ক্ষমা চাইলেন জাস্টিন ট্রুডো
কয়েক সপ্তাহ ধরেই যেন আন্তর্জাতিক রাজনীতির হটস্পট উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডা। সম্প্রতি খালিস্তানপন্থি এক শিখ নেতার হত্যাকাণ্ড ঘিরে ভারতের সাথে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে জড়ায় অটোয়া। পার্লামেন্টে শিখ নেতা হত্যায় সরাসরি ভারতকে অভিযুক্তি করেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এমন অভিযোগে বেজায় চটে ভারত। অটোয়া ও নয়াদিল্লির মতো আন্তর্জাতিক রাজনীতির দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের দ্বন্দ্বে দ্বিধায় পড়ে যায় পরাশক্তিগুলো। তাই পরিষ্কারভাবে কেউ কারও পক্ষ না নিলেও ঘটনা খতিয়ে দেখার ভাসা ভাসা বিবৃতি দেয় তারা।  এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই কানাডায় দেখা দেয় নতুন বিতর্ক। হিটলারের নাৎসি বাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করা এক ইউক্রেনীয়কে দেশটির পার্লামেন্টে ‘সম্মান’ জানানোয় বিশ্বজুড়ে তুমুল বিতর্কের জন্ম দেয় কানাডা। যা থেকে রক্ষা পাননি প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও। তুমুল সমালোচনার মুখে অবশেষে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী। বুধবার এ বিষয়ে ভুল স্বীকার করে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চান তিনি।  এর আগে একই ঘটনায় সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের স্পিকার অ্যান্থনি রোটা। জানা যায়, তিনি ওই ব্যক্তিকে পার্লামেন্টে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তার প্রশংসাও করেছিলেন। তীব্র সমালোচনার মুখে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতিও দিয়েছেন রোটা। স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে হাউস অব কমন্সে দেওয়া বক্তব্যে ট্রুডো বলেন, কোনো সন্দেহ নেই, এই ঘটনায় ভয়াবহ ভুল হয়ে গেছে। এ জন্য সবার পক্ষ থেকে তিনি ক্ষমা চেয়ে নেন। বলেন, সঠিক পরিচয় না জেনে ওই ব্যক্তিকে সম্মান জানানো হয়েছিল।  এর আগে গত শুক্রবার কানাডার পার্লামেন্টে ওই ঘটনার সূত্রপাত হয়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ওই দিন কানাডার পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে হাজির ছিলেন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ৯৮ বছর বয়সী ইউক্রেনীয় নাগরিক ইয়ারোস্লাভ হানকা। সেসময় তাকে ‘বীর’ হিসেবে প্রশংসা করেন স্পিকার রোটা। উঠে দাঁড়িয়েও অভ্যর্থনা জানানো হয় তাকে।   জানা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি বাহিনীর ১৪ ওয়াফেন-এসএস গ্রেনাডিয়ার ডিভিশনে কাজ করেছিলেন হানকা। এটি ছিল নাৎসি বাহিনীর অধীন একটি স্বেচ্ছাসেবী ইউনিট। এই ইউনিটের বেশির ভাগ সদস্য ছিলেন ইউক্রেনীয়রা। কানাডার পার্লামেন্টে হানকাকে সম্মান জানানোয় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। সমালোচনার মুখে গেল মঙ্গলবার স্পিকারের পদ ছাড়তে হয় রোটাকে। সমালোচনায় পড়তে হয় ট্রুডোকেও। শেষমেশ বাধ্য হয়ে ক্ষমা চান কানাডার জনপ্রিয় এই প্রধানমন্ত্রী। 
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নয়াদিল্লিতে আটকা পড়েছেন জাস্টিন ট্রুডো
বিমানে ত্রুটি থাকায় নয়াদিল্লিতে আটকা পড়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ভারতে একদিন বেশি থাকতে হচ্ছে ট্রুডোর। তবে ত্রুটিযুক্ত বিমান কখন ঠিক হবে, তা জানা যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষ। জি-টুয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলন শেষ করে রোববারই ভারত ছেড়েছেন বিশ্বনেতারা। তবে দেশে ফিরতে পারেননি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। আটকা পড়েছেন দিল্লিতে। তার সঙ্গে আটকা পড়েছেন ভারত সফরে আসা প্রতিনিধিরাও। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে ট্রুডোকে বহনকারী বিমানে গুরুতর যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় আরও একদিন দিল্লিতে থাকতে হচ্ছে। কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষ বলছে, দুদিনের সম্মেলন রোববার শেষ হওয়ায় ওইদিনই দেশে ফেরার পরিকল্পনা ছিল। ভারতের স্বাধীনতার মহানায়ক মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তার দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু উড়োজাহাজে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তাকে ভারতে থাকতে হচ্ছে আরও একদিন। এ বিষয়ে দিল্লির কানাডিয়ান হাইকমিশন বলছে, বিমানটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে তাদের বিমানবাহিনীর প্রতিনিধি দল। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে উড্ডয়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি রাতারাতি এই সমস্যা সমাধান না পাওয়ায় আটকা পড়েছেন ট্রুডো। কানাডার বিভিন্ন গণমাধ্যম ফলাও করে প্রচার করছে ট্রুডোর এই পরিস্থিতি। বিমানটি কখন সচল হবে সেই বিষয়ে অবশ্য এখনো পরিষ্কার কোনো ধারণা বা তথ্য পাওয়া যায়নি। জানানো হয়, বিমানটিতে এমন ত্রুটি আগে কখনো ধরা পড়েনি। এই প্রথম এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে বিমানটি। কানাডিয়ান বিমানবাহিনী বলছে, খুব দ্রুতই মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন সমস্যায় পড়া বিশ্বনেতাদের মধ্যে ট্রুডোই একমাত্র বিশ্বনেতা নয়। এর আগেও অনেকে এই সসম্যায় পড়েছেন। গত আগস্টে বিমান নিয়ে এমন ভোগান্তিতে পড়েন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া গত জুনে চীন সফরের সময় এমন বিপাকে পড়েন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিসকিন্স।   
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X