মশা নিধনে জনগণের সহযোগিতা চাইলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
মশা নিধনে জনগণের সহযোগিতা চেয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, জনগণের সহযোগিতা ছাড়া এটা ভীষণ কঠিন। তাই সিটি কর্পোরেশন মশা নিধনের চেষ্টা করবে জনগণের সহযোগিতা নিয়ে। নিধন যতটুকু করতে পারবে করবে। তারপরও মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। আক্রান্ত হলে চিকিৎসা করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রী বলেন, এত বিস্তীর্ণ এলাকা মশা প্রজননের জন্য আছে, সেখানে সব জায়গায় তো ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে না। খালের মধ্যে তো মশা মারা যাচ্ছে না। আমাদের বাস্তবমুখী হতে হবে। মানুষসহ কাজ না করলে, কোথাও কোনো সরকার রাষ্ট্র সফল হতে পারে না। বুধবার (২০ মার্চ) সকালে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের রাজউক খালপাড় এলাকায় মশা নিধন কর্মসূচিতে যোগ দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, রাজউকের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞাসহ ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  ডিএনসিসির আয়োজনে পরিদর্শনের মন্ত্রী ও মেয়র খালের পাড় দিয়ে হেঁটে খালের কিছু অংশ ঘুরে দেখেন। এসময় তারা খালের কচুরিপানায় ব্যাপক কিউলেক্স মশা দেখতে পান।  তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা সবাই এডিস নিয়ে বেশি আতঙ্কিত। কারণ, এডিস মশার কামড়ে আক্রান্ত রোগীরা মারা যান। সে ক্ষেত্রে বছরের প্রথম থেকে এ নিয়ে বলেছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই বিষয়টি নিয়ে তিনি সতর্ক। মশা নিধন কারো একার পক্ষে সম্ভব নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস করতে হবে। প্রতিকার থেকে প্রতিরোধ উত্তম উল্লেখ করে তিনি বলেন, মশা নিধনে সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হচ্ছে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা যাতে মশার উৎপাদন না হয়। সেজন্য জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি। নিজ বসতবাড়ি এবং নিজ এলাকা পরিষ্কার করার দায়িত্ব আমাদের সবার তাহলেই প্রাণঘাতী ডেঙ্গু জ্বর থেকে আমরা নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারবো। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ শুধু একা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে সম্ভব নয়। সবাইকে সচেতন হতে হবে। এডিস মশার জন্য যার যার ঘর, অফিস-আদালত তাকে দায়িত্ব নিতে হবে। আমার কাছে কিন্তু অসম্ভব, কারও বাড়ির ছাদে পানি জমে আছে কি না, তা দেখা। এটি এডিস মশার জন্য সকলকে সামাজিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন হট স্পটগুলোয় চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিচ্ছে। এডিস মশা থেকে বাঁচার জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পাড়ায়, মসজিদে, মন্দিরে, চার্চে আলাপ করতে হবে যার যার এলাকা পরিষ্কার করা জন্য। মেয়র বলেন, গুলশান-বারিধারার মতো লেকে মশার জন্ম হচ্ছে। শুধু সিটি কর্পোরেশন একলার জন্য অসম্ভব ব্যাপার। সরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে। যে খালে আজকে কাজ করা হচ্ছে, সেটি রাজউক ও ওয়াসার খাল। অনেকবার খালটিকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে দিতে বলেছি। রাজউককে বলেছি, ওয়াসাকে বলেছি কিন্তু কেউ পরিষ্কারে এগিয়ে আসেনি। নিজেদের মধ্যে এমন চলতে থাকলে শেষ পর্যন্ত জনগণ কষ্ট পাচ্ছে। যত দিন লাগে সিটি কর্পোরেশন এ খাল পরিষ্কার করে দেবে। সাংবাদিকের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঈদের পর থেকেই ব্যাপকভাবে ক্যাম্পেইন শুরু করবো। গতবার মশার লার্ভা নিধনের জৈব কীটনাশক বিটিআই (বাসিলাস থুরিনজেনসিস ইসরায়েলেনসিস) আমিদানির উদ্যোগ নিয়েছিলাম কিন্তু আপনারা জানেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জালিয়াতির কারণে সেটি ব্যবহার করা যায়নি। তাই এবার আমরা সিটি কর্পোরেশন থেকে সরাসরি বিটিআই আমদানি করছি। আশা করছি আগামী দুই মাসের মধ্যে বিটিআই নিয়ে আসবে। ওষুধ ছিটানোর জন্য অত্যাধুনিক মেশিনও (হুইলবারো মেশিন) আনার প্রক্রিয়া চলছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা বর্ষার আগেই প্রস্তুতি নিয়েছি।
২০ মার্চ, ২০২৪

বাঙালির কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা বঙ্গবন্ধুই এনে দিয়েছেন : মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে ডিএনসিসি।   আজ রোববার (১৭ মার্চ ) ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম রাজধানীর গুলশান-২ এ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মূল ফটকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ডিএনসিসির সকল কর্মকর্তা, কাউন্সিলর, ডিএনসিসি শ্রমিক লীগ, ডিএনসিসি স্ক্যাভেঞ্জার্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, ডিএনসিসি পরিবহন চালক-শ্রমিক-কর্মচারী কল্যাণ ইউনিয়ন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে নগর ভবনের হলরুমে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার শুরুতেই জাতির পিতার রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। সভায় উপস্থিত অতিথিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা সভায় মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, পাল, সেন, সুলতান, মোঘল, আফগান, ইংরেজ শাসন যাই বলি না কেনো, হাজার বছর পরাধীনতার গ্লানি বয়ে বেড়িছে এ জাতি। স্বাধীনতা ছিল আজন্ম চাওয়া। কেউ স্বাধীনতা দিতে পারেনি। কেবল স্বাধীনতা দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। যার তর্জনীর ইশারায় মুক্তিপাগল মানুষ সমুদ্রের মতো জেগে উঠেছিল। ছিনিয়ে এনেছিল এই দেশ, এই স্বাধীনতা, একটি স্বাধীন মানচিত্র। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন দেশের জন্য এবং দেশের মানুষের জন্য কষ্ট করেছেন, জেল খেটেছেন। নিজেকে নিয়ে কখনো ভাবেননি। সবসময় এই দেশের জনগণের কথা ভেবেছেন। আমি বলতে চাই বঙ্গবন্ধুর মতো জীবন দেওয়ার দরকার নাই, শুধু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে নিজেদের দায়িত্ব পালন ও নিজেদের কাজটা সঠিকভাবে করে যান। তাহলেই সুন্দর শহর গড়ে উঠবে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হাসিনা বারী চৌধুরী, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান প্রমুখ।
১৭ মার্চ, ২০২৪

‘অনুমতি পেলে দেশেই তৈরি হবে ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমতি পেলে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের ভ্যাকসিনের সিঙ্গেল ডোজ দেশে বানানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশানস্থ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ভবনে ‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় বছরব্যাপী আমাদের প্রস্তুতি এবং করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন বক্তারা। তারা বলেন, আগামী মার্চ নাগাদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমতি পেলে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের সিঙ্গেল ডোজ দেশে বানানো সম্ভব হবে। এর দামও হবে অনেক কম। যত বেশি নগরায়ন বাড়বে ডেঙ্গুও তত বাড়বে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে অন্যতম প্রধান বাধা। কেবল উত্তর সিটি করপোরেশন নয়, উত্তর- দক্ষিণ দুই সিটি করপোরেশনকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। এসময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, যারা মশক নিধনের সঙ্গে জড়িত সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমাদের চেষ্টার কমতি থাকবে না। মশক নিধনের সঙ্গে যে প্রতিষ্ঠান জড়িত, তাদের সবাইকে নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটি করা হবে। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে এই কমিটি কাজ শুরু করবে। এরপর থেকে বিটিআই সরাসরি ডিএনসিসি আমদানি করবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, বিভিন্ন বেসরকারি ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের সিড এনেছে। অনুমতি পেলে অচিরেই ভ্যাকসিন তৈরি করা যাবে। এসব নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও উত্তর সিটি এক সঙ্গে কাজ করছে। অনেক কাজ করার পরও ডেঙ্গুর ব্যাপারে তেমন অগ্রগতি হচ্ছে না। অসফলের কারণ বের করতে হবে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বেনজীর আহমেদ বলেন, একসময় দেশে কালাজ্বর ছিল। সেটা নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। ২০২৪ সালে যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তাতে কাজের উদ্দেশ্য, লক্ষ্য থাকার দরকার ছিল। আমাদের কীটতাত্ত্বিক সক্ষমতার অভাব আছে। প্রশিক্ষিত লোকের অভাব আছে, তাই এখন থেকেই কীটতাত্ত্বিক সক্ষমতার প্রশিক্ষণ দিয়ে কীটতত্ত্ববিদ বাড়াতে হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে টেকনিক্যাল কমিটি করতে হবে। ওয়ার্ডভিত্তিক ডেঙ্গু জরিপ করতে হবে। ল্যাবের সংখ্যাও বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, বিমানবন্দর প্রতিনিধি, মেট্রোরেল প্রতিনিধি, আইআইডিসিআর প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

প্যারিস খাল / সময়ের মধ্যে না সরলে উচ্ছেদ করা হবে : মেয়র আতিক
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মিরপুর প্যারিস খাল পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে যোগ দিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, খালের জায়গায় কিছু বস্তি আছে। বস্তিবাসীদের এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে সরে যাওয়ার জন্য। চাইলে আজকে বুলডোজার দিয়ে সব ভেঙে ফেলতে পারতাম কিন্তু ভাঙিনি, তাদের সময় দিয়েছি। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিরপুর প্যারিস খালে এই কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে প্যারিস রোড সংলগ্ন মাঠে বিডি ক্লিনের স্বেচ্ছাসেবীদের দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার শপথ বাক্য পাঠ করান মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। মেয়র বলেন, এরই মধ্যে খালের জমি মাপা শুরু হয়েছে। খালের জায়গার মধ্যে যে বিল্ডিং পড়বে সেগুলো ভেঙে দেওয়া হবে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, প্যারিস খাল পরিষ্কার শুরু করেছি। প্রথম ধাপে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হওয়া প্যারিস খালে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে।  তিনি বলেন, দুই দিন আগে পরিদর্শনে এসে আমি সবাইকে খালের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। অনেকে যার যার স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষ সময় চেয়েছে। অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য আমি তাদের এক মাস সময় দিয়েছি। ময়লা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে। মেয়র বলেন, একসময় মিরপুর প্যারিস খাল দিয়ে লঞ্চ চলত। আর আজ সেই খাল ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ময়লার কারণে এই খালে কোনো পানি নেই বরং খালের ওপর দিয়ে হাঁটা যায়। আমি নিজে জনগণের জন্য খাল পরিষ্কারে অংশ নিয়েছি। এলাকাবাসীর লজ্জা হওয়া দরকার তারা এই খালটিকে ময়লা ফেলে, দখল করে গলা টিপে হত্যা করেছে। স্বেচ্ছাসেবীরা আজ ছুটির দিনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে খাল পরিষ্কারের জন্য ছুটে এসেছে। অথচ এই ছেলেমেয়েদের আজকে মাঠে খেলাধুলা করা কথা ছিল, বাসায় বিশ্রাম করা কথা ছিল। কিন্তু তারা খেলা, বিশ্রাম বাদ দিয়ে খাল পরিষ্কারে অংশ নিয়েছে। এলাকাবাসীকে আহ্বান করছি এর থেকে শিক্ষা নিয়ে খালে ময়লা ফেলা