২১৭ বার নিলেন করোনার টিকা
মহামারির ধাক্কা কাটলেও এখনও স্বাভাবিক হয়নি করোনার আতঙ্ক। বিভিন্ন দেশে করোনার টিকার আবির্ভাব হলেও এ নিয়ে ভীতি এখনও মানুষের মাঝে রয়ে গেছে। এমন সময় সামনে এসেছে এক বিচিত্র ঘটনা। ২১৭ বার করোনার টিকা নিয়েছেন এক ব্যক্তি। বুধবার (০৬ মার্চ) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মেডিকেলের পরামর্শ উপেক্ষা করে ওই ব্যক্তি নিজে এমন কাজ করেছেন। ৬২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি জার্মানির বাসিন্দা। তিনি মোট ২১৭ বার করোনার টিকা নিয়েছেন। আর অদ্ভুত এ ঘটনাটি বিশ্বখ্যাত ল্যানসেট ইকফেকশাস ডিজিজেস সাময়িকীতে উঠে এসেছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মানের ওই ব্যক্তি করোনার টিকা নিজে ব্যক্তিগতভাবে কিনেছেন। এরপর তিনি তা নিজে শরীরে প্রয়োগ করেছেন। ২৯ মাসে তিনি ২১৭ বার এ টিকা নিয়েছেন। যদিও তার নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।   ইউনিভার্সিটি অব এরলানজেন– নুরেমবার্গের গবেষকরা জানিয়েছেন, এতবার টিকা নেওয়ার পরও তার শরীরে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। এজন্য তার কোনো প্রকার দুর্ভোগও পোহাতে হয়নি। তিনি পুরোপুরি সুস্থ আছেন।  বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের ড. কিলিয়ান সোবার বলেন, আমরা পত্রিকা পড়ে ঘটনার বিষয়ে জানতে পারি। এরপর আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমরা তাকে বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি আগ্রহের সঙ্গে আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন।  গবেষকরা জানান, ওই ব্যক্তি নিজের রক্ত ও লালার নমুনা জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া আগে থেকে হিমায়িত তার রক্তের নমুনাও পরীক্ষা করা হয়েছে। গত কয়েক বছরে তার কাছ থেকে এসব নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।  ড. কিলিয়ান বলেন, আমরা ওই ব্যক্তির কাছ থেকে নমুনা নিতে পেরেছিলাম। গবেষণা চলাকালে নিজের আগ্রহে তিনি করোনার টিকা নিয়েছেন। টিকা নেওয়ার পর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় তা নিয়ে গবেষণার জন্য তার নমুনা ব্যবহার করা হয়েছে।  ম্যাগদেবুর্গ শহরের সরকারি কৌঁসুলি ওই ব্যক্তির কাছ থেকে টিকা নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত ১৩০টি ইনজেকশন জব্দ করেছেন। তিনি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে জালিয়াতিসংক্রান্ত তদন্ত করছেন। তবে এতবার টিকা নেওয়ার আগে বা পরে কখনও ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হননি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। 
০৬ মার্চ, ২০২৪

করোনার টিকা নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন বলসোনারো
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার ব্যাপারে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন। তার টিকা কার্ডে ভুয়া তথ্য থাকা সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের কম্পট্রোলার জেনারেলের কার্যালয় এ কথা জানায়। কভিড-১৯ এর ব্যাপারে সন্দেহপ্রবণ বলসোনারো প্রকাশ্যে করোনা টিকার বিরোধিতা করেন। তার টিকা সংক্রান্ত নথিতে উল্লেখ আছে, সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ২০২১ সালে সাও পাওলোর একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক ডোজ টিকা নিয়েছিলেন। কিন্তু তদন্তে দেখা গেছে, নথিতে যে তারিখের উল্লেখ আছে, তার আগের দিন তিনি সাও পাওলো ছেড়েছিলেন। এর পরের তিন দিন তিনি ব্রাসিলিয়াতেই ছিলেন। নথিতে বলসোনারোকে টিকা প্রয়োগকারী হিসেবে যে নার্সের নাম উল্লেখ আছে, তিনি এখন আর ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চাকরি করেন না।
২০ জানুয়ারি, ২০২৪

দেশে করোনার টিকা বিতরণে বৈষম্য ছিল না
করোনা মহামারির সময় বাংলাদেশে এর টিকা বিতরণে সরকার কোনো বৈষম্য করেনি বলে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল সোমবার কাতারের দোহা ফোরামে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদানে সরকারের সাফল্য তুলে ধরে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। দোহা ফোরামে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘ভ্যাকসিন ইনোভেশন অ্যান্ড গ্লোবাল হেলথ রেজিলিয়েন্স: লেসনস ফ্রম কভিড-১৯ অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল সেশনে সভাপতিত্ব করেন। পরে মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানে বলেন, বাংলাদেশে কভিড-১৯ টিকা বিতরণে কোনো বৈষম্য হয়নি। পাশাপাশি টিকা উৎপাদনেও সক্ষম হয় বাংলাদেশ। এজন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা দেশ ও সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি বলেন, ভ্যাকসিন জনপণ্যে পরিণত হলে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশও টিকা তৈরি করতে পারবে। এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী লন্ডনে চ্যাথাম হাউসের রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের সিইও ব্রনওয়ান ম্যাডক্সের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জাশিম আল থানির আমন্ত্রণে দোহা ফোরামে পাঁচ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আজ তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৩
X