বারবার নীতি পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুব আলম বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিছুদিন পর পরই নীতিতে পরিবর্তন আনে, এ কারণে আমরা ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হই। গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক শেষে মাহবুব আলম বলেন, একটি প্রজেক্ট করার সময় সুদের হার, বিনিময় হারসহ নানাবিধ চিন্তা-ভাবনা করে তারপর কাজ শুরু করি; কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিছুদিন পরই যদি নীতিতে পরিবর্তন আনে, তখন আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই। এ জন্য আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অনুরোধ করেছি, যাতে নীতিগুলো বারবার পরিবর্তন না করে। যাতে নীতিগুলো দীর্ঘমেয়াদি হয়। এ সময় দুই-তিন মাসের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান হবে বলে আশ্বাস দেন গভর্নর। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, সুদের হার বাজারভিত্তিক করা হলেও বর্তমান বাস্তবতায় এটি ১৪ শতাংশের ওপরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন গভর্নর। কারণ ব্যাংকগুলোর ব্যয় ৬-৮ শতাংশের বেশি না। ফলে ঋণের সুদহার ১৪ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয় বলে জানিয়েছেন তিনি। ব্যবসায়ীরা যেন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তেমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আমি মনে করি দেশের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সঙ্গে সুদহারের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও বলেন, ডলারের দাম একসঙ্গে ৭ টাকা বাড়ার কারণে যে পরিমাণ ঋণ বেড়েছে, সে পরিমাণ টাকার দীর্ঘমেয়াদি ঋণের আবেদন করেছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ ডলারের দাম বাড়ার কারণে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া যাদের একক গ্রাহক ঋণসীমা অতিক্রম করেছে তাদের জন্য বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছেন গভর্নর। বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমরা ডলারের অভাবে এলসি খুলতে পারছি না। এদিকে ইডিএফ কমিয়ে তিন বিলিয়নে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এই সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিকল্প একটি তহবিল ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, যেসব গ্রাহকের নির্ধারিত একক গ্রাহক ঋণসীমা অতিক্রম করেছিল, তাদের ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ঋণ নির্ধারিত সীমার মধ্যে নামিয়ে আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এরপরও কিছু গ্রাহক একক গ্রাহক ঋণের ঊর্ধ্বসীমা শিথিল করার জন্য আবেদন করছেন, যা নির্দেশনার পরিপন্থি। এমন প্রেক্ষাপটে বৃহৎ ঋণঝুঁকি হ্রাস, করপোরেট সুশাসন সমুন্নত রাখা এবং ঋণ বিতরণে উত্তম চর্চা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য একক গ্রাহক ঋণসীমা কোনোক্রমেই অতিক্রম না করার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া যাচ্ছে। কিন্তু গতকাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে সেই নির্দেশনা যথাযথ বাস্তবায়ন করবেন না বলে জানিয়েছেন গভর্নর। বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার দিয়েছে অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বিনিয়োগ অঞ্চল ছাড়া কোথাও ব্যাংকগুলো বড় বিনিয়োগ করতে পারবে না। আমাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা না করে এবং আমাদের না জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এ ধরনের সার্কুলার দিয়েছে। এরই মধ্যে অনেকেই শত শত কোটি টাকা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেছে। তাই এই বিষয়টি বিবেচনা করে এই সার্কুলার প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করেছি। এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক অঞ্চল যেগুলো করেছে, তা চালু হয়নি। আবার কিছু কিছু এরিয়ায় এখনো ঠিক করা সম্ভব হয়নি। তার আগেই বাংলাদেশ ব্যাংক ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ার বাইরে বিনিয়োগ করতে নিষেধ করে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে। এরিয়া ঠিক করার আগেই এ ধরনের প্রজ্ঞাপন দেওয়া ঠিক হয়নি। তাছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে তো আর ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা যেতে পারবে না; কিন্তু কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই প্রজ্ঞাপন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা অব্যাহত থাকলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
