রুপচর্চা / কর্নফ্লাওয়ারে রূপচর্চা
কর্নফ্লাওয়ারে আছে ভিটামিন এ, সি এবং ই। এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। এবার বাড়িতেই কর্নফ্লাওয়ারের সঙ্গে ঘরোয়া কিছু উপাদান যোগ করে বানান ফেসপ্যাক। কর্নফ্লাওয়ার ও মধু: এক টেবিল চামচ মধু ও কর্নফ্লাওয়ারের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাক ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখবে, ত্বক টানটানও রাখে। সেনসিটিভ স্কিন হলে এই ফেসপ্যাক না লাগানোই ভালো। কর্নফ্লাওয়ার ও দই: দুই টেবিল চামচ টক দইয়ের সঙ্গে এক টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে মুখে মাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ-প্রবণ ত্বকের জন্য উপকারী এই ফেসপ্যাক। কর্নফ্লাওয়ার ও টমেটো: অর্ধেক টমেটো ম্যাশ করে এক টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার ও এক চা চামচ চিনি মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে কয়েক মিনিট আলতো হাতে ঘষুন। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। শুকনো ও সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এটি উপকারী। কর্নফ্লাওয়ার ও দুধ: এক টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে দুই টেবিল চামচ দুধ এবং এক টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। কর্নফ্লাওয়ার ও কলা: অর্ধেক পাকা কলা চটকে তার সঙ্গে এক টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে নিলে তৈরি হবে এই ফেসপ্যাক। মধু, ওটমিল ও কর্নফ্লাওয়ার: ওটস গুঁড়া করে এক টেবিল চামচ মধু ও কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। ওটস ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে, মধু ত্বকে পুষ্টি জোগায় এবং কর্নফ্লাওয়ার অতিরিক্ত তেল শোষণ করে। কর্নফ্লাওয়ার ও হলুদ: আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়োয় এক টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার এবং সামান্য দই বা মধু মিশিয়ে পেস্ট বানান। কর্নফ্লাওয়ার ও শসা: অর্ধেক শসা পেস্ট করে তাতে এক টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার মেশালে হয়ে যাবে ফেসপ্যাক।
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিয়ের আগে রূপচর্চা
এ সময়ে কোনো পরীক্ষা নয়, শুধু সাধারন স্কিনকেয়ার রুটিন মেনে চলতে হবে। ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং, সান প্রোটেকশন—এ ধাপগুলো মেনে চলুন। যারা আগে থেকে অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট ব্যবহার করছেন যেমন—নিয়াসিনামাইড, ভিটামিন সি; তারা এ রুটিনটাই মেনটেইন করুন। নতুন কোনো প্রোডাক্ট ট্রাই না করাই ভালো বিয়ের আগে। কারণ অনেক সময় নতুন প্রোডাক্ট বা স্পেসিফিক ইনগ্রেডিয়েন্ট থেকে ত্বকে পার্জিং দেখা দেয়, ব্রেকআউটসও হতে পারে। ত্বকের প্রয়োজন অনুযায়ী সপ্তাহে একদিন ফেসমাস্ক অ্যাপ্লাই করতে পারেন। অয়েলি স্কিনের যত্ন যাদের ত্বক একটু বেশি অয়েলি এবং হুটহাট ফেসে ব্রণ দেখা দেয়, তাদের জন্য