প্রার্থীদের আচরণবিধি ভঙের প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন সিইসি 
নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙের অভিযোগে সারা দেশে বিভিন্ন  প্রার্থীদের শোকজ করা ছাড়া কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন সে সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।  মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীদের আপিল আবেদনের বুথ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানান, আজ থেকে আপিল শুরু হয়েছে। যা চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এরপর আমরা কমিশন বসে আবেদনগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিব। জানা গেছে,  প্রথম দিনে বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরীসহ মনোনয়ন বাতিল হওয়া ৪৩ জন আপিল করেছেন। আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে ১০টি অস্থায়ী ক্যাম্পে আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ আপিল আবেদন জমা দেওয়া যাবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল শুনানির মাধ্যমে রায় ঘোষণা করা হবে। ১১টি অঞ্চলকে ভাগ করে ১১টি বুথ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সারা দেশে প্রার্থীদের জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে সোমবার (৪ ডিসেম্বর)। ১৯৮৫ জন প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে মোট ৭৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। বর্তমান সংসদ সদস্যদের কারও কারও মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

সিইসিকে খোলা চিঠি বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির
নির্বাচন কমিশনের ডাকা সংলাপে অংশ না নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে খোলা চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। শনিবার (৪ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর তোপখানা রোডের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা এই আলোচনা সভায় (ইসির সংলাপ) অংশগ্রহণ করার প্রয়োজন মনে করছি না। আমরা সুস্পষ্টভাবে মনে করি, সরকার প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধাত্মক অবস্থান থেকে বিএনপিসহ তাদের রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর যে পরিস্থিতির তৈরি করেছে তা কোনোভাবেই একটি নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের সহায়ক নয়। এ রকম অবস্থায় একতরফা নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হবে চরম দায়িত্বহীন পদক্ষেপ।’ তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের এ রকম তৎপরতা হবে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো সরকার ও সরকারি দলের আরেকটি নীলনকশা। আমরা মনে করি, বিদ্যমান অবস্থায় তপশিল ঘোষণার অর্থ হবে বিরোধী দলসমূহকে নির্বাচনের বাইরে রেখে সরকার ও সরকারি দলের নির্বাচনী নীলনকশা বাস্তবায়নের সহযোগী হওয়া, ভোটের অধিকার বঞ্চিত দেশের জনগণ ও বিরোধী দলসমূহের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করা। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে দেওয়া খোলা চিঠিটি সংবাদ সম্মেলনে পড়ে শোনান সাইফুল হক। সংবাদ সম্মেলনের পর সিইসির কাছে খোলা চিঠিটি পাঠানো হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনার জন্য আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে শনিবার দুই ভাগে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বসে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো। সেখানে বিএনপি ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিসহ কয়েকটি দল উপস্থিত হয়নি। খোলা চিঠিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে প্রস্তাব রেখে সাইফুল হক বলেন, আপনারা একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, সরকার বা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন নন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনাদের এই অবস্থান সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়ে দিতে পারেন যে, দেশে এখন অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ নেই। এই কারণে তপশিল ঘোষণা পিছিয়ে দিয়ে নির্বাচনের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে আপনারা প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সমঝোতা প্রতিষ্ঠার তাগিদ দিয়ে বাস্তব ও নৈতিক অবস্থান গ্রহণ করতে পারেন।  তিনি বলেন, দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিরোধী দলসমূহ ও জনগণকে আস্থায় না নিয়ে একতরফা নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা দেশের নির্বাচনকেন্দ্রিক সংকট আরও ঘনীভূত করবে এবং দেশকে ভয়ংকর বিপর্যস্ত ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেবে। এ ধরনের একটা পরিস্থিতি তৈরির দায়দায়িত্ব আপনাদের ওপরও বর্তাবে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, দেশে বর্তমান বাস্তবতায় বাস্তবে দলনিরপেক্ষ সরকার ব্যতিরেকে অবাধ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের কোনো অবকাশ নেই। সংবাদ সম্মেলনে দলের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামেলী, আনসার আলী দুলাল, মীর নেওয়াজ হোসেন মোস্তাক, আকবর খান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
০৪ নভেম্বর, ২০২৩
X