আক্রান্ত হলে নীরব থাকবে না আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ আক্রমণ করবে না। কিন্তু আক্রান্ত হলে নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকবে না। অপশক্তির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। গতকাল বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঢাকা-৪, ৫ ও ১৮ নম্বর আসনের সংসদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট এলাকার দলীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে মন্ত্রী দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বনানী সেতু ভবন এবং বিআরটিএর কার্যালয় পরিদর্শন করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা এখনো ধ্বংসের সুরে কথা বলেন। আর কত ধ্বংস? আর কী চান? বিএনপি এই দেশ চায় না, এদেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক তা-ও চায় না। গত কয়েকদিনে তার প্রমাণ হয়েছে। তিনি বলেন, যারা এ ধরনের ঘৃণিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ। এই দায়বদ্ধতা পূরণে অপশক্তিকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এই সহিংসতার সঙ্গে জড়িত সবাইকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। দেশবিরোধী এই অপশক্তি বিভিন্ন ধরনের গুজব সৃষ্টি করছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইতিহাসের জঘন্যতম নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াত ও শিবির। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা সম্পূর্ণ নিখাদ ও সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সমন্বয়করা প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, এ ধরনের ন্যক্কারজনক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা এর দায়ভার নেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শুধু নন, সমগ্র দেশবাসীর কাছে এটা দিবালোকের মতো পরিষ্কার যে, এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অগ্নিসন্ত্রাসের পেছনে বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী জড়িত। এই সন্ত্রাসী বাহিনী রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। অনেক নিরীহ মানুষ ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা এবং নির্মমভাবে হত্যা করেছে। নজিরবিহীনভাবে সাংবাদিকদের ওপর বর্বরোচিত হামলা করেছে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির বিভিন্ন স্মারক যেমন—মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজা ছাড়াও বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন, সেতু ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ভবন, বিআরটিএ, ডাটা সেন্টার, বিভিন্ন থানা ও পুলিশ বক্স, নরসিংদীতে কারাগার এবং বিভিন্ন স্থাপনা ও হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে ও অগ্নিসংযোগ করেছে। জনগণের জীবনযাত্রায় স্বস্তি প্রদানকারী মেগা প্রকল্পগুলো লক্ষ্য করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির মূল উদ্দেশ্যই হলো বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেওয়া। সাধারণ মানুষের ওপরে ন্যক্কারজনক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো একটি গণবিরোধী রাজনৈতিক অপশক্তির পক্ষেই সম্ভব। এই অপশক্তি মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার মূল চেতনার বিপরীতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, যা আমরা কোনোভাবেই হতে দিতে পারি না। মতবিনিময় সভার পর রাজধানীর শ্যামলী-আদাবর রিং রোডে মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন ওবায়দুল কাদের। সেখানে তিনি বলেন, ঢাকাবাসী কত চেয়েছিল মেট্রোরেল। আজ ধ্বংস হয়ে গেছে। আমাদের যত অর্জন, সন্ত্রাসীদের আক্রমণে সেগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল এখনো মিথ্যাচার করছেন। তিনি এখনো ধ্বংসের সুরে কথা বলছেন, আগুনের কথা বলছেন। তারা এ দেশ চাননি, মুক্তিযুদ্ধ চাননি। পদ্মা সেতু চাননি, মেট্রোরেল চাননি। আজ মেট্রোরেল বন্ধ, ধ্বংসলীলায় পরিণত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ।
২৫ জুলাই, ২০২৪

ধর্ষণচেষ্টা মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় এক গৃহবধূকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণচেষ্টার ঘটনার মামলায় এক আ.লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৫ জুলাই) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আড়াইহাজার থানার ওসি আহসান উল্লাহ। এর আগে উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের নয়নাবাদ  এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। গ্রেপ্তার আ.লীগ নেতার নাম ইব্রাহীম সরকার (৪৮)। তিনি আড়াইহাজার উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের নয়নাবাদ গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি খাগকান্দা ইউনিয়নের ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।   