মুলতানি মাটির ফেসমাস্ক খুব ভালো কাজ করে। শসার রস, মুলতানি মাটি ও মধু একসঙ্গে মিক্স করে মুখ ও গলায় ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। ব্রণ কমাতে টি ট্রি এসেনশিয়াল অয়েল বেশ কার্যকরী। শুধু ব্রণের ওপর টি ট্রি এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করে রাখুন, ব্রণ আর ইনফ্ল্যামেশন দুটোই কমে যাবে। ড্রাই স্কিনের যত্ন ত্বকের শুষ্কতা নিয়ে টেনশন? সপ্তাহে দুদিন ব্যবহার করুন নারিশিং ফেসমাস্ক। কাঁচা দুধ, চন্দন গুঁড়ো, গোলাপজল মিক্স করে মাস্ক বানিয়ে নিন। ফেস ও ঘাড়ে দিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ধুয়ে নিন। শুষ্কতা দূর করতে নাইট স্কিনকেয়ারে ডিপ ময়েশ্চারাইজার যোগ করুন। ফেসিয়াল ও ওয়্যাক্সিং অনেকেই বিয়ের আগে পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল ও ওয়্যাক্সিং করে। এ ক্ষেত্রে ভালোমানের পার্লার বা বিউটি সেলুন থেকে বিয়ের অন্তত এক সপ্তাহ আগে ফেসিয়াল করাতে পারেন। গোল্ড ফেসিয়াল, ডিপ ক্লিনজিং ফেসিয়াল, ফ্রুট ফেসিয়াল, হারবাল ফেসিয়াল এগুলো বেশ জনপ্রিয়। বডি ওয়্যাক্সিংও করে নিন চার-পাঁচ দিন আগে। খেয়াল রাখুন ডায়েট চার্টেও আচ্ছা বলুন তো, ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য শুধু কি বাহ্যিক রূপচর্চাই যথেষ্ট? অবশ্যই নয়! সুন্দর ত্বক পেতে হলে স্বাস্থকর খাদ্যাভাস মেনে চলা প্রয়োজন। গ্রিন টি, ফলমূল, শাকসবজি, ডিটক্স ড্রিঙ্কস, কাঠবাদাম আপনার ডায়েট চার্টে যোগ করুন। বাইরের তেলে ভাজা খাবার, সুগারি ফুড, অতিরিক্ত কার্ব—এগুলো এড়িয়ে চললে স্কিনে পরিবর্তন কিন্তু দেখতে পাবেনই! বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় সবাই মুখের ত্বকের যত্নের প্রতি বেশি মনোযোগী থাকেন। কিন্তু শুধুই মুখ নয়, মুখের পাশাপাশি পায়ের জন্যও নিতে হয় বিশেষ যত্ন। তবে যেনতেনভাবে নয়, পায়ের জন্যও দরকার পরিকল্পনামাফিক চর্চা। কীভাবে করবেন পায়ের পরিচর্যা, রইল কিছু সহজ টিপস। এসেনশিয়াল ওয়েল পানি, এসেনশিয়াল তেল এবং অলিভ ওয়েল ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর সেই পানিতে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। এটি আপনার পায়ের ত্বককে নরম করে এবং মৃত কোষকে দূর করতে সাহায্য করে। বেকিং সোডা এবং হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড পোড়া দাগ দূর করতে বেকিং সোডা বেশ কার্যকর। দুই টেবিল চামচ হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ও সমপরিমাণ বেকিং সোডা একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার সেই পানিতে কিছুক্ষণ পা ডুবিয়ে রাখুন। এটি আপনার পা থেকে রোদে পোড়া কালো দাগ দূর করে পা পরিষ্কার করে তুলবে। নিয়মিত স্ক্রাবিং পা পানিতে ভেজানোর পর স্ক্রাব করতে ভুলে যাবেন না যেন! পা পানিতে ডুবিয়ে রাখার পর পায়ের গোড়ালি ও পায়ের ওপরের ত্বক ভালো করে স্ক্রাব করুন। দুধ, মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে সেই মিশ্রণে ১০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। প্রতিদিন