অবৈধ টিভি চ্যানেল ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে কার্যক্রম শুরু
অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত ১০টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এ সিদ্ধান্তগুলো হলো- কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬-এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীরাই সরকার অনুমোদিত দেশি-বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ করতে পারবে; ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না; সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না; টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিং এর অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসিকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যে কোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে; কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩ (১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত অন্য কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। এ ছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতিত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না; কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত নিজস্ব কোনো অনুষ্ঠান যথা : ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্যকোনো উপায়ে কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না; কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোনো ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারীরা ব্যতিত অন্যকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না; অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটররা এই সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে এবং আইন ও নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
০৬ মে, ২০২৪

মোদির প্রচারণায় ইউটিউব চ্যানেল
এবারের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চাইছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি। সেই লক্ষ্যে তপশিল ঘোষণার অনেক আগেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন দলটির নেতারা। এবারের নির্বাচনী স্লোগান ‘ফির ইক বার, মোদি সরকার’ অর্থাৎ ‘আরও একবার, মোদি সরকার’। ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টায় কোনো ত্রুটি রাখছেন না নেতারা। পথসভা, জনসভা থেকে শুরু করে পোস্টার টানানো, দেয়াল লিখন সবই করছেন। বিজেপির এবারের নির্বাচনী প্রচার শুধু অফলাইনেই সীমাবদ্ধ নেই, চলছে অনলাইনেও। তবে নির্বাচনী প্রচারণায় কিছু ‘অস্বাভাবিক’ বিষয়ও দেখা যাচ্ছে। আলজাজিরার এক প্রতিবেদন বলছে, সন্দেহজনক বেশ কিছু ইউটিউব ‘নিউজ’ চ্যানেল বিজেপি ও মোদির পক্ষে প্রচারণায় নেমেছে। প্রতিবেদন মতে, ইউটিউবের জয়-জয়কারের এ সময়ে জ্যামিতিক হারে বেড়েছে স্বঘোষিত নিউজ চ্যানেলের সংখ্যা। মোদির নির্বাচনী প্রচারণায় সাহায্য করার লক্ষ্যে এসব চ্যানেল থেকে প্রধানত গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারত ইউটিউবের অন্যতম বড় বাজার। দেশটির ১৪০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ৪৬ কোটিরও বেশি মানুষ ইউটিউব দেখেন। এ সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। অর্থাৎ ইউটিউবই হয়ে উঠেছে খবরের অন্যতম প্রধান উৎস। কিন্তু সম্প্রতি যেসব কনটেন্ট এতে প্রকাশ পাচ্ছে, তার সবগুলো প্রকৃত অর্থে ‘খবর’ নয়। আলজাজিরা বলছে, ভারতের কিছু জনপ্রিয় ইউটিউব নিউজ চ্যানেল ক্রমবর্ধমানভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করছে। একই সঙ্গে চ্যানেলগুলো প্রায়ই একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রশংসায় পঞ্চমুখ এবং সরকারের সমালোচক ও বিরোধী নেতাদের প্রতি আক্রমণাত্মক। প্রতিবেদন মতে, পক্ষপাতদুষ্ট প্রভাবশালী ইউটিউবারদের রাজনৈতিক বিভাজন সৃষ্টি করে এমন রাজনৈতিক বিষয়বস্তু নিয়ে কনটেন্ট তৈরি এখন সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র বলে পরিচিত ভারতের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে চ্যানেলগুলোর একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। এর মধ্যে ‘এনএমএফ নিউজ’ নামে একটি চ্যানেল ভারতের শীর্ষ ১০০টি সংবাদ ও রাজনীতিভিত্তিক চ্যানেলের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে। চ্যানেলটির ‘সাবস্ক্রাইবার’ সংখ্যা ১ কোটি ৮২ লাখ। চ্যানেলটি এ পর্যন্ত ৮১০ কোটির বেশি ‘ভিউ’ পেয়েছে। এরপরই রয়েছে ‘হেডলাইন ইনডিয়া’ নামের একটি চ্যানেল। ৮৮ লাখ ৩০ হাজার সাবস্ক্রাইবার রয়েছে চ্যানেলটির। ভিউ পেয়েছে ৩০০ কোটি। এরপর ‘রাজধর্ম নিউজ’ নামে চ্যানেলটির রয়েছে ৩২ লাখ সাবস্ক্রাইবার। এখন পর্যন্ত ৯০ কোটি ‘ভিউ’ পেয়েছে চ্যানেলটি। বিশাল এই ‘রিচ’ ও ‘ভিউ’ নিয়ে এ ধরনের ‘নিউজ’ চ্যানেলগুলো মানুষের মধ্যে কেমন উপলব্ধি ও জনমত তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে নির্বাচনের মৌসুমে, তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রমকালে ৭ বছরের মেয়ের মৃত্যু 
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে সাত বছরের এক মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। রোববার (০৩ মার্চ) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার সময়ে ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলে মেয়েটি মারা যায়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।  কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মেয়েটি নৌকায় করে চ্যানেল পাড়ি দিচ্ছিল। এ সময় নৌকাটি ডুবে যায়। এতে করে তার মৃত্যু হয়। নৌকাটিতে মোট ১৬ জন অভিবাসী ছিলেন। এটি ডানকার্ক উপকূল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ডুবে যায়।  স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নৌকাটির এতো লোকের ধারণক্ষমতা ছিল না। মেয়েটির পিতামাতাসহ আরও তিন শিশুকে ডানকার্কের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।  স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রেফেট ডু নর্ড জানিয়েছে, এক পথচারীর মাধ্যমে পুলিশ ও দমকলকর্মীরা নৌকাডুবির বিষয়ে সতর্ক হয়েছিলেন। এক বিবৃতিতে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে নৌকাটি চুরি করা ছিল। এটি এতো বেশি লোক ধারণ করার মতো যথেষ্ট বড় ছিল না।  প্রেফেট ডু নর্ড জানিয়েছে, নৌকাটিতে এক দম্পতি ও তাদের চার সন্তান ছিলেন। এছাড়া তাদের মাও গর্ভবর্তী ছিলেন। মারা যাওয়া ৭ বছরের মেয়েটি তাদের ছোট সন্তান। তবে তারা কোন দেশের তা জানার চেষ্টা চলছে।  কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, এ ঘটনায় দুই পুরুষসহ ছয় শিশুকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে তাদের কারো অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।  ডানকার্কের প্রসিকিউটর এএফপিকে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এর আগে গত বুধবারও ইংলিশ চ্যানেল পার হওয়ার চেষ্টা করে তিন অভিবাসী মারা গিয়েছিলেন। সর্বশেষ সাত বছরের মেয়ের মৃত্যু ঘটল। এদিন ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে চাওয়া অন্তত ২৪৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।   
০৩ মার্চ, ২০২৪

এক মিলিয়নের মাইলফলকে কালবেলার ইউটিউব চ্যানেল
এক মিলিয়নের মাইলফলক স্পর্শ করেছে কালবেলা নিউজের ইউটিউব চ্যানেল। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ১০ লাখ সাবস্ক্রাইবার পূর্ণ হয়েছে চ্যানেলটির। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে অফিসিয়ালি যাত্রা শুরু করে কালবেলা ইউটিউব চ্যানেল। শুরুর থেকেই কালবেলার ইউটিউব চ্যানেল দর্শকদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। এর ধারাবাহিকতায় যাত্রার ১০ মাসেই ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১০ লাখ সাবস্ক্রাইবার হলো চ্যানেলটির।  মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বস্তুনিষ্ঠ কনটেন্ট দেওয়ার ধারাবাহিকতাই এমন অর্জনের মূল বলে মনে করেন কালবেলা অনলাইনের বিভাগীয় প্রধান পলাশ মাহমুদ। তিনি বলেন, দর্শকরা কী চায় সেদিকে খেয়াল রেখেই কালবেলা প্রয়োজনীয় ও বৈচিত্র্যময় কনটেন্ট তৈরি করে থাকে। পাঠক প্রিয় এমন সব কনটেন্ট সরবরাহের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি। এমন অর্জনের প্রতিক্রিয়ায় কালবেলার দর্শক ও শুভানুধ্যায়ীদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন কালবেলার সম্পাদক ও প্রকাশক সন্তোষ শর্মা।  https://www.youtube.com/@kalbelanews24 https://www.youtube.com/@KalbelaSports24  https://www.facebook.com/kalbelanewsonline https://www.facebook.com/kalbeladigital
