আ.লীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি বন্ধুর ছুরিকাঘাতে খুন
বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা মমিনুল ইসলাম রকি হত্যা মামলার আসামি আলী হাসান (৩০) বন্ধুর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে। নিহত আলী হাসান বগুড়া শহরের মালগ্রাম পশ্চিমপাড়া এলাকার জিন্নাহর ছেলে। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে সদর উপজেলার শহরদিঘি গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।  পেশায় তিনি ট্রাকচালকের সহকারী। এ ছাড়াও আলী হাসান বগুড়া সদরের ফাঁপোড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুল ইসলাম রকি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ। এ ঘটনায় জড়িত হাসানের বন্ধু সবুজ সওদাগর পলাতক রয়েছে। সবুজ সওদাগর বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের বগুড়া জেলা সভাপতি। তার বিরুদ্ধেও হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।  স্থানীয়রা জানায়, দুপুরের দিকে সবুজ সওদাগরের বাড়িতে হাসান নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে হাসানকে হাসপাতালে নিয়ে যায় সবুজ। বিকালে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। সবুজ হত্যা মামলার আসামি। সে এবং তার পরিবারের সবাই মাদকাসক্ত। আমরা এলাকাবাসী অনেকবার তাদের সতর্ক করলেও কোনো কথা শোনেনি। হাসান সবুজের বাড়িতে নিয়মিত আসত। এখানে এসে তারা মাদক গ্রহণ করত।  ফাঁপোড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, আমাকে অপরিচিত একটা নম্বর থেকে জানায় সবুজ সওদাগর এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে ঘরে ফেলে রেখেছে। পরে এলাকার লোকজন সবুজের বাড়িতে যায় এবং তাকে আটকানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশকে জানানো হয়।  তিনি আরও বলেন, সবুজ ও হাসান ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। এমনকি তারা একই হত্যা মামলার আসামিও ছিল। তাদের নানা অপকর্মে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ছিল।  বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ছুরিকাঘাতে আলী হাসান নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সে পলাতক রয়েছে। আমরা তাকে আইনের আওতায় আনতে অভিযান শুরু করেছি।
৯ ঘণ্টা আগে

২৮ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
বরিশালের বাকেরগঞ্জে প্রায় ২৮ বছর পর হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। সোমবার (১৪ মে) রাতে পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালি উপজেলার বড়বাসদিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আনোয়ার হোসেন খান বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কৃষ্ণ কাঠি গ্রামের মৃত গিয়াস খানের ছেলে। বাকেরগঞ্জে থানার ওসি আফজাল হোসেন  জানান, ১৯৯৬ সালে উপজেলার এক‌ই গ্রামের বাসিন্দা আসমান খান নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। আসমান খানের ছেলে হানিফ খান বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামি আনোয়ার হোসেন ছিলেন। ২০০১ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বরিশাল অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। হত্যার ঘটনার পর থেকেই আসামি আনোয়ার হোসেন পলাতক ছিলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 
২১ ঘণ্টা আগে

বগুড়ায় স্ত্রী হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গাজীপুরে গ্রেপ্তার
বগুড়ায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পলাতক আসামি আব্দুর রাজ্জাককে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। রোববার রাতে গাজীপুরের পোড়াবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আব্দুর রাজ্জাক কাহালু উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। সোমবার বিকেলে র‌্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার (এসপি) মীর মনির হোসেন বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন।  তিনি জানান, গোয়ালপাড়া গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীর নাম এলেমা বেগম আর দ্বিতীয় স্ত্রী মনোয়ারা বিবি। যৌতুকের দাবিতে তিনি প্রথম স্ত্রী এলেমাকে নির্যাতন করতেন। ২০০৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর তিনি তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ওই সময় কাহালু থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়। পরে মরদেহের ময়নাতদন্তে শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রমাণ পাওয়ায় নিহত এলেমার ভাই হাফিজার রহমান রাজ্জাক ও মনোয়ারাসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা করেন। আদালত মামলাটিকে এফআরআই হিসেবে গ্রহণ করতে কাহালু থানাকে নির্দেশ দেয়। এরপর পুলিশ তদন্ত শেষে রাজ্জাক ও মনোয়ারার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৩ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ বিচারক প্রক্রিয়া শেষে ২০২১ সালে বিচারক আসামি রাজ্জাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। আরেক আসামি মনোয়ারাকে খালাস দেওয়া হয়।  তিনি আরও জানান, মামলা দায়েরের পর রাজ্জাক ৫ বছর জেল খেটে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে যান। রায় ঘোষণার সময়ও তিনি পলাতক ছিলেন। নাম পরিচয় বদলে রাজ্জাক গাজীপুর এলাকায় অটোরিকশা চালাতেন।
১৪ মে, ২০২৪

