চাঁদ দেখা গেছে, আজ থেকে জিলকদ মাস শুরু
বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। যার ফলে আজ শুক্রবার (১০ মে) শুক্রবার থেকে পবিত্র জিলকদ মাস গণনা শুরু হবে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চাঁদ দেখা কমিটির সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহা. বশিরুল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল, বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের ওয়াকফ প্রশাসক আবু সালেহ মো. মহিউদ্দিন খাঁ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান, ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব রুহূল আমীন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সহকারী পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি আদনান মুহাম্মাদ সানী, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১০ মে, ২০২৪

দেশের আকাশে জিলকদের চাঁদ
বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে শুক্রবার (১০ মে) থেকে পবিত্র জিলকদ মাস গণনা করা হবে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পাওয়া গেছে। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল প্রমুখ।
০৯ মে, ২০২৪

রাতে দেখা যাবে ‘গোলাপি’ চাঁদ
বিরল এক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব। প্রতিবছর এপ্রিল মাসের পূর্ণিমার চাঁদকে দেখা যায় ভিন্ন রূপে। চাঁদের এই রূপকে বলা হয় ‘পিঙ্ক মুন’ বা গোলাপি চাঁদ।  যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, এ বছরের গোলাপি চাঁদ পরিপূর্ণরূপে ধরা পড়বে দেশটির স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা ৪৯ মিনিটে। তবে সোমবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল—তিন দিন দেশটিতে এই চাঁদ দেখা যাবে। আর ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় এই গোলাপি চাঁদ পূর্ণরূপে দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে আগামীকাল বুধবার। এই বিশেষ পূর্ণিমাটি মার্চ মাসে চন্দ্রগ্রহণের ঠিক এক মাস পরে ঘটে। এটি এমন একটি মহাজাগতিক ঘটনা, যখন চাঁদ পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসে। যার কারণে এই সময় চাঁদের আকার বড় ও উজ্জ্বল দেখায়। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪৯ মিনিটে সর্বোচ্চ আলো ছড়াবে। তবে সোমবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল-তিন দিন দেশটিতে এই চাঁদ দেখা যাবে। আর ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় এই গোলাপি চাঁদ পূর্ণরূপে দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে আগামীকাল বুধবার। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে থাকা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ধূলিকণা এবং বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের শক্তির কারণে অনেক সময় চাঁদের রঙের দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা যায়। এ ছাড়া অন্যান্য ধোঁয়া দূষণও পৃথিবীতে আলো পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি করে। পৃথিবীতে আসা আলো তাদের নিজ নিজ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অনুযায়ী অনেক প্রকারে বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়, যার মধ্যে নীল রঙকে সবচেয়ে দ্রুত বিক্ষিপ্ত হতে দেখা যায়। লাল রঙও বহু দূরে যায়। এই কারণে, যখন চাঁদকে পৃথিবী থেকে দেখা হয় তখন বাদামি, নীল, হালকা নীল, রূপালি, সোনালি, হালকা হলুদ রঙের দেখায়। আর বিভ্রমের কারণে একে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বড়ও দেখায়। জ্যোতির্বিদ্যার ভাষায় একে রিলে স্ক্যাটারিং বা আলোর বিচ্ছুরণও বলা হয়। এপ্রিল মাসে যে পূর্ণিমা দেখা যায় তাকে গোলাপি চাঁদ বলা হয়। বিশ্বজুড়ে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতিতে সারা বছরের পূর্ণিমার চাঁদের নানা নামকরণ করা হয়েছে। এসব নাম এসেছে বিভিন্ন ঋতু, ঐতিহাসিক ফসল, এমনকি কোনো প্রাণীর বিচিত্র আচরণ থেকেও। সে হিসেবে গোলাপি চাঁদ নাম পেয়েছে আমেরিকা অঞ্চলে বসন্তের শুরুতে ফোটা একটি বুনো ফুল থেকে। আঞ্চলিকভাবে গোলাপি রঙের এই ফুলকে ‘মস পিঙ্ক’ নামেও ডাকা হয়। এপ্রিলের পূর্ণিমার চাঁদের আরও কিছু নাম রয়েছে—‘ফিশ মুন’ (মাছ চাঁদ), ‘গ্রাস মুন’ (ঘাস চাঁদ) ও ‘এগ মুন’ (ডিম চাঁদ)।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেছে
দেশের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।  বুধবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন এ তথ্য জানিয়েছে।  যদিও গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা না যাওয়ায় বৃহস্পতিবার ঈদ উদ্‌যাপিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত ছিল। এর আগে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সভা করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্মবিষয়কমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।  রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বছরের মতো এবারও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হবে পাঁচটি জামাত। এ ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে এ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, এমপি, সচিব, বিদেশি কূটনীতিকসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সব স্তরের মুসল্লি জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদ জামাতে অংশ নেবেন। নারীদের নামাজের জন্য রাখা হয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করতে পারবেন। এ ছাড়াও অনেক মুসল্লি মূল প্যান্ডেলের বাইরে ঈদের জামাত আদায় করে থাকেন। এই ঈদ জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন কারি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান কারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এদিকে, বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান এবং মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন কারি মো. ইসহাক মোয়াজ্জিন। দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায়। ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. এহসানুল হক এবং মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. আব্দুল হাদী। তৃতীয় জামাত হবে সকাল ৯টায়। এতে বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম ইমাম হিসেবে এবং খাদেম মো. আব্দুল হাদী মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠেয় চতুর্থ জামাতে ইমাম হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী এবং মুকাব্বির হিসেবে বায়তুল মোকাররমের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন থাকবেন। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হবে বেলা পৌনে ১১টায়। এতে ইমাম হিসেবে থাকবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন এবং মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররমের খাদেম মো. রুহুল আমিন। তবে এই পাঁচটি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন।
১০ এপ্রিল, ২০২৪

দেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা যায়নি
দেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এ জন্য বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে আগামী বৃহস্পতিবার। সোমবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সন্ধ্যায় বৈঠকে বসে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (মাগরিবের নামাজের পর) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।  সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। বৈঠক শেষে ব্রিফ করেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। তিনি বলেন, বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগে ফোন করে চাঁদ দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন ৬৪ জেলা থেকে ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালকরা। এ অবস্থায় রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে আগামীকাল বুধবার। শাওয়াল মাসের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দেশে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হবে। এর আগে, বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ ও ০২-৪১০৫০৯১৭ টেলিফোন নম্বরে ফোন করে এবং ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে বা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল ইসলামিক ফাউন্ডেশন। উল্লেখ্য, সোমবার সৌদি আরবের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। দেশটি ৩০ রমজান পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই মঙ্গলবার নয়, দেশটিতে ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে বুধবার।
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

আরব আমিরাতে দিনের বেলা দেখা মিলল ঈদের চাঁদ
বিদায় নিতে চলেছে পবিত্র রমজান মাস। দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। পবিত্র রমজানের ২৯তম দিনে মুসলমানেরা ঈদের চাঁদ দেখতে আকাশে চোখ রাখেন। তবে সোমবার (৮ এপ্রিল) সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা না মিললেও দিনের বেলা তা দেখা গিয়েছে। সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরব আমিরাতে সোমবার সন্ধ্যা ও রাতে শাওয়ালের চাঁদ দেখা যায়নি। তবে মঙ্গলবার সকালেই আকাশে চাঁদের দেখা মিলেছে।  আরব আমিরাতের অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টার চাঁদের ছবি প্রকাশ করেছে। স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে আকাশে শাওয়ালের এ চাঁদ দেখা গেছে।  في أول صورة لهلال شهر شوال هلال شهر شوال 1445هـ كما تم تصويره نهارا يوم الثلاثاء 09 إبريل 2024م من أبوظبي بواسطة مرصد الختم الفلكي، وذلك في الساعة 10:15 صباحا بتوقيت الإمارات. بعد القمر عن الشمس 7.5 درجة. يبدو الهلال بصعوبة بسبب الجو الغائم في المرصد. pic.twitter.com/UnmZurZEw1 — مركز الفلك الدولي (@AstronomyCenter) April 9, 2024 সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আল-খাত জ্যোতির্বিদ্যা পর্যবেক্ষণাগার থেকে চাঁদের  এ ছবি তোলা হয়েছে। এটি এমন সময়ে তোলা হয়েছে যখন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হওয়ায় খালি চোখে দেখা যাচ্ছিল না।  এদিকে সোমবার চাঁদ দেখা না যাওয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে বুধবার ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। দেশটির বিচারমন্ত্রী ও চাঁদ দেখা কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ বিন সুলতান বিন আওয়াদ আল নুয়াইমি এ তথ্য জানিয়েছেন।   দেশটি নামাজের সময়সূচিও ঘোষণা করেছে। আরব আমিরাতের সাতটি রাজ্যের প্রতিটিতে সূর্যোদয়ের পরপরই ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে।   
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