ঘটনার বিবরণে মামলা সূত্রে পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী আড়াইহাজার উপজেলা থেকে দূরে চাকরি করায় তিনি তার ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করেন। আড়াইহাজার উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের নয়নাবাদ গ্রামের ওই ভুক্তভোগী নারীর বাবার বাড়ির পাশেই ইব্রাহীম সরকারদের বাড়ি। ইব্রাহীম ও তার ভাই আসগর আলীর সঙ্গে শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এ সময় ওই নারীর ঘরে  প্রবেশ করে ইব্রাহীম  ও তার ভাই তাকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণচেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। একপর্যায়ে ওই নারীর আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন বেরিয়ে এলে তিনি লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে জখম করেন। পরে আশপাশের লোকজন ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী আড়াইহাজার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার ওসি আহসান উল্লাহ জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলার আসামি ইব্রাহীমকে গ্রেপ্তার করে বিকেলে আদালতে পাঠালে- আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
১৫ জুলাই, ২০২৪

ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর আওয়ামী লীগ সরকার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনা করে আমরা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ব্যবসাবান্ধব সরকার। ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে সহজ হয়, উদ্যোক্তারা যাতে উৎসাহ পায়, আমরা সর্বদা সেই কাজই করছি। আমাদের সরকার ব্যবসায় নানা ধরনের প্রণোদনা প্রদান করে আসছে। 'জাতীয় রপ্তানি ট্রফি' প্রদান উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। রোববার (১৪ জুলাই) আজ এই রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি বাণিজ্যের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে সফল রপ্তানিকারকদের কে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও উন্নয়নে রপ্তানি বাণিজ্যের অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা বিশ্ববাজারে দেশীয় উৎপাদিত মানসম্পন্ন পণ্য রপ্তানি করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন।  ২০২৭ সালে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনে সরকার এবং রপ্তানিকারকসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি সেবা খাতের সম্প্রসারণ ও রপ্তানিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষে আমাদের সরকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।  তিনি দৃঢ়ভাবে আস্থা প্রকাশ করেন, পণ্য খাতের মতো সেবা খাতেও আমরা সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হব। শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ অতিমারি এবং পরবর্তী ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ক্ষতিকর প্রভাবের মধ্যেও আমরা আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রেখেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে আমাদের বেসরকারি খাত অর্থনৈতিক উন্নয়নকে যেমন ত্বরান্বিত করেছে, তেমনি তাদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।  তিনি বলেন, ২০২৬ সালে আমরা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নীত হব। এলডিসি থেকে উত্তরণকে সামনে রেখে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও রপ্তানি খাতের বিকাশে বিভিন্ন প্রকার সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে।  শেখ হাসিনা বলেন রপ্তানি বাণিজ্য সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনে। এর সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যেসব প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য সফলতার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে তাদের স্বীকৃতি প্রদান রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলে তিনি মনে করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় হতে ‘রপ্তানি ট্রফি প্রদান’ ধরনের স্বীকৃতি দেশের শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে রপ্তানির চলমান প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করবে বলে তিনি দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০২১-২২ প্রদান অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
১৪ জুলাই, ২০২৪

আওয়ামী লীগ নেতা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মানিকগঞ্জ সিংগাইর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান (ভিপি শহীদ) ও তার স্ত্রী নারগীজ আক্তারের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ২২ হাজার টাকার মামলা করেছ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুদকের সহকারী পরিচালক আল-আমিন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) এদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। বুধবার (১০ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক আল আমীন। জানা যায়, শহিদুর রহমান (ভিপি শহীদ) সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রয়াত স্বামীর ভাগনে ও তার স্ত্রী নারগীজ আক্তার জেলা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক। মামলা সূত্রে জানা