যুবলীগ নেতা হত্যায় ফাঁসির পলাতক ২ আসামি গ্রেপ্তার
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১, সিপিসি ২। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শিলরী এলাকার মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে মো. খন্দকার মফিজুর রহমান (৫২) ও একই উপজেলার আলকরা এলাকার নজির আহম্মদের ছেলে মো. রেজাউল করিম বাবলু (৪২)। সোমবার (১৩ মে) সকালে কুমিল্লা নগরীর শাকতলায় র‍্যাবের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানি অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, ‘এক অভিযানে সোমবার রাতে কুমিল্লা শহরতলীর শাসনগাছা এলাকা থেকে পলায়নরত অবস্থায় জামাল হত্যাকাণ্ডের দুজন মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।’ উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রাম আলকরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিনকে রাত ৮টায় বাড়ি থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের পদুয়ায় সড়কের উপরে স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর নেতৃত্বে অন্য আসামিরা গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় গত রোববার (১২ মে) মামলাটি আদালতের বিচারকার্য শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় প্রধান আসামিসহ ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। এ মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন ও সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।  
১৩ মে, ২০২৪

মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্তের আগে ফাঁসির আসামিকে কনডেম সেলে নেওয়া অবৈধ : হাইকোর্ট
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কারাগারের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও  বেআইনি ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া আগামী দুই বছরের মধ্যে জেল কর্তৃপক্ষকে ডেথ সেলে যারা বন্দি আছেন, তাদেরকে ক্রমান্বয়ে অন্য ব্যবস্থাপনা করে মৃত্যু সেল থেকে সরিয়ে সাধারণ বন্দিদের সঙ্গে বসবাসের সুযোগ করে দিতে বলা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে শুধু বিশেষ বিবেচনায় কোন বন্দিকে আলাদা করে নির্জন কক্ষে রাখা যাবে।  এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি করে সোমবার (১৩ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম রাজু। রায়েরে পর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, এটা একটা ঐতিহাসিক রায়। রায়ের বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার পূর্বে তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি বলা যাবে না এবং তাকে কারাগারের নির্জন ডেথ সেলে বন্দি রাখা যাবে না। মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত বলতে, এখানে যত বিচারিক ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া আছে সেগুলো শেষ হওয়াকে বোঝানো হয়েছে। বিচার বিভাগীয় পদক্ষেপে যেমন- হাইকোর্ট বিভাগ, আপিল বিভাগ এবং রিভিউয়ের শুনানি শেষেও যদি কারও মৃত্যুতদণ্ড বহাল থাকে তাহলে প্রশাসনিক পদক্ষেপ হিসেবে সে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগ পান। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন খারিজের পরই একজন মানুষের মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হয়েছে বলা যাবে এবং শুধু তখনই একজন বন্দিকে নির্জন কক্ষে (ডেথ সেলে) বন্দি রাখা যাবে। তার আগে ডেথ সেলে বন্দি রাখা যাবে না। তিনি আরও বলেন, বিশেষ বিবেচনায় যদি কোনো বন্দির বিশেষ কোনো অসিুবিধা থাকে, এটা হতে পারে ফিজ্যিক্যাল অসুবিধা, সংক্রামক কোনো রোগ থাকলে অথবা অন্য কোনো সেক্সচ্যুয়াল রোগ থেকে থাকে, তাহলে তাকে আলাদা করে রাখা যাবে। এক্ষেত্রে এ ব্যক্তিকে নির্জন কক্ষে রাখার ব্যাপারে আলাদা করে শুনানি নিতে হবে। শুনানি নেওয়ার পর তাকে নির্জন সেলে রাখা যাবে। শিশির মনির বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার শুনানিতে আদালতে বলেছেন, নতুন জেল কোড তৈরি করতে যাচ্ছে, নতুন প্রিজন অ্যাক্ট হচ্ছে। হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন, এই রায়ে যেসব পর্যবেক্ষণ দেওয়া হচ্ছে সেগুলো যেন নতুন আইনে প্রতিফলিত হয়। রায়ের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে শিশির মনির আরও বলেন, আমাদের দেশে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের জামিনের দরখাস্তের শুনানি হয় না। অন্যান্য আসামিদের জামিন শুনানি হয়। তারা জামিন পেয়ে বেরিয়ে যান। কিন্তু মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত একবার হলেই তাদের জামিনের আর শুনানি হয় না। এ ক্ষেত্রে হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন, মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত যাদের আপিল বিচারাধীন থাকে, তাদের জামিন আবেদনও যেন অন্যান্য আসামিদের মতো শুনানি করা হয় এবং জামিনও যেন মঞ্জুর করা হয়।  হাইকোর্ট জেল কর্তৃপক্ষকে বলেছেন, মৃত্যু সেলে যারা বন্দি থাকেন, তাদের ব্যাপারে কোনো সাংবাদিক বা কোনো গবেষক বা অন্য কেউ তথ্য অধিকার আইনে দরখাস্ত দিয়ে জানতে চাইলে, তাদেরকে যেন বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়। এ ছাড়াও সুপ্রিমকোর্ট এবং হাইকোর্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন, কতজনের মৃত্যুদণ্ড কমছে, কতজনের বহাল থাকছে- এসব ব্যাপারে কোনো ব্যক্তি তথ্য অধিকার আইনে বা সাংবাদিকরা তথ্য চাইলে তা যেন দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের এসব তথ্য পরিসংখ্যানসহ সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে এবং বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকাশও করতে বলা হয়েছে।  মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত বা দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা কারাগারের কনডেম সেলের তিন কয়েদি। তারা হলেন- সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও খাগড়াছড়ির শাহ আলম। ওই রিট শুনানি করে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল রুল জারি করেন হাইকোর্ট।  মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখা কেন আইনত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা সংক্রান্ত কারাবিধির ৯৮০বিধিটি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। সেইসঙ্গে কনডেম সেলে রাখা বন্দিদের কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, সে বিষয়ে প্রতিবেদন চান আদালত।  রিটে বলা হয়, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক সাজা কার্যকর করার আইনগত কোনো বিধান নেই। ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুসারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) নিতে হয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১০ ধারা অনুসারে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি হাইকোর্টে আপিল করতে পারেন। হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করার সুযোগ আছে দণ্ডিত ব্যক্তির। সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করার সুযোগ আছে।  এ ছাড়া সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। ক্ষমার এ আবেদন রাষ্ট্রপতি যদি নামঞ্জুর করেন, তাহলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে সরকার আইনগত বৈধতা পায়। অথচ বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশের পরপরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কনডেম সেলে বন্দি রাখা হচ্ছে। হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের আগে দণ্ডিত ব্যক্তিকে কনডেম সেলে রাখা তার মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর এ রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়। রুল শুনানিতে আদালত এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও এস এম শাহজাহানের বিশেষজ্ঞ মত নেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন। আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ শিশির মনির। রুলের ওপর শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়। সে অনুযায়ী হাইকোর্ট আজ রায় ঘোষণা করেন। 
১৩ মে, ২০২৪

