইন বিস্ফোরণে যাদের নাম পাওয়া গেছে স্মৃতিস্তম্ভটিতে তাদের নাম লেখা আছে। তারা হলেন, সুলেমান মিয়া, রহিম বক্স খোকা, ইয়ানূর আলী, আছকর আলী, জহির মিয়া, ইব্রাহিম আলী, আব্দুল আজিজ, প্রদীপ চন্দ্র দাস, শিশির রঞ্জন দেব, সত্যেন্দ্র দাস, অরুণ দত্ত, দিলীপ দেব, সনাতন সিংহ, নন্দলাল বাউরী, সমীর চন্দ্র সোম, কাজল পাল, হিমাংশু কর, জিতেশ চন্দ্র দেব, আব্দুল আলী, নূরুল ইসলাম, মোস্তফা কামাল, আশুতোষ দেব, তরণী দেব ও নরেশ চন্দ্র ধর। প্রতিবছর ২০ ডিসেম্বরের দিনটি ‘স্থানীয় শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও জেলা প্রশাসন।  বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের।  এসময় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত ও শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম, পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রভাংশু সোম মহান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. জামাল উদ্দিনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৩
X