যায়, শহীদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তিনি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৫৫ লাখ ৭২ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন, যা দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় অপরাধ। এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০২১ সালের ১৯ জানুয়ারি দুদকে দাখিল করা সম্পদের বিবরণীতে তার নামে ২ কোটি ৭৪ লাখ ৫৩৮ টাকার স্থাবর সম্পত্তি  এবং ৬১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৪০ টাকার অস্থাবর সম্পত্তিসহ মোট তিন কোটি ৬৬ লাখ ৩২ হাজার ১৪২ টাকা। স্বামীর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত আয়কে বৈধতা দিতে তিনি সহযোগিতা করেছেন। তিনি জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে ২ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রেখেছেন, যা দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় অপরাধ। তার এ সম্পদের মধ্যে তিনি দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৩০ লাখ ৭৮ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। যা দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অপরাধ। দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, নারগীছ আক্তার একজন  গৃহিণী। তার নিজের কোনো আয়ের উৎস নেই। তিনি স্বামীর আয়ের ওপর নির্ভরশীল। দুদক সূত্রে জানা গেছে, সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান ( ভিপি শহীদ) ঠিকাদারি ব্যবসা, জমি বেচাকেনার মধ্যস্থতা করেন। এ বিষয়ে সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান বলেন, আমার আইনজীবীর কাছে জিজ্ঞেস না করে গণমাধ্যমের কাছে কোনো কিছুই মন্তব্য করব না।
১১ জুলাই, ২০২৪

আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে লাশ বানিয়ে ফেলেছে
আওয়ামী লীগ সরকার বর্তমানে গণতন্ত্রকে লাশ বানিয়ে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, তারা পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে গ্রামে বিভাজন তৈরি করেছে। লুটপাট যেন আওয়ামী লীগের ইশতেহার, কারও জমি দখল যেন তাদের অধিকার। লুটপাট, কালো টাকা, জমি দখলের মানসিকতার দল হলো আওয়ামী লীগ। গতকাল রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী ভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন থানা কমিটির সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন। ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বিরোধী দলে থাকলে তারা এক রকম থাকে, আর ক্ষমতায় এলে তারা প্রভু বনে যায়। তারা সমাজে এমন একটা বিভাজন তৈরি করেছে যে, এখন আওয়ামী লীগ আর বিরোধী দলের মধ্যে কোনো সামাজিক সম্পর্ক পর্যন্ত নেই। ফ্রন্টের সদস্য সচিব সুভাস চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের বিজন কান্তি সরকার, তরুণ দে, অপর্ণা রায় দাস, রমেশ দত্ত প্রমুখ।
০৮ জুলাই, ২০২৪

রাজশাহী আওয়ামী লীগ দ্বন্দ্ব-সংঘাতে টালমাটাল
দুপক্ষের সংঘর্ষে রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল নিহত হওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত পুরো জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি। স্থানীয় রাজনীতিতে দুটি বলয় আগেই ছিল, বাবুল হত্যাকাণ্ডের পর এই দ্বন্দ্বে নতুন করে আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে। নেতারা একে অন্যের বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটাচ্ছেন। আর দুই বলয়ের রাজনীতিকে ঘিরে চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্বে অনেকটা দিশেহারা, টালমাটাল রাজশাহী আওয়ামী লীগের রাজনীতি। তবে এই দ্বন্দ্ব নিরসনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। রাজশাহীর রাজনীতির এক বলয়ের সামনে আছেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। অন্যটির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। শাহরিয়ার আলম বলয়ে আছেন রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের এমপি, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ দারা, রাজশাহী-১ (তানোর-গোদগাড়ী) আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের এমপি অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, রাজশাহী-৩ আসনের সাবেক এমপি আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। আর মেয়র লিটনের বলয়ে আছেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের এমপি আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এমপি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার, মহানগর সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। সূত্র জানায়, রাজশাহীর রাজনীতিতে দ্বন্দ্বের অন্যতম কারণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে রাজশাহী-৩ আসনের এমপি মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ। রাজনীতির মাঠে তিনি অনেকটা ‘ঠোঁটকাটা’ হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন মুখরোচক বক্তব্য ও নানা কৌশলে তিনি তৃণমূল আওয়ামী লীগের কাছাকাছি যান। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে তিনি এমপি কিংবা জনপ্রতিনিধি না হতে পেরে তৃণমূল আওয়ামী লীগকে বশে এনে বিভিন্ন প্রোগ্রামে রাজশাহীর এমপিদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতে থাকেন। এমনকি তিনি রাজশাহী-১ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী এবং রাজশাহী-৩ আসনের তৎকালীন এমপি আয়েন উদ্দিনকে ‘রাজাকারপুত্র’ বলেও সম্বোধন করেন। এজন্য আসাদকে কেউ ভালো চোখে দেখতেন না। ২০১৬ সালের জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী সরকারকে চেয়ারম্যান প্রার্থী করেন। তার কাছে পরাজিত হন দলের প্রবীণ নেতা মাহবুব জামান ভুলু। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভুলুকে দলীয় প্রার্থী করেছিল। আসাদের অনুসারী তৎকালীন রাজশাহী-৪ আসনের এমপি এনামুল হক এ নির্বাচনে মোহাম্মদ আলীর পক্ষে ছিলেন। ওই নির্বাচনের পর থেকেই আসাদের সঙ্গে এমপিদের দূরত্ব বাড়তে থাকে। ২০১৯ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আসাদ সভাপতি প্রার্থী হন। কিন্তু তাকে সভাপতি করা হয়নি। ওই সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক হন আসাদবিরোধী নেতা আবদুল ওয়াদুদ দারা। এবার কোণঠাসা হয়ে আসাদ দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের কাছাকাছি আসেন। ফলে আসাদবিরোধী এমপিরা লিটনবিরোধী মনোভাব শক্ত করেন। এ ছাড়া গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের একটি ‘আপত্তিকর’ ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। তখন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামালসহ লিটন অনুসারী নেতাকর্মীরা তার বহিষ্কার চেয়ে কর্মসূচি পালন করেন। বেকায়দায় পড়ে ডাবলু তখন লিটনবিরোধী জেলার নেতাদের সঙ্গে হাত মেলান। তখন থেকেই দলের মধ্যে স্পষ্ট দুটি বলয় তৈরি হয়। সর্বশেষ গত ২২ জুন আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ঘটনায় আহত বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ জুন মারা যান। ২৭ জুন বাঘায় নিহত বাবুলের জানাজায় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও এমপি আসাদকে এই হত্যাকাণ্ডের মদদদাতা উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। ওই জানাজায় গেলে জেলার সভাপতি অনিল কুমার সরকারকে বের করে দেওয়া হয়। লিটন ও আসাদ সম্পর্কে এমপি শাহরিয়ারের এমন মন্তব্যে লিটনপন্থিরা শাহরিয়ারের ওপর চরম ক্ষুব্ধ হন। তারা শাহরিয়ারসহ ওই বলয়ের বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় নানা কথাবার্তা ছড়াতে থাকেন। শাহরিয়ারসহ তার বলয়ের লোকজনও প্রকাশ্যে মেয়র লিটনসহ তার বলয়ের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কুৎসা, গালাগাল ও মানহানিকর বক্তব্য দিতে থাকেন। এসব নিয়ে রাজশাহীর রাজনীতি এখন অনেক বেশ উত্তপ্ত। এদিকে রাজশাহীতে দলের মধ্যে এমন বিভেদ ও অন্তর্দ্বন্দ্ব চরমে উঠলেও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ এসব নিরসনে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ভেতরে ভেতরে তৃণমূলে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নেতাকর্মীদের অনেকেই বলছেন, রাজশাহীর উভয় বলয়কেই কেন্দ্রীয় নেতাদের দুটি পক্ষ আলাদা সমর্থন করায় সংকট আরও বাড়ছে। তাই এই দ্বন্দ্ব নিরসনে কেন্দ্রীয় নেতাদের জোরালো ভূমিকা দাবি করছেন তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেকেই। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, ‘রাজশাহীর রাজনীতি যে পর্যায়ে চলে গেছে তাতে স্থানীয়ভাবে সামাল দেওয়ার কোনো সুযোগ আছে বলি আমার জানা নেই। এটির সমাধান একমাত্র কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগই করতে পারে। তারা যদি এক টেবিলে বসে এটির সমাধানের চেষ্টা করেন তাহলেই হয়তো সম্ভব।’ রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ দারা বলেন, ‘আমার আগের কমিটি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করে গেছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সেই দ্বন্দ্ব নিরসনের চেষ্টা করেও বারবার ব্যর্থ হচ্ছি। তবে দলের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব নিরসন অবশ্যই সম্ভব। এজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। আমরা যদি সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করতাম, তাহলে এই দ্বন্দ্ব থাকত না। আমি মনে করি, এই দ্বন্দ্বের অন্যতম কারণ ভোটের রাজনীতিতে কিছু কিছু নেতার নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া।’ রাজশাহী-৩ আসনের এমপি মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘খায়রুজ্জামান লিটন এ অঞ্চলের রাজনৈতিক অভিভাবক। তার বিরোধিতা যারা করছেন, তারা ভুল করছেন। কেননা, লিটন ভাইয়ের হাত ধরে আজ অনেকেই এমপি, মন্ত্রী কিংবা রাজনৈতিক নেতা হয়েছেন। অথচ তারা তাকেই অসম্মান করেন। এটি মেনে নেওয়া যায় না।’ দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। তবে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রাজশাহীর কয়েকজন সংসদ সদস্য আমার পরাজয় চেয়েছিলেন। তারা সবসময় আমাকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। বাঘায় বাবুল হত্যার পর শাহরিয়ার আলম প্রকাশ্যে আমার ওপর দায় চাপিয়ে মামলা করতে চাইলেন। অথচ এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অতীত কোনো ইতিহাস আমার নেই। আমিও এর বিচার চাই।’ আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল বলেন, ‘আমি সবসময় শান্তির পক্ষে। কেউ বলতে পারবে না কোথাও পক্ষপাতিত্ব করেছি। এখন রাজশাহীতে যেসব ঘটনা ঘটছে, সেগুলো আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। বাঘার বাবুল হত্যার পর আমি দুপক্ষের সঙ্গেই কথা বলেছি। সবাইকে সংযত হয়ে কথা বলার অনুরোধ জানিয়েছি। অচিরেই দুপক্ষকে নিয়ে বসে সমস্যাগুলোর সমাধান করা হবে। আমরা সে চেষ্টা করছি।’
