কোটা সংস্কারকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে পাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর ৩টায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে দলবেঁধে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে কিছু সময় অবস্থান নিয়ে সাড়ে ৩টার দিকে স্বাধীনতা চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে ওঠে। এরপর মাহতাব টাওয়ার এবং ক্যালিকো কটন মিল ঘুরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাই মরলো কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা দিব না’, ‘কোটা না মেধা? মেধা মেধা’-সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। অবরোধ শেষে বিকেল ৫টায় শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি শেষ করেন। আন্দোলনে আসা শিক্ষার্থী মাহফুজা ফাইজা বলেন, অন্যায়ভাবে সারা দেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ এবং ছাত্রলীগ হামলা চালাচ্ছে। আমরা তার প্রতিবাদ জানাতেই এই মিছিলে এসেছি। শিক্ষার্থী সুকান্ত দাস বলেন, অধিকার আদায়ের দাবিতে রাজপথে আমার ভাইয়েরা রক্তাক্ত হচ্ছে। আমরা আরও রক্ত দিতে প্রস্তুত কিন্তু আমাদের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। আজকের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করেছি। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আগামী দিনেও শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচী পালন করে যাব।
১৬ জুলাই, ২০২৪

পাবনা এডওয়ার্ড শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
সরকারি চাকরিতে কোটা ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল ও সংস্কারের দাবিতে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এবার পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। প্রায় এক ঘণ্টা এ অবরোধ চলে। এতে দুপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে প্রশাসনের অনুরোধে ক্যাম্পাসে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা- ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটাপ্রথার কবর দে। কোটা না মেধা, মেধা মেধা। কোটাপ্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক। আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই। আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম। দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’ ইত্যাদি স্লোগানে স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তোলেন। এর আগে বেলা ১২টার দিকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সামনে জড়ো হন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবি সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ ক্যাম্পাসেই বিক্ষোভ করেন তারা। পরে শিক্ষার্থীরা পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন- এই কোটার মাধ্যমে মূলত মুক্তিযোদ্ধাদেরই অসম্মান করা হচ্ছে। কারণ তারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বৈষম্যে কারণে যুদ্ধ করেছিলেন। আজকে মেধার অবমূল্যায়নের মাধ্যমেই তাদের সেই অবদানকে হেয়পতিপন্ন করা হচ্ছে। আমরা কোটা সম্পূর্ণ বাতিল নয়, কোটার সংস্কার চাই। মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দেওয়া হোক কিন্তু তাদের নাতি-পুতিরা কোটা পাবে এটা মেনে নেওয়া যায় না।
১১ জুলাই, ২০২৪

কোটা বাতিলের দাবিতে পাবিপ্রবিতে মশাল মিছিল
সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় বাতিল এবং কোটাপদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে মশাল হাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার চত্বর থেকে এ মিছিল শুরু হয়। এরপর মশাল মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষনিক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এসে শেষ হয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সেখানে আবস্থান নিয়ে সম্মিলিত কণ্ঠে কোটা প্রথার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন ‘কোটা না মেধা? মেধা মেধা’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে’, "একাত্তরের হাতিয়ার,গর্জে উঠো আরেকবার" ইত্যাদি। এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি সকল গ্রেডের চাকরিতে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটাপদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে। তারা আরও বলেন, 'আমাদের এই আন্দোলন আমাদের অধিকার আদায়ের। আমরা আমাদের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থেকে পিছু হটবো না।'
