রমজানে জাল নোট প্রতিরোধে ভিডিও প্রচারের নির্দেশ
দেশে যে কোনো উৎসব ঘিরে জাল নোট চক্রের দৌরাত্ম্য বাড়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রমজান মাসে নোট জালকারী চক্রের তৎপরতা প্রতিরোধে রাজধানীর ৫৮ ব্যস্ততম পয়েন্টে সচেতনতামূলক ভিডিও প্রচারের জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জারি করা এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঈদের আগে জাল নোট চক্রের অপতৎপরতা বেড়ে যায়। এজন্য ব্যাংকগুলোকে সচেতনতামূলক ভিডিও প্রচারের ব্যবস্থা নিতে হবে। গতকাল সোমবার ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ব্যাংক নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য-সংবলিত ভিডিও চিত্র রমজান মাসে ঢাকা শহর এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখাগুলোর নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বগুড়া জেলাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরের গুরুত্বপূর্ণ জনসমাগমস্থল, রাস্তার মোড়ে সন্ধ্যার পর কমপক্ষে এক ঘণ্টা প্রচার করতে হবে। দেশের ব্যাংকগুলোর শাখায় গ্রাহকদের জন্য স্থাপিত টিভি মনিটরগুলোতে ভিডিও চিত্রটি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলাকালে প্রদর্শন করতে হবে। ব্যাংকের শাখাগুলোতে উচ্চ মূল্যমানের নোট গ্রহণ ও প্রদানকালে এবং এটিএম মেশিনে টাকা ফিডিংয়ের আগে আবশ্যিকভাবে জাল নোট শনাক্তকারী মেশিন দিয়ে নোট পরীক্ষা করতে হবে। এ ছাড়া রমজান মাস শেষ হওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচিত নির্দেশনা পরিপালনের পক্ষে ব্যাংকগুলোকে একটি সচিত্র প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দাখিল করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদের আগে সাধারণ মানুষ যেন সহজে জাল নোট শনাক্ত করতে পারেন, সে লক্ষ্যে নানা ধরনের সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে।
১৯ মার্চ, ২০২৪

জিসান ছড়িয়েছেন দুই কোটি টাকার জাল নোট
জাল নোট তৈরি ও সরবরাহের অভিযোগে জিসান হোসেন রিফাত (১৯) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব বলছে, জিসান একাই প্রায় ২ কোটি টাকার জাল নোট বাজারে ছেড়েছেন। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার ৯০০ টাকার বিভিন্ন মূল্যমানের জাল নোট এবং কম্পিউটারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে র‌্যাব-১০-এর সিপিসি-১ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার (এসপি) মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল। তিনি জানান, অল্প সময়ে বেশি টাকা আয়ের লোভে উচ্চাভিলাষী জিসান ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে একটি চক্রের কাছ থেকে জাল নোট তৈরির প্রশিক্ষণ নেন। এরপর তিনি নিজেই জাল নোট তৈরি করে বিভিন্নভাবে সরবরাহ করে আসছিলেন। জিসানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র‌্যাব জানিয়েছে, নিজের তৈরি জাল টাকা সরবরাহের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে যুক্ত হন জিসান। একটি সংঘবদ্ধ চক্র টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করে জাল টাকা তৈরির প্রযুক্তি আদান-প্রদান করত। জাল টাকা বিক্রির পন্থা বলে দিতেন চক্রের সদস্যরা। মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলে জাল নোট বিক্রি করা হতো। ফেসবুক গ্রুপে জাল টাকা বিক্রির পোস্ট দেওয়া হতো। এরপর কেউ আগ্রহী হয়ে কমেন্ট করলে তাদের সঙ্গে মেসেঞ্জারে যোগাযোগের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে সুবিধাজনক স্থানে জাল নোটগুলো সরবরাহ করতেন চক্রের সদস্যরা। পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল বলেন, চক্রের সদস্যদের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার কদমতলী, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, ডেমরা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় জাল নোট সরবরাহ করা হতো। জিসান প্রতি ১ লাখ টাকার সমপরিমাণ মূল্যের জাল নোট ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন। পরে চক্রটি মাছবাজার, লঞ্চঘাট, বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন মার্কেটে নানান কৌশল অবলম্বন করে জাল নোট সরবরাহ করত। র‌্যাব জানিয়েছে, জিসান অধিক জনসমাগম অনুষ্ঠান বিশেষ করে মেলা, উৎসব, পূজা ও কোরবানির পশুর হাট উপলক্ষে বিপুল পরিমাণ জাল নোট ছাপিয়ে মজুত করতেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে জাল নোট ছাপানোর সময় কাগজের অব্যবহৃত ও নষ্ট অংশগুলো পুড়িয়ে ফেলতেন।
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