এভাবে ব্যবহার করুন, দেখবেন পায়ের মৃত কালো কোষ দূর হয়ে যাবে। নেইলপলিশ লাগানো বন্ধ করুন বিয়ের আগের ১০ থেকে ১৫ দিন থেকে পায়ের নখে নেইলপলিশ লাগানো বন্ধ করুন। কারণ নেইলপলিশ আপনার নখের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে দেয়। বরং এ কদিন আপনার নখকে নিজের মতো বাড়তে দিন। এতে বিয়ের দিন নখ অনেক বেশি উজ্জ্বল দেখাবে। নারিকেল তেল দিয়ে মালিশ করুন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বা গোসলের পর প্রতিদিন পায়ে নারিকেল তেল দিয়ে মালিশ করুন। এটি পায়ের রুক্ষতা দূর করে পা নরম ও কোমল করে তুলবে। তা ছাড়া নারিকেল তেলে থাকা লুরিক অ্যাসিড পায়ের যে কোনো রোগ দূর করতে বেশ কার্যকর। সানস্ক্রিনের ব্যবহার বিয়ের আগে কেনাকাটার জন্য বেশ অনেকবারই বাইরে যেতে হয়। যতবার রোদে যাবেন, ততবার পায়ে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এতে পায়ে ট্যান পড়বে না। সম্ভব হলে মোজা পরে বাড়ি থেকে বের হতে পারেন। এতে আপনার পা ধুলোবালির হাত থেকেও রক্ষা পাবে। নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিং করুন শরীরের অন্যান্য ত্বকের পাশাপাশি পায়ের ত্বকেরও আর্দ্রতার প্রয়োজন রয়েছে। একটি কলা ভালোভাবে মেখে নিয়ে সেটি পায়ে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার পায়ের ত্বককে নরম করতে সাহায্য করবে। পা সুন্দর করার জন্য প্রতিদিনই যত্নের প্রয়োজন। তাই বিয়ের আগে শতব্যস্ততার মধ্যেও ত্বকের পাশাপাশি কিছুটা সময় পায়ের যত্নের জন্য রেখে দিন। চেষ্টা করুন দিনে দুবার যেন পায়ের যত্ন নেওয়া যায়। সকালে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার পছন্দমতো যে কোনো ময়েশ্চারাইজার লাগান। মডেল : জেরিন মেকআপ: বিউটি রুম বাই আফরিন, ছবি : রনি বাউল  
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিয়ের আগে রূপচর্চা
এ সময়ে কোনো পরীক্ষা নয়, শুধু সাধারন স্কিনকেয়ার রুটিন মেনে চলতে হবে। ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং, সান প্রোটেকশন—এ ধাপগুলো মেনে চলুন। যারা আগে থেকে অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট ব্যবহার করছেন যেমন—নিয়াসিনামাইড, ভিটামিন সি; তারা এ রুটিনটাই মেনটেইন করুন। নতুন কোনো প্রোডাক্ট ট্রাই না করাই ভালো বিয়ের আগে। কারণ অনেক সময় নতুন প্রোডাক্ট বা স্পেসিফিক ইনগ্রেডিয়েন্ট থেকে ত্বকে পার্জিং দেখা দেয়, ব্রেকআউটসও হতে পারে। ত্বকের প্রয়োজন অনুযায়ী সপ্তাহে একদিন ফেসমাস্ক অ্যাপ্লাই করতে পারেন। অয়েলি স্কিনের যত্ন যাদের ত্বক একটু বেশি অয়েলি এবং হুটহাট ফেসে ব্রণ দেখা দেয়, তাদের জন্য মুলতানি মাটির ফেসমাস্ক খুব ভালো কাজ করে। শসার রস, মুলতানি মাটি ও মধু একসঙ্গে মিক্স করে মুখ ও গলায় ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। ব্রণ কমাতে টি ট্রি এসেনশিয়াল অয়েল বেশ কার্যকরী। শুধু ব্রণের ওপর টি ট্রি এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করে রাখুন, ব্রণ আর ইনফ্ল্যামেশন দুটোই কমে যাবে। ড্রাই স্কিনের যত্ন