ডাক বিভাগকে সাড়ে ৫ কোটি টাকা রাজস্ব দিল নগদ
দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদ প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগি করেছে। ২০২৩ সালের আয় থেকে ৫ কোটি ৫১ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৮ টাকার রাজস্ব ডাক বিভাগকে বুঝিয়ে দিয়েছে নগদ। বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে নগদ কর্তৃপক্ষ ডাক বিভাগের প্রাপ্য রাজস্বের চেক হস্তান্তর করে। অনুষ্ঠানে নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী তানভীর এ মিশুকের কাছ থেকে চেক গ্রহণ করেন ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) তরুণ কান্তি সিকদার। এ সময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং নগদ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলমসহ দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নগদ লিমিটেড ও ডাক বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, নগদের সেবা থেকে মোট আয়ের ৫১ শতাংশ রাজস্ব পায় বাংলাদেশ ডাক বিভাগ, বাকি ৪৯ শতাংশ রাজস্ব পায় নগদ লিমিটেড। এর আগে ২০২০ সালে ১ কোটি ১২ লাখ টাকা, ২০২১ সালে ৩ কোটি ৩১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭৭ টাকা এবং ২০২২ সালে ৪ কোটি ৫০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা রাজস্ব ডাক বিভাগকে বুঝিয়ে দিয়েছে নগদ লিমিটেড। অনাড়ম্বর এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা হিসেবে নগদের ভূয়সী প্রশংসা করেন মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি মনে করেন, এই মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের কারণে দেশ ডিজিটালাইজেশন থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে অনেকটাই অগ্রগামী হচ্ছে। এ ছাড়া খুব দ্রুতই যাত্রা শুরু করতে যাওয়া নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেন, নগদ ডিজিটাল ব্যাংক দেশকে ক্যাশলেস সোসাইটিতে পরিণত করার দিকে এগিয়ে নেবে। চেক হস্তান্তর শেষে নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘আমরা সবসময়ই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে থাকি। আমরা ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা হিসেবে যাত্রা শুরু করেছি। সে জন্য চুক্তি অনুযায়ী ডাক বিভাগের সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগি করি আমরা। আশা করি, আমাদের পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ আরও দীর্ঘায়িত হবে এবং আরও অনেক দুয়ার উন্মোচন হবে।’ ২০১৯ সালের মার্চে যাত্রার পর থেকেই সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে নগদ। পিছিয়ে পড়া মানুষকে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিতে এনে দেশের ডিজিটাল আর্থিক খাতে বিপ্লব ঘটিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এখন দেশের অন্যতম শীর্ষ এই মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সাড়ে ৯ কোটির ওপরে। প্রতিষ্ঠানটি এখন গড়ে দৈনিক এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা লেনদেন করে থাকে।  নগদ দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য স্মার্ট ফোনের জন্য ই-কেওয়াইসি ও বাটন ফোনের জন্য *১৬৭# সেবা উদ্ভাবন করে। পাশাপাশি সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জসহ অত্যাধুনিক সব সেবার মধ্য দিয়ে আর্থিক খাতে পরিবর্তন ঘটিয়েছে নগদ। এর পাশাপাশি নগদ অত্যাধুনিক সাইবার নিরাপত্তার মাধ্যমে গ্রাহকের তথ্য ও অর্থের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করছে।  প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা উপবৃত্তি থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা তহবিল, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা খাতের বিভিন্ন সহায়তা ও ভাতার টাকা অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে উপকারভোগীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে নগদ। সবমিলিয়ে ২৭টি মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিতরণের দায়িত্ব পালন করছে এ প্রতিষ্ঠানটি।
১৩ মে, ২০২৪

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৩ বছরের জন্য কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধির আহ্বান
তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতে অন্তত আরও ৩ বছরের জন্য কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাসহ প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং বিশিষ্টজনেরা।  তারা বলেন, এই কর অব্যাহতি বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি বন্ধ হয়ে গেলে এই খাতে লভ্যাংশের হার আশঙ্কাজনক ভাবে হ্রাস পাবে এবং আইটি/আইটিইএস কোম্পানিসমূহের পুনঃবিনিয়োগ ক্ষমতাও কমে যাবে। ফলে এই শিল্পের উন্নতির গতি মন্থর হয়ে যাবে এবং রপ্তানিও হ্রাস পাবে।  রোববার (৫ মে) ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ভিসিপিয়াব) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারা। রাজধানীর একটি হোটেলে ‌‌-‘ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শিরোনামে ঐ আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে ভিসিপিয়াব এর প্রেসিডেন্ট শামীম আহসান বলেন, আমাদের দাবিকৃত তিন বছরের কর অব্যাহতির মেয়াদ শেষে, ১% থেকে ২% এর মধ্যে একটি বার্ষিক কর হার প্রবর্তন করা যেতে পারে। বাংলাদেশের জিডিপিতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অবদান ১.০৯%। বিপরীতে, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবদান ৭.৪০%, ফিলিপাইনের ৩.৪০%, ইন্দোনেশিয়ার ৪.২৩%, এস্টোনিয়ার ৭.০০%।  প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কর অব্যাহতির বিষয় তুলে ধরবো। আমাদের আইটি/আইটিইএস খাতে কর অব্যাহতি প্রত্যাহার না করে বরং অতিরিক্ত প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।  বিশেষ অতিথি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বলেন, একটা প্রচলিত কথা আছে, সোনার ডিম দেওয়া হাঁসকে পরিচর্যা  করতে হয়। একবারে তার সব ডিম নিতে চাইলে হাঁসটা মারা যায়। দেশের আইটি খাত তেমনই একটি হাস। রাজস্ব বোর্ড চাইলে আয়ের অনেক ক্ষেত্র আছে।  এসময় অন্যান্যদের মাঝে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও ভিসিপিয়াব উপদেষ্টা জারা জাবীন মাহবুব, সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী সহ খাত সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
০৫ মে, ২০২৪

কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধির আহ্বান তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) এবং তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবা (আইটিইএস) খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় আনতে অর্থমন্ত্রী এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছেন এবং আবারও করা হবে। শনিবার (৪ মে) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্টাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এর উদ্যোগে “বাক্কো মেম্বারস মিট-২০২৪” অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পলক বলেন, বর্তমানে দেশে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বার্ষিক রপ্তানি প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এ খাতে সরকার কর ছাড় দেওয়ায় অল্প সময়ে বাজার এত বড়  হয়েছে। চলমান তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন শেষ হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে এ খাতে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে বিশ্বমানের সক্ষমতা তৈরি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিশ্চিতকরণ, দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে উৎসাহ প্রদান এবং স্থানীয় বাজার বড় করতে হবে। সেটা যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়। সে লক্ষ্যে দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধা রাখা প্রয়োজন।  তিনি বলেন, বাক্কো’র প্রায় চার’শ কোম্পানিতে প্রায় ৮০ হাজারের বেশি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে। তারা প্রত্যেকে শিক্ষিত তরুণ-তরুণী এবং বাংলাদেশের সম্পদ।  বাক্কো’র প্রেসিডেন্ট মি. ওয়াহিদ শরিফের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাক্কো’র সেক্রেটারি জেনারেল মি. তৌহিদ হোসেন, বাক্কো’র সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট  আবুল খায়ের।
০৫ মে, ২০২৪

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ না বাড়াতে আইএমএফের পরামর্শ 
চলতি বছর শেষ হচ্ছে ২৭টি ডিজিটাল পরিষেবা খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ। যদিও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ আর বাড়াতে চায় না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এখাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ আর না বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। রোববার (২৮ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে দিনব্যাপী আয়কর, মূসক ও শুল্ক অনুবিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইএমএফের প্রতিনিধিদলের আলোচনায় বিষয়টি উঠে এসেছে। বৈঠক সূত্রে জানাযায়, সার্বিক দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আইএমএফ কর্মকর্তাদের জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান ছাড়াও তিন বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা ও আইএমএফের ৬ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে আইএমএফ মিশনের পক্ষ থেকে আগামী তিন বছরের মধ্য যাবতীয় কর অব্যাহতি তুলে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে এনবিআর কর্মকর্তারা তথ্য প্রযুক্তিখাতের সামগ্রিক চিত্র ও বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন। কর