শোলাকিয়ায় ৫ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে ঈদের জামাত আদায়
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় ঈদুল ফিতরের জামাত জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহাসিক এ ঈদগাহ ময়দানে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত ১৯৭তম ঈদুল ফিতরের জামাতে ইমামতি করেন শহরের বড় বাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা শোয়াইব বিন আব্দুর রউফ। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজসহ বিশিষ্টজনেরা এ মাঠে নামাজ আদায় করেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, এবারও দেশ-বিদেশের সাড়ে চার লাখেরও বেশি মুসল্লি এ ময়দানে একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছেন। সকাল সাড়ে ৯টার আগেই মাঠ ভরে যায়। সকাল ১০টায় নামাজ শুরু হলে শোলাকিয়া মাঠে উপচেপড়া ভিড়ের কারণে আশপাশের রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ির ছাদ, নরসুন্দা নদীর পারে মুসল্লিরা নামাজের কাতার করে দাঁড়িয়ে যান। ঈদগাহ ময়দানের রেওয়াজ অনুযায়ী নামাজ শুরুর ১৫মিনিট আগে পরপর তিনবার শটগানের গুলি ছুড়ে মুসল্লিদের নামাজে দাঁড়ানোর সংকেত দেওয়া হয়। নামাজ শেষে বাংলাদেশসহ মুসলিম জাহানের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়। শোলাকিয়ায় নামাজ আদায় করতে গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, বরিশাল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, যশোরসহ ৬৪টি জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে কিশোরগঞ্জে লোক আসতে শুরু করেন। অনেকে আত্মীয়স্বজন, হোটেল, শহরের মসজিদগুলোতে এবং ঈদগাহ মাঠে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়ে রাতযাপন করেন। প্রতিবারের মতো এবারও শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য দুটি বিশেষ ট্রেন চালু করে। একটি ট্রেন ভৈরব থেকে ভোর ৬টায় ছেড়ে সকাল ৮টায় কিশোরগঞ্জ স্টেশনে আসে। অন্যটি ভোর পৌনে ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে সকাল সাড়ে ৮টায় কিশোরগঞ্জে পৌঁছে। দুটি ট্রেনই দুপুর ১২টায় মুসল্লিদের নিয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরব ও ময়মনসিংহের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ২০১৬ সালের জঙ্গি হামলার পর থেকে শোলাকিয়া ময়দানে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মাঠ ও আশপাশের এলাকা পর্যবেক্ষণ ও ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়। এবারের ঈদের জামাতে টুপি ও জায়নামাজ ছাড়া আর কিছু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করতে পারেনি মুসল্লিরা। চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবার। মুসল্লিরা পুলিশের চারটি স্থাপনা পেরিয়ে আসতে হয়েছে ঈদগাহ মাঠে।  নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে চারটি ড্রোন ওড়ানো হয়। ঈদগাসহ আশপাশের এলাকা পর্যবেক্ষণে বসানো হয়েছে ৬৪টি সিসি ক্যামেরা। ফায়ার সার্ভিসসহ ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে প্রস্তুত ছিল মেডিকেল টিম। ছিল পুলিশের কুইক রেসপন্স টিম। ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তায় বোমা শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয়করণের একটি দল উপস্থিত ছিল। এ ছাড়া মাঠের নিরাপত্তার জন্য পাঁচ প্লাটুন বিজিবি সদস্য, র‌্যাব, আর্মস পুলিশ ব্যাটালিয়ন ছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করে মুসল্লিদের নিরাপত্তায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ২৮টি প্রবেশ পথে মুসল্লিদের দেহ তল্লাশি করে ঈদগাহে প্রবেশের ব্যবস্থা করে। ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ২০১৬ সালের ৭ জুলাই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য, এক নারী ও এক জঙ্গি নিহত হয়। এ জঙ্গি হামলায় পুলিশসহ ১৬ জন আহত হয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও ভাটা পড়েনি ঐতিহাসিক এই ঈদগাহ ময়দানের ঈদের জামাতে মুসল্লিদের সমাগম।
১১ এপ্রিল, ২০২৪

একনজরে রাজধানীতে ঈদের জামাতের সময়সূচি
বাংলাদেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)। এদিন ঈদগাহ ও বিভিন্ন মসজিদে দুই রাকাত ঈদের ওয়াজিব নামাজ আদায় করবেন মুসল্লিরা। রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বছরের মতো এবারও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হবে পাঁচটি জামাত। এ ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।   জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত   জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে এ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।   রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, এমপি, সচিব, বিদেশি কূটনীতিকসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সব স্তরের মুসল্লি জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদ জামাতে অংশ নেবেন। নারীদের নামাজের জন্য রাখা হয়েছে আলাদা ব্যবস্থা।   ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করতে পারবেন। এ ছাড়াও অনেক মুসল্লি মূল প্যান্ডেলের বাইরে ঈদের জামাত আদায় করে থাকেন।   এই ঈদ জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ক্বারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।   বায়তুল মোকাররমে ৫ জামাত   বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান এবং মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন ক্বারী মো. ইসহাক মোয়াজ্জিন।   দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায়। ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. এহসানুল হক এবং মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. আব্দুল হাদী।   তৃতীয় জামাত হবে সকাল ৯টায়। এতে বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম ইমাম হিসেবে এবং খাদেম মো. আব্দুল হাদী মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন।   সকাল ১০টায় অনুষ্ঠেয় চতুর্থ জামাতে ইমাম হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী এবং মুকাব্বির হিসেবে বায়তুল মোকাররমের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন থাকবেন।   পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হবে বেলা পৌনে ১১টায়। এতে ইমাম হিসেবে থাকবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন এবং মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররমের খাদেম মো. রুহুল আমিন।   তবে এই পাঁচটি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন।   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ৬ জামাত   সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জমঈয়তে আহলে হাদিসের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআয় সকাল ৮টা ও ৯টায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সলিমুল্লাহ মুসলিম হল মসজিদে সকাল ৮টায়, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল লনে সকাল ৮টায়, আজিমপুর ঢাবি আবাসিক এলাকার বায়তুন নূর জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদ জামাত হবে।   বুয়েট এলাকায় ৩ জামাত   বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত সকাল সোয়া ৭টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। খোলা মাঠে নামাজের জামাতের ওপর সরকারি বিধিনিষেধ জারি করা হলে বা আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে খেলার মাঠের পরিবর্তে নামাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে প্রথম জামাত বুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত বকসি বাজার বায়তুস সালাম মসজিদে সকাল ৮টায় এবং আজাদ আবাসিক এলাকা মসজিদে সকাল ৮টায় তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।   কামরাঙ্গীরচরে ৩ জামাত   কামরাঙ্গীরচর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া কামরাঙ্গীরচর হাফেজি হুজুর মসজিদ মাদরাসায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের একটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।   রাজধানীর অন্যান্য এলাকায় ঈদের জামাত   কাজীপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তিনটি জামাত যথাক্রমে সকাল ৭টা, ৮টা ও পৌনে ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে, দারুস সালাম মীর বাড়ি আদি (মাদবর বাড়ি) জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা ও সকাল ৮টায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে, পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার মিয়া সাহেবের ময়দান খানকা শরীফ জামে মসজিদে সকাল ৭টায়, লক্ষ্মীবাজার নূরানি জামে মসজিদে সকাল পৌনে ৮টা ও সকাল সাড়ে ৮টায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে, খিলগাঁও চৌধুরীপাড়া পল্লীমা সংসদ প্রাঙ্গণে সকাল সাড়ে ৭টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।   এ ছাড়া সায়েদাবাদ চিশতিয়া দরবার শরফয় জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়। পল্লবীর ২ নম্বর ওয়ার্ডে হারুন মোল্লাহ ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
১০ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদের জামাত নিয়ে ডিএমপির নির্দেশনা 
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে গমনাগমন নিয়ে ট্রাফিক নির্দেশনা দিয়েছে  ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক রমনা বিভাগ।  নির্দেশনা অনুযায়ী-জিরো পয়েন্ট ক্রসিং, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, প্রেসক্লাব লিংক রোড, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পেছনের গলি, ইউবিএল ক্রসিং, কন্ট্রোলরুম গ্যাপ ও মৎস্য ভবন ক্রসিংয়ের রাস্তায় ডাইভারসন থাকবে । আর এসব রাস্তার যানবাহনগুলো বিকল্প রাস্থা হিসেবে শাহবাগ-মৎস্য ভবন হতে গুলিস্তান অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন মৎস্য ভবন-কাকরাইল মসজিদ-রাজমনি ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। বঙ্গবাজার হতে হাইকোর্ট অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন চাঁনখারপুল-বকশি বাজার-পলাশী ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে।  