ত্বকের শুষ্কতা নিয়ে টেনশন? সপ্তাহে দুদিন ব্যবহার করুন নারিশিং ফেসমাস্ক। কাঁচা দুধ, চন্দন গুঁড়ো, গোলাপজল মিক্স করে মাস্ক বানিয়ে নিন। ফেস ও ঘাড়ে দিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ধুয়ে নিন। শুষ্কতা দূর করতে নাইট স্কিনকেয়ারে ডিপ ময়েশ্চারাইজার যোগ করুন। ফেসিয়াল ও ওয়্যাক্সিং অনেকেই বিয়ের আগে পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল ও ওয়্যাক্সিং করে। এ ক্ষেত্রে ভালোমানের পার্লার বা বিউটি সেলুন থেকে বিয়ের অন্তত এক সপ্তাহ আগে ফেসিয়াল করাতে পারেন। গোল্ড ফেসিয়াল, ডিপ ক্লিনজিং ফেসিয়াল, ফ্রুট ফেসিয়াল, হারবাল ফেসিয়াল এগুলো বেশ জনপ্রিয়। বডি ওয়্যাক্সিংও করে নিন চার-পাঁচ দিন আগে। খেয়াল রাখুন ডায়েট চার্টেও আচ্ছা বলুন তো, ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য শুধু কি বাহ্যিক রূপচর্চাই যথেষ্ট? অবশ্যই নয়! সুন্দর ত্বক পেতে হলে স্বাস্থকর খাদ্যাভাস মেনে চলা প্রয়োজন। গ্রিন টি, ফলমূল, শাকসবজি, ডিটক্স ড্রিঙ্কস, কাঠবাদাম আপনার ডায়েট চার্টে যোগ করুন। বাইরের তেলে ভাজা খাবার, সুগারি ফুড, অতিরিক্ত কার্ব—এগুলো এড়িয়ে চললে স্কিনে পরিবর্তন কিন্তু দেখতে পাবেনই! বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় সবাই মুখের ত্বকের যত্নের প্রতি বেশি মনোযোগী থাকেন। কিন্তু শুধুই মুখ নয়, মুখের পাশাপাশি পায়ের জন্যও নিতে হয় বিশেষ যত্ন। তবে যেনতেনভাবে নয়, পায়ের জন্যও দরকার পরিকল্পনামাফিক চর্চা। কীভাবে করবেন পায়ের পরিচর্যা, রইল কিছু সহজ টিপস। এসেনশিয়াল ওয়েল পানি, এসেনশিয়াল তেল এবং অলিভ ওয়েল ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর সেই পানিতে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। এটি আপনার পায়ের ত্বককে নরম করে এবং মৃত কোষকে দূর করতে সাহায্য করে। বেকিং সোডা এবং হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড পোড়া দাগ দূর করতে বেকিং সোডা বেশ কার্যকর। দুই টেবিল চামচ হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ও সমপরিমাণ বেকিং সোডা একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার সেই পানিতে কিছুক্ষণ পা ডুবিয়ে রাখুন। এটি আপনার পা থেকে রোদে পোড়া কালো দাগ দূর করে পা পরিষ্কার করে তুলবে। নিয়মিত স্ক্রাবিং পা পানিতে ভেজানোর পর স্ক্রাব করতে ভুলে যাবেন না যেন! পা পানিতে ডুবিয়ে রাখার পর পায়ের গোড়ালি ও পায়ের ওপরের ত্বক ভালো করে স্ক্রাব করুন। দুধ, মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে সেই মিশ্রণে ১০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। প্রতিদিন এভাবে ব্যবহার করুন, দেখবেন পায়ের মৃত কালো কোষ দূর হয়ে যাবে। নেইলপলিশ লাগানো বন্ধ করুন বিয়ের আগের ১০ থেকে ১৫ দিন থেকে পায়ের নখে নেইলপলিশ লাগানো বন্ধ করুন। কারণ নেইলপলিশ আপনার নখের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে দেয়। বরং এ কদিন আপনার নখকে নিজের মতো বাড়তে দিন। এতে বিয়ের দিন নখ অনেক বেশি উজ্জ্বল দেখাবে। নারিকেল তেল