কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৫ পিএম
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বন ও পাহাড় রক্ষায় রাজধানীতে নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আগাওগাঁওয়ে বন ভবনের সামনে এ নাগরিক সমাবেশ বক্তব্য দেন বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি : কালবেলা
আগাওগাঁওয়ে বন ভবনের সামনে এ নাগরিক সমাবেশ বক্তব্য দেন বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি : কালবেলা

বন কর্মকর্তার হত্যার বিচার, বন ও পাহাড় খেকোদের গ্রেপ্তার এবং বন ও পাহাড় রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সহ ৫ দফা দাবিতে ২৩টি পরিবেশবাদী, সামাজিক ও নাগরিক সংগঠনের উদ্যোগে নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর আগাওগাঁওয়ে বন ভবনের সামনে এ নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সমাবেশে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা), স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস), পরিবেশ উদ্যোগ, বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট, মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্র, অরণ্যক ফউন্ডেশন, নাগরিক উদ্যোগ, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট, গ্রিন ভয়েস, গ্রিন সেভার্স, বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ফরেস্টার এসোসিয়েশন, বারসিক, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্ট, সেন্টার ফর গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেনট (সিজিইডি), পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ ফরেস্ট সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ ফরেস্টার এসোসিয়েশন, আরডিআরএস, পরিবেশ ও জলবায়ু আন্দোলন এবং জন উদ্যোগসহ ২৩টি পরিবেশবাদী, সামাজিক ও নাগরিক সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেয়।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় নাগরিক সমাবেশে বিভিন্ন পরিবেশবাদী, সামাজিক ও নাগরিক সমাজের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদা পারভীন, বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার, পরিবেশ, নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন, অরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রকিবুল হাসান, গ্রিন ভয়েসের সহ-সমন্বয়ক হুমায়ুন কবির সুমন, মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের মহাসচিব মাহবুল হক, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক আমিনুর রসুল, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশের পরিচালক গাউস পিয়ারী, আরডিআরএস এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ, গ্রিন সেভার্সের সভাপতি আহসান রনি, বারসিক এর সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর আলম, পরিজা এর সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, জন উদ্যোগের তারিক হোসেন মিঠু, সিজিইডি এর সভাপতি, মো. আব্দুল ওহাব ও প্রয়াত সাজ্জাদুজ্জামানের পরিবার (বাবা, মা, বড় ভাই, স্ত্রী ও তার ৮ মাসের কন্যা সন্তান)।

পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠনসমূহের মূল বক্তব্যে বলা হয় গত ৩১ মার্চ কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বন বিটের কর্মকর্তা সাজাদুজ্জামান এর নির্মম অপহত্যায় জড়িতদের অতি সত্বর আইনের আওয়ায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে আজকের পরিবেশবাদী ও নাগরিক সমাজের এই মানববন্ধন কর্মসূচি।

গত ৩১ মার্চ দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জর দোছড়ি বন বিটের কর্মকর্তা সাজাদুজ্জামানের নির্মম মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যা দেশের মানুষের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী ৩১ মার্চ প্রয়াত সাজাদুজ্জামান ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের আওতাভুক্ত রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় বনের জমি রক্ষা করতে গিয়ে ভূমি দস্যুদের নির্মমতার শিকার হন। উখিয়া রেঞ্জের হরিণমারা অংশ থেকে পাহাড় কেটে বালু সরবরাহ করার সময় একটি মিনি ট্রাক (ডাম্পার) সাজাদুজ্জামানকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। এ ঘটনায় আহত হন আরও একজন বন কর্মকর্তা।

দেশজুড়ে একের পর এক বন, পাহাড় ধ্বংস ও হাতিসহ নানা বন্যপ্রাণী হত্যা এবং বন উজাড় রোধে যখন কিছু সৎ নিষ্ঠাবান মানুষ কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে যায়; তখনি তাদের নানা নির্যাতন ও হত্যার শিকার হতে হয়।

এ সময় নেতারা বলেন, কতিপয় দুর্বৃত্ত, ভূমিদস্যু, পাহাড় ও বনখেকোর আগ্রাসনে প্রায় নিঃষেশিত জাতীয় বনভূমির রক্ষায় সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি অনুয়ায়ী দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নির্মম আক্রমণের শিকার হন এ বন কর্মকর্তা। যা তার মাত্র ৮ মাস বয়সের সন্তানকে করেছে অভিভাবকহীন। নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে সাজাদুজ্জামানের অপহত্যার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ও তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তার শোকসন্তপ্ত পরিবার ও সহকর্মীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।

এর আগে গত ২০২০ সালের ৭ আগস্ট মো. ইউসুফ উদ্দীন নামে মহেশখালী বন রেঞ্জ কর্মকর্তা পাহাড় ও বনখেকোর হাতে অপহত্যার শিকার হয়েছিলেন। সে ঘটনার সঠিক ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার এখনও হয়নি। পাহাড় ও বনখেকোদের দমন করতে না পারার ক্রমাগত ব্যর্থতা এসব অপরাধীকে দুর্ধর্ষ ও বেপরোয়া করে চলেছে, যার ধারাবাহিকতায় মো. ইউসুফের পর সাজাদুজ্জামানকে আবারও অপহত্যার শিকার হতে হলো।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, বন, পাহাড় ও পরিবেশ রক্ষা না হলে মানুষ বাঁচতে পারে না। তাই দেশের বন-পাহাড় ও পরিবেশকে বাঁচাতে হবে। মুষ্টিমেয় লোকের হাতে দেশের বন-পাহাড়-নদী জিম্মি। এই জিম্মিদশা থেকে দেশের বন-পাহাড় ও পরিবেশকে মুক্ত করতে হবে। সাজ্জাদুজ্জামানের হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলবে।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, দেশের সব চেয়ে সুন্দও জেলাটি আজ বন ও পাহাড় খেকোদের দ্বারা ধ্বংসপ্রায়। জামিনে মুক্ত ইউসুফরে হত্যাকারীদের পুণরায় গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো এবং সাজ্জাদুজ্জামানের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন। একইসঙ্গে উভয়ের পরিবারের ভরণপোষণের সব দায়িত্ব সরকারকে বহন করার জোর দাবি করেন।