০৭ জুলাই, ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর নাম বিক্রি করে খাচ্ছে আওয়ামী লীগ
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর নাম বিক্রি করে খাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু দেশের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখলেও শেখ হাসিনা তা বিকিয়ে দিয়েছেন। রাষ্ট্রের প্রধান কোনো একটি দেশে সফরে যাওয়ার বিষয়ে অন্য দেশের প্রধানের অনুমতি নিতে হবে কেন? গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও রাষ্ট্রের গতিমুখ’ আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার বিরোধী দল দমনে উঠে পড়ে লেগেছে। সর্বত্র দুর্নীতি বিরাজ করছে। চাকরির বাজরের ক্ষেত্রে অনিয়ম এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ মানুষের পকেট কেটে দুর্নীতিবাজরা ফুলেফেঁপে উঠছে। সরকার দুর্নীতি দমনের কথা মুখে বললেও তলে তলে তাদের সহযোগিতা করে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। বেনজীর, আজিজ, ফয়সাল, মতিউর এর উদাহরণ। নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বাংলাদেশের সর্ব অঙ্গে ব্যথা। ওষুধ দেওয়ার জায়গা নেই। ব্যাংকে রিজার্ভ নেই। দেশের সার্বভৌমত্ব হারিয়ে গেছে। দেশের প্রধান চীন সফরে যাবে, তার অনুমতি নিতে হয় দিল্লি থেকে। কয়েকটি বড় বড় বিল্ডিং, ফ্লাইওভার, ব্রিজ তৈরি করলে দেশের উন্নয়ন হয় না। মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ জাসদের নাজমুল প্রধান, ভাসানী পরিষদের রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের ফজলুল হক লালা, জেএসডির তানিয়া রব প্রমুখ।
০৭ জুলাই, ২০২৪

আওয়ামী লীগ জনসমর্থন হারিয়ে ফেলেছে : প্রিন্স
আওয়ামী লীগ জন সমর্থন হারিয়ে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ধুরাইল ইউনিয়নের দরাবন্নী গ্রামে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন মেম্বারের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল ও শোকসভায় বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। কোটাবিরোধী আন্দোলন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলনে বিএনপিকে জড়িয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য উল্লেখ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সরকারের ব্যর্থতায় যখনই কোনো আন্দোলন গড়ে ওঠে তখনই সরকার সেই আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করতে আওয়ামী নেতারা মিথ্যাচারে মেতে ওঠে। তিনি বলেন, জনগণের দল হিসেবে যে কোনো যৌক্তিক দাবি বা আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন বা সংহতি থাকাটাই স্বাভাবিক এবং আছেও। তাই বলে সেসব আন্দোলনে ভর করে সরকারবিরোধী আন্দোলন চাঙ্গা করার অভিপ্রায় বিএনপির নেই। সরকার এতটাই দুর্বল ও জনসমর্থনহীন, যে কোনো আনদোলনে সরকারের হৃৎকম্পন শুরু হয়ে যায়। তিনি ধুরাইল ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মফিজ উদ্দিনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, বিএনপি তার ত্যাগ, কর্মনিষ্ঠার কথা চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। তিনি দলের নেতাকর্মীদের প্রতি মরহুম মফিজ উদ্দিনের কর্মকাণ্ড অনুসরণ করে দল ও দেশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান। দরাবন্নী মাদ্রাসায় ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দোয়া ও শোকসভায় অন্যদের মধ্যে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আসলাম মিয়া বাবুল, হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, আরফান আলী, আবু হাসনাত বদরুল কবির, জেলা যুবদলের সহসভাপতি তারিকুল ইসলাম চঞ্চল, সদস্য মোতালেব হোসেন, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাইমুর আরেফীন পাপন, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক নূরে আলম জনি, সাবেক শিক্ষক মফিজুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এম আর আল আমিন, অন্তর আকন্দ, মির্জা সারোয়ার হোসেন তায়েব, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম রাব্বানী শেখ, বিএনপি নেতা সৈয়দ গোলজার হোসেন নাঈম, আলী আমজাদ খান দিপু, যুবদল নেতা আবু নাসের, আবদুল্লাহ আল মামুন, আল আমিন হৃদয়, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবি মোজাম্মেল হক, বিএনপি নেতা  সারোয়ার হোসেন, এমদাদ হোসেন,  ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, আলমাস ক্বারী, মওলানা মুসা মিয়া প্রমুখ। এর আগে এমরান সালেহ প্রিন্সসহ নেতাকর্মীরা মরহুম মফিজ উদ্দিনের কবর জিয়ারত করেন এবং কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। নেতারা মরহুমের বাড়িতে গিয়ে মরহুমের স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
০৪ জুলাই, ২০২৪
X