দিয়ে মালিশ করুন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বা গোসলের পর প্রতিদিন পায়ে নারিকেল তেল দিয়ে মালিশ করুন। এটি পায়ের রুক্ষতা দূর করে পা নরম ও কোমল করে তুলবে। তা ছাড়া নারিকেল তেলে থাকা লুরিক অ্যাসিড পায়ের যে কোনো রোগ দূর করতে বেশ কার্যকর। সানস্ক্রিনের ব্যবহার বিয়ের আগে কেনাকাটার জন্য বেশ অনেকবারই বাইরে যেতে হয়। যতবার রোদে যাবেন, ততবার পায়ে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এতে পায়ে ট্যান পড়বে না। সম্ভব হলে মোজা পরে বাড়ি থেকে বের হতে পারেন। এতে আপনার পা ধুলোবালির হাত থেকেও রক্ষা পাবে। নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিং করুন শরীরের অন্যান্য ত্বকের পাশাপাশি পায়ের ত্বকেরও আর্দ্রতার প্রয়োজন রয়েছে। একটি কলা ভালোভাবে মেখে নিয়ে সেটি পায়ে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার পায়ের ত্বককে নরম করতে সাহায্য করবে। পা সুন্দর করার জন্য প্রতিদিনই যত্নের প্রয়োজন। তাই বিয়ের আগে শতব্যস্ততার মধ্যেও ত্বকের পাশাপাশি কিছুটা সময় পায়ের যত্নের জন্য রেখে দিন। চেষ্টা করুন দিনে দুবার যেন পায়ের যত্ন নেওয়া যায়। সকালে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার পছন্দমতো যে কোনো ময়েশ্চারাইজার লাগান। মডেল : জেরিন মেকআপ: বিউটি রুম বাই আফরিন, ছবি : রনি বাউল  
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিয়ের আগে রূপচর্চা
এ সময়ে কোনো পরীক্ষা নয়, শুধু সাধারন স্কিনকেয়ার রুটিন মেনে চলতে হবে। ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং, সান প্রোটেকশন—এ ধাপগুলো মেনে চলুন। যারা আগে থেকে অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট ব্যবহার করছেন যেমন—নিয়াসিনামাইড, ভিটামিন সি; তারা এ রুটিনটাই মেনটেইন করুন। নতুন কোনো প্রোডাক্ট ট্রাই না করাই ভালো বিয়ের আগে। কারণ অনেক সময় নতুন প্রোডাক্ট বা স্পেসিফিক ইনগ্রেডিয়েন্ট থেকে ত্বকে পার্জিং দেখা দেয়, ব্রেকআউটসও হতে পারে। ত্বকের প্রয়োজন অনুযায়ী সপ্তাহে একদিন ফেসমাস্ক অ্যাপ্লাই করতে পারেন। অয়েলি স্কিনের যত্ন যাদের ত্বক একটু বেশি অয়েলি এবং হুটহাট ফেসে ব্রণ দেখা দেয়, তাদের জন্য মুলতানি মাটির ফেসমাস্ক খুব ভালো কাজ করে। শসার রস, মুলতানি মাটি ও মধু একসঙ্গে মিক্স করে মুখ ও গলায় ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। ব্রণ কমাতে টি ট্রি এসেনশিয়াল অয়েল বেশ কার্যকরী। শুধু ব্রণের ওপর টি ট্রি এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করে রাখুন, ব্রণ আর ইনফ্ল্যামেশন দুটোই কমে যাবে। ড্রাই স্কিনের যত্ন ত্বকের শুষ্কতা নিয়ে টেনশন? সপ্তাহে দুদিন ব্যবহার করুন নারিশিং ফেসমাস্ক। কাঁচা দুধ, চন্দন গুঁড়ো, গোলাপজল মিক্স করে মাস্ক বানিয়ে নিন। ফেস ও ঘাড়ে দিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ধুয়ে নিন। শুষ্কতা দূর করতে নাইট স্কিনকেয়ারে ডিপ ময়েশ্চারাইজার যোগ করুন। ফেসিয়াল ও ওয়্যাক্সিং অনেকেই বিয়ের আগে পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল ও ওয়্যাক্সিং করে। এ ক্ষেত্রে ভালোমানের পার্লার বা বিউটি সেলুন থেকে বিয়ের অন্তত এক সপ্তাহ আগে ফেসিয়াল করাতে পারেন। গোল্ড ফেসিয়াল, ডিপ ক্লিনজিং ফেসিয়াল, ফ্রুট ফেসিয়াল, হারবাল ফেসিয়াল এগুলো বেশ জনপ্রিয়। বডি ওয়্যাক্সিংও করে নিন চার-পাঁচ দিন আগে। খেয়াল রাখুন ডায়েট চার্টেও আচ্ছা বলুন তো, ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য শুধু কি বাহ্যিক রূপচর্চাই যথেষ্ট? অবশ্যই নয়! সুন্দর ত্বক পেতে হলে স্বাস্থকর খাদ্যাভাস মেনে চলা প্রয়োজন। গ্রিন টি, ফলমূল, শাকসবজি, ডিটক্স ড্রিঙ্কস, কাঠবাদাম আপনার ডায়েট চার্টে যোগ করুন। বাইরের তেলে ভাজা খাবার, সুগারি ফুড, অতিরিক্ত কার্ব—এগুলো এড়িয়ে চললে স্কিনে পরিবর্তন কিন্তু দেখতে পাবেনই! বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় সবাই মুখের ত্বকের যত্নের প্রতি বেশি মনোযোগী থাকেন। কিন্তু শুধুই মুখ নয়, মুখের পাশাপাশি পায়ের জন্যও নিতে হয় বিশেষ যত্ন। তবে যেনতেনভাবে নয়, পায়ের জন্যও দরকার পরিকল্পনামাফিক চর্চা। কীভাবে করবেন পায়ের পরিচর্যা, রইল কিছু সহজ টিপস। এসেনশিয়াল ওয়েল পানি, এসেনশিয়াল তেল এবং অলিভ ওয়েল ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর সেই পানিতে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। এটি আপনার পায়ের ত্বককে নরম করে এবং মৃত কোষকে দূর করতে সাহায্য করে। বেকিং সোডা এবং হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড পোড়া দাগ দূর করতে বেকিং সোডা বেশ কার্যকর। দুই টেবিল চামচ হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ও সমপরিমাণ বেকিং সোডা একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার সেই পানিতে কিছুক্ষণ পা ডুবিয়ে রাখুন। এটি আপনার পা থেকে রোদে পোড়া কালো দাগ দূর করে পা পরিষ্কার করে তুলবে। নিয়মিত স্ক্রাবিং পা পানিতে ভেজানোর পর স্ক্রাব করতে ভুলে যাবেন না যেন! পা পানিতে ডুবিয়ে রাখার পর পায়ের গোড়ালি ও পায়ের ওপরের ত্বক ভালো করে স্ক্রাব করুন। দুধ, মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে সেই মিশ্রণে ১০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। প্রতিদিন এভাবে ব্যবহার করুন, দেখবেন পায়ের মৃত কালো কোষ দূর হয়ে যাবে। নেইলপলিশ লাগানো বন্ধ করুন বিয়ের আগের ১০ থেকে ১৫ দিন থেকে পায়ের নখে নেইলপলিশ লাগানো বন্ধ করুন। কারণ নেইলপলিশ আপনার নখের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে দেয়। বরং এ কদিন আপনার নখকে নিজের মতো বাড়তে দিন। এতে বিয়ের দিন নখ অনেক বেশি উজ্জ্বল দেখাবে। নারিকেল তেল দিয়ে মালিশ করুন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বা গোসলের পর প্রতিদিন পায়ে নারিকেল তেল দিয়ে মালিশ করুন। এটি পায়ের রুক্ষতা দূর করে পা নরম ও কোমল করে তুলবে। তা ছাড়া নারিকেল তেলে থাকা লুরিক অ্যাসিড পায়ের যে কোনো রোগ দূর করতে বেশ কার্যকর। সানস্ক্রিনের ব্যবহার বিয়ের আগে কেনাকাটার জন্য বেশ অনেকবারই বাইরে যেতে হয়। যতবার রোদে