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

হোয়াটসঅ্যাপে চ্যানেল খুলে আয় করবেন যেভাবে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে সম্প্রতি যুক্ত ফিচারগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো চ্যানেল। বাংলাদেশসহ ১৫০টি দেশে কিছুদিন আগেই এ ফিচারটি চালু করেছে হোয়াটস্যাপের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা মেটা। ঘরে বসেই আয় করাসহ আরও নানা সুবিধা পাওয়া যাবে এই চ্যানেলের মাধ্যমে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা চ্যানেল বানিয়ে কমিউনিটি তৈরি করতে পারবেন। শুধু সামাজিক পরিচিতি নয়, বেশ কিছু উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনেরও সুযোগ রয়েছে। # ফ্রিল্যান্সিংয়ে সুবিধা বর্তমান ডিজিটাল যুগে অনেকেরই ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় ক্যারিয়ার পছন্দ হয়ে উঠেছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য একাধিক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। তবে হোয়াটসঅ্যাপ যেহেতু একটি পার্সোনাইলজড অ্যাপ তাই এখানে ক্লায়েন্টদের সঙ্গে খুবই স্বচ্ছভাবে নিজের দক্ষতা তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে। আপনি যদি লেখালিখি করতে ভালোবাসেন কিংবা ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনিং ও প্রোগ্রামিং জানেন তাহলে নিজের চ্যানেল বানিয়ে ফলোয়ারদের সেই পরিষেবা দিতে পারেন। # পণ্য বিক্রির সুবিধা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের মাধ্যমে বিভিন্ন মার্চেন্ডাইস এবং অ্যাক্সেসরিজও বিক্রি করার সুবিধা রয়েছে। কারও কোনো ব্যবসা না থাকলেও সে বিভিন্ন গ্রাফিক্স টেম্পলেট, ই-বুক, অনলাইন কোর্স, ডিজিটাল প্রোডাক্টস ইত্যাদি প্রমোট করতে পারবেন হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের মাধ্যমে। # লিঙ্ক পাঠিয়ে উপার্জন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি বিপণন ব্যবস্থা, যেখানে কোনো অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্কে বহিরাগত ওয়েবসাইটের সূত্রে (রেফারেন্সে) কোনো পণ্য বা সেবা বিক্রি হলে বিক্রেতা সেই অ্যাকাউন্টকে তার লাভের একটি অংশ কমিশন হিসেবে দিয়ে থাকেন। বর্তমানে অনলাইনে আয়ের অন্যতম জনপ্রিয় উপায় এটি। আর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলেও রয়েছে সেই সুযোগ। সাবস্ক্রাইবার ও ফলোয়ারদের সেসব পণ্যের লিঙ্ক পাঠাতে পারেন, যা থেকে আয় হতে পারে আপনারও। # ওয়ার্কশপ তৈরি করা রান্না, আঁকা, ফটোগ্রাফি, সিনেমাটোগ্রাফি ইত্যাদির ওপর অনেকের খুব দক্ষতা আছে। এসব বিষয়ের ওপর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে ওয়ার্কশপ তৈরি করতে পারেন। এতে একটি চার্জ নিতে পারেন কাস্টমারদের থেকে। হোয়াটসঅ্যাপে যেহেতু ভিডিও, অডিও কলের সুবিধা রয়েছে তাই ওয়ান-অন-ওয়ান কোচিংও করাতে পারেন। # ক্যাটালগ দেখিয়ে উপার্জনের উপায় ছোট কোনো ব্যবসা থাকলে এই চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো যাবে। চ্যাটের মাধ্যমে নিজের ক্যাটালগ দেখানো যাবে। আর তাদের অর্ডার নেওয়া এবং পেমেন্ট সাপোর্টও দেওয়ার সুযোগ থাকছে। সূত্র: গিজমোচিনা।
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে নেমেছেন ওরা ৪৩ জন
এবার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে চান দুই নারীসহ ৪৩ জন সাঁতারু। ভারতীয় নারী সাঁতারুর নাম- রচনা শর্মা ও বাংলাদেশি নারী সাঁতারুর নাম- এম এসটি শোহাগী আক্তার। কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে স্রোত ধারাটির নাম-‘বাংলা চ্যানেল’। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহ্পরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্রসৈকত থেকে এই সাঁতার শুরু করেন তারা।  সাঁতার প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করে টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরফানুল হক চৌধুরী। ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে সাঁতার শেষ হবে সেন্টমার্টিন দ্বীপের উত্তর সৈকতে গিয়ে। এবারও সাঁতারের আয়োজন করেছে ‘ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার’ও ‘এক্সট্রিম বাংলা’। এ উপলক্ষে গত সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার বিকেলে শাহপরীর দ্বীপ সমুদ্র সৈকতে সাঁতারুরা দল বেঁধে অনুশীলন করেছেন। এই আয়োজনে সহযোগিতায় আছেন ভিসাথিং, ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ লিমিটেড, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড, সরকার এগ্রো ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এবারের বাংলা চ্যানেল সাঁতারের প্রধান সমন্বয়ক ও ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার। এখন পর্যন্ত ১৯ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন তিনি। এবার সফল হলে টানা ২০ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার একক রেকর্ড গড়বেন তিনি। এবারের সাঁতারুরা হলেন- ফজলুল কবির সিনা, লিপটন সরকার, মো মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ শামসুজ্জামান আরাফাত, শেখ মাহবুব উর রহমান, আল্লামা দিদার, সালাহ উদ্দিন, মো. কামাল হোসেন, এমডি জিহাদ হুসেন, আবাদুল ইসলাম, এমডি ইলিয়াস হোসেন, মাহাদী হাসান সায়েম, আব্দুল্লাহ আল সাবিত, এস এম শারিয়ার মাহমুদ, হুমায়েদ ইছাহাক মুন, রচনা শর্মা (ভারতীয়), আতিকুল ইসলাম, এমডি ফজলে রাব্বি চৌধুরী, এমডি আব্দুল মতিন, জয়তু দাস, এমডি মইজ উদ্দিন মেরাজ, ফরিদ আহমেদ খান, আব্দুল ইলা, মোহাম্মদ তামিম পারভেজ, মুরাদ হোসেন, এমডি গোলাম হাফিজ, সবুজ কুমার বর্মন, এমডি নাদিম মাহমুদ, এমডি মাহমুদুল হাসান, হাসান ইমাম, এমডি জামিল হোসেন, জাফর সাদাক, শরভ শমাদ্দার, এমডি মুশা আহমেদ, এমডি নাসির উদ্দিন, মাহমুদুর রহমান বনি, সাইফুল ইসলাম রাসেল, এমডি আবুল্লাহ আল রোমান, সুমন বালা, এমডি ফারুক হোসেন, এমএসটি শোহাগী আক্তার, মো নাজমুজ সাকিব শিমুম ও উজ্জাল চৌধুরী। প্রধান সমন্বয়ক লিপটন সরকার বলেন, এবার একজন ভারতীয় নারীসহ ৪৩ জন সাঁতারু অংশ নেবেন। এই সাঁতার আন্তর্জাতিক রীতি মেনে পরিচালনা করা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক সাঁতারুর জন্য বোট ও উদ্ধারকর্মী রয়েছে। বাংলা চ্যানেল সাঁতারকে আন্তর্জাতিক করতে পেরেছি। ধারাবাহিকভাবে এ নৌপথে সাঁতার অনুষ্টিত হচ্ছে। প্রতিবারেই সাঁতারুরা অংশগ্রহণ বলে দিচ্ছে বাংলাদেশে দূরপাল্লার সাঁতার জনপ্রিয়।  বঙ্গোপসাগরে দূরপাল্লার সাঁতারের উপযোগী ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো বাংলা চ্যানেল সাঁতার অনুষ্ঠিত হয়। সেবার সাঁতারে অংশ নিয়েছিলেন লিপটন সরকার, ফজলুল কবির সিনা ও সালমান সাইদ।
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

১১ নভেম্বর মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের চ্যানেল উদ্বোধন : নৌ-প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের আবিষ্কারক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বন্দরের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে পরিচয় করে দিয়েছেন। বন্দর এখন দৃশ্যমান।  আগামী ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের চ্যানেল উদ্বোধন এবং মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এর ফলে দেশের অর্থনীতি আরও বেশি শক্তিশালী হবে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর দক্ষিণ এশিয়ার সিম্বল হয়ে থাকবে। দেশের অর্থনীতিতে দুই থেকে তিন বিলিয়ন ডলার যুক্ত হবে। সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন খরচ ১০ থেকে ২০ ভাগ কমে আসবে। দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখবে।  প্রতিমন্ত্রী আজ মাতারবাড়িতে গভীর এই সমুদ্রবন্দর চ্যানেল উদ্বোধন এবং প্রথম টার্মিনাল নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন। দক্ষিণ এশিয়ার সিঙ্গাপুর হবে মাতারবাড়ি একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক হাব হবে মাতারবাড়ি। এখানে সড়ক যোগাযোগ আছে। ভবিষ্যৎ রেল যোগাযোগ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের পরেও দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী। শেখ হাসিনার মত নেতৃত্ব থাকলে দেশ সংকটে পড়বে না।  