টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চাকরি, পদসংখ্যা ২১৯
টাঙ্গাইল সিভিল সার্জনের কার্যালয় ও এর অধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ৬টি শূন্যপদে মোট ২১৯ জনকে নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আগামী ২৯ মে পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানের নাম : সিভিল সার্জনের কার্যালয়, টাঙ্গাইল পদ ও জনবল : ০৬টি ও ২১৯ জন  চাকরির ধরন : স্থায়ী/অস্থায়ী প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়) কর্মস্থল : টাঙ্গাইল আবেদন শুরুর তারিখ : ০৯ মে, ২০২৪ আবেদনের শেষ তারিখ : ২৯ মে, ২০২৪ ১. পদের নাম : সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদের সংখ্যা : ০১টি বেতন : ১০,২০০- ২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)  শিক্ষাগত যোগ্যতা : অন্যূন দ্বিতীয় বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি ২. পদের নাম : পরিসংখ্যানবিদ পদের সংখ্যা : ০৮টি  বেতন : ১০,২০০- ২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪) শিক্ষাগত যোগ্যতা : পরিসংখ্যান/গণিত/অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি  ৩. পদের নাম : অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের সংখ্যা : ০৫টি  বেতন : ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬) শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪. পদের নাম : স্টোরকিপার পদের সংখ্যা : ০৮টি  বেতন : ৯,৩০০- ২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬) শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৫. পদের নাম : স্বাস্থ্য সহকারী পদের সংখ্যা : ১৯২টি  বেতন : ৯,৩০০- ২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬) শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৬. পদের নাম : ড্রাইভার পদের সংখ্যা : ০৫টি  বেতন :  ৯,৩০০- ২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬) শিক্ষাগত যোগ্যতা : জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (অষ্টম শ্রেণি) পাস বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে। গাড়ি চালনার বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ি চালনায় বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আবেদনের বয়সসীমা : ১৮ থেকে ৩০ বছর। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর। আবেদন ফি : পরীক্ষার ফি বাবদ ১ থেকে ৬ নম্বর পদের জন্য টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ২৩ টাকাসহ মোট ২২৩ টাকা  জমা দিতে হবে। যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
০৯ মে, ২০২৪

জিআই সনদ পেল টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ পণ্য
টাঙ্গাইল শাড়িসহ বাংলাদেশের মোট ১৪টি ঐতিহ্যবাহী পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সনদ দিল সরকার। বাকি জিআই পণ্যগুলো হলো যথাক্রমে গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, রংপুরের হাঁড়ি ভাঙা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর, মুক্তাগাছার মণ্ডা, যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশিকাঁথা। এ নিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) কর্তৃক জিআই সনদপ্রাপ্ত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের সংখ্যা দাঁড়াল ৩১টিতে। গতকাল রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির মাল্টিপারপাস হলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) থেকে এসব জিআই পণ্যের সনদ আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এই সনদ তুলে দেন। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি অমিত সম্ভাবনাময় দেশ। ছোট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য জিআই পণ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে। ডিপিডিটির মহাপরিচালক মুনিম হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফী বিনতে শামস ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা।মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে জিআই পণ্যের প্রচার ও প্রসারে আমাদের এখনই কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিতে হবে। বিদেশের বাংলাদেশ মিশনগুলো, দেশের সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কেন্দ্রীয়ভাবে এসব পণ্য প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে হবে। তা ছাড়া দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মেলায় জিআই পণ্যগুলো প্রদর্শন করা যেতে পারে। তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ডিপিডিটি, বিসিক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এসব পণ্যের উন্নয়ন ও প্রসারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে। নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বাংলাদেশ এখন কোনো খালি বাস্কেট নয়, এটি একটি পরিপূর্ণ বাস্কেট। আমাদের সম্পদের কোনো অভাব নেই, প্রয়োজন এর সদ্ব্যবহারের। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা, কারিগরি সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এসব সম্পদ ও পণ্যের প্রচার-প্রসার ঘটাতে হবে।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

জিআই সনদ পেল টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ পণ্য
টাঙ্গাইল শাড়িসহ দেশের ১৪টি পণ্যের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) স্বীকৃতি দিয়ে এসব পণ্যের নিবন্ধন সনদ বিতরণ করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৩১টি পণ্যের জিআই সনদ বিতরণ হলো। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প নকশা ও ট্রেডসমার্ক অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব জিআই পণ্যের সনদ বিতরণ করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। সনদ পাওয়া ১৪টি পণ্য হলো- কুষ্টিয়ার ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর আতর, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মন্ডা, যশোরে খেজুরের গুড়, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, রাজশাহীর মিষ্টি পান, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, জামালপুরে নকশী কাঁথা, টাঙ্গাইল শাড়ি ও মৌলভীবাজারের আগর। ডিপিডিটির মহাপরিচালক মুনিম হাসান জানান, আরও ৫০০টি পণ্যকে জিআই সনদ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর আগে গত বছরের ৩১ আগস্ট আরও ৭টি পণ্যের জিআই সনদ দেওয়া হয়। পণ্যগুলো হলো- রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম, বাংলাদেশের শীতল পাটি, বগুড়ার দই, শেরপুরের তুলশীমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা। জিআই পাওয়া আরও পণ্য হলো- জামদানি, ইলিশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম, বিজয়পুরের সাদা মাটি, দিনাজপুর কাটারিভোগ, কালিজিরা, রংপুরের শতরঞ্জি, রাজশাহী সিল্ক, ঢাকাই মসলিন, বাগদা চিংড়ি। মূলত কোনো একটি দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া এবং ওই জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাহলে সেটিকে ওই দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪

৪ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
প্রায় ৪ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। ‘টাঙ্গাইল কমিউটার’ ট্রেনের ইঞ্জিন উদ্ধারের কাজ শেষ হলে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ১১টার দিকে ওই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। টাঙ্গাইল ঘারিন্দা স্টেশন পুলিশ অফিসার মো.আলী আকবর এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বিকল হওয়া ইঞ্জিনটি প্রথমে টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা স্টেশনে নিয়ে আসা হয়। পরে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এর আগে সকাল সোয়া ৭টার দিকে জেলার বাসাইল উপজেলায় ছয়শ গ্রামে ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হয়। এ বিষয়ে ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) ওমর আলী বলেন, টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা থেকে ছেড়ে আসার ১৫ মিনিট পরই ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে আর ইঞ্জিন চালু হচ্ছিল না। পরে ঢাকা থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে ইঞ্জিনটিকে উদ্ধার করে।
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

টাঙ্গাইল শাড়ি আমাদের কেউ নিতে পারবে না
টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশ না ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য, এমন বিতর্কের মধ্যে নিজে এই কাপড় টানা কয়েক দিন পরার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্দেশ্য, এই পণ্যকে নিজেদের হিসেবে ‘দেখানো’। গতকাল শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে নিজের এমন কৌশলী অবস্থানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এটা যে আমাদের, সেটা দেখানোর জন্য আমি কয়েকদিন একটানা শুধু টাঙ্গাইলই পরলাম যে, এটা আমাদের, কাজেই অন্য কেউ নিতে পারবে না।’ ভারতের শিল্প মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ‘বাংলার টাঙ্গাইল শাড়ি’ বা ‘টাঙ্গাইল শাড়ি অব বেঙ্গল’ নামে একটি শাড়িকে জিআই স্বীকৃতি দেয়। ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) কাছ থেকে অনুমোদনও পেয়ে যায় তারা। বিষয়টি বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। টাঙ্গাইল বাংলাদেশের এলাকা এবং টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হওয়ার পরও ভারত কীভাবে তা নিজেদের পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতি পায়, সেট প্রশ্ন তোলেন শাড়ির ব্যবসায়ী, আইনজ্ঞ ও অধিকার কর্মীরা। এরপর বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো উদ্যোগী হয়। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন ৬ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতির আবেদন করে। পরে তা অনুমোদন করে গেজেট প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর। এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃত সাগরকলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির সনদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ও সচিব জাকিয়া সুলতানা। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের অভিজ্ঞতা জানাতে শুক্রবার ডাকা সম্মেলনে টাঙ্গাইল শাড়ির স্বত্ব নিয়ে সরকারের উদ্যোগের বিষয়েও প্রশ্ন করা হয় সরকারপ্রধানকে। জামদানি ও টাঙ্গাইলের মতো দেশীয় শাড়ির প্রতি প্রধানমন্ত্রীর অনুরাগের কথা তুলে ধরে ওই সাংবাদিক বলেন, ‘আমি ধারণা করি, আপনার পরনে এখনো টাঙ্গাইল শাড়ি।’ তখন তাকে শুধরে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সংবাদ সম্মেলনের জন্য তিনি গায়ে জড়িয়েছেন গাজীপুরের সফিপুর থেকে সংগ্রহ করা সিফন শাড়ি। হাসতে হাসতে এর নাম তিনি দিয়ে দেন ‘সফিপুর শিফন’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমাদের আনসার-ভিডিপির তৈরি করা। এটার নাম দিলাম সফিপুর শিফন। সবাই ফ্রেঞ্চ শিফনের প্রশংসা করে, এটার নাম দিলাম সফিপুর শিফন। ওরা শাড়ি তৈরি করে, আমি কিনে উপহার দিই। আজকে পরে আসলাম।’ সফিপুরে আনসার-ভিডিপির একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে পরনের শাড়িটি কেনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সফিপুর শিফন, কাজেই এটা বুঝতে হবে, আমি এ দেশের মাটি-মানুষের সঙ্গে আছি। ফ্রান্স থেকে আমি আর পরি না। টাঙ্গাইল শাড়ি সবসময় পরার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পেটেন্ট রাইটসের জন্য আমরা ইতোমধ্যে আবেদন করেছি। আপনারা লক্ষ্য করবেন, কয়েকদিন আমি সমানতালে টাঙ্গাইল শাড়ি পরলাম এজন্য, যেন দেখাতে পারি এটা আমাদের।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

টাঙ্গাইল শাড়ি কখনো ভারতের জিআই পণ্য হতে পারে না
টাঙ্গাইল শাড়িকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের অন্তর্ভুক্ত করতে ভারতে অর্ধসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ি কখনোই ভারতের জিআই পণ্য হতে পারে না। তাই বাংলাদেশের উচিত দ্রুত এ বিষয়ে ভারতের আদালতে মামলা করা। ভারতের নিজস্ব জিআই-সংক্রান্ত আইনে সেই মামলা করার সুযোগ আছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডির সিপিডি কার্যালয়ে ‘টাঙ্গাইল শাড়িকে পশ্চিমবঙ্গের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি: প্রক্রিয়া, পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক সভায় তিনি এ কথা বলেন। সম্প্রতি ভারতের শিল্প মন্ত্রণালয় ‘বাংলার টাঙ্গাইল শাড়ি’ বা ‘টাঙ্গাইল শাড়ি অব বেঙ্গল’ নামে একটি শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘টাঙ্গাইল শাড়ির ব্যবসায়ীসহ জিআই বিশেষজ্ঞ, আইনজ্ঞ ও অধিকারকর্মীরা বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য। ভারতে ‘টাঙ্গাইল’ নামে কোনো এলাকা নেই। তাই ভারতের উদ্যোগ অন্যায্য।’ ভারতে টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই আবেদনের নানা অসংগতি তুলে ধরে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘সেখানে বলা হয়েছে, দেশভাগের সময় টাঙ্গাইল থেকে হিন্দুদের ‘তন্তুবায় সম্প্রদায়’ দেশত্যাগ করে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় যায়। তারাই এই শাড়ি বানানোর সঙ্গে জড়িত। বাস্তবে টাঙ্গাইল অঞ্চলে দীর্ঘসময় ধরে শুধু হিন্দু নয়, মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকেও এ শাড়ি বানায়। আর বাস্তবে হিন্দুদের চেয়ে এ শাড়ি উৎপাদনের সঙ্গে মুসলিমরাই বেশি জড়িত।’ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘কোনো পণ্যের জিআই স্বীকৃতির জন্য তার ভৌগোলিক উৎস, মান এবং সুরক্ষার বিষয় জড়িত। টাঙ্গাইল শাড়ি তৈরির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অনেকেই দেশ বিভাগের সময় পশ্চিমবঙ্গ চলে গেছেন; কিন্তু এই শাড়ির ভৌগোলিক পরিচয় তো তাতে পাল্টে যেতে পারে না। ভারতে এই শাড়িকে জিআই করতে গিয়ে প্রতারণামূলক তথ্যের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।’ তিনি জানান, ভারতের জিআই আইন অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে আপত্তি জানানোর সুযোগ আছে। এখন বাংলাদেশের উচিত ভারতের আদালতে গিয়ে মামলা করা। সেটা তিন মাসের মধ্যেই করতে হবে। ভারত যেসব যুক্তিতে টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই করেছে, সেগুলো তথ্যনির্ভর নয়। সেগুলো ধোপে টিকবে না। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাল্লাই ভারী। সেটাকে কাজে লাগাতে হবে।’ ভারতে টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই স্বীকৃতি দেওয়ার পরই বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো নড়েচড়ে বসে। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার দ্রুততার সঙ্গে শাড়ির জিআইয়ের আবেদন করা হয়। আবেদনটি গ্রহণ করে সেদিনই অনুমোদনের গেজেট প্রকাশের জন্য বিজি প্রেসে পাঠায় ডিপিডিটি। গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজে এমন তাড়াহুড়ার সমালোচনা করে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘ভারতে টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন হয়েছে ২০২০ সালে। এরপর চার বছর চলে গেছে। এসব তথ্য ওয়েবসাইটেই ছিল। কিন্তু এত দিন ধরে আমাদের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো কী করল? শুধু সরকার নয়, ব্যবসায়ীরাও কেউ কোনো প্রশ্ন তোলেনি। এটা আমাদের অজ্ঞতা ও ব্যর্থতা। কিন্তু এখন যেভাবে তাড়াহুড়া করা হচ্ছে, তা ঠিক হচ্ছে না। এতে আমরা আবার ভুল করে বসতে পারি।’ বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু সমনামি এবং অভিন্ন পণ্য আছে। এসব পণ্যের জিআই প্রক্রিয়া নিয়ে বাংলাদেশকে সতর্কতার সঙ্গে অগ্রসর হওয়ার পরামর্শ দিয়ে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘এসব পণ্যের ন্যায্য সুরক্ষার জন্য বেশকিছু আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে। সেসব আইন মেনে কোনোরকম তাড়াহুড়া না করে সঠিক পদ্ধতিতে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজটি করতে হবে।’ সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির আরেক সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শুধু প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কারণে মেধাস্বত্ব-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সালিশে হারজিত নির্ধারিত হয়। তাই আমাদের সাবধানে এবং দক্ষতার সঙ্গে এগোতে হবে।’
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতির আবেদনের গেজেট প্রকাশ
টাঙ্গাইল শাড়িসহ তিন পণ্যকে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আবেদন গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। বাকি দুই পণ্য হলো গোপালগঞ্জের রসগোল্লা ও নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) সূত্র গতকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ প্রতিষ্ঠানই জিআইর অনুমোদন দেয়। এখন থেকে দুই মাস এই গেজেট ডিপিডিটির ওয়েবসাইটে রাখা হবে। কারও কোনো অভিযোগ না থাকলে দুই মাস পর এসব পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। ভারতের শিল্প মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ‘বাংলার টাঙ্গাইল শাড়ি’ বা ‘টাঙ্গাইল শাড়ি অব বেঙ্গল’ নামে একটি শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই উদ্যোগে বাংলাদেশে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। টাঙ্গাইল শাড়ির ব্যবসায়ীসহ জিআই বিশেষজ্ঞ, আইনজ্ঞ, অধিকার কর্মীরা বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য। ভারতে ‘টাঙ্গাইল’ নামে কোনো এলাকা নেই। তাই ভারতের উদ্যোগ অন্যায্য। ভারতে টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই স্বীকৃতি দেওয়ার পরই সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো নড়েচড়ে বসে। এরপর দ্রুততার সঙ্গে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শাড়ির জিআইর আবেদন হয় গত মঙ্গলবার। আর তা গ্রহণ করে সেদিনই অনুমোদন গেজেটের জন্য বিজি প্রেসে পাঠায় ডিপিডিটি। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই তিন পণ্য এখন জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বলেই ধরা যায়। তবে দুই মাস পর এই পণ্যগুলো জিআইর সার্টিফিকেট পাবে। গতকাল ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’ নামে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসনের আবেদন জার্নাল আকারে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে টাঙ্গাইল শাড়ির বিশেষত্ব হিসেবে বলা হয়েছে, এ শাড়ি সম্পূর্ণ হাতে বুনন করা হয়। তবে বর্তমানে মেশিন তাঁতেও বুনন করা হয়ে থাকে। যমুনা, ধলেশ্বরী নদীর পার্শ্ববর্তী টাঙ্গাইল জেলা অবস্থিত হওয়ায় এখানকার জলবায়ু শাড়ি বোনার উপযোগী। নদীর পানির বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্য সুতার প্রক্রিয়াজাতকরণ (যেমন সুতা রং করা, মাড় দেওয়া) ভালো হয় এবং রঙের পাশাপাশি কাপড়ের স্থায়িত্ব ও গুণগত মান বাড়ে। শাড়ির পাড়ের নকশায় বৈচিত্র্য রয়েছে। শাড়ির পুরো বুননের পর পাড় ও জমিনের কিছু কিছু নকশা আলাদাভাবে হাতে বোনা হয়। এ শাড়ি ভীষণ আরামদায়ক। এটি যে কোনো ঋতুতেই পরিধানের উপযোগী। বলা হয়েছে টাঙ্গাইল শাড়ি মার্জিত, রুচিশীল ও আভিজাত্যপূর্ণ। ইতিহাস অনুযায়ী, ‘সনাতন ধর্মের বসাক সম্প্রদায়কে টাঙ্গাইল শাড়ির মূল কারিগর বলা হয়। মোগল আমলে যখন বিশ্বজুড়ে আমাদের মসলিনের জয়জয়কার, ঠিক তখন টাঙ্গাইলের বিভিন্ন অঞ্চলের বসাক তাঁতিদের মাধ্যমে টাঙ্গাইল শাড়ির বিকাশ ঘটেছে। এই তাঁতি গোষ্ঠীর একটি দল সিন্ধু অববাহিকা হয়ে ভারতের মুর্শিদাবাদ থেকে বাংলাদেশের রাজশাহী অঞ্চলে প্রবেশ করে। সেখানকার আবহাওয়া ততটা কার্যকর না থাকায় কিছু অংশ চলে আসে ঢাকার ধামরাইয়ে। তাদের নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে ভাগ হয়ে একদল চৌহাট্টা চলে আসে। ধামরাই এবং চৌহাট্টা থেকে কিছু তাঁতি আরও ভালো ও উপযুক্ত স্থান খুঁজতে খুঁজতে চলে আসেন এবং টাঙ্গাইল এসে কারিগররা স্থায়ীভাবে টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন করেন। সে হিসেবে টাঙ্গাইলের তাঁতশিল্পের ইতিহাস শতশত বছরের পুরোনো।’ জার্নালে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘পরে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন জমিদারদের পৃষ্ঠপোষকতা ও আনুকূল্যে তাঁতশিল্পের বিকাশ ঘটে। তাদের মধ্যে করটিয়ার জমিদার ওয়াজেদ আলী খান পন্নি, দেলদুয়ারের জমিদার আবদুল করিম গুজনবী, সন্তোষের জমিদার উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া বেশ কিছু ধনাঢ্য হিন্দু, মুসলিম ব্যবসায়ী এতে সম্পৃক্ত ছিলেন। সনাতন ধর্মের তাঁতিরা বসাক, পাল, নন্দী, বারাস, প্রামাণিক, সাধু, শীল, সরদার বিভিন্ন গোত্রের নামে পরিচিত। টাঙ্গাইলের কালীহাতি উপজেলায় মুসলিম তাঁতিদের সংখ্যাধিক্য দেখা যায়। তারা বসাকদের কাছ থেকেই তাঁতে শাড়ি বুননের কাজ শিখেছেন। দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল গ্রামের চণ্ডী গ্রামের বসাক পাড়া, কর্মকার পাড়া, মণ্ডল পাড়ায় তাঁতের সংখ্যা বেশি।’ কোনো দেশের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাটি, পানি, আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে সেখানকার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলে সেটিকে সেই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে জিআই স্বীকৃতি খুব তাৎপর্যপূর্ণ।
০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য ঘোষণা
টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁতের শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।  বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল বাসার মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) গেজেট প্রকাশ হবে। এর আগে, বাংলাদেশের ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’র ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্পনকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়।  বাংলাদেশের বিখ্যাত টাঙ্গাইল শাড়ির উৎস পশ্চিমবঙ্গ। সম্প্রতি এমনটা দাবি করে ভারতীয় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। বিতর্কিত দাবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে করা হয়েছিল। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার জন্ম দেয়। ওই পোস্টে তারা দাবি করে, টাঙ্গাইল শাড়ি পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ভূত একটি ঐতিহ্যগত হাতে বোনা মাস্টারপিস। এর সূক্ষ্ম গঠন, স্পন্দনশীল রং এবং জটিল জামদানি মোটিফের জন্য বিখ্যাত। এটি এ অঞ্চলের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। সম্প্রতি টাঙ্গাইল শাড়িকে নিজস্ব জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়। এরপর ভারতের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁতের শাড়িকে নিজেদের পণ্য দাবি করা হয়। এরপরই বাংলাদেশে শুরু হয় নানা ধরনের সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন । ইতোমধ্যে ভারতের এহেন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছে টাঙ্গাইলের বাসিন্দারা।  