১৭ মে, ২০২৪

বারবার নীতি পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা : এফবিসিসিআই
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)-এর সভাপতি মাহবুব আলম বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিছুদিন পরই নীতিতে পরিবর্তন আনে, যার কারণে আমরা বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হই। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।  তিনি বলেন, একটা প্রজেক্ট করার সময় সুদের হার, বিনিময় হারসহ নানাবিধ চিন্তাভাবনা করে তারপর কাজ শুরু করি। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিছুদিন পরই যদি নীতিতে পরিবর্তন আনে, তখন আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই। অবশ্যই বারবার নীতি পরিবর্তন হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এটাই স্বাভাবিক। এজন্য আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অনুরোধ করেছি যাতে নীতিগুলো বারবার পরিবর্তন না করে। যাতে নীতিগুলো দীর্ঘমেয়াদি হয়। এতে আমরা আমাদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা করতে সহজ হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এ বিষয়ে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। মাহবুব আলম বলেন, সুদের হার বাজারভিত্তিক করা হলেও এটাকে ১৪ শতাংশের ওপরে যাওয়ার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন গভর্নর। যাতে ব্যবসায়ীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তেমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে ভবিষ্যতে। আমি মনে করি দেশের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সাথে সুদহারের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও বলেন, ডলারের দাম একসাথে ৭ টাকার বাড়ার কারণে যে পরিমাণ ঋণ বেড়েছে সে পরিমাণ টাকার দীর্ঘমেয়াদি ঋণের আবেদন করেছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ ডলারের দাম বাড়ার কারণে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া যাদের ঋণে একক গ্রাহক ঋণসীমা অতিক্রম করেছে। তাদের জন্য বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছেন গভর্নর। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই ডলার মার্কেট স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা। বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমরা ডলারের অভাবে এলসি খুলতে পারছি না। এদিকে ইডিএফ কমিয়ে তিন বিলিয়নে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এই সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিকল্প একটি তহবিল ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া এখন ব্যবসায়ীরা ১১৭ টাকায় এলসি খুলতে পারছেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যদি কোনো ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বেশি টাকা নেওয়া হয় তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তিনি আরও বলেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে কিছু কিছু গ্রাহকের একক গ্রহণ সীমা অতিক্রম করেছে। বিষয়টি সমাধানে ব্যাংক এবং গ্রাহক ভিত্তিক বিশেষ সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন গভর্নর। ফান্ডেড এবং নন ফান্ডেড মিলে ২৫ শতাংশের বেশি ঋণ একজন গ্রাহক না পাওয়ার শর্ত থাকলেও এই পরিস্থিতিতে তাদের জন্য বিশেষ বিবেচনা করা হবে। প্রসঙ্গত, গত ৮ মে ব্যাংকঋণের সুদহার নির্ধারণ পদ্ধতি সিক্স মান্থ মুভিং অ্যাভারেজ রেট (স্মার্ট) প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হবে। ঋণের সুদহার সম্পূর্ণরূপে বাজারভিত্তিক করার জন্য ছয় মাসের ট্রেজারি বিলের গড় সুদভিত্তিক ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এসংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কিন্তু এখন এই নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পিছু হটছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ধারণা করা হচ্ছে আইএমএফ-র কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। এদিকে