এ সময় অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান  রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, প্রকল্প পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলার মাতারবাড়িতে শুরু হয়েছে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর টার্মিনালের নির্মাণকাজ। এ প্রকল্পের জন্য ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। মাতারবাড়ি টার্মিনাল বাস্তবায়িত হলে ১৬ মিটার বা ততোধিক গভীরতা সম্পন্ন বাণিজ্যিক জাহাজ গমনাগমন করতে সক্ষম হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে মাইলস্টোন হিসেবে কাজ করবে। সমুদ্রবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৫০ মিটার প্রশস্ত ও ১৬ মিটার গভীরতা সম্পন্ন ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
০৯ নভেম্বর, ২০২৩

ইনমার ‘থার্টি আন্ডার থার্টি’র অ্যাওয়ার্ডস পেলেন চ্যানেল ২৪’র রায়হান রবিন
ইন্টারন্যাশনাল নিউজ মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের (ইনমা) ‘থার্টি আন্ডার থার্টি’ পুরস্কার পেয়েছেন চ্যানেল ২৪’ এর অ্যাসিস্ট্যান্ট মার্কেটিং ম্যানেজার (ডিজিটাল) মো. রায়হান উল্লাহ্ রবিন।  মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। একই ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন প্রথম আলোর ডিজিটাল বিজনেস বিভাগের মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ নুসরাত জাহান।  গণমাধ্যমে কর্মরত ৩০ বছরের কম বয়সীদের স্বীকৃতি দিতে ইনমা তাদের ‘ইয়াং প্রফেশনালস ইনিশিয়েটিভ’- এর আওতায় এই পুরস্কার দিয়ে থাকে। এ বছর অ্যাডভার্টাইজিং, ডেটা, নিউজরুম, রিডার রেভিনিউ, লিডারশিপ এবং প্রোডাক্ট- এই ছয় ক্যাটাগরিতে ১৮ দেশের ২৭০ প্রতিযোগীর মধ্য থেকে ৩০ জন পুরস্কার পেয়েছেন।  পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেকে পাবেন ইনমার এক বছরের সদস্যপদ, দুটি মাস্টারক্লাস ট্রেনিং এবং সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে বেলজিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য ‘ইনমা মিডিয়া ইনোভেশন উইক’-এ অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ।  
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল হবে হাতিরঝিলের চেয়েও নান্দনিক : মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলকে হাতিরঝিলের চেয়েও বেশি নান্দনিক করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা আছে তাদের।  বুধবার (৩০ আগস্ট) আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধারে চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। মেয়র বলেন, ‘হাতিরঝিলের কাজ শেষ করতে প্রায় ১০ বছর সময় লেগেছিল। আর হাতিরঝিল কিন্তু বদ্ধ জলাশয়। আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল উন্মুক্ত নদীর অববাহিকা। এখানে একটু ভিন্নতা রয়েছে। যেহেতু নদীর অববাহিকা, সেহেতু এটিকে আরও সুন্দর, আরও বেশি নান্দনিক করে গড়ে তুলতে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি।’ প্রকল্প প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান উল্লেখ করে দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন, ‘আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধারে প্রথম পর্যায়ে নিজস্ব অর্থায়নে আমরা ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিলাম। সেখান থেকে প্রায় ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আমরা প্রাথমিক পর্যায়ের খননকাজ সম্পন্ন করেছি। আপনারা জানেন, এই নদীর অববাহিকা পূর্ণরূপেই ভরাট করে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু এখন নদীপ্রবাহের সেই অববাহিকা আবার ফিরে এসেছে। এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজগুলো আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা আমাদের বাজেটে নিজস্ব অর্থায়নে আরও প্রায় ৩৫ কোটি টাকা অর্থসংস্থান রেখেছি এবং সীমানা নির্ধারণের কাজ চলছে। আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম আগামী তিন বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার আশা করছেন মেয়র তাপস। তিনি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুরূহ ও বিশাল কর্মযজ্ঞ। প্রকল্প প্রণয়ন করা, প্রকল্প থেকে অর্থসংস্থান পাওয়া, তারপরে দরপত্র করে কাজ শুরু করা- এগুলো অনেক দীর্ঘসূত্রতার মধ্যে পড়ে যায় এবং দীর্ঘ সময় লাগে। এ জন্য আমাদের যেসব কাজ করার সক্ষমতা রয়েছে, সেসব কাজ এগিয়ে নিতে আমরা তা নিজস্ব অর্থায়নেই করে চলেছি। হাতিরঝিলের মতো দীর্ঘ ১০ বছর সময় যেন না লাগে, সে জন্যই আমাদের এই কর্মকৌশল। আমরা যদি প্রকল্পের জন্য অপেক্ষা করতাম তাহলে এই কাজটায় এতদিনে কিছুই হতো না।’ ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মতবিনিময়কালে ডেঙ্গু নিয়ে করা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ তাপস বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মাঠপর্যায়ের কার্যক্রমকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা এটাকে গতিশীল রেখেছি, বেগবান রেখেছি। সে জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গতকাল আমাদের রোগী ছিল মাত্র ৫২ জন। এ মৌসুমের পুরো সময় একই গতিতে আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব।’ এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোকাদ্দেস হোসেন, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন এবং সংরক্ষিত আসনের নিলুফার রহমান উপস্থিত ছিলেন।
৩০ আগস্ট, ২০২৩

আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল হবে হাতিরঝিলের চেয়েও নান্দনিক : মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলকে হাতিরঝিলের চেয়েও বেশি নান্দনিক করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা আছে তাদের। আজ বুধবার আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধারে চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। মেয়র বলেন, ‘হাতিরঝিলের কাজ শেষ করতে প্রায় ১০ বছর সময় লেগেছিল। আর হাতিরঝিল কিন্তু বদ্ধ জলাশয়। আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল উন্মুক্ত নদীর অববাহিকা। এখানে একটু ভিন্নতা রয়েছে। যেহেতু নদীর অববাহিকা, সেহেতু এটিকে আরও সুন্দর, আরও বেশি নান্দনিক করে গড়ে তুলতে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি।’ প্রকল্প প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান উল্লেখ করে দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন, ‘আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধারে প্রথম পর্যায়ে নিজস্ব অর্থায়নে আমরা ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিলাম। সেখান থেকে প্রায় ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আমরা প্রাথমিক পর্যায়ের খননকাজ সম্পন্ন করেছি। আপনারা জানেন, এই নদীর অববাহিকা পূর্ণরূপেই ভরাট করে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু এখন নদীপ্রবাহের সেই অববাহিকা আবার ফিরে এসেছে। এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজগুলো আমরা হাতে নিয়েছি। আমরা আমাদের বাজেটে নিজস্ব অর্থায়নে আরও প্রায় ৩৫ কোটি টাকা অর্থসংস্থান রেখেছি এবং সীমানা নির্ধারণের কাজ চলছে। আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম আগামী তিন বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার আশা করছেন মেয়র তাপস। তিনি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুরূহ ও বিশাল কর্মযজ্ঞ। প্রকল্প প্রণয়ন করা, প্রকল্প থেকে অর্থসংস্থান পাওয়া, তারপরে দরপত্র করে কাজ শুরু করা-এগুলো অনেক দীর্ঘসূত্রতার মধ্যে পড়ে যায় এবং দীর্ঘ সময় লাগে। এ জন্য আমাদের যেসব কাজ করার সক্ষমতা রয়েছে, সেসব কাজ এগিয়ে নিতে আমরা তা নিজস্ব অর্থায়নেই করে চলেছি। হাতিরঝিলের মতো দীর্ঘ ১০ বছর সময় যেন না লাগে, সে জন্যই আমাদের এই কর্মকৌশল। আমরা যদি প্রকল্পের জন্য অপেক্ষা করতাম তাহলে এই কাজটায় এতদিনে কিছুই হতো না।’ মতবিনিময়কালে ডেঙ্গু নিয়ে করা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ তাপস বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মাঠপর্যায়ের কার্যক্রমকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা এটাকে গতিশীল রেখেছি, বেগবান রেখেছি। সে জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গতকাল আমাদের রোগী ছিল মাত্র ৫২ জন। এ মৌসুমের পুরো সময় একই গতিতে আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব।’ এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোকাদ্দেস হোসেন, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন এবং সংরক্ষিত আসনের নিলুফার রহমান উপস্থিত ছিলেন।  
৩০ আগস্ট, ২০২৩
X