এর চেয়ে ভালো জাতীয় নির্বাচন সম্ভব নয় : ইসি আনিছুর
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এর চেয়ে ভালো জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্ভব নয়। কত প্রতিবন্ধকতা নির্বাচনের ওই জায়গাটায় থাকলে বোঝা যায়। এটা বাইরে থেকে বোঝা যাবে না। পাকিস্তানের গণতন্ত্রের তুলনায় আপনারা অনেক ভালো আছেন বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের অধিবেশন ডাকার কথা প্রেসিডেন্টের, ডেকে ফেলেছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়। হয় এটা? কিন্তু হচ্ছে ওই দেশে। সেই তুলনায় আমরা কতটা ভালো আছি। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন উপনির্বাচনের প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এর আগে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে সুষ্ঠু পরিবেশে প্রচার চালানোর আহ্বান জানাই। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট কারচুপি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই ভোটের ফল যা হয় তা মেনে নিতে আহ্বান জানাচ্ছি। আমি সবার উদ্দেশে বলেছিলাম, এই নির্বাচনও দেশি-বিদেশি সংস্থা পর্যবেক্ষণ করছে। এটিও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় সংসদ সদস্য (আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার) বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ করছেন এবং তিনি একটি প্রতীকের পক্ষেও প্রচার করছেন। প্রার্থীদের এই অভিযোগ কীভাবে দেখছে নির্বাচন কমিশন—এমন প্রশ্নে ইসি বলেন, তিনি এই এলাকার ভোটার। তিনি যা করতে পারবেন যা করতে পারবেন না তা নির্বাচন আচরণবিধিতে লেখা আছে। তিনি যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন তাহলে অভিযুক্ত হবেন। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক খন্দকার মুশফিকুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোংনে থোয়াই মারমা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্টরা। 
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

‘বিশ্ববাসীর অভিনন্দনের জোয়ার দেখে নির্বাচন বর্জনকারীরা আবোলতাবোল বকছে’
বিশ্ববাসীর অভিনন্দনের জোয়ার দেখে নির্বাচন বর্জনকারীরা আবোলতাবোল বকছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির দেওয়া ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এখন পর্যন্ত ৭৮টি দেশের সরকার-রাষ্ট্রপ্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, এই সরকারের সঙ্গে তারা নতুন পর্যায় শুরু করতে চায়। যুক্তরাজ্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। যারা নির্বাচন বর্জন করেছিল এ ধরনের আনন্দ বার্তা অভিনন্দনের জোয়ার দেখে তাদের মুখ ফ্যাকাশে হয়ে পড়েছে। তারা আবোলতাবোল বকতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল। ৭ জানুয়ারি সুন্দর চমৎকার একটি নির্বাচন হয়েছে। অন্যান্য নির্বাচনের তুলনায় সহিংসতা হয়নি বললেই চলে। এই নির্বাচনে ৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে। অনেকে প্রশ্ন তোলার অপচেষ্টা চালায়।  রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, হংকং, আয়ারল্যন্ড ও পর্তুগালের ভোটের হার তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এসব দেশে ভোটের হার ছিল ৪৪ শতাংশের নিচে। সেখানে নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা ছিল না। কেউ নির্বাচন বর্জন করেনি। কিন্তু আমাদের দেশে নির্বাচন বর্জনকারীরা নির্বাচন শেষে বিশ্ববাসী কী বলে তা দেখার জন্য উন্মুখ হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববাসীর অভিনন্দনের জোয়ার দেখে তাদের মুখ ফ্যাকাশে হয়ে পড়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সংরক্ষিত আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার পর গণভবনে তাদের সঙ্গে বসেন প্রধানমন্ত্রী।  