গতকাল (বুধবার) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, যেসব গ্রাহকের নির্ধারিত একক গ্রাহক ঋণসীমা অতিক্রম করেছিল, তাদের ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ঋণ নির্ধারিত সীমার মধ্যে নামিয়ে আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এরপরও কিছু গ্রাহক একক গ্রাহক ঋণের ঊর্ধ্বসীমা শিথিল করার জন্য আবেদন করছেন, যা নির্দেশনার পরিপন্থি। এমন প্রেক্ষাপটে বৃহৎ ঋণঝুঁকি হ্রাস, করপোরেট সুশাসন সমুন্নত রাখা এবং ঋণ বিতরণে উত্তম চর্চা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য একক গ্রাহক ঋণ সীমা কোনোক্রমেই অতিক্রম না করার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া যাচ্ছে। কিন্তু আজ ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠকে সেই নির্দেশনা যথাযথ বাস্তবায়ন করবেন না বলে জানিয়েছে গভর্নর। এ সময় তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার দিয়েছে অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বিনিয়োগ অঞ্চল ছাড়া কোথাও ব্যাংকগুলো বড় বিনিয়োগ করতে পারবে না। আমাদের সাথে কোন ধরনের আলোচনা না করে এবং আমাদের না জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এ ধরনের সার্কুলার দিয়েছে। এরই মধ্যে অনেকেই শত শত কোটি টাকা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেছে।  তাই এই বিষয়টি বিবেচনা করে এই সার্কুলার প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করেছি। আর এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক অঞ্চল যেগুলো করেছে সেগুলো চালু হয়নি। আবার কিছু কিছু এরিয়ায় এখনো ঠিক করা সম্ভব হয়নি। তার আগেই বাংলাদেশ ব্যাংক ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ার বাইরে বিনিয়োগ করতে নিষেধ করে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে। এরিয়া ঠিক করার আগেই এ ধরনের প্রজ্ঞাপন দেওয়া ঠিক হয়নি। তাছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে তো আর ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা যেতে পারবে না। তাদের তো অত বেশি বিনিয়োগ করার সক্ষমতা নেই। তাহলে তারা কীভাবে বিনিয়োগ করবে, কোথায় বিনিয়োগ করবে তার একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা দরকার। কিন্তু এসব পরিকল্পনা ছাড়াই প্রজ্ঞাপন দিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।      
১৬ মে, ২০২৪

জলবায়ু পরিবর্তনে ১৪ গুণ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নারীরা : পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পুরুষদের তুলনায় নারীরা ১৪ গুণ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় নারীদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নারীরা জলবায়ু সহিষ্ণুতার স্তম্ভ, পুরুষদের তুলনায় নারীরা ১৪ গুণ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা আপডেট করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত ক্লাইমেটচেইঞ্জ অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের গ্লোবাল ডায়লগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভার্সিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সেশনে বক্তৃতাকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার এবং মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে। এই প্ল্যানের মাধ্যমে দুর্বলতাকে স্থিতিস্থাপকতা এবং স্থিতিস্থাপকতা সমৃদ্ধিতে রূপান্তর করা। সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, উন্নত বিশ্বকে কার্বন নিঃসরণ কমানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। মূল সমস্যা কার্বন নিঃসরণ কমানো কিন্তু সেটি উন্নত দেশগুলো করছে না। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে উন্নত দেশগুলো অভিযোজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষে শতভাগ অভিযোজনে যাওয়া সম্ভব না। মন্ত্রী আরও বলেন, এক পক্ষ কার্বন নিঃসরণ কমাচ্ছে না, আরেক পক্ষ বলছে অভিযোজনের কথা। অভিযোজনের জন্য শুধু অর্থ নয়, দরকার আধুনিক প্রযুক্তি, দক্ষতা বৃদ্ধি কিন্তু সেদিকে এগিয়ে আসছে না উন্নত দেশগুলো। এসময় মন্ত্রী অর্থায়ন, প্রযুক্তি এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করতে বাংলাদেশে জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করার জন্য সরকার অনেক উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। সেশনে কিরিবাতি প্রজাতন্ত্রের নারী, যুব, ক্রীড়া ও সামাজিকবিষয়কমন্ত্রী মার্টিন মোরেতি, সহকারী মহাসচিব, ইউএনএফপিএ-এর ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডিয়েন কিয়েটা এবং ইউএনজিও গ্লোবাল সাউথের প্রাক্তন ফোকাল পয়েন্ট এলিজাবেথ গুলুগুলুসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। অধিবেশনটি পরিচালনা করেন, ইউরোপীয় পার্লামেন্টারিয়ান ফোরামের নীল দত্ত।