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

‘টাঙ্গাইল শাড়ি জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের পদক্ষেপ শিগগিরই’
ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য যেসব আবেদন প্রক্রিয়াধীন আছে তা দ্রুত সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, আশা করা যাচ্ছে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ঐতিহ্যেবাহী টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি ও নিবন্ধন পাওয়া যাবে। এজন্য তিনি অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জিআই পণ্যের স্বীকৃতিসংক্রান্ত এক জরুরি সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয় এবং পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) টাঙ্গাইল থেকে অনলাইনে ভার্চুয়ালি সভায় সংযুক্ত হন। শিল্প সচিব বলেন, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি ছাড়াও মধুপুরের আনারস, নরসিংদীর লটকন, সাগর কলা, ভোলার মহিষের কাঁচা দুধের দই ইত্যাদিসহ জিআই পণ্যের স্বীকৃতির জন্য যেসব আবেদন অনিষ্পন্ন আছে তা দ্রুত সম্পাদন করতে হবে। এ বিষয়ে কোনো গাফিলতি গ্রহণযোগ্য নয়।  তিনি বলেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ২১টি পণ্যকে জিআই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। দেশের ৬৪টি জেলা থেকে এক বা একাধিক পণ্য বা বস্তু খুঁজে বের করে আবেদন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করা হয়। জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির পর এগুলোকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষে থেকে ব্র্যান্ডিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। সভায় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জানান টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন যথাযথভাবে ডকুমেন্টেশন করে দুএকদিনের মধ্যে জমা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে আবেদন ফি প্রদানের পে-অর্ডার করা হয়েছে।
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

টাঙ্গাইল হানাদারমুক্ত দিবস আজ
টাঙ্গাইল পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত দিবস আজ ১১ ডিসেম্বর। প্রতি বছর এ দিনে নানা আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার বীর দামাল ছেলেরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে টাঙ্গাইলকে মুক্ত করেন। এ দিন সন্ধ্যায় কাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম) উত্তোলন করেন স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।  ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের উত্তরে কালিহাতী উপজেলায় ভারতীয় মিত্রবাহিনীর প্রায় দুই হাজার সেনা অবতরণ করে। এতে হানাদারদের মনোবল একেবারে ভেঙে পড়ে।  ১১ ডিসেম্বর ভোর থেকে মুক্তিযোদ্ধারা বীরের বেশে শহরে প্রবেশ করতে থাকেন এবং শহর নিজেদের দখলে নিয়ে হানাদারদের আটক শুরু করেন। এভাবেই টাঙ্গাইল শহর সম্পূর্ণ হানাদারমুক্ত হয়। মুক্তির স্বাদ পেয়ে উল্লসিত মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। তারা মুক্তির স্বাদ পেয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে প্রকম্পিত করে তুলে জেলা শহর। অন্যদিকে টাঙ্গাইল পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে পৌরসভার উদ্যোগে ১১ ডিসেম্বর থেকে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে পাঁচ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ দিন সকালে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে পাঁচ দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে। এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতিতে শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করবে।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৩
X