এরপর সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে দুপুরে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনে মনোনয়ন দেবে আওয়ামী লীগ। ফলে প্রতিটি আসনের বিপরীতে মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৩২ জন। এর আগে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন শরিকরাও পাবেন সংরক্ষিত আসনের ভাগ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ৪৮টি আর জাতীয় পার্টি দুটি আসন পাবে। আমাদের শরিক দলগুলোও পাবে সংরক্ষিত আসন। বুধবার আওয়ামী লীগের বোর্ড মিটিং হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন শেখ হাসিনা। তিনি প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করবেন। প্রসঙ্গত, গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংরক্ষিত আসনে মনোনয়নপত্র বিক্রি করে আওয়ামী লীগ। তিন দিনে মোট ১ হাজার ৫৪৯ ফরম বিক্রি করেছে দলটি। যা থেকে আয় হয়েছে ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রাশিয়া রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত : বিএনপি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কির বক্তব্যকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দলটির পক্ষে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর পাঠানো বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কির বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত ও আওয়ামীসুলভ যা বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অনুভূতিতে আঘাত করেছে।’ ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বক্তব্যকে ‘বিভ্রান্তিকর, মিথ্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বলে আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা বা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ছিল না। বরং, নির্বাচনের নামে এটি ছিল জাতির সঙ্গে একটি সহিংস প্রতারণা, যার উদ্দেশ্য ছিল সরকারের স্বার্থবাদী, কর্তৃত্ববাদী অনুগত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের সহায়তা ও সমর্থনে কুক্ষিগত ক্ষমতার মেয়াদ বৃদ্ধি করা।’ গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘২০১৪ এবং ২০১৮ সালের প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে, ভোট ডাকাতির অভিনব সব পন্থা অবলম্বন করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে কলঙ্কিত ইতিহাস তৈরি করে তারই ধারাবাহিকতায় ডামি প্রার্থী, ডামি দল, ডামি ভোটার ও ডামি পর্যবেক্ষকদের সমন্বয়ে ডামি নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে ২০২৪ সালে। ভাগ—বাঁটোয়ারার এই নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার রক্ষাকবচ গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল জনগণ প্রমাণ করেছে, বিএনপি ও ৬২টি গণতন্ত্রমনা রাজনৈতিক দলের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত সঠিক তথা গণআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।’ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও উল্লেখ করেন, ‘বস্তুত, ৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হওয়ায় একটি নতুন ও অর্থবহ নির্বাচন আয়োজন আজ বাংলাদেশের জনগণের গণদাবি। সেই সর্বজনীন লক্ষ্য অর্জনে, গণতন্ত্রের পক্ষের সকল রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে, যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে, জনগণের লুণ্ঠিত ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন করে আসছে বিএনপি। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার তথা নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একটি অংশগ্রহণমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে, চলমান এই শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলনে প্রেরণা যোগাচ্ছে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন। এই বাস্তবতায়, বাংলাদেশের জনগণ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বের আকাঙ্ক্ষা অভিন্ন ও এক সূত্রে গাঁথা। সেই অভিন্ন লক্ষ্য হলো, একটি নির্বাচিত ও জবাবদিহিতামূলক সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা।’ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ব্যবসা, বাণিজ্য, জ্ঞান ও অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক স্বার্থের ভিত্তিতে। বিএনপি বিশ্বাস করে, দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতুবন্ধনেই দীর্ঘমেয়াদি কূটনৈতিক সাফল্য নিহিত। তাই বিএনপি রাশিয়াকে আহ্বান করছে, বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায় ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়, তথা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, স্বাধীনতার সংকল্প ও মহান আত্মত্যাগের প্রতি উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শনের জন্য।’