০৮ জুলাই, ২০২৪

ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পাবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থী
ঢাকায় কুড়িল ফ্লাইওভার এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন পাবনা বিজ্ঞান ও  প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) সাবেক এক শিক্ষার্থী। রোববার (২৩ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মৃত ওই শিক্ষার্থীর নাম মাহমুদুল হাসান (৩০)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ইটাগাছা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে তিনি। ঢাকায় তিনি একটা আর্কিটেক্ট ফার্মে কর্মরত ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় কানে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইন পারাপারের সময় ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেন মাহমুদুল হাসানকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই মাহমুদুল হাসান নিহত হন। মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুতে শোক ছড়িয়ে পড়েছে স্থাপত্য বিভাগে। তার মৃত্যুতে তার সহপাঠী, সিনিয়র, জুনিয়র সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন পোস্ট করেছেন। স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান খান লিখেন, শেষ দেখাটা এভাবে হবে কখনোই ভাবিনি ভাইয়া। গত সপ্তাহে আপনার নিমন্ত্রণ রক্ষা করলে হয়তো মনের কিছু কথা বিনিময় হতো। কত মজার স্মৃতি জমা পরে গেল মনের কোঠায়। জীবন থেকে একজন মেন্টরকে হারালাম। সমস্যায় পড়লে আর হয়তো সমাধান চাওয়া হবে না। আপনার মতো করে অন্য কেউ সমাধান দিবেও না। আল্লাহ আপনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুক। আরেক শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ লিখেন, মাহমুদ ভাই আজকে ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। বিভাগের শিক্ষকরা ডাকার সময় উল্লেখ করে ডাকতেন। সিনিয়র মাহমুদ নাকি জুনিয়র মাহমুদ। শেষবার যখন ভাই বিভাগে গিয়েছে তখন বলেছি, ভাই আমি কিন্তু মাঝে মধ্যে আপনাকে ফোন দেব। আর ফোন দেওয়া হয়ে উঠেনি। চুপচাপ মানুষটা চলে গেল। অমায়িক এ মানুষটাকে আল্লাহ জান্নাত নসিব করুক। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন স্থাপত্য বিভাগের চেয়ারম্যান বিজয় দাশ গুপ্ত। তিনি বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও মর্মান্তিক সংবাদ। পুরো বিভাগ শোকাহত। আমরা মাহমুদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
২৩ জুন, ২০২৪

পাবনা প্রেস ক্লাব ও সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার জন্ম জন্মান্তরের সম্পর্ক : রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও পাবনা প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, পাবনা প্রেস ক্লাব ও পাবনার সাংবাদিকতার সঙ্গে আমার জন্ম জন্মান্তরের সম্পর্ক। আমি প্রাণ দিয়ে যে সব প্রতিষ্ঠানকে লালন করি তার মধ্যে পাবনা প্রেস ক্লাব অন্যতম। এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। সোমবার (১০ জুন) রাতে পাবনা প্রেস ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দ আড্ডায় রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এ সব স্মৃতিচারণ করেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি পাবনা জেলার উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। এ জন্য কোনো সমালোচনা বা পিছু কথা আমি মনে রাখি না। আমি আমার সাধ্যমত জেলার উন্নয়নে কাজ করব। আমি ইছামতি নদীর সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে দিয়েছি। যাতে করে একটি দৃষ্টিনন্দন শহর হয়। আমি ৫০০ বেডের পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি। প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সহায়তায় পাবনার উন্নয়নে আমি কাজ করে যাব। তিনি আরও বলেন, আমি পাবনা প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য। প্রেস ক্লাবের নিজস্ব ভবন তৈরিতে আমার সার্বিক সহায়তা থাকবে। এ জন্য যাকে বলা দরকার আমি তাদের বলব।  পাবনা প্রেস ক্লাব সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গভবনের সচিব ওবায়দুজ্জামান খান, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মো. আদিল উদ্দিন, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, পাবনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, সাবেক সভাপতি প্রফেসর শিবজিত নাগ, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি মীর্জা আজাদ, সহসভাপতি শহীদুর রহমান শহীদ, পাবনা প্রেস ক্লাব সাবেক সম্পাদক আব্দুল মতীন খান, সাবেক সম্পাদক উৎপল মির্জা, সাবেক সম্পাদক আখিনুর ইসলাম রেমন প্রমুখ।  