আসামি ধরতে গিয়ে নারী শিশুকে মারধর ডিবি পুলিশের
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামি ধরতে গিয়ে বাড়ির নারী ও শিশুদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার থলিয়ারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, এক নারীর মাথায় পিস্তল তাক করেছেন ডিবি পুলিশের এক কর্মকর্তা। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের থলিয়ারা গ্রামের সৌদি প্রবাসী নূরুল আলম নূরুর বিরুদ্ধে মাস খানেক আগে সদর থানায় ৪০০ গ্রাম স্বর্ণ আত্মসাতের মামলা হয়। এতে অভিযোগ আনা হয়, নূরুল আলম সৌদি আরব থেকে আব্দুল কুদ্দুস নামের এক ব্যক্তির স্বর্ণ এনে পুরোটা বুঝিয়ে দেননি। এ ঘটনায় আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে এনামুল হক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। সেই মামলায় গত শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে প্রবাসী নূরুল আলম বাড়িতে আছেন—এমন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে ধরতে সাদা পোশাকে অভিযানে যান জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই রেজাউল করিমসহ কয়েকজন। এ সময় নূরুল আলমের বাড়িতে তার ভাতিজার সুন্নতে খতনার অনুষ্ঠান চলছিল। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, সাদা পোশাকে ডিবি পরিচয়ে একদল লোক নূরুলকে খুঁজতে বাসায় আসে। তারা তাকে না পেয়ে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। এ সময় অনুষ্ঠানে আসা বাড়িতে উপস্থিত নারীসহ অন্যদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। তারা নূরুল আলমের স্ত্রী, সন্তান, বৃদ্ধ বাবাসহ পরিবারের অন্যদের মারধর করে। একপর্যায়ে প্রবাসীর স্ত্রী বন্যার কপালে পিস্তল তাক করে রাখেন এসআই রেজাউল করিম। ঘটনার সময় উপস্থিত নূরুল আলমের ভাই সারোয়ার আলম বলেন, ‘সাদা পোশাকে যাওয়া লোকজন বাড়িতে প্রবেশ করেই তার ভাইকে খোঁজ শুরু করে। ভাই বাড়িতে নেই বলা হলেও তারা মানতে নারাজ। এ সময় সাদা পোশাকে আসা লোকজন নূরুল আলমের স্ত্রী বন্যা বেগমসহ কয়েকজনকে মারধর করে। নিশাত নামে ৯ বছরের এক শিশুও তাদের মারধর থেকে রক্ষা পায়নি। আমার ওপরও হামলা হয়। এ সময় মোবাইল ফোনে করা কিছু ভিডিও তারা কেটে দিয়ে যায়।’ এ বিষয়ে আদালতে মামলা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সাদা পোশাকে আসা লোকজন পিস্তল তাক করার পাশাপাশি গুলিও করেছে। গুলির খোসাও আমাদের কাছে আছে। তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে খোসা কার।’ নূরুল আলমের স্ত্রী বন্যা বলেন, ‘ডিবি পরিচয় দিয়ে আমাদের কাছ থেকে আলমারির চাবি নেয়। এ সময় তারা তল্লাশি করে কিছু পায়নি। কিন্তু আমাদের ঘরে থাকা প্রায় ৫ লাখ টাকাসহ গলায় থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। বিষয়টি দেখে চিৎকার করায় শিশু নিশাতের মাথায় বন্দুক দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করা হয় এবং সুন্নতে খতনা করা ভাতিজাকে থাপ্পড় মারে। প্রতিবাদ করায় তারা আমার কপালে পিস্তল ঠেকায় এবং ফাঁকা গুলি ছোড়ে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’ অভিযোগের বিষয়ে জেলা ডিবির এসআই রেজাউল করিম বলেন, ‘বাদীপক্ষ বিষয়টি আমাদের জানালে প্রথমে পরিদর্শক মোফাজ্জল আলী একজন কনস্টেবলকে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর আমি যাই। দূর থেকেই ওই বাড়িতে চিল্লাফাল্লা শুনছিলাম। আমি যাওয়ার পর তারা খারাপ আচরণ করে। আসামিকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। এ নিয়ে ধস্তাধস্তি হয়। আমার হাতে পিস্তল ছিল। তবে কারও দিকে তাক করিনি। কাউকে মারধরও করা হয়নি।’ এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, কোনো অফিসার আসামি ধরতে গিয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেনকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
১৩ মে, ২০২৪