১৬ মে, ২০২৪

দেহের ক্ষতিগ্রস্ত রক্তনালি সারায় এমন ‘কোষের’সন্ধান
মানবদেহের রক্তনালি সম্পর্কিত রোগের চিকিৎসা নিয়ে বড় সুখবর দিলেন গবেষকরা। গবেষকদের দাবি, সম্প্রতি এমন এক কোষের খোঁজ মিলেছে, যা দিয়ে মানবদেহের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত রক্তনালি সারিয়ে তোলা সম্ভব। গবেষকরা জানিয়েছেন, এ গবেষণায় তারা এমন এক ‘প্রোটিন মার্কার’ শনাক্ত করেছেন, যা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রক্তনালি সারিয়ে তোলার মতো বিশেষ ধরনের কোষগুলো চিহ্নিত করা যাবে। মানবদেহের রক্তনালি সম্পর্কিত রোগের চিকিৎসা পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা দেখাচ্ছে এ যুগান্তকারী আবিষ্কারটি। গবেষণাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি ‘এন্ডোথেলিয়াল ডিজফাংশন’ রোগের জন্য নতুন চিকিৎসা ব্যবস্থা তৈরির সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। আর এ ধরনের শারীরিক অবস্থা করোনারি ধমনির রোগেও ভূমিকা রাখে। রোগটির ফলে মানবদেহের ধমনিতে রক্ত প্রবাহে বাধার সৃষ্টি হয়, পাশাপাশি এটি হৃৎপিণ্ডে রক্ত প্রবাহও কমিয়ে দিতে পারে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও থাকে। বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ‘সার্কুলেশনে’ গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। এর নেতৃত্বে ছিলেন ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের সার্জারি বিভাগের সহকারী গবেষণা অধ্যাপক ড. চ্যাং-হিউন গিল। তিনি বলেন, গবেষণাটিতে প্রথমবার দেখা গেছে, একটি একক সম্ভাব্য মার্কার রক্তনালির ‘ক্লোনাল রিপুলেটিং এন্ডোথেলিয়াল সেল (সিআইসিএস)’ শনাক্ত করতে সক্ষম। মানুষের রক্তনালির ভেতরের আস্তরণ তৈরি হয়ে থাকে ‘এন্ডোথেলিয়াল’ কোষ থেকে, যা দেহে রক্তপ্রবাহ বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এ গবেষণায় ‘এবিসিজি২’ নামের প্রোটিন তৈরি করার জন্য এ কোষের দিকে মনোযোগ দিয়েছে গবেষণা দলটি। এ ধরনের কোষগুলোতে গুচ্ছ আকারের কলোনি তৈরির ক্ষমতা আছে, যেখানে এরা নিজেদের পুনরুজ্জীবিত করার মাধ্যমে নতুন রক্তনালি গঠনে সহায়তা করে। এমনকি হার্ট অ্যাটাকের পর হৃদযন্ত্রের টিস্যু ও রক্তনালি সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রেও এ সক্ষমতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় ড. গিল ও তার সহযোগীরা এসব কোষের গভীরে প্রবেশ করে এর বিভিন্ন জিন ও প্রোটিন বিশ্লেষণ করেছেন। ফলাফলে গবেষকরা খুঁজে পান, রক্তনালি গঠন ও নতুন করে টিস্যু তৈরির যেসব উপায় আছে, সেগুলো ‘এবিসিজি২’র বিভিন্ন কোষে বিশেষভাবে সক্রিয়। এর থেকে ইঙ্গিত মেলে, রক্তনালির ক্ষতি সারানোর মতো বিশেষ ক্ষমতা আছে কোষগুলোতে। গবেষক দলটি সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে এ ধরনের এন্ডোথেলিয়াল কোষ নিয়ে পরীক্ষা করছে। বিজ্ঞানভিত্তিক সাইট নোরিজ এক প্রতিবেদনে লিখেছে, হৃদরোগ বা অন্যান্য কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রক্তনালি সারানোর মতো ‘সেল থেরাপি’ বিকাশের জন্য এ ধরনের কোষ বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।
১৫ মে, ২০২৪

সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এশিয়া মহাদেশভুক্ত দেশগুলো। জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য। ডব্লিউএমওর মতে, অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টানা ও দীর্ঘ তাপপ্রবাহে একদিকে এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চলের হিমবাহগুলো গলে যাচ্ছে, অন্যদিকে জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে, যা অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের পানির নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ব্যাপক সংকট সৃষ্টি করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ডব্লিউএমওর প্রতিবেদনে। গত