এ দিন রাত সাড়ে ৮টায় রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন পাবনা প্রেস ক্লাবে এসে পৌঁছালে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান পাবনা প্রেস ক্লাব সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদসহ প্রেস ক্লাবের নেতারা। এর আগে রাষ্ট্রপতি পাবনা ডায়বেটিক সমিতি, লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, প্যারাডাইস মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে কিছু সময় কাটান। রোববার (৯ জুন) দুপুরে হেলিকপ্টারযোগে চার দিনের সফরে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন পাবনার শহীদ আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে পৌঁছেন। পরে সেখান থেকে সড়কপথে পাবনা সার্কিট হাউসে আসেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পাবনায় এটি তার চতুর্থ সফর। 
১১ জুন, ২০২৪

পাবিপ্রবিতে আবাসিক হলের ৫০২ সিটের ৩৯৭টি বেদখল
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) ছেলেদের একমাত্র আবাসিক হল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের মোট সিট সংখ্যা ৫০২টি। এর মধ্যে ৩৯৭টি সিটই চলে গেছে হল প্রশাসনের বেদখলে। ফলে হল প্রশাসন প্রতি মাসে প্রায় ১ লাখ টাকা ভাড়া হারাচ্ছেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দের সময় বিভিন্ন খরচ বাবদ এককালীন টাকা আদায়ের প্রায় ৪ লাখ টাকা আয় থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবাসিক হলের দুটি ব্লকে ৬৫টি করে মোট ১৩০টি রুম রয়েছে। যার মধ্যে ৬টি রুমে ১ জন করে এবং বাকি ১২৪টি রুমে ৪ জন করে মোট ৫০২ জন শিক্ষার্থী থাকতে পারেন। যেখানে ‘এ’ ব্লকের ২৬০টি সিটের মধ্যে ১৬৩টি এবং ‘বি’ ব্লকের ২৪২টি সিটের মধ্যে ১৫৮টি সিটে অবৈধভাবে থাকছে শিক্ষার্থীরা। তবে অবশিষ্ট বৈধ সিটের আরও ৭৬ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করে অনেক আগেই ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। হল প্রশাসন থেকে নিয়মিত তথ্য হালনাগাদ না করার ফলে এই সিটগুলো কাগজে কলমে এখনও বৈধ দেখালেও মূলত সেখানে অবৈধভাবে থাকছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে এ সিটসহ দুই ব্লক মিলিয়ে মোট ৩৯৭টি সিট অবৈধ এবং মাত্র ১০৫টি সিট বৈধ। খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, ‘এ’ ব্লকের ৬৫টি রুমের মধ্যে ২৭টি এবং ‘বি’ ব্লকের ৬৫টি রুমের মধ্যে ৩৭টি রুমের সব সিটই অবৈধ। বাকি রুমগুলোর কোনোটিতে একজন অথবা দুজন বৈধ শিক্ষার্থী থাকেন। বিষয়টি হল প্রশাসনের জানা থাকলেও এ নিয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। হল প্রশাসনের এমন নীরব ভূমিকাতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনাবাসিক সাধারণ শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী কালবেলাকে জানান, সর্বশেষ ২০২২ সালে হলে ওঠার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। আমিসহ আমার ছয়জন বন্ধু হলে উঠার জন্য আবেদন করি এবং ভাইভাতে অংশগ্রহণ করি। এরপর হল প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে হল প্রশাসন পরে জানানোর কথা বলে। কিন্তু পরে আমাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করেননি। হলের একাধিক সূত্রে জানা যায়, ১৩০টি রুমের মধ্যে তাবলিগ জামাতের ৮টি রুম ছাড়া, বাকি রুমগুলো নিয়ন্ত্রণ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের প্রায় ৯ থেকে ১০টি গ্রুপ—উপগ্রুপের নেতারা। কোন রুমে কে উঠবে, কে নামবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটা তারাই ঠিক করে দেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতারা বলছেন, হল প্রশাসনের অদক্ষতার কারণেই শিক্ষার্থীরা এখন হল প্রশাসনকে মূল্যায়ন করছেনা। শিক্ষার্থীদের অবৈধভাবে থাকার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু কালবেলাকে বলেন, এতগুলো সিট অবৈধ থাকা হল প্রশাসনের ব্যর্থতা। আমরা কখনোই আমাদের নেতাকর্মীদের বলি না হলে অবৈধভাবে থাকতে। হলের অবৈধভাবে থাকা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হল প্রশাসন অভিযান চালাক, আমরা সহযোগিতা করব। হল প্রশাসনের একটি সূত্র বলছে, করোনার পর থেকে কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীকে হলের সিট দিতে পারেননি হল প্রশাসন। একাধিকবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের হলে ওঠার বিজ্ঞপ্তি দিলেও সেটা কার্যকর হয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নতুন