ইসরায়েলি জাহাজ জব্দের কারণ জানাল ইরান
ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার মধ্যে ইসরায়েলি জাহাজ জব্দ করেছে দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর নৌসেনারা। এবার সেই জাহাজ জব্দের কারণ জানিয়েছে ইরান। সোমবার (১৫ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে সংবাদমাধ্যম ডেকান হ্যারাল্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) পর্তুগিজ পতাকাবাহী জাহাজ এমএসসি এআরআইইএসকে জব্দ করা হয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সমুদ্রসীমা নীতি লঙ্ঘন করায় জাহাজটিকে জব্দ করা হয়েছে। জাহাজটি ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট এতে কোনো সন্দেহ নেই বলেও জানান তিনি।  কানানি বলেন, হরমুজ প্রণালি ও পারস্য উপসাগরে জাহাজ চলাচলের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে চায় ইরান। জব্দ করা জাহাজটির গতিপথ বদলে ইরানের আঞ্চলিক জলসীমায় পাঠানো হয়েছে।  ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাহাজটি ইরান সরকারের প্রশ্নের উত্তর দেয়নি। এ ছাড়া সমুদ্রসীমা আইন লঙ্ঘন করেছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে জাহাজটিকে জব্দ করা হয়েছে।  এর আগে গত শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট হরমুজ প্রণালি থেকে ইসরায়েলের একটি বিশালাকৃতির কার্গো জাহাজ ধরে নিয়ে গেছে ইরানের চৌকস বাহিনী বিপ্লবী গার্ডের নৌ-কমান্ডোরা।  বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, শনিবার এমএসসি এআরআইইএস নামের জাহাজটি জব্দ করেন বিপ্লবী গার্ডের সেনারা। ইরানি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, জাহাজটি জোডিয়াক মেরিটাইম শিপিং কোম্পানির। এই কোম্পানিটির মালিক হলেন ইসরায়েলের ধনকুবের ইয়াল ওফার। জাহাজটি পর্তুগালের পতাকাবাহী ছিল। হরমুজ প্রণালি থেকে জব্দ করার পর জাহাজটি এখন ইরানের সমুদ্রসীমায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যুদ্ধ পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান ওয়ার মনিটরও জাহাজ দখলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানানো হয়েছে, হরমুজ প্রণালির কাছ থেকে ইরানের সেনারা এমএসসি এআরআইইএস নামের জাহাজটি দখলে নিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এক সামরিক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এপিকে এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও পাঠিয়েছেন। সেটিতে দেখা গেছে, বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডোরা হেলিকপ্টার নিয়ে জাহাজটিতে নামছেন। ভিডিওতে জাহাজটির এক ক্রুকে বলতে শোনা যায়, ‘কেউ বাইরে যাবেন না।’ পরে তিনি সবাইকে জাহাজের ব্রিজে যাওয়ার জন্য বলেন। ভিডিওটিতে আরও দেখা যায়, বিপ্লবী গার্ডের এক কমান্ডো হাঁটু গেড়ে বসে অন্যদের নিরাপত্তা দিচ্ছেন। ওই সময় হেলিকপ্টার থেকে অন্য আরও কমান্ডোরা নেমে আসেন। জাহাজটি শুক্রবার দুবাইয়ে ছিল। শনিবার এটি হরমুজ প্রণালিতে আসে। ওই সময় জাহাজটি ট্র্যাকিং ডাটা বন্ধ করা ছিল। নিরাপত্তার জন্য গালফ অঞ্চল দিয়ে চলাচল করা সব ইসরায়েলি জাহাজ গত কয়েক দিন ধরে ট্র্যাকিং ডাটা বন্ধ করে চলছে। তবে পার পাচ্ছে না। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল ইরান। এরপর গত শনিবার গভীর রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে পাঁচ ঘণ্টা ধরে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। হামলার একপর্যায়ে চিরশত্রু ইসরায়েলের দিকে কয়েক মিনিটের মধ্যে একযোগে অন্তত ১০০টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে আইআরজিসির বিমানবাহিনী। ইরানের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিনশরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তেহরান। সেগুলোর বেশিরভাগ ইসরায়েল প্রতিহত করলেও অন্তত ৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের মাটিতে আঘাত হেনেছে। ইরানি বার্তা সংস্থা ইরনা নিউজ জানিয়েছে, রেমন ঘাঁটিতে দ্রুতগতির ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে ইসরায়েল নিশ্চিত করেছে। ইসরায়েলে ইরানের এ হামলায় সমর্থনকারী দেশগুলোকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা আশতিয়ানি বলেন, যদি কোনো দেশ তাদের আকাশসীমা ইসরায়েলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয় তাহলে আমরা তাদের চূড়ান্ত মোকাবিলা করব। এক্সে হিব্রু ভাষায় এক পোস্টে তিনি বলেন, যদি কোনো দেশ ইরানের ওপর (সম্ভাব্য) আক্রমণের জন্য ইসরায়েলের জন্য তার মাটি বা আকাশসীমা উন্মুক্ত করে দেয়, তাহলে তারা আমাদের পক্ষ থেকে নিষ্পত্তিমূলক প্রতিক্রিয়া পাবে।  
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

সিনেমার কায়দায় ইসরায়েলি জাহাজ দখলে নিল ইরান
বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট হরমুজ প্রণালি থেকে ইসরায়েলের একটি বিশালাকৃতির কার্গো জাহাজ ধরে নিয়ে গেছে ইরানের চৌকস বাহিনী বিপ্লবী গার্ডের নৌ-কমান্ডোরা। শনিবার (১৩ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, শনিবার এমএসসি এআরআইইএস নামের জাহাজটি জব্দ করেন বিপ্লবী গার্ডের সেনারা। ইরানি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, জাহাজটি জোডিয়াক মেরিটাইম শিপিং কোম্পানির। এই কোম্পানিটির মালিক হলেন ইসরায়েলের ধনকুবের ইয়াল ওফার। জাহাজটি পর্তুগালের পতাকাবাহী ছিল। হরমুজ প্রণালি থেকে জব্দ করার পর জাহাজটি এখন ইরানের সমুদ্রসীমায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যুদ্ধ পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান ওয়ার মনিটরও জাহাজ দখলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানানো হয়েছে, হরমুজ প্রণালির কাছ থেকে ইরানের সেনারা এমএসসি এআরআইইএস নামের  জাহাজটি দখলে নিয়েছে।  ️Iranian forces took over an Israeli ship named "MCS ARIES" near the Strait of Hormuz pic.twitter.com/5nmXTOBUwd — War Monitor (@WarMonitors) April 13, 2024 মধ্যপ্রাচ্যের এক সামরিক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এপিকে এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও পাঠিয়েছেন। সেটিতে দেখা গেছে, বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডোরা হেলিকপ্টার নিয়ে জাহাজটিতে নামছেন। ভিডিওতে জাহাজটির এক ক্রুকে বলতে শোনা যায়, ‘কেউ বাইরে যাবেন না।’ পরে তিনি সবাইকে জাহাজের ব্রিজে যাওয়ার জন্য বলেন। ভিডিওটিতে আরও দেখা যায়, বিপ্লবী গার্ডের এক কমান্ডো হাঁটু গেড়ে বসে অন্যদের নিরাপত্তা দিচ্ছেন। ওই সময় হেলিকপ্টার থেকে অন্য আরও কমান্ডোরা নেমে আসেন। জাহাজটি শুক্রবার দুবাইয়ে ছিল। শনিবার এটি হরমুজ প্রণালিতে আসে। ওই সময় জাহাজটি ট্র্যাকিং ডাটা বন্ধ করা ছিল। নিরাপত্তার জন্য গালফ অঞ্চল দিয়ে চলাচল করা সব ইসরায়েলি জাহাজ গত কয়েক দিন ধরে ট্র্যাকিং ডাটা বন্ধ করে চলছে। তবে পার পাচ্ছে না।  মূলত সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে ইসরায়েলের হামলার পর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয় তেহরান। এরপর থেকে চরম আতঙ্কে আছে ইসরায়েল। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ইরান ইসরায়েলে শতাধিক ড্রোন ও কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে। এ অবস্থায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নানা ধরনের জল্পনা প্রকাশিত হয়েছে।  মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারকে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছে। ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র বহরে রয়েছে ভয়ংকর ৯টি ক্ষেপণাস্ত্র, যা ইসরায়েল এবং তাদের পশ্চিমা মিত্রদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, ইসরায়েলের হামলা চালাতে সক্ষম এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও ইরানের হাতে রয়েছে শক্তিশালী সামরিক ড্রোনের বহর। এর মধ্যে মুহাজির-১০ ড্রোন দিয়ে ৩০০ কেজি বোমা বহন করে ২ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা যায়। এই ড্রোনটি টানা ২৪ ঘণ্টা আকাশে উড়তে পারে। শুধু তাই নয়, নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি শব্দের চেয়ে ৫ গুণ দ্রুতগতি সম্পন্ন হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে তেহরানের হাতে।  
১৩ এপ্রিল, ২০২৪

আরও এক ইসরায়েলি জাহাজ ছিনতাই
ইয়েমেন উপকূলে ইসরায়েলি মালিকানাধীন আরও একটি জাহাজ ছিনতাই হয়েছে। ইসরায়েলি ধনকুবের এইয়াল অফারের মালিকানাধীন জোডিয়াক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা জোডিয়াক মেরিটাইম শিপ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি জানিয়েছে, সেন্ট্রাল পার্ক নামে তাদের একটি জাহাজ ইয়েমেন উপকূলে ছিনতাই হয়েছে। পরে ছিনতাই হওয়া সেই জাহাজ মার্কিন নৌবাহিনী ছিনিয়ে নেয় বলে যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা এ কাজ করেছে বলে ধারণা করা হলেও তারা অবশ্য এখনো এ ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। খবর আলজাজিরার। গত রোববার এডেন উপসাগরে সেন্ট্রাল পার্ক নামে একটি তেলের ট্যাঙ্কার ছিনতাই করা হয়। তবে কে বা কারা ট্যাঙ্কারটি জব্দ করে তা জানা যায়নি। খবরে বলা হয়, এডেন উপসাগরে ইয়েমেন উপকূল থেকে একদল বন্দুকধারী ট্যাঙ্কারটি ছিনতাই করে। ট্যাঙ্কারটিতে বিভিন্ন দেশের ২২ নাবিক রয়েছেন। ট্যাঙ্কারটি পরিচালনা করছিল জোডিয়াক মেরিটাইম নামে একটি কোম্পানি। ট্যাঙ্কার আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জোডিয়াক মেরিটাইম। কোম্পানিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, একজন তুর্কি ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বে ট্যাঙ্কারটিতে ২২ নাবিক রয়েছেন। নাবিকরা প্রধানত রুশ, ভিয়েতনামিজ, বুলগেরিয়ান, ভারতীয়, জর্জিয়ান ও ফিলিপিনো। জোডিয়াক মেরিটাইমের দাবি, ট্যাঙ্কারটি চুমভেজ শিপিং ইনকরপোরেশন নামে একটি কোম্পানির। তবে নথিপত্র অনুসারে এই দাবি সত্য নয়। জোডিয়াক মেরিটাইমই ট্যাঙ্কারটির আসল মালিক। এরপর গতকাল সোমবার সকালে মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডার এক বিবৃতিতে বলেন, তাদের সেনাবাহিনী, মিত্রসহ আর্লে বার্ক-শ্রেণির ধ্বংসকারী ইউএসএস ম্যাসন নিয়ে এডেন উপসাগরে ছিনতাই হওয়া সেই জাহাজ উদ্ধার করেন। তিনি আরও বলেন, ‘পাঁচজন সশস্ত্র ব্যক্তি জাহাজটি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় এবং তারা ছোট নৌকায় করে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ম্যাসনের ধাওয়ায় তারা শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করে।’ তবে কে বা কারা জাহাজটি ছিনতাই করে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানাননি সেন্ট্রাল কামান্ডার। তিনি বলেন, ‘আজ সকালে হুতি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেন থেকে মিসাইল ছোড়া হয়েছে। এটা থেকে মনে হচ্ছে এটা হুতিদের কাজ।’ উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে লোহিত সাগরে একটি ইসরায়েলি জাহাজ জব্দ করে হুতি বিদ্রোহীরা।
