Mon, 20 May, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
রাইসির খোঁজে যে ঘোষণা দিল এরদোয়ান
১ ঘণ্টা আগে
গণপিটুনির শিকার আ.লীগ নেতা
২ ঘণ্টা আগে
রাইসির খোঁজে এগিয়ে এসেছে যে সব দেশ
২ ঘণ্টা আগে
ইরানের প্রেসিডেন্টের দুর্ঘটনাস্থল থেকে মিলল সংকেত
২ ঘণ্টা আগে
রাইসির খোঁজে ৩২ সদস্যের দল পাঠাচ্ছে তুরস্ক
২ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ২০ মে ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
সাগরে বিদেশি জাহাজ ঘিরে হঠাৎ বাড়ল ডাকাতের হানা!
গেল কয়েক বছর শান্ত থাকার পর ফের নতুন করে শুরু হয়েছে বঙ্গোপসাগরে বিদেশি জাহাজে ডাকাতদের হামলার ঘটনা। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে ছয়টি জাহাজে এই হানার ঘটনা ঘটেছে। তবে পাহারাদারদের গাফিলতির কারণে এমন কোনো ঘটনা ঘটছে কি না, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক। অন্যদিকে বন্দর চাইলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে বলে জানিয়েছেন শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নেতাকর্মীরা। গত শুক্রবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে এশিয়ায় জাহাজে চুরি-ডাকাতি ও দস্যুতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা রিক্যাপ (দ্য রিজিওনাল কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট অন কমব্যাটিং পাইরেসি অ্যান্ড আর্মড রবারি এগেইনেস্ট শিপস ইন এশিয়া)। সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে ছয়টি জাহাজে হানা দিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। এর মধ্যে চারটি ঘটনায় দুষ্কৃতকারীরা জাহাজে উঠে মালামাল লুট করেছে। আরও দুটি জাহাজে চুরি-ডাকাতির চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। একটি ছাড়া সবকটি ঘটনা ঘটেছে বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রাম বন্দর জলসীমায়। জানা যায়, এ বছর ছয়টি ঘটনায় চারটিতে দুষ্কৃতকারীরা জাহাজে ওঠে মূল্যবান পণ্য চুরি-ডাকাতি করে। আর দুটিতে হানা দিলেও সফল হয়নি। ছয়টি ঘটনার মধ্যে পাঁচটি বিদেশি জাহাজে ও একটি দেশি জাহাজে হয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি কুতুবদিয়া এলাকায় ঘটে প্রথম ঘটনাটি। বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমটি ওমেরা লিগ্যাসি নামের একটি ট্যাংকারে হামলা চালায় ডাকাতরা। মালামাল চুরি করতে ট্যাংকারটি টার্গেট করেছিল দুষ্কৃতকারীরা। জাহাজের মাস্টার দ্রুতই বন্দরের নিয়ন্ত্রণকক্ষ ও কোস্টগার্ডকে অবহিত করেন। দুষ্কৃতকারীরা ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায়। দ্বিতীয় ঘটনা ঘটে ১৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া নোঙর এলাকায়। এদিন লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী এমভি মায়ের্সক হাই পং নামের একটি কনটেইনার জাহাজে চারজন দুষ্কৃতকারী ওঠে। তারা রশি চুরি করে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনার তিন দিনের মাথায় কুতুবদিয়া এলাকায় এমটি গ্যাস কারেজ নামের পানামার পতাকাবাহী আরেকটি জাহাজ নিশানা করে দুষ্কৃতকারীরা। এদিন নৌযানে করে এসে নয়জন দুষ্কৃতকারী জাহাজে উঠে ওয়াচম্যানকে (পাহারাদার) বেঁধে ফেলে। তারা জাহাজের স্টোর থেকে মূল্যবান মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। চতুর্থ ঘটনা ঘটে ৩ মার্চ মোংলা বন্দরের হিরণ পাইলট স্টেশন এলাকায়। লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী এরা স্টার ট্যাংকারে হানা দেয় ৮-১০ দুষ্কৃতকারী। তাদের হাতে ছিল লম্বা ছুরি। পরে তারা পালিয়ে যায়। পঞ্চম ঘটনা ঘটে ৩০ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে। এদিন মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী এএসএল লেবান জাহাজে হানা দেয় তিন দুষ্কৃতকারী। তাদের দেখে জাহাজে সতর্কসংকেত