জরুরিভিত্তিতে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ইতোমধ্যেই ইসলামাবাদ ও তেহরান প্রেসিডেন্ট রাইসির এ সফরের ব্যাপারে একমত হয়েছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে রাইসির এ সফর আগামী ২২ এপ্রিল হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইরানের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
সফরে প্রেসিডেন্ট রাইসির সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল থাকবে। এ সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও সামরিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট রাইসির পাকিস্তান সফর অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সম্প্রতি দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মোহাম্মদ রেজা জাহেদি ও মোহাম্মদ হাদি হাজি রাহিমিসহ বেশ কয়েকজন নিহত হওয়ার প্রতিশোধে ইসরায়েলে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান।
এর পরপরই তিনি ইসলামাবাদ সফর করতে যাচ্ছেন। বিশ্ব রাজনীতিতে পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে পরিচিত হলেও ইরানের সঙ্গেও দহরম মহরম রয়েছে দেশটির।
তবে কূটনৈতিক একটি সূত্রে জানা গেছে, দুই দেশের সহযোগিতা আরও বাড়ানোর অংশ হিসেবে এ সফর করতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট রাইসি।
সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের জিও নিউজ জানায়, প্রেসিডেন্ট রাইসির আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, নিরাপত্তা সহযোগিতা, গ্যাস পাইপলাইন এবং সম্ভাব্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি।
এদিকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইসরায়েল, যদিও তাতে মিত্র আমেরিকার সমর্থন নেই।
ফলে তাৎক্ষণিক জবাব দিতে না পারলেও তেহরানকে এ হামলার মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে তেলআবিব। তবে কখন কীভাবে এ হামলার জবাব দেওয়া হবে তা প্রকাশ করেননি ইসরায়েলি নেতারা।
মন্তব্য করুন