ছয় মাসে মোবাইল ব্যাংকে ৬ লাখ ৮১ হাজার ৯২ কোটি টাকার লেনদেন
চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে মোবাইল আর্থিক সেবার মাধ্যমে ৬ লাখ ৮১ হাজার ৯২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে সরকার দলীয় সংসদে মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) জুলাই হতে জানুয়ারি পর্যন্ত ১২ হাজার ৯০০ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২ হাজার ৪২৫ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাজ্য হতে এক হাজার ৬১০ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন ডলার, সৌদি আরব হতে ১৬০১ দশমিক ২২, যুক্তরাষ্ট্র হতে ১৩৩২ দশমিক ৬৩, ইতালি হতে ৯০০ দশমিক ২৬ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এ বি এম আনিছুজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সরকারি উদ্যোগে চালু থাকা ১৮টি পার্কে দেশি-বিদেশি ১৯২টি প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত বেসরকারি সেক্টর থেকে প্রায় ২১৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী ইইউ
বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ সহজ করতেও সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউর এই রাষ্ট্রদূত। বৈঠক শেষে হোয়াইটলি বলেন, সম্ভাবনামূলক অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউর ২৪ বিলিয়ন ইউরো বাণিজ্য আছে। এটা আরও বাড়াতে চাই। ইইউতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বাড়ুক, আমরা তা চাই। এসময়, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় বাংলাদেশের উত্তরণ যেন সহজ হয় সে ব্যাপারে সব ধরনের সহায়তা করার আশ্বাস দেন এই কূটনীতিক। তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়ে জোর দিচ্ছি। কারণ, এটি বাংলাদেশ ও ইইউ উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।  হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠক শেষে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বৈঠক প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, শুধু তৈরি পোশাক রপ্তানি নয়, শ্রম বাজারেও সুনাম রয়েছে বাংলাদেশের। বৈঠকে রপ্তানি ও শ্রম বাজারের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে ইইউ রাষ্ট্রদূত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।  
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ব্রিটিশ হাইকমিশনার-অর্থমন্ত্রীর বৈঠক, কী নিয়ে আলোচনা হলো
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।  বৈঠক শেষে আবুল হাসান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুক্তরাজ্য সহায়তা করতে চায়। বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হলো- এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক রকম আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করেছি। যেহেতু তারা দীর্ঘদিন আমাদের সঙ্গে কাজ করছে, বাংলাদেশের অবস্থা বোঝে। তাদের এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতা রয়েছে। সহযোগিতার বিষয়ে তিনি বলেন, তারা আমাদের সহায়তা করতে চায়। কোন কোন খাতে সেটি এখন বলা যাবে না। সেগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে। তিনি আর বলেন, আমি বলেছি আপনারা তো এখানে বহুদিন ধরে আছেন। আমাদের সঙ্গে একটা সম্পর্ক রয়েছে। সুতরাং আপনারা দেখেন কীভাবে কী অফার করতে পারেন। বৈঠক নিয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, আমরা সমর্থন করেছি সাসটেইনেবল বাংলাদেশ গড়তে। বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনে আমরা তাদের পাশে আছি। কারণ আমরা উন্নয়নশীল দেশ গঠনে সবসময়ই তাদের সঙ্গে রয়েছি।
০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করবে সরকার : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে সরকার। স্বর্ণের অলংকার রপ্তানির নতুন দিগন্ত উন্মোচনে সরকার সকল প্রকার নীতি সহায়তা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। এ ছাড়া জুয়েলারি শিল্পের যেসব সমস্যা ও সম্ভাবনা আছে তা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে অর্থ মন্ত্রণালয়। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ধামনন্ডিতে অর্থমন্ত্রীর নিজ বাস ভবনে বাজুস প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সৌজন্য সাক্ষাতে এসব কথা বলেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এসময়ে বাজুস প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মুখপাত্র ও সাবেক সভাপতি ডা. দিলিপ কুমার রায়, সহসভাপতি-গুলজার আহমেদ, মো. রিপনুল হাসান, মাসুদুর রহমান, সমিত ঘোষ, উপদেষ্টা- রুহুল আমিন রাসেল, সহসম্পাদক- মো. তাজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা। অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাজুস নেতারা বলেন, আমাদের দেশে জুয়েলারি খাতে উচ্চ হারে ভ্যাট আরোপিত হওয়ার ফলে ক্রেতা সাধারণ ভ্যাট দিতে অনীহা প্রকাশ করছে। ক্রেতা সাধারণকে ভ্যাট দানে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে স্বর্ণের অলংকার বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ভ্যাট হার ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা দরকার। এ ছাড়া, দেশে জুয়েলারি শিল্প কারখানা স্থাপনে উৎসাহিত করার জন্য আমদানিকৃত কাঁচামাল ও মেশিনারিজের ক্ষেত্রে সব প্রকার শুল্ক কর অব্যাহতিসহ ১০ বছরের ট্যাক্স হলিডে প্রদান এবং স্বর্ণ পরিশোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের জন্য কর অবকাশ সুবিধা দাবি করেন নেতারা। এসময় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বাজুস নেতারা কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে সরকার। স্বর্ণের অলংকার রপ্তানির নতুন দিগন্ত উন্মোচনে সরকার সকল প্রকার নীতি সহায়তা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করবে। এ ছাড়া জুয়েলারি শিল্পের যেসব সমস্যা ও সম্ভাবনা আছে তা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে অর্থ মন্ত্রণালয়।
২৯ জানুয়ারি, ২০২৪
X