০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ জানালেও বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি ঢাকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর এবং দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়েও বাইডেন প্রশাসনের আগ্রহের কথা জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানিয়েছেন। ম্যাথিউ মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশের বিষয়ে আপনাদের সর্বশেষ প্রেসনোটে আমরা দেখেছি, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে কাজ করতে আগ্রহী। এই ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে আছে-সন্ত্রাস দমন, সীমান্ত নিরাপত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে (শেখ হাসিনা) আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত না জানিয়ে বাংলাদেশে নতুন সরকারের সঙ্গে বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে কাজ করা কীভাবে সম্ভব? জবাবে তিনি বলেন, সারা বিশ্বে আমাদের এ ধরনের সম্পর্ক আছে। আমরা বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি, ক্র্যাকডাউন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, (বাংলাদেশ) সরকারের সঙ্গে কাজ করার দায়িত্ব (সুযোগ) আমাদের নেই। উল্লিখিত উভয় ক্ষেত্রেই যেসব বিষয়ে আমাদের উদ্বেগ আছে। সেইসঙ্গে আমরা বিশ্বাস করি যে, আমাদের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সহযোগিতা করতে পারি। তিনি আরও বলেন, আপনারা আমাকে আগেও বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগে প্রকাশ করতে দেখেছেন। আমরা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে এমন প্রমাণ খুঁজে পাইনি। সেই নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী দলের হাজার হাজার সদস্যের গ্রেপ্তার নিয়েও আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। ম্যাথিউ মিলারে বলেন, আমি দুটি বিষয় বলব। প্রথমত, গ্রেপ্তারকৃত সবার জন্য একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। দ্বিতীয়ত, আমরা বাংলাদেশ সরকারকে বিরোধী দলের সদস্য, গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও নাগরিক জীবনে অর্থপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাই। সেইসঙ্গে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাব। এর আগে, গত সপ্তাহেই ম্যাথিউ মিলার বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার করা বিভিন্ন বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় তিনি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আবারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ব্যক্ত করেন। 
০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ডামি নির্বাচনের সংসদ দিয়ে সরকারের আয়ু বাড়ানো যাবে না : সাইফুল হক
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘ডামি নির্বাচন’ আখ্যা দিয়ে এই নির্বাচনের সংসদ দিয়ে সরকারের আয়ু বাড়ানো যাবে না বলে দাবি করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।  সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি। সাইফুল হক বলেন, দেশের সকল বিরোধী দল গেল ৭ জানুয়ারির পাতানো ডামি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও বর্জনের যে ডাক দিয়েছিল- দেশের মানুষ অভূতপূর্ব, স্বতঃস্ফূর্ততায় তাতে সাড়া দিয়ে সরকার, সরকারি দল ও নির্বাচন নামক তামাশার প্রতি নজিরবিহীন গণঅনাস্থা প্রকাশ করেছে। মানুষ তাদের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলার এই নির্বাচনী তামাশা গ্রহণ করেনি। গণতান্ত্রিক বিশ্ব হিসেবে পরিচিত দেশসমূহ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও ভাগবাটোয়ারার এই নির্বাচনী প্রহসন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। তিনি বলেন, বিদেশিদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও কূটনৈতিক শিষ্টাচারকে সরকারের প্রতি সমর্থন কিংবা তাদের অনৈতিক ক্ষমতা প্রলম্বিত করার অথবা টিকে থাকার সার্টিফিকেট হিসেবে দেখানোরও কোনো অবকাশ নেই। ভারত, চীন ও রাশিয়া এই সরকারের প্রতি তাদের যে সমর্থন ব্যক্ত করেছে তা প্রধানত বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে তাদের ভূরাজনৈতিক স্বার্থের বিবেচনায়। আওয়ামী লীগ সরকার জবরদস্তি করে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে গিয়ে বাংলাদেশকে পরাশক্তিসমূহের লীলাক্ষেত্রে পরিণত করছে। এই পরিস্থিতি এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি ক্রমে বাড়িয়ে তুলছে। সাইফুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে দেশের অবশিষ্ট গণতান্ত্রিক কাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা আবারও একদলীয় শাসন জোরদার করতে তৎপর রয়েছে। জবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকতে তারা গোটা রাষ্ট্রকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তনের পথও তারা বন্ধ করে দিয়েছে; এভাবে দেশকে তারা অকার্যকরী করে তুলছে। তিনি বলেন, ডামি নির্বাচনের সংসদ দিয়ে সরকারের আয়ু বাড়ানো যাবে না। দেশের মানুষ এই দুঃশাসনকে কোনোভাবেই আর বরদাস্ত করছে না। ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচন বর্জন করে দেশের মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে যে গণঅনাস্থা জানিয়েছে গণআন্দোলন-গণসংগ্রামের পথে তাকে রাজপথে নিয়ে আসাই এখন বিরোধী দলসমূহের প্রধান কর্তব্য। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিরোধী দলসমূহের মধ্যে রাজপথের যে ঐক্য গড়ে উঠেছে, নতুন পর্যায়ে আন্দোলন পুনর্গঠন ও পুনর্বিন্যস্ত করে যুগপৎ ধারায় এই ঐক্য আরও সংহত ও জোরদার করা প্রয়োজন। এর মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ তাদের অধিকার ও মুক্তির জন্য যে মরিয়া লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত তাকে সফল করতে বিরোধীদলসমূহকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনী তামাশার মধ্যে দেশের সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। সরকারের প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতি দেশকে আরও বিভক্তি-বিভাজনের দিকে ঠেলে দিয়েছে; দেশকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অনিবার্য বিপর্যয়ের পথে। এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে তিনি অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠায় কার্যকরি উদ্যোগ নিতে সরকার ও সরকারি দলের প্রতি আহবান জানান। সাইফুল হক বলেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা; অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন এবং একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী সাম্যভিত্তিক গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠায় পার্টি ও গণতন্ত্র মঞ্চের ৩১ দফা গণতান্ত্রিক রূপান্তরের কর্মসূচি বাস্তবায়নেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এদিকে, সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি এবং দ্রব্যমূল্যের ভয়াবহ ঊর্ধ্বগতি ও বাজার নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ জেলা পর্যায়ে সমাবেশ ও বিক্ষোভের কর্মসূচি পালন করবে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাশিদা বেগম, সাইফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সংগঠক জামাল সিকদার, মো. স্বাধীন মিয়া প্রমুখ।
২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

কিছু আঁতেল নির্বাচন নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টির চেষ্টা করছে : প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ এবার নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। কেউ কেউ ধূম্রজাল তৈরির চেষ্টা করলেও দেশের মানুষ এ নির্বাচন গ্রহণ করেছে। ৭ জানুয়ারি একটি ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। সোমবার (২২ জানুয়ারি) গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংসদের জরুরি সভার সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা অংশ নেন। শেখ হাসিনা বলেন, এবারের নির্বাচন নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে। ভোটে জনগণের মতের প্রতিফলন ঘটেছে। কিন্তু কিছু আঁতেল নির্বাচন নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টির চেষ্টা করছে। ভোট হতে দেবে না, ভোটকেন্দ্রে যেতে দেবে না, এমন হুমকির মধ্যেও জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে।  এ সময় অবৈধ মজুতদারদের হুঁশিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভরা মৌসুমে চালের দাম কমার কথা, তা বাড়ল কেন? কেউ অবৈধ মজুত করলে সাজা পেতে হবে। অসাধু চক্রকে খুঁজে বের করা হবে। অস্বাভাবিকভাবে দুরভিসন্ধিমূলক কোনো মজুত পাওয়া গেলে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট চালিয়ে ওদের জেলে দেওয়া হবে। শেখ হাসিনা অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন বানচালে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি অন্যভাবে কিছু করার চেষ্টা চালাচ্ছে।  তবে সরকারের শুভফল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চায় নতুন সরকার।  