বাবুবাজার-গুলিস্তান হতে কদমফোয়ারা-মৎস্য ভবন অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন ইউবিএল ক্রসিং-নাইটিংগেল ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। শান্তিনগর-রাজমনি হতে গুলিস্তান ও সদরঘাট অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন নাইটিংগেল ক্রসিং হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। আর জাতীয় ঈদগাহে প্রবেশকারীদের জন্য সর্বসাধারণের গাড়ি পার্কিংয়ের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে- গণপূর্ত ভবন প্রাঙ্গণ, আইইবির প্রাঙ্গণ, জিরোপয়েন্ট ক্রসিং হতে ইউবিএল ক্রসিং পর্যন্ত, দোয়েল চত্বর ক্রসিং এর দক্ষিণ-পশ্চিম-উত্তর পার্শ্ব, ফজলুল হল হতে বঙ্গবাজার ক্রসিং পর্যন্ত, মৎস্য ভবন ক্রসিং এর পূর্ব দিকে কার্পেট গলি রোড এলাকা ও মৎস্য ভবন ক্রসিং হতে শাহাবাগ ক্রসিং পর্যন্ত। রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি ও ভিভিআইপিদের পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে- সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরে গোলচত্বরের নিকট। মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও ভিআইপিদের গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে ঈদগাহ ময়দানের প্রধান গেটের উত্তর পশ্চিম দিকে। বিচারপতিদেরও গাড়ি পার্কিং হবে সুপ্রিম কোর্ট মাজার সংলগ্ন উত্তর পার্শ্বে। উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের গাড়ি থাকবে গণপূর্তভবনের আঙিনায়।  যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাসমূহ কার্যকর করার বিষয়ে নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
১০ এপ্রিল, ২০২৪

সূর্যোদয়ের ১৩ মিনিট পর ঈদের জামাত আরব আমিরাতে
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) ঈদ জামাতের সময়সূচি ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। দেশটিতে প্রথম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সূর্যোদয়ের ১৩ মিনিট পর। এ ছাড়া অন্যান্য শহর বা স্থানে সূর্যোদয়ের সময় ভেদে ১৯ মিনিট পর পর্যন্তও ঈদ জামাতের সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ৮ এপ্রিল (সোমবার) সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রকাশিত প্রতিবেদনে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) ঈদ জামাতের সময়সূচি জানানো হয়েছে। সোমবার আরব আমিরাতের আকাশে চাঁদ দেখা গেলে ঈদ পালিত হতো মঙ্গলবার এবং রোজা হতো ২৯টি। তবে এদিন চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আজ মঙ্গলবার ৩০ রোজা পালন শেষে আগামীকাল বুধবার দেশটিতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে। গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে এবং দেশটির জেনারেল অথরিটি অব দ্য ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড এন্ডোমেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের নামাজের সময় ঘোষণা করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে আরব আমিরাতের এ কর্তৃপক্ষ দেশজুড়ে সব আমিরাতের (এবং কিছু প্রধান অঞ্চলের জন্য) ঈদের নামাজের সময়সূচি ভাগ করে দিয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী, আবুধাবিতে ঈদের জামাত সকাল ৬টা ২২ মিনিটে, দুবাইয়ে ৬টা ২০ মিনিটে, শারজাহ ও আজমানে ৬টা ১৭ মিনিটে, রাস আল খাইমাহতে ৬টা ১৫ মিনিটে, ফুজাইরাহ ও খোরফাক্কানে ৬টা ১৪ মিনিটে এবং উম্মে আল কুওয়াইনে ৬টা ১৩ মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া আল আইনে ৬টা ১৫ মিনিটে এবং জায়েদ সিটিতে বুধবার সকাল ৬টা ২৬ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে ঈদের জামাত।
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

ইমাম নিয়ে দুপক্ষের দ্বন্দ্বে অনিশ্চিত ঈদের জামাত
রংপুরের পীরগাছায় ইমাম নিয়ে দ্বন্দ্বে এক ঈদগাহ মাঠের মুসল্লিরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। আসন্ন ঈদুল ফিতরের নামাজকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন পর্যন্ত গড়িয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি এড়াতে ওই মাঠের নামাজে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। ফলে ওই ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাত নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। জানা যায়, উপজেলার ইটাকুমারী, ইটাকুমারী পূর্বপাড়া, শাহপাড়া, আমতলী, জগদীশ, পঞ্চাননসহ প্রায় ১০টি গ্রামের মুসল্লিদের নামাজের জন্য ৬টি মসজিদ রয়েছে। তবে ওই গ্রামগুলোর মুসল্লিরা একত্রে দীর্ঘদিন ধরে দুই ঈদের নামাজ ইটাকুমারী পূর্বপাড়া ঈদগাহ মাঠে আদায় করে আসছেন। পাঁচ বছর আগে জগদীশ আমতলী মসজিদের ইমাম মাওলানা শহিদুল ইসলামকে ওই ঈদগাহ মাঠের ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার ইমামতিকে কেন্দ্র করে তিন বছর পূর্বে সেখানকার মুসল্লিরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। একপক্ষ ওই ইমামের পরিবর্তন চান। আরেকপক্ষ ওই ইমামকে বহাল রাখতে চান।  