মঙ্গলবার প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে ডব্লিউএমওর শীর্ষ নির্বাহী কেলেস্টে সাউলো বলেন, ‘এশিয়ার অধিকাংশ দেশের ইতিহাসে ২০২৩ সাল ছিল উষ্ণতম বছর। বিশ্বে খরা, তাপপ্রবাহ, ঝড়, বন্যার মতো যত বিপর্যয় ঘটেছে, সেসবের অধিকাংশই ঘটেছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। জলবায়ু পরিবর্তনের গভীর প্রভাব এরই মধ্যে জনজীবন ও পরিবেশের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনীতিতেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। যদি তাপমাত্রা বৃদ্ধি, হিমবাহ গলে যাওয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এই প্রভাব আরও ব্যাপক হবে।’ ডব্লিউএমওর তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা বাড়ছে সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া, পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত। জাপানের ইতিহাসে উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৩ সাল। একই সঙ্গে এ সময় প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ এশীয় অংশের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ। গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির জেরে এশিয়ার হিমালয় পবর্তমালা এবং এই পর্বতমালার হিন্দুকুশ ও তিব্বত রেঞ্জের ২২টি হিমবাহের মধ্যে অন্তত ২০টির বরফের মজুত ২০২৩ সালে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি জলসৃষ্ট দুর্যোগও মোকাবিলা করতে হচ্ছে এশিয়াকে। ২০২৩ সালে এশিয়ায় বড় আকারের ঝড়, বন্যা ও তুমুল বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৭৯টি। এতে প্রাণ হারিয়েছে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ এবং সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৯০ লাখ। জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোর আবহাওয়া কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন হ্রাসে জোর দেওয়া হয়েছে ডব্লিউএমওর প্রতিবেদনে। এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘আবহাওয়া কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে খানিকটা হলেও সহায়তা করবে। তবে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমানোর কোনো বিকল্প নেই। এ মুহূর্তে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন হ্রাস কেবল একটি বিকল্প নয়, বরং জরুরি কর্তব্য।’
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

নির্মাণ বিধিমালায় ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ভবন মালিকরা
ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০২৪-এর খসড়া তৈরি করা হয়েছে। নতুন এ আইনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সাধারণ নাগরিক, ভূমি মালিক ও ভবন মালিকদের। একই সঙ্গে আবাসন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে দাবি করেছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। গতকাল রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে রিহ্যাব জানায়, আবাসন শিল্পের বৃহৎ স্টেকহোল্ডার রিহ্যাব। অথচ রিহ্যাবের কোনো মতামত ছাড়াই ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালার খড়সা তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া খসড়াটি আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। এর গণনা ১৬ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে গেছে। মতামত ছাড়া ইমারত নির্মাণ বিধিমালা প্রস্তুত করায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন রিহ্যাবের সদস্যরা। রিহ্যাবের মতামত ছাড়া ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা চূড়ান্ত না করতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজউকের কাছে দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। রিহ্যাব জানায়, ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালার বিধানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয় ভবন। খসড়া ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় যেভাবে নতুন আইন তৈরি করা হচ্ছে, তাতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সাধারণ নাগরিক, ভূমি মালিক ও ভবন মালিকদের। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আবাসন শিল্প। কারণ নতুন বিধিমালা অনুযায়ী ভবনের উচ্চতা ও আয়তনের সঙ্গে ফ্ল্যাটের সংখ্যা কমবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উল্লম্বভাবে ভবন তৈরির দিকে এগিয়ে গেলেও আমরা হাঁটছি উল্টো পথে। আমাদের জমির সংকট আগামীতে আরও বাড়বে। কৃষিজমির ওপর চাপ বাড়বে। অসংখ্য নাগরিকের নিশ্চিত আবাসন ব্যবস্থা ব্যাহত হবে। ফ্ল্যাটের দামের সঙ্গে বাড়বে বাসা ভাড়া। বাসা ভাড়ার চাপ সামলাতে না পেরে অনেকেই ঢাকা ত্যাগ করতে বাধ্য হবেন। একই সঙ্গে বাড়বে সাবলেট। ফলে নগর জীবন ব্যবস্থায় অসংখ্য জটিলতা তৈরি হবে এবং সংকটে পড়বে আবাসন খাত। এর আগে বিভিন্ন বিধিমালা প্রস্তুতকালে রিহ্যাবকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। স্টেকহোল্ডার হিসেবে এ বিধিমালার খসড়া প্রণয়নে রিহ্যাবের লিখিত মতামত ও সুপারিশ নেওয়া হয়নি। মূলত একতরফাভাবেই এই ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালার খসড়া তৈরি করা হয়েছে। বাস্তবায়ন পর্যায়ের অভিজ্ঞতা ও কর্মপরিকল্পনা কার্যকরের ক্ষেত্রে প্রকল্পের সমস্যা এবং অসুবিধা রিহ্যাব সদস্যরাই মোকাবিলা করে। এজন্য বিধিমালার খসড়া প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে রিহ্যাবের সুপারিশ ও মতামত নেওয়া আবশ্যক। তাই আলোচনা সাপেক্ষে বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করার জন্য অনুরোধ করেছে রিহ্যাব।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

কাপ্তাইয়ে বন্যহাতির তাণ্ডব সরকারি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার পিডিবি এলাকায় বন্যহাতির তাণ্ডবে আবারও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত শনিবার মধ্যরাতে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিউবো বক্স হাউস এলাকায় ছয়-সাতটি বন্যহাতি তাণ্ডব চালিয়ে আনসার ব্যারাক ও অফিসার্স কোয়ার্টার ভাঙচুর করে। এ সময় বন্যহাতির দল অফিসার্স কোয়ার্টারের ওয়াল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং পাশে থাকা নিরাপত্তা আনাসার ব্যারাক, অফিসারদের কোয়ার্টারের দরজা, জানালা, আসবাব ও গাছপালা ভেঙে লন্ডভন্ড করে। পরে স্থানীয়দের চিৎকারে খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে সাইরেন বাজিয়ে বন্যহাতি তাড়াতে সক্ষম হন। এ বিষয়ে কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল স্টেশনের অফিসার শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী জানান, প্রায়ই হাতি এসে লোকালয়ে ভাঙচুর করে। পরে সাইরেন বাজিয়ে হাতিদের তাড়াতে হয়। গত রাতেও একইভাবে আমরা বন্যহাতিদের তাড়ানোর ব্যবস্থা করেছি। কর্ণফুলী সদর রেঞ্জ অফিসার মো. মামুনুর রহমান হাতির আক্রমণের কথা স্বীকার করে জানান, বনের মধ্যে খাদ্য না থাকায় হাতি লোকালয়ে এসে তাণ্ডব চালাচ্ছে। তবে হাতিকে আক্রমণ করা যাবে না, হাতির আক্রমণে ক্ষয়ক্ষতি হলে সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে। শুক্রবার দুপুরে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন ও কাপ্তাই সহকারী বন সংরক্ষক মো. মাসুম আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
৩০ মার্চ, ২০২৪

জলবায়ু পরিবর্তনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারী কন্যাশিশু এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝড়, বন্যা এবং খরার কারণে জলবায়ু নারী-কন্যাশিশুর জীবনমানকে বাধগ্রস্ত করে। জলবায়ু পরিবর্তন পূর্ব-বিদ্যমান আর্থসামাজিক দুর্বলতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিশেষ করে নারী, কন্যাশিশু এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা। জাতীয় পর্যায়ে লিঙ্গসমতার বিবেচনা একীভূত করার বিষয়ে নীতি এবং বাজেটের সুপারিশ প্রদানের জন্য সরকারি কর্মকর্তা, নারী অধিকার সংস্থা, বেসরকারি সংস্থা (এনজিও), উন্নয়ন সহযোগী এবং একাডেমিয়া সমন্বিতভাবে কাজ করছে। জলবায়ু পরিবর্তনে নারী-কন্যাশিশুর জীবনমান উন্নয়নে সুশীল সমাজ এবং নারী সংগঠনের প্রতিনিধিরা বাজেটসংক্রান্ত আলোচনায় তাদের সম্পৃক্ততার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তারা বাজেটের ব্যয় এবং এর প্রভাবের ওপর জোরদার নজরদারি করার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা প্রতিবন্ধী নারী, লিঙ্গবৈচিত্র্যপূর্ণ মানুষ এবং প্রান্তিক গোষ্ঠীর নারীসহ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এমন ব্যক্তিদের কাছে সম্পদ পৌঁছানো নিশ্চিত করতে সব স্তরে কার্যকর সমন্বয়ের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। গত