জিআই পণ্য নিয়ে তৎপর হতে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ফিরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। মাহবুব হোসেন বলেন, টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে বাংলাদেশ যে জার্নাল প্রকাশ করেছে, সেটি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে। পরে তিনি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি নিতে সবাইকে তৎপর হতে বলেন। দেশে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে—সম্ভাব্য এমন সব পণ্য নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, টাঙ্গাইলের শাড়ি, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লা জিআই সার্টিফিকেট পেয়েছে। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিন পণ্যের জিআই সনদ হস্তান্তর করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। ১ ফেব্রুয়ারি ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ থেকে টাঙ্গাইল শাড়ির স্বত্ব বিষয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। এতে দাবি করা হয়, টাঙ্গাইলের শাড়ির উৎপত্তি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। পোস্টে আরও বলা হয়েছে, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি, পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ভূত, একটি ঐতিহ্যবাহী হাতে বোনা মাস্টারপিস। এর মিহি গঠন, বৈচিত্র্যময় রং এবং সূক্ষ্ম জামদানি মোটিফের জন্য বিখ্যাত—এটি এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। রপ্তানি পণ্যের উৎপাদন বহুমুখী করতে হবে: রপ্তানি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বাজার সম্প্রসারণের পাশাপাশি পণ্যের উৎপাদনও বহুমুখী করতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) নেতারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান। উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ীদের বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রপ্তানি বাড়াতে পণ্যের বহুমুখীকরণের পাশাপাশি বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে। বৈঠকে বিজিএমইএ প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীকে ব্যবসা-বাণিজ্য, রপ্তানি ও সাম্প্রতিক বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন। তারা বৈশ্বিক পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন কারণে সৃষ্ট কিছু সমস্যার কথা উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন ও যত দ্রুত সম্ভব তা সমাধানের আশ্বাস দেন। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, শফিউল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমানসহ সংগঠনের নেতারা প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াও উপস্থিত ছিলেন।
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

জিআই পণ্য নিয়ে সবাইকে তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য নিয়ে সবাইকে তৎপর হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। সভা শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে বাংলাদেশ যে জার্নাল প্রকাশ করেছে সেটি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে। পরে তিনি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি নিতে সবাইকে তৎপর হতে বলেন। দেশে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে, সম্ভাব্য এমন সকল পণ্য নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।  এর আগে, সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ৩ পণ্যের জিআই সনদ হস্তান্তর করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের নকশা ও ট্রেডমার্ক বিভাগের টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার জিআই সার্টিফিকেট এবং টাঙ্গাইলের শাড়ি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন শিল্পমন্ত্রী। ১ ফেব্রুয়ারি ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ থেকে টাঙ্গাইল শাড়ির স্বত্ব বিষয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। এতে দাবি করা হয়, টাঙ্গাইলের শাড়ির উৎপত্তি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। পোস্টে আরও বলা হয়েছে, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি, পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ভূত, একটি ঐতিহ্যবাহী হাতে বোনা মাস্টারপিস। এর মিহি গঠন, বৈচিত্র্যময় রং এবং সূক্ষ্ম জামদানি মোটিফের জন্য বিখ্যাত- এটি এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