প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আমিরুল ইসলাম মিরু কালবেলাকে বলেন, এতগুলো সিট অবৈধ থাকা উদ্বেগের। আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেছি মাত্র তিন মাস হয়েছে। এর মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ডাইনিং চালু, খাবার পানি সংকট নিরসনসহ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। যেন শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত সুযোগ—সুবিধা পেয়ে হলের সিট বৈধ করতে উৎসাহ পায়। এ পর্যন্ত দুইবার অবৈধ সিটগুলো বৈধ করার জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। হলের সিটগুলো বৈধ করার জন্য আমি সামনে অভিযান পরিচালনা করব।
২৩ মে, ২০২৪

প্রতিষ্ঠার ১৬ বছরেও সবুজায়ন হয়নি পাবিপ্রবি ক্যাম্পাস
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৬ বছর পার হতে চললেও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে সবুজায়ন করতে পারেনি প্রশাসন। ফলে ছায়া প্রদানকারী গাছ শূন্য ক্যাম্পাসের প্রখর রোদ আর তীব্র গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে এখানকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।  ২০১৯ সালে অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য এবং অপরিকল্পিতভাবে গাছ লাগানোর অভিযোগ তুলে বিভিন্ন সময়ে গাছ রক্ষার দায়িত্বে থাকা কর্তা ব্যক্তিরা অনেক গাছ নিধন করেছেন। গাছ লাগানো নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থী মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় দ্রুত সবুজায়নের পরিকল্পনা নিয়ে ক্যাম্পাসে অধিক সংখ্যক গাছ লাগানোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানান, যখনই শিক্ষার্থীরা গাছ লাগানো প্রতিবাদ করে, প্রশাসন থেকে বলা হয় গাছ লাগানোর সিদ্ধান্তে একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরক্ষণেই আমরা দেখি দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ তখন পার্ক সাজানোর মতো করে কয়েক ধাপে গাঁদা ফুল লাগান। যা কয়েকদিন পরেই মারা যায়। এগুলো স্রেফ লোক দেখানো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থের অপচয়। স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী তানজির হোসেন তনু কালবেলাকে জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শেষ হওয়ার পর ক্যাম্পাসে গাছ লাগানোর সিদ্ধান্তে একটা কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তারা স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের দিয়ে কয়েকটি নকশা করান। কিন্তু প্রায় ২ বছর হয়ে গেলেও তারা নকশা অনুযায়ী একটি গাছও লাগাননি।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী বলেন, ‘প্রশাসনের অদূরদর্শিতার কারণেই এত বছরেও বিশ্ববিদ্যালয় সবুজায়ন হয়নি। শুরু থেকে ভালো পরিকল্পনা থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় এতদিনে সবুজে ভরে উঠতো।’ গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাজেন্দ্র চন্দ্র ভৌমিক কালবেলাকে বলেন, ‘ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, প্রশাসনসহ অনেকেই অনেক গাছ লাগিয়েছে। রাস্তা প্রশস্ত করার সময় অনেকগুলো গাছ কাটা হয়েছে। ক্যাম্পাসকে সবুজায়ন করতে হলে আমাদের পরিকল্পনা নিতে হবে। আর গাছ লাগানোর পর কমপক্ষে ২ থেকে ৩ বছর নিয়মিত পানি ও সার দিয়ে গাছের যত্ন নিতে হবে। দুঃখের বিষয় সেটা কেউ করে না।’ তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও গাছ পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা জানান, গত ২ বছর প্রকল্পের কাজের জন্য কোনো বড় গাছ লাগানো হচ্ছে না। পরিকল্পিতভাবে সবুজায়নের জন্য ইতোমধ্যে উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসের বালু মাটিতে শুধু গর্ত করে গাছ না লাগিয়ে এবার পরিকল্পনা করা হচ্ছে প্রথমে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি উপড়ে সেগুলোতে সার ও গোবর মিশিয়ে বৃষ্টি পর্যন্ত অপেক্ষা করা এবং বৃষ্টির মাঝ সময় থেকে গাছ লাগানো।  এ বিষয়ে এস্টেট শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার জহরুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, প্রশাসনের নির্দেশনায় মাস্টারপ্ল্যান করে বর্ষার মৌসুমে সবুজায়নের লক্ষ্যে গাছ লাগানো হবে। যাতে পরবর্তীতে কোনো প্রকল্পের কাজ হলে আর গাছ কাটা না পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন কালবেলাকে বলেন, ‘আমাদের প্রকল্পের কাজ চলছে। জুনের ৩০ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান প্রজেক্টের কাজ বুঝে পাওয়ার পর আমরা মাস্টারপ্ল্যান করে গাছ লাগানো শুরু করবো। আমরা বৃষ্টির মৌসুমকে সামনে রেখে গাছ লাগানোর চিন্তা করছি।’
