তেহরানকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে : ইরানের প্রেসিডেন্ট
তেহরানকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য পশ্চিমা বিশ্বের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তিনি বলেন, ইরানকে কেউ নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে না। শনিবার (২৭ এপ্রিল) প্রেস টিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  শনিবার ইরানের ষষ্ঠ রপ্তানি সম্ভাব্য প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এ প্রদর্শনীর মাধ্যমেই বোঝা যাচ্ছে ইরানকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যায় না। তেহরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ফলাফলশূন্য। ইরানকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র কোনোদিন ফলপ্রসূ হবে না।  এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান জানিয়েছেন, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে আটক করা ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজের ক্রুদের ছেড়ে দেওয়া হবে। পর্তুগিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেঞ্জেলকে তিনি এ কথা জানান।  তিনি বলেন, এরইমধ্যে তেহরানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে তাদের কখন ছেড়ে দেওয়া হবে তা তিনি স্পষ্ট করে জানাননি।  এর আগে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট হরমুজ প্রণালি থেকে ইসরায়েলের একটি বিশালাকৃতির কার্গো জাহাজ ধরে নিয়ে গেছে ইরানের চৌকস বাহিনী বিপ্লবী গার্ডের নৌ-কমান্ডোরা। বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, এমএসসি এআরআইইএস নামের একটি জাহাজ জব্দ করেন বিপ্লবী গার্ডের সেনারা। ইরানি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, জাহাজটি জোডিয়াক মেরিটাইম শিপিং কোম্পানির। এই কোম্পানিটির মালিক হলেন ইসরায়েলের ধনকুবের ইয়াল ওফার। জাহাজটি পর্তুগালের পতাকাবাহী ছিল। হরমুজ প্রণালি থেকে জব্দ করার পর জাহাজটি এখন ইরানের সমুদ্রসীমায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যুদ্ধ পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান ওয়ার মনিটরও জাহাজ দখলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে জানানো হয়েছে, হরমুজ প্রণালির কাছ থেকে ইরানের সেনারা এমএসসি এআরআইইএস নামের জাহাজটি দখলে নিয়েছে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

পরমাণু শক্তিধর পাকিস্তানে ইরানের প্রেসিডেন্ট
তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে পাকিস্তান পৌঁছেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে নূর খান বিমানঘাঁটিতে ইরানি প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান পাকিস্তানের গৃহায়ন ও পূর্তমন্ত্রী মিয়া রিয়াজ হোসেন পীরজাদা। পরে ইরানের প্রেসিডেন্ট ও তার সফর সঙ্গীদের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সফররত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের পর দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে এটিই প্রথম কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের সফর। খবর জিওটিভি ও দ্য ডনের। পরে ইরানের প্রেসিডেন্ট এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ আর্থ ডে উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে একটি চারা রোপণ করেছেন। পাশাপাশি পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন। রাইসির পাকিস্তান সফরকালে পাকিস্তান-ইরান সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে এবং বাণিজ্য, সংযোগ, জ্বালানি, কৃষি, এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য উভয় পক্ষের বিস্তৃত এজেন্ডা থাকবে। এ ছাড়া সন্ত্রাসবাদের অভিন্ন হুমকি মোকাবিলায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নানা ঘটনা এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করবেন পাকিস্তান ও ইরানের নেতারা।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

জরুরিভিত্তিতে পাকিস্তানে যাচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
জরুরিভিত্তিতে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ইতোমধ্যেই ইসলামাবাদ ও তেহরান প্রেসিডেন্ট রাইসির এ সফরের ব্যাপারে একমত হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে রাইসির এ সফর আগামী ২২ এপ্রিল হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইরানের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।  সফরে প্রেসিডেন্ট রাইসির সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল থাকবে। এ সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও সামরিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট রাইসির পাকিস্তান সফর অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।  সম্প্রতি দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মোহাম্মদ রেজা জাহেদি ও মোহাম্মদ হাদি হাজি রাহিমিসহ বেশ কয়েকজন নিহত হওয়ার প্রতিশোধে ইসরায়েলে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। এর পরপরই তিনি ইসলামাবাদ সফর করতে যাচ্ছেন। বিশ্ব রাজনীতিতে পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে পরিচিত হলেও ইরানের সঙ্গেও দহরম মহরম রয়েছে দেশটির।  তবে কূটনৈতিক একটি সূত্রে জানা গেছে, দুই দেশের সহযোগিতা আরও বাড়ানোর অংশ হিসেবে এ সফর করতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের জিও নিউজ জানায়, প্রেসিডেন্ট রাইসির আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, নিরাপত্তা সহযোগিতা, গ্যাস পাইপলাইন এবং সম্ভাব্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি।  এদিকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইসরায়েল, যদিও তাতে মিত্র আমেরিকার সমর্থন নেই। ফলে তাৎক্ষণিক জবাব দিতে না পারলেও তেহরানকে এ হামলার মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে তেলআবিব। তবে কখন কীভাবে এ হামলার জবাব দেওয়া হবে তা প্রকাশ করেননি ইসরায়েলি নেতারা।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

জরুরি ভিত্তিতে পাকিস্তান সফরে ইরানের প্রেসিডেন্ট
জরুরি ভিত্তিতে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ইতোমধ্যেই ইসলামাবাদ ও তেহরান প্রেসিডেন্ট রাইসির এ সফরের ব্যাপারে একমত হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে রাইসির এ সফর আগামী ২২ এপ্রিল হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইরানের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। সোমবার (১৫ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সফরে প্রেসিডেন্ট রাইসির সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল থাকবে। এ সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও সামরিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট রাইসির পাকিস্তান সফর অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।  সম্প্রতি দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মোহাম্মদ রেজা জাহেদি ও মোহাম্মদ হাদি হাজি রাহিমিসহ বেশ কয়েকজন নিহত হওয়ার প্রতিশোধে ইসরাইলে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। এর পরপরই তিনি ইসলামাবাদ সফর করতে যাচ্ছেন। বিশ্ব রাজনীতিতে পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে পরিচিত হলেও ইরানের সঙ্গেও দহরম-মহরম রয়েছে দেশটির।  তবে কূটনৈতিক একটি সূত্রে জানা গেছে, দুই দেশের সহযোগিতা আরও বাড়ানোর অংশ হিসেবে এ সফর করতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের জিও নিউজ জানায়, প্রেসিডেন্ট রাইসির আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, নিরাপত্তা সহযোগিতা, গ্যাস পাইপলাইন এবং সম্ভাব্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি।  এদিকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন০০ হামলার প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইসরায়েল, যদিও তাতে মিত্র আমেরিকার সমর্থন নেই। ফলে তাৎক্ষণিক জবাব দিতে না পারলেও তেহরানকে এ হামলার মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে তেলআবিব। তবে কখন কীভাবে এ হামলার জবাব দেয়া হবে তা প্রকাশ করেননি ইসরায়েলি নেতারা।   
১৬ এপ্রিল, ২০২৪
X