বন্ধ করুন। এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, এই এলাকার মানুষ আমাকে অভিযোগ করে একটু বৃষ্টি হলে এই এলাকা পানিতে ডুবে যায়। অনেক মুরুব্বি আমাকে জানিয়েছে মসজিদের অযুখানা পর্যন্ত বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। প্যারিস খাল দিয়ে যদি পানি প্রবাহিত হতে পারে তাহলে কিন্তু এই জলাবদ্ধতা থাকবে না। সবাই বলে জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন কিছু করে না। এলাকাবাসীকে বলতে চাই আপনারা যদি খালে ময়লা ফেলা বন্ধ করেন তাহলে জলাবদ্ধতা থাকবে না। শুধু সিটি না, আপনাদের নিজেদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। এ সময় তিনি আরও বলেন, এখানে কিছু কিছু জায়গায় মাদকের বাণিজ্য চলে। এখানে বড় একটি চক্র ও গ্যাং মাদক কারবারি করছে আমার কাছে তথ্য এসেছে। অভিযান শুরু হয়েছে। এখানে ধাপে ধাপে কাজ করা হবে। প্রথমে আমরা প্যারিস খালে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করতে চাই। দ্বিতীয় ধাপে খালের ৪০ ফিট জায়গায উদ্ধারের পরে যে জায়গা থাকবে সে জায়গায় ওয়াকওয়ে তৈরি করা হবে। পরে আরও দুপাশে জায়গা পাওয়া গেলে সেখানে একটি নান্দনিক পার্ক তৈরি করব। অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহে আলম, অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক প্রমুখ। উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারি মিরপুর প্যারিস খাল পরিদর্শনে এসে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা এবং অবৈধ দখল উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছিলেন ডিএনসিসি মেয়র।   
০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ঢাকার বায়ুদূষণ অনেক বেশি, স্বীকার করলেন মেয়র
এবারের শীতেও প্রায়ই বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষস্থানে থাকছে রাজধানী ঢাকা। গেল ২০২৩ সাল আট বছরের মধ্যে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর বছর ছিল এ নগরী। এ দূষণ রোধে সিটি করপোরেশনের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা না গেলেও ঢাকার বায়ুদূষণের তীব্রতা স্বীকার করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে তাপমাত্রা  দিন দিন বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি বর্তমানে ঢাকার বায়ুদূষণ অনেক বেশি।’ এ দূষণ রোধে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় বায়ুদূষণ ও তাপমাত্রা কমাতে গবেষণার মাধ্যমে কারণ এবং সম্ভাব্য প্রতিকার খুঁজে বের করতে তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির সিদ্ধান্তও নিয়েছে সংস্থাটি।  বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনের হলরুমে ২য় পরিষদের ২৫তম করপোরেশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ইতিমধ্যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছি। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ও বায়ুদূষণ রোধে এটি ভূমিকা রাখবে। তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই চুক্তির ফলে গবেষণা করে বায়ুদূষণ রোধে এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আরও কি কি করণীয় সে বিষয় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে। শহরের পরিবেশ রক্ষায় এই সমন্বিত উদ্যোগ ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে সেন্টার ফর অ্যাটমসফরিক পলিউশন স্টাডিজ, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, ঢাকা নর্থ কমিউনিটি টাউন ফেডারেশন। ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, ডিএনসিসির সকল বিভাগীয় প্রধান ও ডিএনসিসির কাউন্সিলরবৃন্দ এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 
১৭ জানুয়ারি, ২০২৪