হবিগঞ্জে ট্রিপল হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার আগুয়া গ্রামে সংঘর্ষে তিনজন নিহতের ঘটনায় প্রধান আসামি বদরুল আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  শনিবার (১১ মে) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বা‌নিয়াচং-আজ‌মিরীগঞ্জ সা‌র্কেল) পলাশ রঞ্জন দে কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তি‌নি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি অন্য আসামিদের আইনের আওতায় চেষ্টা করা হচ্ছে। রোববার (১২ মে) গ্রেপ্তার বদরুলের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ মে) বানিয়াচং উপজেলার আগুয়া গ্রামে অটোরিকশা স্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানো নিয়ে স্ট্যান্ডের ত্বত্তাবধায়ক বদরুল আলমের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় অটোরিকশাচালক কাদির মিয়ার। এ কথাকাটাকাটির খবর আগুয়া গ্রামে পৌঁছালে ব‌দরুলের প‌ক্ষের আত্মীয়স্বজনরা লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা, বল্লম ও ইটপাটকেল ব্যবহার করে। একপর্যায়ে বদরুলের পক্ষের লোকজনের বল্লমের আঘাতে অটোরিকশাচালক কাদির মিয়া, তার আত্মীয় সিরাজ মিয়া ও লিলু মিয়া নিহত হন।
১১ মে, ২০২৪