চাঁদ দেখা গেলে যেসব নম্বরে ফোন করতে হবে
পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সন্ধ্যায় বৈঠকে বসছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (মাগরিবের নামাজের পর) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সায়লা শারমিন জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে বা বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন কমিটির সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে ঈদুল ফিতর উদযাপনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এক মাস রমজানের রোজা শেষে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। মঙ্গলবার দেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে পর দিন বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। কোথাও চাঁদ দেখা না গেলে বুধবার রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে ঈদ উদযাপন হবে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)। বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬, ০২-৪১০৫০৯১৭ ও ০২-২২৩৩৮১৭২৫ টেলিফোন নম্বরে ফোন করে এবং ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে বা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানোর অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। উল্লেখ্য, সোমবার সৌদি আরবের আকাশে আজ শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। দেশটি ৩০ রমজান পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই মঙ্গলবার নয়, দেশটিতে ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে বুধবার। সোমবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ২০ মিনিটে এক পোস্টে ইনসাইড দ্য হারামাইনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ‘আজ সৌদি আরবের কোথাও শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি।’
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদের চাঁদ দেখে ২ দিনের ট্রেনের টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ রেলওয়ে দুই দিনের টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ যদি চাঁদ দেখা যায় তাহলে সন্ধ্যার পর থেকে ১১ ও ১২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। আর যদি চাঁদ দেখা না যায় তাহলে ১০ ও ১২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার। মাসুদ সারওয়ার বলেন, ঈদের দিন সব আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে দুই দিনের টিকিট বিক্রি করা হয়। তিনি বলেন, গত ছয় দিন ধরে যারা অগ্রিম টিকিট কেটেছেন তারা নিরাপদে বাড়িতে ফিরেছেন। আজ এখন পর্যন্ত যেসব ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে তাতে কোনো বিলম্ব হয়নি। একটা ট্রেনে আধাঘণ্টা বিলম্ব হয়েছে। মাসুদ সারওয়ার বলেন, আপনারা জানেন গতকাল (সোমবার) কিছু বিশেষ অঞ্চলের ট্রেনে ব্যাপক চাপ হয়েছিল। বিশেষ করে গার্মেন্টস শ্রমিকরা একসঙ্গে এসে উঠেছেন। আজ সকালে উত্তরাঞ্চলের একটাই ট্রেন ছিল, রংপুর এক্সপ্রেস। সেটাতেও অনেক চাপ ছিল। এ ছাড়া পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেসেও ব্যাপক চাপ লক্ষ্য করা গেছে। তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যথেষ্ট চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু আপনারা জানেন উৎসবমুখর পরিস্থিতির বাস্তবতায় যাত্রীদের ছাদ থেকে নামানো যায়নি।
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

সন্ধ্যায় বসছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি
পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সন্ধ্যায় বৈঠকে বসছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (মাগরিবের নামাজের পর) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সায়লা শারমিন  জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে বা বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন কমিটির সভাপতি ও ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে ঈদুল ফিতর উদযাপনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এক মাস রমজানের রোজা শেষে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। মঙ্গলবার দেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে পরদিন বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। কোথাও চাঁদ দেখা না গেলে বুধবার রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে ঈদ উদযাপন হবে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)। বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬, ০২-৪১০৫০৯১৭ ও ০২-২২৩৩৮১৭২৫ টেলিফোন নম্বরে ফোন করে এবং ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ ও ০২-৯৫৫৫৯৫১ নম্বরে ফ্যাক্স করে বা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানোর অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। উল্লেখ্য, সোমবার সৌদি আরবের আকাশে আজ শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। দেশটি ৩০ রমজান পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই মঙ্গলবার নয়, দেশটিতে ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে বুধবার। সোমবার (৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ২০ মিনিটে এক পোস্টে ইনসাইড দ্য হারামাইনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আজ সৌদি আরবের কোথাও শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি।’
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

ঈদের চাঁদ দেখার দোয়া
চাঁদ দেখা এবং চাঁদ দেখে দোয়া পড়া সুন্নত। রাসূল (সা.) শাবান মাসের ২৯ তারিখ সন্ধ্যায় রমজানের চাঁদের অনুসন্ধান করতেন। এমনকি সাহাবিদের চাঁদ দেখতে বলতেন। ঈদের নতুন চাঁদ দেখলে তিনি আল্লাহর সন্তুষ্টি ও কল্যাণের জন্য দোয়া করতেন। হজরত তালহা ইবনু ওবায়দুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসূল (সা.) যখন নতুন চাঁদ দেখতেন তখন বলতেন- اَللهُ اَكْبَرُ اَللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَ الْاِيْمَانِ وَالسَّلَامَةِ وَ الْاِسْلَامِ وَ التَّوْفِيْقِ لِمَا تُحِبُّ وَ تَرْضَى رَبُّنَا وَ رَبُّكَ الله উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার, আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমানি ওয়াস্সালামাতি ওয়াল ইসলামি ওয়াত্তাওফিকি লিমা তুহিব্বু ওয়া তারদা রাব্বুনা ওয়া রাব্বুকাল্লাহ। অর্থ : আল্লাহ মহান, হে আল্লাহ! এ নতুন চাঁদকে আমাদের নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদয় করো। আর তুমি যা ভালোবাস এবং যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও, সেটাই আমাদের তাওফিক দাও। আল্লাহ তোমাদের এবং আমাদের প্রতিপালক। (তিরমিজি, মিশকাত) উল্লেখ্য চাঁদ দেখা সাপেক্ষে হিজরি মাস গণনা শুরু হয়। আরবি (হিজরি) মাসের নতুন চাঁদ দেখলে রাসূল (সা.) দোয়া পড়তেন। নতুন চাঁদ দেখে এ দোয়াটি পড়া রাসূল (সা.) -এর সুন্নত। যে কোনো মাসের নতুন চাঁদ, এমনকি রোজা ও ঈদের চাঁদ দেখার দোয়া একই।  
০৯ এপ্রিল, ২০২৪
X