হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এই তথ্য নিশ্চত করেছেন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম। তার মৃত্যুতে এখন প্রশ্ন উঠেছে কে হবেন দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট?
ইরানের সংবিধান বলছে, কোন দুর্ঘটনায় যদি প্রেসিডেন্টের মৃত্যু হয় তাহলে সেই পদে বসবেন প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট। অর্থাৎ মোহাম্মদ মোখবার হবেন দেশটির পরবর্তি প্রেসিডেন্ট। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই দেশটির সর্বোচ্চ নেতার অনুমতি লাগবে।
ইরানে রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে ভূমিকা পালন করেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তাকে সরকারের প্রধান এবং সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর পরবর্তী ৫০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করার বিধান রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে হবে।
এর আগে রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্ধারে নামে বিশেষ বাহিনী। এগিয়ে আসে তুরস্কের বিশেষ টিমও। পাশাপাশি রাশিয়া, আজারবাইজান, আর্মেনিয়া এবং ইরাক উদ্ধারকাজে সহায়তা করার প্রস্তাব দেয়। রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারে কোথায় বিধ্বস্ত হয়েছে সেই সন্ধান কয়েক ঘণ্টা আগেই মিলেছে। তবে রাইসির ভাগ্যে কি হয়েছে তা জানা যাচ্ছিলো না। কারণ রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার যেখানে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে সেখানে ভারী কুয়াশা থাকায় অভিযান চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়া পাহাড় ও জঙ্গলে ঘেরা ওই এলাকার দৃষ্টিসীমা মাত্র পাঁচ মিটারে নেমে এসেছে বলেও খবর পাওয়া যায়।
দুর্ঘটনার পর পরই ইরান জানায়, হেলিকপ্টারটি হার্ড ল্যান্ডিং করেছে। হার্ড ল্যান্ডিং অসলে কি এর ব্যাখা দিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। গণমাধ্যমটি উদাহরণ দিয়ে বলছে, ২০২২ সালে রাশিয়ার একটি সামরিক কার্গো পুরোপুরি বিধ্বস্ত হলে কৌশলগত ভাবে হার্ড ল্যান্ডিং শব্দটি ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটিও পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয় আগেই।
এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্টের জন্য দেশবাসীকে দোয়া করতে বলেন, দেশটির সর্বোচ্চ নেতা। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কিজ কালাসি এবং খোদাফারিন বাঁধ দুটি উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। এরপরই দুর্ঘটনার খবর আসে গণমাধ্যমে।
মন্তব্য করুন