অগ্নি রোধে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে : ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীর সাততলা বস্তি এলাকায় আমরা ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করেছি। বস্তিবাসীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। সকল বস্তি, মার্কেট ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে যেন অগ্নিকাণ্ড হলে প্রাথমিকভাবে ব্যবস্থা নিতে পারে।  শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত তেজগাঁও মোল্লাবাড়ি বস্তি পরিদর্শনে এসে এ ঘোষণা দেন।  তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের কোনো ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিস আসতেও বেশকিছু সময় লাগে। প্রশিক্ষণ জানা থাকলে ক্ষতির পরিমাণ কমানো সম্ভব হবে। এ সময় তিনি তেজগাঁও এলাকায় মোল্লাবাড়ি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি পরিবারকে ৫ হাজার টাকা (পাচঁ হাজার টাকা) করে আর্থিক সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দেন। এর মধ্যে যারা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তাদের জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দেন তিনি। মেয়র বলেন, এটি একটি বেসরকারি মালিকানাধীন বস্তি। এখানে নিম্ন আয়ের মানুষের বসবাস। সরেজমিনে এসে দেখলাম প্রায় সব ঘর অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে। এই তীব্র শীতে যেন তাদের কষ্ট না হয় সেজন্য পর্যাপ্ত কম্বল সরবরাহ করা হবে। ইতিমধ্যে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে শুকনো খাবার ও কম্বলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এ সময় মেয়র স্থানীয় কাউন্সিলর এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়নের নির্দেশ দেন মেয়র। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) সামনের মোল্লাবাড়ি বস্তিতে গতকাল শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে। দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। তবে আগুনে বস্তির অনেকটি টিন-শেডের ঘর পুড়ে গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় আগুনে পুড়ে মারা গেছেন দুজন। দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও দুজন।  
১৩ জানুয়ারি, ২০২৪

৪০ বছর পর নৌকা চলল ঢাকার সূতিভোলা খালে
কচুরিপানায় ভরা রাজধানীর বাড্ডার সূতিভোলা খালে ৪০ বছর পর চলেছে নৌকা। খালটি সংস্কার করে হাতিরঝিল এবং তুরাগ নদের সঙ্গে যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) খাল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, সূতিভোলা খাল সচল রাখতে প্রয়োজনীয় সবই করবে সিটি করপোরেশন। বাড্ডার সাঁতারকুল সুতিভোলা খাল থেকে রামপুরা খাল পর্যন্ত নৌ চলাচল ব্যবস্থাও চালু করা হবে। মেয়র আতিকুল ইসলাম স্থানীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে সাতারকুল ব্রিজের নিচ থেকে নৌকায় চড়ে সরেজমিনে সূতিভোলা খাল পরিদর্শন করেন। মেয়র বলেন, ৪০ বছর পর সূতিভোলা খাল দিয়ে নৌকায় চড়ে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যাতায়াত করছি। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, দীর্ঘ ৪০-৫০ বছর আগে ঐতিহ্যবাহী সূতিভোলা খাল দিয়ে নিয়মিত নৌকা চলত। কারওয়ান বাজার থেকে মালামাল নিয়ে মানুষ এই খাল দিয়ে নৌকায় করে যাতায়াত করত। আজ সুতিভোলা খাল দিয়ে নৌকা চলল।  তিনি বলেন, খালটি এক সময় ভরাট হয়ে গিয়েছিল ময়লা-আবর্জনায়। খালের ওপর দিয়ে মানুষ হাঁটত। গত ৪০ বছর এই খালে কোনো সংস্কার করা হয়নি। খালের কিছু জায়গা দখল করে ভরাট করা হয়েছে। দখলদারদের অনেকে নিজেদের ইচ্ছায় সবকিছু করেছে। কিন্তু নিজের ইচ্ছায় সবকিছু হবে না। দখল ও দূষণমুক্ত করে হাতিরঝিলের আদলে সূতিভোলা খালকে নান্দনিকভাবে সাজানো হবে। বর্তমানে ফ্লোটিং এক্সেভেটর দিয়ে কচুরিপানা পরিষ্কার করা হচ্ছে। সূতিভোলা খাল থেকে সাঁতারকুল হয়ে আমরা আফতাবনগর পর্যন্ত যেতে চাই। সেখান থেকে একদিকে বালু নদী অন্যদিকে হাতিরঝিল পর্যন্ত নৌ চলাচলের