সালিশের কথা বলে ডেকে নিয়ে হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
সালিশের কথা বলে ডেকে নিয়ে রাজু ইসলাম বাবু (৩২) নামে একজনকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ মামলার ১ নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে র‌্যাব-১৩-এর সিপিসি-৩ ও র‌্যাব-১৪-এর সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানাধীন গোড়াই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।  গ্রেপ্তার হওয়া মো. খলিল ফকির (৫২) গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী থানার আমলাগাছী গ্রামের মৃত দবির ফকিরের ছেলে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খলিল ফকিরের সঙ্গে রাজু ইসলাম বাবুসহ তার পরিবারের লোকজনের বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধ মীমাংসা করতে সালিশ বৈঠকের ব্যবস্থা করেন স্থানীয়রা। ঘটনার দিন ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে খলিল ফকির মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রাজু ইসলাম বাবুকে সালিশে আসতে বলেন।  ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পনা মতো রাম দা, কুড়াল, লোহার রড, দেশীয় অস্ত্র, লোহার পাইপ ও হাতুড়ি দিয়ে খলিল ফকির ও তার সহযোগীরা রাজু ইসলামকে বুকে, পেটে ও পিঠে আঘাত করেন।  এ সময় ভুক্তভোগীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।  এ ঘটনায় রাজুর বোন আঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থানায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। র‌্যাব জানায়, আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
১১ মে, ২০২৪

চেয়ারম্যানের ওপর হামলায় দুই প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আসামি
উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার জয়ী প্রার্থীর পক্ষে বিজয় মিছিল করাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে দুই সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে। যদিও ঘটনার সময় তারা ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ওই দুই শিক্ষক ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলেও আসামি করায় বিষয়টি এলাকায় সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। জানা যায়, নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগেই বুধবার বিকেল ৫টার দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসমাইল হকের (পরে জয়ী) সমর্থকরা ডগ্রি বাজারে বিজয় মিছিল করেন। ওই মিছিল থেকে অন্য প্রার্থী মামুন মোস্তফার (পরে পরাজিত) সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার তালুকদারের বাসভবন ও বিপণিবিতানে হামলা করা হয়। ওই সময় দুপক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এতে দেলোয়ারসহ দুপক্ষের ১৩ জন আহত হন। পরে রাতে দেলোয়ারের সমর্থকরা মাদবর বাড়িতে হামলা করে। সেখানে ১৫টি বসতঘর ভাঙচুর করা হয়। ৮-১০টি গবাদি পশু নিয়ে যাওয়া হয়। দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং একটি মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ারের স্ত্রী সানজিদা তালুকদার ৩৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। মামলায় বিঝারী উপসী তারা প্রসন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমীন, তার ছেলে হিমেল শেখ, ভাই চণ্ডীপুর মনিরাবাদ বাঘাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতান মাহমুদ স্বপন শেখ ও চাচাতো ভাই হাফিজুর রহমান টুলু শেখকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে সুলতান মাহমুদ স্বপন ঘটনার সময় চণ্ডীপুর উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এবং হাফিজুর রহমান ভড্ডা কান্দাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সুরেশ্বর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আলী আজগর প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কালবেলাকে বলেন, সুলতান মাহমুদ আমার সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাকে আসামি করা উচিত হয়নি। সুলতান মাহমুদ স্বপন শেখ বলেন, দেলোয়ার তালুকদার ব্যক্তিগত বিরোধের কারণে আমাদের পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে হয়রানি করছেন। এই মামলায় আসামি করাও তার উদাহরণ। চেয়ারম্যান ভূমিদস্যুতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এলাকার মানুষকে হয়রানি করেন। তার এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করেন, তিনি তাদের নানাভাবে হয়রানি করে থাকেন। এ বিষয়ে দেলোয়ার তালুকদারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন। তার স্ত্রী ডালিয়া আক্তারও তার সঙ্গে ঢাকায় রয়েছেন। তার মোবাইলে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব মোবাইল ফোনে কালবেলাকে বলেন, ডগ্রির ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কারা কারা আসামি হয়েছেন, তা বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি। দুই সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কীভাবে মামলার আসামি হলেন—জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাদীপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে আসামি করা হয়েছে।
১১ মে, ২০২৪

২ হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার আসামি হলেন উপজেলা চেয়ারম্যান
কারাগারে থেকে ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. সামচুল আলম চৌধুরী। দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় কারাগারে রয়েছেন তিনি। বুধবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ৩১ হাজার ৯৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টেলিফোন প্রতীক নিয়ে মো. মনিরুল হাসান মিঠু পেয়েছেন ৩০ হাজার ৯ ভোট। এর আগে নির্বাচনের আগের দিন মঙ্গলবার (৭ মে) ফরিদপুরের আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় আদালত মো. সামচুল আলম চৌধুরীর জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করে সামচুলসহ মামলার অন্য আসামিরা। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম বলেন, এই মামলায় সম্প্রতি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয় জানার পরই আদালতে আত্মসমর্পণ করে আসামিরা। এ মামলায় অমিতাভ বোস ও নাসিরকে জামিন দিয়েছেন আদালত। তবে সামচুল চৌধুরীর জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয়।
০৮ মে, ২০২৪
X