টাঙ্গাইল শাড়ি কখনো ভারতের জিআই পণ্য হতে পারে না
টাঙ্গাইল শাড়িকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের অন্তর্ভুক্ত করতে ভারতে অর্ধসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি কখনোই ভারতের জিআই পণ্য হতে পারে না। তাই বাংলাদেশের উচিত দ্রুত এ বিষয়ে ভারতের আদালতে মামলা করা। ভারতের নিজস্ব জিআই-সংক্রান্ত আইনে সেই মামলা করার সুযোগ আছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডির সিপিডি কার্যালয়ে ‘টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিমবঙ্গের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি: প্রক্রিয়া, পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক সভায় তিনি এ কথা বলেন। সম্প্রতি ভারতের শিল্প মন্ত্রণালয় ‘বাংলার টাঙ্গাইল শাড়ি’ বা ‘টাঙ্গাইল শাড়ি অব বেঙ্গল’ নামে একটি শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ির ব্যবসায়ীসহ জিআই বিশেষজ্ঞ, আইনজ্ঞ ও অধিকারকর্মীরা বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য। ভারতে ‘টাঙ্গাইল’ নামে কোনো এলাকা নেই। তাই ভারতের উদ্যোগ অন্যায্য।’ ভারতে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই আবেদনের নানা অসংগতি তুলে ধরে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘সেখানে বলা হয়েছে, দেশভাগের সময় টাঙ্গাইল থেকে হিন্দুদের ‘তন্তুবায় সম্প্রদায়’ দেশত্যাগ করে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় যায়। তারাই এই শাড়ি বানানোর সঙ্গে জড়িত। বাস্তবে টাঙ্গাইল অঞ্চলে দীর্ঘসময় ধরে শুধু হিন্দু নয়, মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকেও এ শাড়ি বানায়। আর বাস্তবে হিন্দুদের চেয়ে এ শাড়ি উৎপাদনের সঙ্গে মুসলিমরাই বেশি জড়িত।’ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘কোনো পণ্যের জিআই স্বীকৃতির জন্য তার ভৌগোলিক উৎস, মান এবং সুরক্ষার বিষয় জড়িত। টাঙ্গাইল শাড়ি তৈরির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অনেকেই দেশ বিভাগের সময় পশ্চিমবঙ্গ চলে গেছেন; কিন্তু এই শাড়ির ভৌগোলিক পরিচয় তো তাতে পাল্টে যেতে পারে না। ভারতে এই শাড়িকে জিআই করতে গিয়ে প্রতারণামূলক তথ্যের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।’ তিনি জানান, ভারতের জিআই আইন অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে আপত্তি জানানোর সুযোগ আছে। এখন বাংলাদেশের উচিত ভারতের আদালতে গিয়ে মামলা করা। সেটা তিন মাসের মধ্যেই করতে হবে। ভারত যেসব যুক্তিতে টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই করেছে, সেগুলো তথ্যনির্ভর নয়। সেগুলো ধোপে টিকবে না। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাল্লাই ভারী। সেটাকে কাজে লাগাতে হবে।’ ভারতে টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই স্বীকৃতি দেওয়ার পরই বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো নড়েচড়ে বসে। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার দ্রুততার সঙ্গে শাড়ির জিআইয়ের আবেদন করা হয়। আবেদনটি গ্রহণ করে সেদিনই অনুমোদনের গেজেট প্রকাশের জন্য বিজি প্রেসে পাঠায় ডিপিডিটি। গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজে এমন তাড়াহুড়ার সমালোচনা করে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘ভারতে টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন হয়েছে ২০২০ সালে। এরপর চার বছর চলে গেছে। এসব তথ্য ওয়েবসাইটেই ছিল। কিন্তু এত দিন ধরে আমাদের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো কী করল? শুধু সরকার নয়, ব্যবসায়ীরাও কেউ কোনো প্রশ্ন তোলেনি। এটা আমাদের অজ্ঞতা ও ব্যর্থতা। কিন্তু এখন যেভাবে তাড়াহুড়া করা হচ্ছে, তা ঠিক হচ্ছে না। এতে আমরা আবার ভুল করে বসতে পারি।’ বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু সমনামি এবং অভিন্ন পণ্য আছে। এসব পণ্যের জিআই প্রক্রিয়া নিয়ে বাংলাদেশকে সতর্কতার সঙ্গে অগ্রসর হওয়ার পরামর্শ দিয়ে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘এসব পণ্যের ন্যায্য সুরক্ষার জন্য বেশকিছু আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে। সেসব আইন মেনে কোনোরকম তাড়াহুড়া না করে সঠিক পদ্ধতিতে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজটি করতে হবে।’ সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির আরেক সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শুধু প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কারণে মেধাস্বত্ব-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সালিশে হারজিত নির্ধারিত হয়। তাই আমাদের সাবধানে এবং দক্ষতার সঙ্গে এগোতে হবে।’
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য ঘোষণা
টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁতের শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।  বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল বাসার মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) গেজেট প্রকাশ হবে। এর আগে, বাংলাদেশের ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’র ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্পনকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়।  বাংলাদেশের বিখ্যাত টাঙ্গাইল শাড়ির উৎস পশ্চিমবঙ্গ। সম্প্রতি এমনটা দাবি করে ভারতীয় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। বিতর্কিত দাবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে করা হয়েছিল। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার জন্ম দেয়। ওই পোস্টে তারা দাবি করে, টাঙ্গাইল শাড়ি পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ভূত একটি ঐতিহ্যগত হাতে বোনা মাস্টারপিস। এর সূক্ষ্ম গঠন, স্পন্দনশীল রং এবং জটিল জামদানি মোটিফের জন্য বিখ্যাত। এটি এ অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। সম্প্রতি টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজস্ব জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়। এরপর ভারতের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁতের শাড়িকে নিজেদের পণ্য দাবি করা হয়। এরপরই বাংলাদেশে শুরু হয় নানা ধরনের সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন । ইতোমধ্যে ভারতের এহেন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছে টাঙ্গাইলের বাসিন্দারা।  
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

‘টাঙ্গাইল শাড়ি জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের পদক্ষেপ শিগগিরই’
ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য যেসব আবেদন প্রক্রিয়াধীন আছে তা দ্রুত সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, আশা করা যাচ্ছে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ঐতিহ্যেবাহী টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি ও নিবন্ধন পাওয়া যাবে। এজন্য তিনি অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জিআই পণ্যের স্বীকৃতিসংক্রান্ত এক জরুরি সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয় এবং পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) টাঙ্গাইল থেকে অনলাইনে ভার্চুয়ালি সভায় সংযুক্ত হন। শিল্প সচিব বলেন, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি ছাড়াও মধুপুরের আনারস, নরসিংদীর লটকন, সাগর কলা, ভোলার মহিষের কাঁচা দুধের দই ইত্যাদিসহ জিআই পণ্যের স্বীকৃতির জন্য যেসব আবেদন অনিষ্পন্ন আছে তা দ্রুত সম্পাদন করতে হবে। এ বিষয়ে কোনো গাফিলতি গ্রহণযোগ্য নয়।  তিনি বলেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ২১টি পণ্যকে জিআই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। দেশের ৬৪টি জেলা থেকে এক বা একাধিক পণ্য বা বস্তু খুঁজে বের করে আবেদন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করা হয়। জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির পর এগুলোকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষে থেকে ব্র্যান্ডিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। সভায় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জানান টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন যথাযথভাবে ডকুমেন্টেশন করে দুএকদিনের মধ্যে জমা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে আবেদন ফি প্রদানের পে-অর্ডার করা হয়েছে।
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X