ব্যবস্থা চালু করতে চাই। উত্তরের মেয়র বলেন, সিটি জরিপ নয়, সিএস ম্যাপ অনুযায়ী খাল উদ্ধার করা হবে। খালের পাশে প্রচুর ময়লা-আবর্জনা, এই খাল ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। খাল পাড়ে বাড়ি উঠে গেছে। একটা বাড়ি খালের পাশে উঠে গেল দেখার কেউ নেই! কে অনুমতি দিয়েছে? কীভাবে অনুমতি দিল সেটা যাচাই করতে সব ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। আবার খালের ভেতর বাঁশ দিয়ে বেড়া তৈরি করে মাছ চাষ করছে। এগুলো কারা করছে? এভাবে খাল দখল করে বাড়ি যা খুশি তাই করা যাবে না। খালের সীমানা ছেড়ে মাছ চাষ করেন। জনগণের খাল ব্যবহার করে মাছ চাষ করা যাবে না। আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসি খালের উন্নয়ন বড় ধরনের পরিকল্পনা করেছে। খালের পাড়ে ওয়াকওয়ে, সাইকেল লেইন এবং বৃক্ষরোপণ করা হবে। এজন্য অর্থ প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে দাতাদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। আমরা নেচারবেইজড সল্যুশন চাই। খালে পানি থাকলে নৌ চলাচল করবে। খালের পানি পরিষ্কার থাকলে সেখানে মাছ চাষ করা যাবে, মশা হবে না। এটা করতে গেলে অনেক অর্থের প্রয়োজন। আমরা পরিকল্পনা বিভিন্ন সংস্থাকে দিব। এডিবি এগিয়ে এসেছে। আমি মনে করি অন্যান্য সংস্থাও এগিয়ে আসবে এই শহরকে বাঁচানোর জন্য। পরিদর্শনের সময় মেয়রের সঙ্গে এডিবির একজন পরামর্শক এবং বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক মুজিবুল হক ছিলেন। এ ছাড়া ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলামসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

অনুমতি ছাড়া কেউ গাছ কাটতে পারবে না : মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় কোনো গাছ কাটতে হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি বারবার বলেছি, গাছ কাটলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আমার কাউন্সিলর, ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি, অনুমতি ছাড়া ডিএনসিসি এলাকায় কেউ গাছ কাটতে পারবে না। গাছ কাটার আগে এলাকাবাসীর সঙ্গে আলাপ করতে হবে। কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। আমাদের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। আজ শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে নগর সবুজায়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র। আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রকৃতির জন্য গাছের গুরুত্ব অনুধাবন করতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলো, অনেকে গাছের গুরুত্ব বোঝে না। পরিবেশ রক্ষায় এবং জীবনের জন্য অপরিহার্য অক্সিজেন পেতে গাছের বিকল্প নেই। বিভিন্ন বস্তিতে প্রায় পাঁচ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে। প্রতিটি গাছকে জিপিআরএস অ্যাপের মাধ্যমে আইডি নম্বর দিয়ে রোপণ করা হয়েছে। নগর সবুজায়ন প্রকল্পের আওতায় শক্তি ফাউন্ডেশন এবং মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের যৌথ সহযোগিতায় বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামের সামনে থেকে জাহাঙ্গীর গেট এবং বিজয় সরণি মোড় থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশে প্রায় ১৭ হাজার শোভা বর্ধনকারী গাছ রোপণ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে আগামী এক বছর এসব গাছের রক্ষণাবেক্ষণ করবে শক্তি ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি শাইখ সিরাজ বলেন, কোন জায়গায় কোন প্রজাতির গাছ লাগানো হবে এটি জানা খুব জরুরি। শহরে একসময় রাস্তায় শুধু ছায়া দেবে এমন জাতের গাছ লাগানো হতো, পরে ফুল ও ফলের গাছও লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়। শহরের সবুজায়নে সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে, বিশেষ করে কাউন্সিলরদের। তাদের এই গাছগুলো দেখে রাখতে