২২ জানুয়ারি, ২০২৪

শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে ভোটকে গ্রহণযোগ্য করা সম্ভব হয়েছে : সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে ভোটকে গ্রহণযোগ্য করা সম্ভব হয়েছে। সুনাম আর অপবাদ দুটোই বিবেচনায় নিতে হবে। তবে সরকারের সহযোগিতা ছাড়া নির্বাচনের মতো এত বড় কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করা সম্ভব হতো না। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সফলতা নিয়ে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সিইসি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় জাতি সংকট থেকে উঠে এসেছে। তবে এটি স্থায়ী সমাধান নয়। নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার অজুহাতে সরকারের গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেনি ইসি। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অবশ্যই ছিল, তবে নির্বাচন থামিয়ে রাখাও সম্ভব ছিল না। ইসি কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়, রাজনীতিবিদদের যদি ইসিতে আস্থা না থাকে, তাহলে ইসির গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। আমরা হয়তো নৈতিক অবস্থান থেকে অনুরোধ করতে পারি, সংকট নিরসনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন।  এ সময় তিনি বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন খুব যে অংশগ্রহণমূলক হয়েছে তা নয়। কারণ একটি বড় অংশ নির্বাচনকে শুধু বর্জনই করেননি, প্রতিরোধেরও ঘোষণা দিয়েছিল। নির্বাচন উঠিয়ে আনায় জাতি স্বস্তিবোধ করছে। আমরা স্বস্তিবোধ করছি। তবে নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, সরকারের সহায়তা ছাড়া এত বড় কর্মযজ্ঞ সফল করা সম্ভব ছিল না। আমাদের অপবাদ, বদনাম দুটোই নিতে হবে। চব্বিশের ভোট আয়োজন সফলভাবে সমাপ্ত হওয়ায় কমিশন ও সংশ্লিষ্ট কর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং ভোটরদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

নির্বাচন নিয়ে টিআইবির মূল্যায়ন
দ্বাদশ জাতীয় সংষদ নির্বাচন কেমন ছিল সে বিষয়ে মূল্যায়ন করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলছে, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক দেখাতে নিজ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করলেও বেশিরভাগ আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজেদের কার্যালয়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির গবেষক মাহফুজুর হক, নেওয়াজুল মওলা ও সাজেদুল ইসলাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, একপাক্ষিক ও ‘পাতানো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ’ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়নি। নির্বাচনে শেষের এক ঘণ্টায় ১৫.৪৩ শতাংশ ভোটসহ মোট ৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়া বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপিসহ ১৫টি নিবন্ধিত দলের অনুপস্থিতি ও তাদের নির্বাচন বর্জনের কারণে বেশিরভাগ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। অন্তত ২৪১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ভোটের দিন সারাদেশে অধিকাংশ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাড়া অন্য দলের প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট ছিল না। প্রতিপক্ষের প্রার্থীদের এজেন্টদের হুমকির মাধ্যমে কেন্দ্রে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখা হয়। ভোটের দিন স্বল্প ভোটার আগমন এবং ডামি লাইন তৈরি, বিভিন্ন আসনে অন্য দলের প্রার্থীর এজেন্ট বের করে দেওয়া, ভোটের আগে ব্যালটে সিল মারা, ভোট চলাকালে প্রকাশ্য সিল মারাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচনী নীতিমালায় নির্বাচনকালীন ব্যয় একজন প্রার্থীর জন্য ২৫ লাখ টাকা নির্ধারিত থাকলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেটি লঙ্ঘন হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। শুধু তাই নয়, তপশিল ঘোষণার আগে ও পরে মিলিয়ে আওয়ামী লীগের একজন প্রার্থীই প্রায় ৩৯ কোটি টাকা ব্যয় করেছেন বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।  