সংহতি বক্তব্যে প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী বলেন, আমার কর্মকর্তা তার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়েছে এর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি। আমরা এর মামলা করেছি, একজন আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে দেশের সকল বনে বন খেকোদের দৌরাত্ম্য বন্ধে আমাদের সকল কর্মচারী-কর্মকর্তা দিগুণ শক্তিতে কাজ শুরু করেছে। আমরা আর কোনো ইউসুফ সাজ্জাদুজ্জামানকে হারাতে চাই না- এজন্য বন রক্ষকদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রদানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

জাকির হোসেন সংহতি বক্তব্যে বলেন, দেশের দুর্বৃত্তরা আজ লাগামছাড়া। বিচারহীনতায় এর কারণ। কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় এ ধরনের হত্যাকাণ্ড মেনে নেওয়া যায় না। তিনি দ্রুত হত্যাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।

আলমগীর কবির বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অর্থে এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান। তার স্ত্রীর চাকরি প্রদান ও সন্তানের ভবিষ্যত নিশ্চিত করার দাবি করেন।

তিনি আরও বলেন, এই হত্যাকরীদের গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে প্রয়োজনে আরও বৃহতর কর্মসূচির আহ্বান করা হবে বলে তিনি জানান।

অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, সাজ্জাদুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যার পর উল্লাস করা হয়েছে যা কোন সভ্যসমাজে মেনে নেওয়া যায় না। তিনি হত্যাকারিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান। ঢাল তলোয়ার ছাড়া নিধুরাম সর্দার বানিয়ে বন রক্ষায় ছেড়ে দেওয়া সরকারের চরম ব্যর্থতা। বন রক্ষাকারীদের প্রয়োজনীয় প্রটেকশন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র প্রদানের দাবি জানান। বন রক্ষা করতে যারা নির্মম হত্যার শিকার হয়েছে তাদের পরিবারে দায়িত্ব এবং যারা এ কাজে নিয়োজিত তাদের ঝুঁকি ভাতা চালুর দাবি জানান তিনি।

নিহত সাজ্জাদুজ্জামানের বড় ভাই কামরুজ্জামান কাজল বলেন, আমার ভাইকে আর ফিরে পাবো না। কিন্তু আর কোনো ভাইকে যেন এভাবে মরতে না হয়, তার নিশ্চয়তা চাই। হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি করেন। তার স্ত্রীর চাকরি প্রদান, সন্তানের ভবিষ্যত নিশ্চিত করা ও মামলাটি র‌্যাবের নিকট হস্তান্তরের দাবি জানান তিনি।

সমাবেশ থেকে ৫ দফা দাবি সংবলিত একটি লিফলেট পরিবেশবাদী, সামাজিক ও নাগরিক সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী হাতে তুলে দেন বাপা সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার, বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির ও ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার। নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে দাবিসমূহ

সাজাদুজ্জামানকে নির্মম হত্যকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অতিসত্বর গ্রেপ্তার করে আইনের আওয়ায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা; প্রয়াত মো. ইউসুফ ও সাজাদুজ্জামানের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান করা; আহত বন কর্মকর্তার চিকিৎসা নিশ্চিত করা; বনভূমি সুরক্ষায় ভূমিদস্যুদের বাড়তি ঝুঁকিতে থাকা কর্মীদের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিরাপদ কর্মক্ষেত্র তৈরিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া এবং দেশের বনভূমি, পাহাড় ও নদী রক্ষায় এমন ঘটনার পুণরাবৃত্তি রোধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : রাইসি ছাড়াও আর যারা মারা গেলেন

রাঙামাটিতে চলছে ইউপিডিএফের আধাবেলা অবরোধ

পায়ুপথে ব্রাশ দিয়ে বখাটেদের নির্যাতন

রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : কোনো আরোহী বেঁচে নেই

রাইসি মারা গেলে কে হবেন ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট?

হবিগঞ্জে ধান সংগ্রহের শুরুতেই হযবরল

আইপিএলে প্লে-অফে কে কার বিরুদ্ধে লড়বে?

তুর্কি ড্রোনে খোঁজ মিলল রাইসির হেলিকপ্টারের

ইরানের প্রেসিডেন্ট কি বেঁচে আছেন? 

খোঁজ মিলল রাইসির হেলিকপ্টারের, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ২ কিমি দূরে উদ্ধারদল

১০

পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন / পড়ালেখায় এগিয়ে সজিব, অর্থসম্পদে আবুল কাসেম

১১

রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি

১২

‘রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের খোঁজ পাওয়া গেছে’

১৩

কোরবানির ঈদকে ঘিরে স্বপ্নপূরণের আশা খামারিদের

১৪

দুই বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো ছাত্রলীগ নেতা পায়েল বহিষ্কার

১৫

বন্ধুর বাড়ি থেকে যুবকের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার

১৬

রাইসির ঘটনায় উচ্ছ্বসিত মার্কিন সিনেটর

১৭

সোমবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

১৮

প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনিয়ে পালাচ্ছিলেন পুলিশ সদস্য

১৯

রাইসিকে উদ্ধারকাজে বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে রাশিয়া

২০
X