২৮ নভেম্বর, ২০২৩

লোহিত সাগরে হুতি আতঙ্কে ইসরায়েলি জাহাজ
লোহিত সাগরে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হাতে একটি ইসরায়েলি মালিকানাধীন জাহাজ জব্দের পর ভয়ে পথ পাল্টেছে একই কোম্পানির আরও দুটি জাহাজ। জাহাজ দুটির নাম গ্লোভিস স্টার এবং হার্মিস লিডার। শিপিং ডেটা ও ব্রিটিশ মেরিটাইম কোম্পানি আম্ব্রের সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এর আগে গত গত রোববার লোহিত সাগরে একটি বিশাল বাণিজ্যিক জাহাজ জব্দ করে ইয়েমেনি হুতি বিদ্রোহীরা। তাদের দাবি, জাহাজটির আংশিক মালিক এক ইসরায়েলি ধনকুবের। কিন্তু ইসরায়েল দাবি করছে, জাহাজটি ব্রিটিশ মালিকানাধীন এবং পরিচালিত হয় একটি জাপানি সংস্থার অধীনে। হুতিরা জব্দের সময় জাহাজটিতে কোনো ইসরায়েলি নাগরিক ছিল না বলেও দাবি করেছে তেলআবিব। এই ঘটনায় ইরানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েল এবং এর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দিয়েছে তারা। সোমবার জাপান সরকারের মুখপাত্র গ্যালাক্সি লিডার নামের কার্গো জাহাজটি জব্দ হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন এবং এটি ছেড়ে দিতে হুতিদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে সৌদি আরব, ওমান ও ইরানের সহায়তা চেয়েছেন তিনি। তুরস্ক থেকে ভারতগামী জাহাজটিতে অন্তত ২৫ জন ক্রু ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, পাবলিক শিপিং ডেটাবেসে জাহাজটির মালিকানা সম্পর্কিত বিবরণে রে কার ক্যারিয়ারসের নাম রয়েছে। সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা আব্রাহাম ‘রামি’ উঙ্গার, যিনি ইসরায়েলের অন্যতম ধনী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। উঙ্গার বার্তা সংস্থা এপি’কে বলেছেন, তিনি হুতিদের হাতে জাহাজ জব্দের ঘটনা সম্পর্কে অবগত। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। ইসরায়েলি এ ব্যবসায়ীর সঙ্গে সম্পর্কিত একটি জাহাজ ২০২১ সালে ওমান উপসাগরে বিস্ফোরণের সম্মুখীন হয়েছিল। ইসরায়েলি গণমাধ্যম সে সময় এ ঘটনার জন্য ইরানকে দায়ী করেছিল। ব্রিটিশ মেরিটাইম সিকিউরিটি কোম্পানি আম্ব্রে জানিয়েছে, রোববার হুতিদের হাতে গ্যালাক্সি লিডার জব্দের পর লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগর থেকে রে কার ক্যারিয়ারস সম্পর্কিত আরও দুটি জাহাজ তাদের গতিপথ পরিবর্তন করেছে। জাহাজ দুটির নাম গ্লোভিস স্টার ও হার্মিস লিডার।
২২ নভেম্বর, ২০২৩

ইসরায়েলি জাহাজ দেখামাত্র আটকে দেবে ইয়েমেন
লোহিত সাগর দিয়ে চলাচল করা সব ধরনের ইসরায়েলি জাহাজ নিজেদের বৈধ টার্গেট। সাগরে ইসরায়েলি জাহাজ দেখামাত্র আটক করার হুমকি দিয়েছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি। গত রোববার (১৯ নভেম্বর) লোহিত সাগরে ইসরায়েলি সংশ্লিষ্ট একটি জাহাজ আটকের পর এই সতর্কবার্তা দিল সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের। আল-মাসিরাহ টিভিকে হুতি সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল আলি আল-মোশকি বলেছেন, যে কোনো জায়গা দিয়ে চলাচল করা ইসরায়েলি জাহাজ তাদের বৈধ টার্গেট। এসব জাহাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তারা দ্বিধা করবেন না। এর আগে গত রোববার লোহিত সাগরে ইসরায়েলসংশ্লিষ্ট একটি জাহাজ জব্দ করে হুতিরা। হুতির মুখপাত্র ইয়াহইয়া সারি বলেন, ‘ইসরায়েলি জাহাজটিকে’ লোহিত সাগর থেকে জব্দ করা হয়েছে। এরপর নাবিকসহ জাহাজটিকে উপকূলে সরিয়ে আনা হয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে ইসলামি নিয়মনীতি মেনে আচরণ করছি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, হুতিদের জব্দ করা জাহাজটির নাম গ্যালাক্সি লিডার। এটি ব্রিটিশ কোম্পানির। পরিচালনা করছিল একটি জাপানি কোম্পানি। এটি আন্তর্জাতিক বেসামরিক নাবিকদের নিয়ে তুরস্ক থেকে ভারত যাচ্ছিল। জাহাজটিতে কোনো ইসরায়েলি নেই। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের দিকে বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে হুতিরা। তবে এবারই প্রথমবারের মতো জাহাজ আটক করল।
২১ নভেম্বর, ২০২৩

ইসরায়েলি জাহাজ দেখলেই হামলার হুমকি ইয়েমেনের
ইসরায়েলের জাহাজ দেখলেই হামলার হুমকি দিয়েছে ইয়েমেন। দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা জানিয়েছে, লোহিত সাগরে ইসরায়েলি জাহাজ দেখলেই হামলা করা হবে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  হুথিদের নেতা আবদুল মালেক আল হুতি বলেন, তারা লোহিত সাগরে ইসরায়েলি বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর নজরদারি করছে। ইসরায়েলের পতাকা বহন করে না এমন জাহাজের ওপর নজর রয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি।  আল মাশিরাহ টিভিকে তিনি বলেন, আমরা লোহিত সাগরে নজরদারি করছি। এ নৌপথে ইসরায়েলের জাহাজের ওপর আমাদের তীক্ষ্ণ নজর ও অনুসন্ধান চলছে।  তিনি বলেন, শত্রুরা এ অঞ্চলে বিশেষ করে বাব আল মানদেবে ছদ্মবেশে চলাচল করছে। তারা নিজেদের পতাকা উড়িয়ে চলার সাহস করছে না। এমনকি এ অঞ্চলে চিহ্নিতকরণ সরঞ্জাম বন্ধ করে তারা চলাচল করছে।  হুতির এ নেতা বলেন, আমরা খোঁজ করছি এবং তাদের জাহাজের বিষয়টি যাচাই করছি। তাদের জাহাজ পেলে আমরা হামলা চালাতে পিছপা হবো না।  এদিকে, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর শনিবার দ্বিতীয়বারের মতো বক্তব্য দিয়েছেন হিজবুল্লাহর প্রধান সাইয়েদ হাসান নাসরাল্লাহ। ভক্ত-সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া এই বক্তব্যে নতুন একটি অস্ত্র বের করার তথ্য সামনে আনেন তিনি। নাসরাল্লাহ বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের অভিযান ও হামলার পরিধি বেড়েছে কয়েক গুণ। ইসরায়েলি বিমান হামলার জবাবে প্রথমবারের মতো উত্তর ইসরায়েলের শহর কিরিয়াত শমোনায় আঘাত হেনেছে হিজবুল্লাহ। এ হামলায় চার ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। তিনি জানান, এসব হামলায় সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো বুরকান ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা চালাতে। অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু লেবাননকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হিজবুল্লাহ তাদের তৎপরতা না থামালে গাজার মতো পরিণতি হবে লেবাননের রাজধানী বৈরুতও। তবে ছেড়ে কথা বলছে না ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটি। তারা বলছে, যে কোনো সময় ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের মাত্রা বাড়াতে হিজবুল্লাহও প্রস্তুত আছে। কিন্তু সংগঠনটি এ ধরনের পদক্ষেপ থেকে রাজনৈতিকভাবে কত দিন এবং কতটা পিছিয়ে থাকবে তা সম্ভবত নির্ভর করবে ইরান ও নাসরাল্লাহর ওপর।  
১৫ নভেম্বর, ২০২৩
X