হবে। তবে জনগণের যার যার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রতিটি বাড়ি, অফিস ভবন শীতল রাখতে ছাদে গাছ লাগাতে হবে। সড়কের মিডিয়ানে গাছ, চিত্রকর্ম দেখলে অনেক ভালো লাগে। এটি দারুণ উদ্যোগ। অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফুল ইসলাম, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জামাল মোস্তফা, শক্তি ফাউন্ডেশনের উপনির্বাহী পরিচালক ইমরান আহমেদ, সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর হামিদা আক্তার এবং মেটলাইফ বাংলাদেশ এর যুগ্ম নির্বাহী কর্মকর্তা আলা আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
১৮ নভেম্বর, ২০২৩

শহর গড়ায় তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান মেয়র আতিকের
শহর গড়ায় তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে লাল-সবুজের পতাকা এনে দিতে তরুণরাই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছিল। আমি নিশ্চিত, তরুণরা এগিয়ে আসলে এই দেশ পরিবর্তন হবে, এই শহর পরিবর্তন হবে। তাই শহর গড়তে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান করছি।' শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর বিজয় সরণিতে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে ‘দ্য আর্থ এবং ক্লাইমেট পার্লামেন্ট, বাংলাদেশ’ কর্তৃক আয়োজিত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।  মেয়র বলেন, ‘‘ক্লাইমেট চেঞ্জ, কোভিড এবং কনফ্লিক্ট; তিনটি ‘সি’-এর কারণে পুরো বিশ্ব আজ কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ হচ্ছে, ফিলিস্থিনের গাজায় যুদ্ধ হচ্ছে। যুদ্ধে যে বিপুল অর্থ ব্যয় হচ্ছে এই অর্থ যদি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যবহার হতো, তবে পৃথিবী অনেক সুন্দর ও নিরাপদ হয়ে যেতো। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নর্থ পোল ও সাউথ পোলের বরফ গলে যাচ্ছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের জেলাগুলোতে লবণাক্ততা বেড়েছে। সেখানে চাষাবাদ করা যায় না। মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য ঢাকায় চলে আসছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঢাকাশহ পুরো দেশ চ্যালেঞ্জের মুখে। তাই এই ধরনের সামিটের মাধ্যমে ভয়েস রেইজ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে আমাদের সিটি করপোরেশনের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। ডিএনসিসি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বেশকিছু লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে। ঢাকায় একসময় ৬৩টি খাল ছিল। আমরা গত দুই বছর আগে ওয়াসা থেকে মাত্র ২৯টি খাল বুঝে পেয়েছি, সেগুলোও অবৈধ দখলে। ঢাকা শহরে প্রতি বর্গ প্রায় ৪৯ হাজার মানুষের বসবাস। যদি আমরা প্রশ্ন করি এতো নাগরিকের মধ্যে আসলে সুনাগরিক কত জন। নগরের জন্য সুনাগরিকের বিকল্প নেই।’ শহরের সমস্যা সমাধানে যুবসমাজকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি চাই আমাদের যুবসমাজ প্রত্যেকে একেকজন মেয়রের ভূমিকা রাখবে। শহরের কোথাও সমস্যা দেখলে সিটি করপোরেশনকে জানাও। আমাদের সবার ঢাকা অ্যাপে অভিযোগ জানাও। কথা দিচ্ছি দ্রুত সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিছুদিন আগে কয়েকজন যুবক মিলে মোহাম্মদপুরে খালের ময়লা পরিষ্কার করেছে। যুবকরা দেখিয়ে দিয়েছে খালে মাছ চাষ হবে, খাল দখলমুক্ত হবে। তোমরা আমার সাথে থাকলে এই শহরের সকল খাল মাঠ অবৈধ দখল ও দূষণমুক্ত করবো, ইনশাআল্লাহ।’  মেয়র বলেন, ‘বনানীতে দুটি মাঠে ক্ষমতাবান বড়লোকরা চেয়েছিলেন তাদের গাড়ি রাখার জন্য পার্কিং হবে। আমি সেটি হতে না দিয়ে খেলার মাঠ নির্মাণ করে দিয়েছি। কোনও মাঠ অবৈধ দখল থাকলে আমাকে জানাও, যুবকদের সঙ্গে নিয়ে দখলমুক্ত করবো। গুলশান বারিধারায় ধনী লোকেরা বসবাস করে। তারা তাদের বাড়ির পয়োঃবর্জ্যের সংযোগ সারফেস ড্রেনে দিয়ে খাল দূষণ করছে। আমরা অভিযান করে অনেকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি। অ্যাট সোর্সে পয়োঃবর্জ্যের ব্যবস্থা না করলে শহর পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব না। সবাইকে সচেতন হতে হবে, শহরকে ভালোবাসতে হবে।’ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই, ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের সদস্য ও সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি কো-অর্ডিনেটর মো. আখতার হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ড. কাজী মারুফুল ইসলাম এবং দ্য আর্থের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ মামুন মিয়া প্রমুখ।
০১ জানুয়ারি, ১৯৭০

জলাবদ্ধতা নিয়ে মেয়রের কাছে অভিযোগ জানালেন নানক
আগুনে পুড়ে যাওয়া মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের জলাবদ্ধতার বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের কাছে অভিযোগ জানিয়ে দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। আজ সোমবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার সময় মেয়রের কাছে এ অভিযোগ জানান নানক। এর আগে তিনি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট পরিদর্শন করেন। জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘সামান্য বৃষ্টি হলেই এই কৃষি মার্কেটের সামনে রাস্তায় পানি জমার আগেই মার্কেটের ভেতরে এক হাঁটু পানি জমে যায়। জলাবদ্ধতায় মার্কেটের দোকানের চালসহ অন্যান্য সব মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমি অনুরোধ করব ব্যবসায়ীদের ক্ষতি থেকে মুক্তি দিতে মেয়র আপনি এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’ এ সময় বৈঠকে উপস্থিত মার্কেটের দোকান মালিক, ব্যবসায়ী, কর্মচারী সকলে করতালির মাধ্যমে জাহাঙ্গীর কবির নানকের দাবির প্রতি সমর্থন জানান। সেই সঙ্গে দাবি আদায়ে সবাই একসঙ্গে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের বক্তব্যের সময় মেয়র ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘আগামী ৭ দিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হবে।’ আতিকুল ইসলাম ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতি নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ‘আগামী ৭ দিনের মধ্যে আপনি নিজে উদ্যোগ নিয়ে এই সমস্যার সমাধান করবেন। এরপর আমাকে ছবি পাঠিয়ে এই কাজটা যে করা হয়েছে তা নিশ্চিত করবেন। সাত দিনের একদিনও যেনো বেশি না লাগে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ না করতে পারলে আপনারা (ব্যবসায়ীরা) আমাকে ছবি পাঠিয়ে জানিয়ে দিবেন, আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ মেয়র আতিক আরও বলেন, ‘আপনারা যেনো কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হোন সেজন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে কৃষি মার্কেট নতুন করে অস্থায়ী ভিত্তিতে নির্মাণকাজ শুরু করব। এরপর যার যেখানে দোকান ছিল, যতটুকু জায়গা ছিল সে অনুযায়ী আপনারা দোকান বরাদ্দ পাবেন। আপাতত আপনাদের ব্যবসা যেন বন্ধ না থাকে, আপনারা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হোন, সেজন্যই আমাদের এই সিদ্ধান্ত। তবে আমরা পরে এখানে পরিকল্পিত বহুতল ভবন মার্কেট নির্মাণ করব। তখন মার্কেটে নির্মাণের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। নতুন বহুতল মার্কেট নির্মাণ হওয়ার পর আপনারা অবশ্যই এখানে দোকান বরাদ্দ পাবেন। এটি নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই।’ ডিএনসিসির স্থানীয় ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সলিমুল্লাহ সলুর সভাপতিত্বে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেট কমিটির সদস্য, ব্যবসায়ীরা ছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজাসহ আরও অনেকে।
২৩ অক্টোবর, ২০২৩
X