১৯ মে, ২০২৪

পাবিপ্রবিতে নেই মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, হয় না সঠিক কাউন্সিলিং
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) প্রতিষ্ঠার এক যুগ পার করলেও এখন পর্যন্ত কোনো মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এতে মানসিক স্বাস্থ্যের উপযুক্ত চিকিৎসা না পেয়ে প্রায়ই জটিল সমস্যায় ভোগেন শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নরত প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর শারীরিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্যে ক্যাম্পাসে একটি মেডিকেল সেন্টার থাকলেও মানসিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য নেই কোনো কাউন্সিলিং সেন্টার। এতে করে যে সকল শিক্ষার্থী বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগে ভুগছেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে কোনো চিকিৎসা নিতে পারছেন না। সেশন জটের কারণে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে ইতিহাস বিভাগের দুই শিক্ষার্থী ফেসবুকে আত্মহত্যার হুমকি দেন। এর আগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পারিবারিক সমস্যার কারণে পাবনা শহরের একটি মেসে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদুর রহমান জামিল আত্মহত্যা করেন। গত ২৫ মার্চ স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার জের ধরে শারভিন সুলতানা নামের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক শিক্ষার্থী পাবনা শহরের মনসুরাবাদ এলাকায় আত্মহত্যা করেন। সর্বশেষ গত শনিবার ৪ মে আইসিই ডিপার্টমেন্টের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রিফাত সরকার নামে এক শিক্ষার্থী ড্রপ আউটের সংশয় থেকে আত্মহত্যার করতে যায় কিন্তু ভাগ্যক্রমে সে বেঁচে যান। এরপর থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে চলমান মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ ও সঠিক কাউন্সিলিংয়ের দাবি আবারও প্রকাশ্যে এসেছে। শিক্ষার্থীরা জানান, ব্যক্তিগত ও পরিবার জীবন, পড়াশোনা ও পরীক্ষার মানসিক চাপ, র‍্যাগিংয়ের শিকার হওয়া, জুনিয়র কর্তৃক সিনিয়র লাঞ্ছিত হওয়াসহ পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে বিভিন্ন সময়ে জীবনে হতাশা চলে আসে। দীর্ঘদিন ধরে এই হতাশা চলতে থাকলে এটি মানসিক রোগের আকার ধারণ করে। তখন রোগ নিরাময়ের জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া জরুরি হয়ে পড়ে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো মনোরোগ বিশেষজ্ঞ না থাকার কারণে দিনের পর দিন তাদেরকে অসুস্থ জীবনযাপন করতে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগের দিতে না পারলেও শিক্ষার্থীদের মানসিক সমস্যাসহ যেকোন সমস্যা সমাধানের জন্য ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালকের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ টি বিভাগ থেকে ২১ জন শিক্ষককে সহকারী ছাত্র উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যারা শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য কাজ করছেন। তবে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২১ জন সহকারী ছাত্র উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হলেও সেটি কাজে আসছে না। অনেক শিক্ষার্থী আছেন যার জানেনই না ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের কাজ কি বা শিক্ষার্থীদের কল্যাণের তাদের ভূমিকা কি হতে পারে। তারা আরও বলেন, একজন ডাক্তারের কাজ একজন শিক্ষক দিয়ে সম্ভব না। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কাউন্সিলিং সেন্টার খোলা কিংবা মেডিকেল সেন্টারে একজন কাউন্সিলর নিয়োগ দেওয়া জরুরি। এ বিষয়ে বিভিন্ন বিভাগের কয়েকজন সহকারী ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তারা বলছেন, একজন ডাক্তারের কাজ একজন শিক্ষককে দিয়ে হয় না। আমরা হয়তো কিছু সময়ের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে ভালো রাখতে পারি, কিন্তু মূল সমস্যার সমাধান দিতে পারি না। শিক্ষার্থীরাও বুঝে আমাদের কাছে আসলে আমরা তাদের মানসিক সমস্যার সমাধান দিতে পারবো না। এই কারণেই হয়তো তারা আমাদের কাছে আসেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইংরেজি বিভাগের এক ছাত্রী বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য শিক্ষার্থী মানসিক রোগে ভুগছেন। আমারও মাঝে মাঝে অকারণে মন খারাপ হয়, পড়াশোনায় মন বসে না, কারও সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছা করে না। ক্যাম্পাসে যদি কোনো মনোরোগ বিশেষজ্ঞ থাকতো তাহলে হয়তো তাকে সমস্যাগুলো বললে তিনি এর একটা সমাধান দিতেন। ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিবুল হক সীমান্ত বলেন, আমরা চাইলেই নিজের ব্যক্তিগত সকল সমস্যার কথা একজন শিক্ষককে বলতে পারি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট কোনো মনোরোগ বিশেষজ্ঞ থাকলে তার কাছে মনের কথা খুলে বলতে পারি। তা ছাড়া একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ আমার মূল সমস্যা আইডেন্টিফাই করতে পারবেন যা একজন শিক্ষক কখনই পারবেন না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. নাজমুল হোসেন কালবেলাকে বলেন, ‘ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরে মানসিক সমস্যা নিয়ে কোনো শিক্ষার্থী আসেন না। আর্থিক সমস্যা নিয়েই বেশি শিক্ষার্থী আসেন। শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে আমিও মনে করি এখানে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ থাকা প্রয়োজন। এই বিষয়টি আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি, আশা করি প্রশাসন দ্রুত একটা সমাধান দিবে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন,‘কাউন্সিলিং সেন্টার খোলা বা কাউন্সিলর নিয়োগ করা সময় সাপেক্ষ বিষয়। তবে আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য পাক্ষিক বা মাসিক কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করবো। এ নিয়ে আমাদের কথাবার্তা হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুতই সবাই এর বাস্তবায়ন দেখবে।’
১২ মে, ২০২৪

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা / ‘সি’ ইউনিটে পাবিপ্রবিতে উপস্থিতি ৮৩.১৮ শতাংশ
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) কেন্দ্রে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছের ‘সি’ ইউনিটের (ব্যবসায় শিক্ষা) ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৮৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। শুক্রবার (১০ মে) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ১ হাজার ৩৩৮ জন আবেদন করেন। এর মধ্যে ১ হাজার ১১৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। সে হিসেবে পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৮৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন ও প্রক্টর ড. মো. কামাল হোসেন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, পরীক্ষা খুবই সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় তিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ পাবনাবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর  ড. মো. কামাল হোসেন বলেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে 'সি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা প্রক্টরিয়াল বডি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছি।
১০ মে, ২০২৪

এক দিনে পাবিপ্রবিতে দুই আগুন
এক দিনে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ভিন্ন ভিন্ন দুটি স্থানে আগুন লেগেছে। রোববার (৫ মে) ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের দ্বিতীয় তলায় ফার্মেসি বিভাগে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে এ আগুনের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষের এসি থেকে এবং আবাসিক হলে ছাত্রদের ফেলা সিগারেটের আগুন থেকে পানির পাইপে পৃথক এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটান ঘটে। ফার্মেসি বিভাগের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিষয়টি ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শরিফুল হক নিশ্চিত করেছেন। অন্য ঘটনায় হলের শিক্ষার্থীরা নিজেরাই আগুন নিভিয়ে ফেলে। এ বিষয়ে ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শরিফুল হক জানান, সকাল ১১টার দিকে ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষের এসিতে আগুন লাগে। তবে ঘটনার সময় আমি পরীক্ষা সংক্রান্ত মিটিংয়ে থাকায় বিভাগে ছিলাম না। ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।  পরে এসে অফিস স্টাফদের কাছে ঘটনা শুনতে পাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের উপ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী (ইইই) মো. রিপন আলী জানান, আগুন লাগার ঘটনা শুনে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের লুজ কানেকশন থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
০৫ মে, ২০২৪
X