বছর কপ ২৮-এ চালু হওয়া ইউএন উইমেনের গ্লোবাল ফেমিনিস্ট ক্লাইমেট জাস্টিস ফ্রেমওয়ার্কের কথা উল্লেখ করেছেন ইউএন উইমেন প্রোগ্রাম বিশেষজ্ঞ দিলরুবা হায়দার। তিনি মুখ্য মন্ত্রণালয়ের জলবায়ু বাজেট বরাদ্দ এবং ব্যয়ের প্রবণতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, লিঙ্গবিচ্ছিন্ন তথ্যের সীমিত প্রাপ্যতা, জলবায়ু এবং জেন্ডার প্রতিক্রিয়াশীল বাজেটের মধ্যে সারিবদ্ধতার অভাব, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াগুলোতে নারীদের অনুপস্থিতি প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা তৈরি এবং টেকসই উন্নয়ন অর্জনের জন্য লিঙ্গসমতা একটি মৌলিক পূর্বশর্ত। আমাদের নীতি ও কৌশল, যেমন মুজিব জলবায়ু। সমৃদ্ধি পরিকল্পনা, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা এবং জাতীয় জীববৈচিত্র্য কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা, জলবায়ু সংকটের মুখোমুখি হওয়ার জন্য আমাদের সংকল্পকে প্রতিফলিত করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যখন বাজেটের কথা আসে, আমরা পরিসংখ্যানগত এবং বিচ্ছিন্ন ডাটার অভাব দেখি। এ শূন্যস্থান আমাদের আগে পূরণ করতে হবে। এটি নতুন সরকারের প্রথম বাজেট এবং এবারের বাজেট আগামী বছরের জন্য দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করবে। আমরা নির্বাচনী এবং কৌশলগত হই, যে ক্ষেত্রে আমাদের কাজ করতে হবে তার পরিপ্রেক্ষিতে। পরবর্তী আর্থিক বছরগুলোতে এটি এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের বিল্ডিং ব্লকগুলো তৈরি করা হোক।’
১১ মার্চ, ২০২৪

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে এফবিসিসিআই
রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোকের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম। গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এ শোক জানিয়েছেন। বিবৃতিতে এফবিসিসিআই সভাপতি বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত, হতাহত ব্যক্তিবর্গের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। দুর্ঘটনায় নিহত, হতাহত ব্যক্তিবর্গের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলেও উল্লেখ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। এ ছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণ এবং অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের উদ্ধারে যথেষ্ট আন্তরিক ও দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য ফায়ার সার্ভিসসহ সাহায্যকারী সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। গত বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লেগেছে, সেটি সাততলা। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান রয়েছে। তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও রয়েছে বেশ কয়েকটি খাবারের দোকান। এসব দোকানের ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত নিহত মানুষের সংখ্যা ৪৬ জনে পৌঁছেছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
০২ মার্চ, ২০২৪

একপক্ষীয় নির্বাচন করে সরকারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে : ফখরুল
একপক্ষীয় নির্বাচন করে সরকারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কারাগার থেকে ‍মুক্তি পেয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। নেতাকর্মীদের হতাশার কিছু নেই। ৭ জানুয়ারির একপক্ষীয় নির্বাচন করে সরকারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিএনপির কোনো ক্ষতি হয়নি। এ সময় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও বলেন, তারা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। গ্রেপ্তার হওয়ার সাড়ে তিন মাস পর আজ জামিনে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মুক্তি পান এই দুই নেতা। মুক্তি পাওয়ার পর নেতাকর্মীরা ফুল ছিটিয়ে মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুকে শুভেচ্ছা জানান।  মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে গত ২৮ অক্টোবর এবং পরের সংঘর্ষ ও সহিংসতাকে কেন্দ্র করে ১১টি মামলা হয়। এর আগে ১০টিতে তিনি জামিন পেয়েছেন। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় তার জামিন গতকাল মঞ্জুর করেন আদালত।  
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X