এ নিয়ে বহুবার সালিশ বৈঠকের পর গত বছর স্থানীয় ইটাকুমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশার দুপক্ষের জন্য ওই মাঠেই পৃথক দুটি জামাতের ব্যবস্থা করে দেয়। তবে জামাতের সময়কে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এবার আসন্ন ঈদুল ফিতরের নামাজকে কেন্দ্র করে আবারও দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে এবার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন পর্যন্ত গড়ায়। পরে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে দুই পক্ষকে নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করেও কোনো সুরাহা করতে পারেনি। তৃতীয় পক্ষ থেকে ইমাম দেওয়ার কথা বলা হলেও একটি পক্ষ মানতে নারাজ। সর্বশেষ সোমবার (৮ এপ্রিল) আবারও বৈঠক বসে সমাধান না হওয়ায় ঐকমত্যে না পৌঁছা পর্যন্ত ওই মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এ বিষয়ে ইটাকুমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশার বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষকে নিয়ে সমাধানে আসার চেষ্টা করছি। পীরগাছা থানার ওসি সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা চাই, উভয়পক্ষই বসে সমঝোতা করে নামাজ আদায় করুক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক সুমন বলেন, বিবদমান দুপক্ষের মধ্যে মতানৈক্য থাকায় উভয়পক্ষকে একটা সিদ্ধান্তে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।  যদি এর মধ্যে দুপক্ষ ঐকমত্যে না পৌঁছায় তাহলে উদ্ভূত পরিস্থিতি এড়াতে ওই মাঠে ঈদের জামাত বন্ধ থাকবে।
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাত কখন?
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে এবারও পাঁচটি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায়।  রোববার (৭ এপ্রিল) ইসলামিক ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঈদের প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির থাকবেন মসজিদের মোয়াজ্জিন কারি মো. ইসহাক। দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. এহসানুল হক। মুকাব্বির থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত মোয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান। তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায়। এতে ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বিরের দায়িত্বে থাকবেন মসজিদের খাদেম মো. আবদুল হাদী। চতুর্থ জামাত হবে সকাল ১০ টায়। এতে ইমাম থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী এবং মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. জসিম উদ্দিন। এ ছাড়া পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। এতে ইমাম থাকবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। তার সঙ্গে মুকাব্বির হবেন মসজিদের খাদের মো. রুহুল আমিন। এ পাঁচটি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ বা ১১ এপ্রিল দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে। ঈদের তারিখ নির্ধারণে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সভায় বসবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।
০৭ এপ্রিল, ২০২৪

সংসদ ভবনে ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়
জাতীয় সংসদ ভবনে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত আগামী ১১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় (টানেলের নিচে) ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) মো. তারিক মাহমুদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ, অন্যান্য হুইপ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মচারীসহ মুসল্লিরা জামাতে অংশ নেবেন। উল্লেখ্য, এ জামাত সবার জন্য উন্মুক্ত। জামাতে আগ্রহী মুসল্লিদের অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

ঢাকায় ঈদের জামাত কখন কোথায়
পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ আগামীকাল বৃহস্পতিবার। প্রতিবছরের মতো এবারও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের পাঁচটি জামাত হবে। গত রোববার ইসলামিক ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয়টি ৮টায়, তৃতীয়টি ৯টায়, চতুর্থটি ১০টায় এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ ঈদের জামাত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের জানান, ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল হলে সকাল সাড়ে ৭টার পরিবর্তে এ জামাত হবে বায়তুল মোকাররমে সকাল ৮টায়। তিনি আরও বলেন, ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাতে অংশ নেবেন। এ ছাড়া অনেকে মূল প্যান্ডেলের বাইরে ঈদের নামাজ আদায় করে থাকেন। এ ছাড়া বুয়েটের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সকাল সাড়ে ৬টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে মাঠের পরিবর্তে বুয়েটের কেন্দ্রীয় মসজিদে সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে, বকশীবাজার বায়তুস সালাম মসজিদে সকাল ৭টায় এবং আজাদ আবাসিক এলাকা মসজিদে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
২৮ জুন, ২০২৩
X