গবেষণা দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। ১১ দশমিক ৪৫ গুণ বেশি। বিজয়ী প্রার্থীরা গড়ে ৩ কোটি ৯ লাখ ৫৬ হাজার ৪৩৮ টাকা ব্যয় করেছেন। বিজয়ী একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৩৮ কোটি ৭৭ লাখ ১০ হাজার ১৪৪ টাকা ব্যয় করেছেন। এবং সর্বনিম্ন একজন ব্যয় করেছেন ১৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।  এই বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নাম প্রকাশ করব না। তবে সরকারি কোনো সংস্থা জানতে চাইলে আমরা জানাব।’  গবেষণায় বলা হয়, দ্বাদশ নির্বাচনে মোট ব্যয় ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা হলেও তা পরে বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। যা একাদশ নির্বাচনের খরচ থেকে তিনগুণ বেশি, বাজেটের অর্ধেকের বেশি ৫৪ শতাংশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য খরচ হলেও তার কোনো ব্যাখ্যা নেই।  গবেষণা দেখা গেছে- সারা দেশের ৫০টি আসনে ১৪৯ জন প্রার্থীর ওপরে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো না কোনো ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তারা সবাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী। ৫৪ শতাংশ আগে কখনো নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আওয়ামী লীগ মনোনীত শতভাগ প্রার্থী কোনো না কোনো আচরণবিধি ভেঙেছে।  গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ধারণা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার অন্যতম উপাদানসমূহ, তথা অবাধ, অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ ও সর্বোপরি সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র নিশ্চিতের যে পূর্বশর্ত, তা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিপালিত হয়নি বলে উল্লেখ করেন ইফতেখারুজ্জামান।
১৭ জানুয়ারি, ২০২৪

সংরক্ষিত নারী আসনের ভোট হতে পারে ফেব্রুয়ারিতে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনের ভোট ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, সংসদ সদস্য যারা ভোটার, তাদের তালিকা পেয়েছি। ভোটার তালিকা যেভাবে প্রকাশিত হয় সেভাবে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। প্রকাশ হওয়ার পর যদি কোনো আপত্তি না থাকে, তবে এটিই হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। পরবর্তীতে কমিশনের অনুমোদনক্রমে তপশিল ঘোষণা হবে। তারপর নির্বাচনের প্রয়োজন হলে হবে, আর না হলে হবে না। ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, আগামী সপ্তাহে আমরা এই প্রস্তাবনা কমিশনে উঠাব। কমিশন অনুমোদন দিলে তপশিল ঘোষণা হবে। আগামী সপ্তাহে তপশিল হলে ফেব্রুয়ারিতে ভোট হবে। এবার বিপুল স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছে, সে জায়গাগুলোতে সংরক্ষিত আসন বণ্টন কীভাবে হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্তে হবে। কীভাবে হবে এ ব্যাপারে কমিশনের তেমন কোনো বক্তব্য নেই। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি পাঠাব, দলগুলো কোটা অনুযায়ী কতটি পাবে সে ব্যাপারে বলে দেওয়া হবে। স্বতন্ত্ররা যদি এক না হয় তাহলে তার সমাধান কীভাবে হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- আমরা রাজনৈতিক দলকে চিঠি দেব, স্বতন্ত্রদের নয়। স্বতন্ত্রদেরটা কীভাবে হবে, সেটি পরে দেখা যাবে। এই মুহূর্তে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া যাচ্ছে না।  এ সময় তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে আমরা এখনো কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উপ-নির্বাচনের বিষয়ে কোনো চিঠি পাইনি। আর উপজেলার তালিকা পেয়েছি। এই নির্বাচনের জন্য কমিশন সচিবালয় প্রস্তুত রয়েছে। কমিশন সিদ্ধান্ত দিলে উপজেলা পরিষদের তপশিল ঘোষণা হতে পারে।  প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের ২২৩টিতে জয় পায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আর স্বতন্ত্র ৬২টি, জাতীয় পার্টি ১১টি ও অন্যান্য দল ৩টি আসনে বিজয়ী হয়। এরপর ১০ জানুয়ারি নবনির্বাচিত সংসদ সংসদ্যরা এবং পরদিন ১১ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেন। এদিকে, নির্বাচনে জয়ের পর শেখ হাসিনাকে ফোন করে অভিনন্দন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এ ছাড়া নির্বাচনের পরদিনই রাশিয়া, জাপান, সৌদি আরব, আরব আমিরাত, চীন, ভারতসহ প্রায় ৩০ দেশের রাষ্ট্রদূত গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
১৬ জানুয়ারি, ২০২৪
X