বাজানো হয়। এ সময় নাবিকেরা একত্র হলে দুষ্কৃতকারীরা নৌযানে করে পালিয়ে যায়। সর্বশেষ ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী এমভি মায়ের্সক চট্টগ্রাম নামের জাহাজে চুরির ঘটনা ঘটেছে। দুজন দুষ্কৃতকারী জাহাজের রং, সেফটি চেইন, ব্রাশফায়ার ও ফায়ার হোস চুরি করে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তা) মোস্তফা আরিফুর রহমান খান বলেন, বন্দরে জাহাজের সংখ্যা নিয়মিত বাড়ছে। নিরাপত্তার স্বার্থে জাহাজে পাহারাদার নিয়োগ দেওয়া দরকার। এ জন্যই শিপিং এজেন্টদের বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে শিপিং এজেন্টের নেতারা বলছেন, বন্দরের বেতার নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বা ভিটিএমআইএসের মাধ্যমে সচিত্র তদারক করা হয়। আবার জেটিতে রয়েছে নানা স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ রকম কড়া নজরদারির মধ্যেও জাহাজে চুরি-ডাকাতির ঘটনা কারা ঘটায় তা খতিয়ে দেখা দরকার। চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বন্দর জলসীমায় যেগুলো ঘটছে, তা ছিঁচকে চুরির মতো ঘটনা। ২৪ ঘণ্টা তদারকি করা হয় বন্দর জলসীমা। জাহাজে পাহারাদারও নিয়োগ দিচ্ছে শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। পাহারাদারদের গাফিলতির কারণে এমন কোনো ঘটনা ঘটছে কি না, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) সহসভাপতি খাইরুল আলম সুজন বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটছে কি না জানা নেই। তবে প্রত্যেকটি জাহাজের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাই নেওয়া হয়। আশা করি, আরও বাড়তি নাজরদারি নেওয়া হবে। শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, প্রতিটি জাহাজে পাহারাদার নিয়োগ করা হয়েছে। বন্দর জলসীমা খুব কড়া নজরদারির মাধ্যমে তদারকি করা হচ্ছে। তারপরও ছিঁচকে চুরির মতো ঘটনা ঘটার কথা নয়। যেহেতু এ ধরনের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে তাই বন্দর চাইলে আমরা আরও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করব। কোস্ট গার্ড পূর্বাঞ্চলের জোনাল কমান্ডার মো. জহিরুল হক বলেন, সাগরে দস্যুতার অভিযোগগুলোর তদন্ত চলছে। কোস্টগার্ডের সদস্যরা সাগরে জেলেসহ সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি সব ধরনের তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। আশা করি, স্বল্প সময়ের মধ্যেই আমরা লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হব। জানা যায়, চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালী, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ও মহেশখালীতেও চিহ্নিত কয়েকজন জলদস্যু সরদার কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়। এ সময় বাঁশখালী ও কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় তৎপর পাঁচ শতাধিক জলদস্যু ৪৭০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও সাড়ে ২২ হাজার গুলিসহ র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করে। এরপর থেকে সাগর-সুন্দরবন উপক‚ লজুড়ে জেলে, বাওয়ালী, মৌয়ালীদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে। কিন্তু বর্তমানে দু-একটি ছোট দস্যুবাহিনী নতুন করে অপতৎপরতার চেষ্টা করছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে তারা ধরাও পড়ছে। চট্টগ্রাম নৌপুলিশ সুপার আফম নিজাম উদ্দিন বলেন, সাগরে কে জেলে, কে দস্যু চেনা মুশকিল! মাছ ধরতে গিয়ে গুম, খুন, লুট ও অপহরণসহ দস্যুদের নির্মম নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন জেলেরা। তাদের কবল থেকে বাদ যাচ্ছে না দেশি-বিদেশি পণ্যবাহী জাহাজও। এক কথায় বলা যায়, অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে বঙ্গোপসাগরের বিস্তীর্ণ জলসীমা।
২১ এপ্রিল, ২০২৪
আরও
X