এক বছরে বাজারে তিন কোটি টাকার জাল নোট
পঁয়তাল্লিশ লাখ টাকা মূল্যমানের জাল নোটসহ গত শুক্রবার পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১০। আশুলিয়া ও ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে সাইফুল ইসলাম, শাহিন খান, রনু মিয়া, আল-আমিন শেখ ও লাজু আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। জাল নোটের এই কারবারিরা গত এক বছরে ৩ কোটি টাকা বাজারে ছেড়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। তাদের কাছ থেকে ১ হাজার, ৫০০ ও ২০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে র‌্যাব-১০-এর সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, এক বছর ধরে জাল নোট তৈরি করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছিল চক্রটি। মূলহোতা সাইফুলের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একটি গ্রুপে অন্য সদস্যদের সঙ্গে পরিচয় হয়। তার নেতৃত্বে কম সময়ে অল্প পুঁজিতে অধিক লাভের আশায় এ ব্যবসার পরিকল্পনা করে তারা। প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলে এবং সেখানে জাল নোট তৈরি ও ব্যবসাবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করে। এই গ্রুপের অ্যাডমিন ছিল শাহিন। র্যাব জানায়, জাল নোট তৈরির সার্বিক বিষয়ে দক্ষ হওয়ায় সাইফুল নিজেই চক্রটি পরিচালনা করত। নোট প্রিন্ট করে রনু মিয়াকে দিত। রনু চক্রের আল-আমিন ও লাজুকে সঙ্গে নিয়ে জাল নোট কাটিং ও বান্ডিল করত। যখন ব্যবসা রমরমা থাকে তখন চক্রটি দিনে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা মূল্যমানের জাল নোট ছাপাত। তারা মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করে ক্লায়েন্ট তৈরি করে অগ্রিম টাকা নিয়ে নিত। পরে সুবিধাজনক স্থানে নোট সরবরাহ করত। চক্রটি ঢাকা, গাজীপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় জাল নোট সরবরাহ করত বলে জানায় র্যাব। অতিরিক্ত ডিআইজি ফরিদ উদ্দিন আরও বলেন, তারা জনসমাগম স্থল বিশেষ করে মেলা, উৎসব, পূজা ও কোরবারির পশুর হাট উদ্দেশ্য করে বিপুল পরিমাণ জাল নোট ছেপেছে বলেও তথ্য পাওয়া গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে নোট প্রিন্টিংয়ের সময় কাগজের অব্যবহৃত ও নষ্ট অংশগুলো পুড়িয় ফেলত তারা। এ পর্যন্ত চক্রটি প্রায় ৩ কোটি টাকা মূল্যমানের জাল নোটের ব্যবসা করেছে।
০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সম্পাদকীয় / রুখতেই হবে জাল নোট
দেশে জাল নোটের কারবারিরা সর্বদাই সক্রিয়। তবে এতদিন তারা বড় নোট অর্থাৎ ৫০০ বা ১০০০ টাকার জাল নোট বাজারে ছাড়লেও এখন তারা ঝুঁকছে ছোট নোটের দিকে। এসব চক্রের জাল নোটের কারবার চলছে দেশব্যাপী। এ কাজের জন্য তারা ব্যবহার করছে অনলাইন ও অফলাইন, দুই মাধ্যমকেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন পেজ খুলে এসবের মাধ্যমে তারা বিজ্ঞাপন দিচ্ছে এবং ক্রেতাদের সঙ্গে করছে সবরকমের যোগাযোগ ও লেনদেন। অফলাইনে এসব জাল টাকা ক্রেতার হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি উদ্বেগের। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, জাল নোটের কারবারিরা এখন বাজারে ছাড়ছে ১০, ২০, ৫০, ১০০ ও ২০০ টাকার মতো ছোট নোট। সেইসঙ্গে বড় জাল নোট তো আছেই। সাধারণত নতুন বড় নোট গ্রহণের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা সবসময় সতর্ক থাকেন। সন্দেহ হলে নোটটি আসল কি না, যাচাই করার চেষ্টা করুন। কিন্তু ছোট নোটের ক্ষেত্রে সন্দেহটা নেই বললেই চলে। ফলে ছোট জাল নোটে লাভ কম হলেও বাজারে চালানো সহজ হয়। অর্থাৎ সহজে মানুষের নজর এড়াতেই নতুন এ প্রবণতা এসব চক্রের। সম্প্রতি জাল নোট কারবারিদের একাধিক চক্র গ্রেপ্তারের পর ছোট জাল নোট ছাপানোর তথ্য জানতে পারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ‘কম মূল্যে জাল টাকা বিক্রি করি’, ‘জাল টাকা বিক্রি করি’ এবং ‘সিজান ভাই টাকার ডিলার’—এসব নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেজ খুলে চলছে জাল টাকা বিক্রির রমরমা কারবার। সম্পূর্ণ বৈধ বা প্রফেশনাল ব্যবসায়ীদের মতো অনলাইনে ক্রেতা ধরতে সিক্রেট গ্রুপগুলোতে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে তারা। এসব পেজের একটি বিজ্ঞাপনের ভাষা হচ্ছে, ‘সম্মানিত ক্রেতাগণ, আমাদের কাছে এ গ্রেড ১ লাখ জাল নোট পাচ্ছেন মাত্র ১২০০০ টাকায়। নতুন স্টক আছে, তাই ছোট-বড় সবরকমের মাল নিতে পারবেন। আমরাই দিচ্ছি ক্যাশ অন ডেলিভারির সুবিধা। অর্ডার করতে দ্রুত ইনবক্স করুন। ১০ টাকার নোট, ২০ টাকার নোট, ৫০ টাকার নোট, ১০০ টাকার নোট, ২০০ টাকার নোট। ভরপুর ছোট নোটের স্টক পাচ্ছেন আমাদের থেকে।’ জানা যায়, ছোট-বড় অর্ধশতাধিক গ্রুপে জাল নোটের কারবারির এসব চক্র রয়েছে সক্রিয়। সম্প্রতি জাল টাকার কারবারি এক চক্রের কয়েকজন সদস্য প্রশাসনের হাতে ধরা পড়লে তাদের কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকার পরিমাণ জাল নোট এবং বিপুল পরিমাণ জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ চক্রটি গত এক বছরে প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যমানের জাল নোট বাজারে ছড়িয়েছে। অনলাইন বা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে নানা অবৈধ তৎপরতার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। এর আগেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন নেশাদ্রব্য বিক্রির চক্রের তৎপরতার কথা সবাই জানে। সাইবার জগতের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে তাদের দায় এড়াতে পারেন না। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, মুদ্রা জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতরা গ্রেপ্তার হলে আইনের ফাঁকফোকরে জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসে এবং একই কাজে ফের সম্পৃক্ত হয়। এতে বোঝা যায়, বিদ্যমান আইন শক্তিশালী নয়। এটা একটি নেতিবাচক দিক। তবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক কোটি টাকার জরিমানার বিধান রেখে জাল নোট প্রতিরোধে ‘জাল নোট প্রতিরোধ আইন-২০২২’-এর যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, এটি নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জাল নোটের কারবারিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক নজরদারি বাড়ানোর বিকল্প নেই। জাল নোট প্রতিরোধ আইনটি যাতে দ্রুত প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পূর্ণাঙ্গ আইনে পরিণত হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা তৎপর হবেন; এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

পাঁচ কোটির বেশি জাল নোট ছড়িয়েছে রবিনের চক্র
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার কাজীপুর এলাকার সাজ্জাদ হোসেন রবিন। ২০০৭ সাল—জাল রুপি ও টাকা তৈরিতে হাতেখড়ি। মাঝে কয়েক বছর বিরতি দিয়ে ২০২০ সালে ফের শুরু করে। এসব জাল নোট দিয়ে সীমান্ত এলাকায় মাদক চোরাচালান ও বাজারজাতে চক্র গড়ে তোলে। সেই চক্রের তিন সদস্যকে এক লাখ ভারতীয় জাল রুপি, ১০ লাখ ২০ হাজার জাল টাকা এবং জাল নোট তৈরির সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা এখন পর্যন্ত ৫ কোটিরও বেশি জাল রুপি বাজারে ছড়িয়েছে। গত শুক্রবার লালবাগ থানার শ্মশানঘাট কালীমন্দির এলাকা থেকে প্রথমে একজনকে গ্রেপ্তার করে লালবাগ থানা পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যে বাকি দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলো মো. মাহি, সাজ্জাদ হোসেন রবিন ও সাদমান হোসেন হৃদয়। তাদের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় বিশেষ আইনে মামলা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. জাফর হোসেন। তিনি বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় লালবাগ শ্মশানঘাট কালীমন্দিরের সামনে থেকে ১ হাজার টাকার ৫০টি জাল নোটসহ গ্রেপ্তার করা হয় মো. মাহিকে। তার দেওয়া তথ্যমতে, মাহির মামা সাজ্জাদ হোসেন রবিন ও সাদমান হোসেন হৃদয়কে কেরানীগঞ্জের কানারগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার ৯৭০টি জাল নোট এবং ভারতীয় ৫০০ রুপি মূল্যমানের ২০০টি জালরুপিসহ জাল নোট তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, চক্রের মূলহোতা রবিন একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার। ২০০৭ সালে শহীদ নামে একজনের সঙ্গে পরিচয় হলে জাল টাকা তৈরির সঙ্গে জড়ায়। শহীদ মারা যাওয়ার পর জাল টাকা তৈরি বন্ধ করে ব্যবসা শুরু করে; কিন্তু করোনাকালে ব্যবসায় ধস নামলে জাল টাকা বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত মো. হুমায়ুন কবির সিকদার ও মো. শফিউল্লাহ সিকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে ২০২০ সাল থেকে আবারও জাল টাকা বিশেষ করে জাল রুপি ছাপানো শুরু করে। উপপুলিশ কমিশনার বলেন, জাল রুপি মূলত সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানের কাজে ব্যবহার করত। শাড়ি, মাদক বা বিভিন্ন সামগ্রী কিনত জাল রুপি দিয়ে। গত কয়েক বছরে কোটি কোটি জাল টাকা ও জাল রুপি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে দিয়েছে। চক্রটির বাকি সদস্য সম্পর্কে জানতে গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
০৬ আগস্ট, ২০২৩
X