যাবেন, ততবার পায়ে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এতে পায়ে ট্যান পড়বে না। সম্ভব হলে মোজা পরে বাড়ি থেকে বের হতে পারেন। এতে আপনার পা ধুলোবালির হাত থেকেও রক্ষা পাবে। নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিং করুন শরীরের অন্যান্য ত্বকের পাশাপাশি পায়ের ত্বকেরও আর্দ্রতার প্রয়োজন রয়েছে। একটি কলা ভালোভাবে মেখে নিয়ে সেটি পায়ে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার পায়ের ত্বককে নরম করতে সাহায্য করবে। পা সুন্দর করার জন্য প্রতিদিনই যত্নের প্রয়োজন। তাই বিয়ের আগে শতব্যস্ততার মধ্যেও ত্বকের পাশাপাশি কিছুটা সময় পায়ের যত্নের জন্য রেখে দিন। চেষ্টা করুন দিনে দুবার যেন পায়ের যত্ন নেওয়া যায়। সকালে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার পছন্দমতো যে কোনো ময়েশ্চারাইজার লাগান। মডেল : জেরিন মেকআপ: বিউটি রুম বাই আফরিন, ছবি : রনি বাউল  
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩

চালধোয়া পানিতে রূপচর্চা
n প্রাচীনকালে এশিয়া অঞ্চলে রূপচর্চায় নিয়মিতই ব্যবহৃত হতো চালধোয়া পানি। ব্যাপারটার পেছনে কারণও ছিল বটে। n চালধোয়া পানি মানেই ভিটামিন ও খনিজের একটি প্যাকেজ। থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিডও। ত্বকের জন্য যার সবকটাই উপকারী। n প্রাকৃতিক ক্লিনজার ও টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন চালধোয়া পানি। একটি তুলোর বল ডুবিয়ে আলতো করে ত্বক পরিষ্কার করুন। এর অ্যাস্ট্রিজেন উপকরণগুলো ত্বকের পোর টাইট করবে ও ত্বকের পিএইচ লেভেল ঠিক রাখবে। n চালধোয়া পানির সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মধু বা অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে তৈরি করুন ফেসিয়াল মাস্ক। মুখে ১৫-২০ মিনিট রাখলেই ত্বক পাবে আর্দ্রতা ও ঔজ্জ্বল্য। n চুলেও চমৎকার কাজ করে চালধোয়া পানি। শ্যাম্পু করার পর চুল ও মাথার ত্বকে এ পানি ঢালুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত করলে চুল শক্ত ও উজ্জ্বল হবে। n সাধারণ কন্ডিশনারের সঙ্গে চালধোয়া পানি মিশিয়ে চুলে লাগালে তা বাড়তি হাইড্রেশনের কাজ করে। চুলে লাগিয়ে কয়েক মিনিট রেখে দিন। এরপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। n চালধোয়া পানি ব্রণের বিরুদ্ধেও লড়ে। তুলোর বলে ভিজিয়ে বেশ কয়েক দিন নিয়মিত লাগান। n সানবার্নের জ্বলুনি কমাতে চালধোয়া পানি রেখে দিন ফ্রিজে। তারপর সেটা পুড়ে যাওয়া অংশে লাগান। দ্রুত লালচে ভাব কমে আসবে। n গোটা শরীরের জন্য বাড়তি সতেজতা চাইলে বাথটাবে সাধারণ পানির সঙ্গে বেশ পরিমাণে চালধোয়া পানি ব্যবহার করুন। n নখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে, আকারটা সোজা রাখতে ও স্বাভাবিক বৃদ্ধি অক্ষুণ্ন রাখতে চালধোয়া পানিতে নখ ভিজিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। n চোখের ফোলাভাব ও ক্লান্তি কাটাতে চোখের নিচে চালধোয়া পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট।
০৫ অক্টোবর, ২০২৩
X