অব্যাহতি থাকার ফলে এ খাতের উত্থান হয়েছে এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তা অব্যাহত থাকা প্রয়োজন বলে জানান। তবে এ বিষয়ে একমত হয়নি আইএমএফ মিশন। তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে ৪৫ বিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সরকারের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য। কর অব্যাহতি তুলে দিলে এ খাতের ক্রমবর্ধমান বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছেন খার সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টি অনুধাবন করে এ খাতে কর অবকাশ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়াতে সম্প্রতি এনবিআরকে চিঠি দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।  
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

‘ওরাকল ক্লাউড ওয়ার্ল্ড ট্যুর সিঙ্গাপুর’ এ স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা তুলে ধরলেন পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ‘ওরাকল ক্লাউড ওয়ার্ল্ড ট্যুর সিঙ্গাপুর’ অনুষ্ঠানে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা তুলে ধরেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে ওরাকলের গ্লোবাল চিফ ইনফরমেশন অফিসার এবং এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ইভান্সের সঙ্গে এক আলোচনায় অংশ নেন পলক। এ সময় ‘বুদ্ধিমান ক্লাউড বিনির্মাণে এআই এর ব্যবহার’ শীর্ষক এই আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা তুলে ধরেন তিনি।  আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। আলোচনায় পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খুব অল্প সময়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সাফল্যের পথ ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। যার লক্ষ্য স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি; এ চারটি প্রধান ভিত্তির ওপর ২০৪১ সাল নাগাদ অন্তর্ভুক্তিমূলক, উদ্ভাবনী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট জাতিতে রূপান্তর করা।  প্রতিমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেন, আমরা আমাদের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলো বিকাশ করেছি, আমরা আমাদের সমস্ত সরকারি পরিষেবাগুলোকে ক্লাউড ফার্স্ট অ্যাপ্রোচের ভিত্তিতে তৈরি করেছি। ডিজিটাল সরকারি পরিষেবা প্রদানে ওরাকলের অবদানের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রথম সরকারি ক্লাউড, যা ওরাকলের সাথে অংশীদারিত্বে আমরা চালু করেছি। আমাদের পরিষেবাগুলোকে নির্বিঘ্নে প্রদান করা এবং নিরাপত্তাসহ ক্লাউড স্টোরেজ, প্রসেসিং সুবিধা এবং এই সমস্ত এআই ফিউশন সুবিধায় ওরাকলের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে একাধিক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। পৃথক চারটি শূন্য পদে ১৬ জনকে নিয়োগ দেবে মন্ত্রণালয়টি। পদের নাম : সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদের সংখ্যা: ০২ টি বেতন: ১১,০০০-‍২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩) শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি বয়সসীমা: অনূর্ধ্ব ৩০ বছর। তবে বিভাগীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য। পদের নাম: কম্পিউটার অপারেটর পদের সংখ্যা: ০১টি  বেতন: ১১,০০০-‍২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩) শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি।  বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৩০ বছর পদের নাম: ক্যাশিয়ার পদের সংখ্যা: ০১টি  বেতন: ১০,২০০-‍২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪) শিক্ষাগত যোগ্যতা: বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি।  বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৩০ বছর পদের নাম: অফিস সহায়ক পদের সংখ্যা: ১২টি  বেতন: ৮,২৫০-‍২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০) শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৩০ বছর চাকরির ধরন: অস্থায়ী  প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়) আবেদন ফি: পরীক্ষার ফি বাবদ ১ থেকে ৩ নং পদের জন্য টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ২২৩ টাকা এবং ৪ নং পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ১১২ টাকা এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। বয়সসীমা: ১ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে প্রার্থীর বয়স উল্লিখিত সীমার মধ্যে থাকতে হবে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/ শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর। আবেদনের প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা এই http://ptd.teletalk.com.bd/ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের সময়সীমা: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আগামী ১৭ মে পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলা নববর্ষ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্থান করে নিতে যাচ্ছে : পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলা নববর্ষ আমাদের জীবনে নতুন মাত্রা দিয়েছে। যেটা আমাদের জাতীয় গণ্ডি পেরিয়ে এই নববর্ষের উদযাপনটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান করে নিতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি মূল অংশ। আজকে বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা অঙ্কনের মাধ্যমে পহেলা বৈশাখের সঙ্গে আমরা আমাদের সংস্কৃতিকে বিশ্বের কাছে আরও সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারছি। এই ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ আলপনাটি করতে ৬৫০ এর বেশি শিল্পী গত কয়েকদিন ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এটি ১২ হাজার লিটারেরও বেশি রং ব্যবহার করে আঁকা হয়েছে। রোববার (১৪ এপ্রিল) কিশোরগঞ্জ মিঠামইনে বাংলালিংকের উদ্যোগে আয়োজিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা উপভোগকালে এসব কথা বলেন জুনাইদ পলক। এ সময় তিনি ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ আলপনার শেষ আঁচড় প্রদান করেন। প্রতিমন্ত্রী পলক জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন আমাদের রাজনৈতিক মুক্তিকে নিশ্চিত করতে গেলে আমাদের প্রয়োজন অর্থনৈতিক মুক্তি। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি তখনই টেকসই হবে যখন আমরা সাংস্কৃতিক বিপ্লব সঠিকভাবে সম্পাদন করতে পারব। তিনি আরও বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক মুক্তি এবং স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন অর্থনৈতিক মুক্তি প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তিকে টেকসই করার জন্য আমরা ৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের পথে আছি। নববর্ষের সর্বজনীন উদযাপনের মধ্য দিয়ে সকল ধর্ম, বর্ণ, জাতি ও গোষ্ঠী নির্বিশেষে আমাদের একটি আনন্দের উৎসবের দিন হচ্ছে বাংলা নববর্ষ, পহেলা বৈশাখ।  পলক আরও বলেন, বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের মনোপলি ছিল। ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম যখন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন, তখন তিনি মোবাইলের মনোপলি ভেঙে দেন।  তিনি বলেন, সেই সময় বিএনপির একজন তৎকালীন নেতা সরকারের মন্ত্রীর একমাত্র মোবাইল টেলিফোন কোম্পানি ছিল, আর অন্য কোনো লাইসেন্স বাংলাদেশের ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু মোবাইলের মনোপলি ভেঙে দিয়ে বাংলাদেশে মোবাইলে বিপ্লব করেছেন। টেলিকম সেক্টর অন্যতম একটি সফল প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় বাংলালিংক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তারা একদিকে যেমন গ্রাম-গ্রামান্তরে ফোরজি নেটওয়ার্ক পৌঁছে দিয়েছে, অপরদিকে সরকারি সেবাগুলো দেওয়ার জন্য ভূমিকা রেখেছে। আজকে বাংলাদেশে ১৯ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহারকারী, ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এখন ২০৪১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি নববর্ষের উৎসবটাকে বিশ্ব অঙ্গনে আলপনা আঁকার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে এবং এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা অসাম্প্রদায়িক ও প্রবৃদ্ধিশীল প্রজন্ম গড়ে তুলতে চাই। ঐতিহ্যবাহী হাওরের মিঠামইন, অষ্টগ্রাম এবং ইটনা ঐতিহাসিক একটি অর্জন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই হাওরে বিস্ময়কর রাস্তা করে দিয়েছেন। যার ফলে আজকে হাওরবাসী যে রকম একটি আধুনিক সড়ক ব্যবস্থায় সংযুক্ত হয়েছে, অপরদিকে হাওর এলাকাটি একটা অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।  তিনি বলেন, হাওরে এই পর্যটন কেন্দ্রটি একসময় শুধু জাতীয় পর্যায়ে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক বিদেশি পর্যটকদের পরিদর্শনের জন্য আকর্ষণ করবে।  এ সময় কিশোরগঞ্জের স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
১৪ এপ্রিল, ২০২৪

বেসিস নির্বাচনে 'টিম সাকসেস' নাম ঘোষণা
সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) নির্বাচনে 'টিম সাকসেস' নাম ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (০৭ এপ্রিল) গুলশানের স্প্যারোস রেস্টুরেন্টে তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকদের সঙ্গে ইফতার অনুষ্ঠানে বেসিস ২০২৪-২৬ মেয়াদে কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে প্যানেলের নাম ঘোষণা করেন টিম সাকসেসের পক্ষে মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক।  এ সময় তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বেসিস নির্বাচনের প্রার্থী তৌফিকুল করিম সুহৃদ, মোহাম্মাদ আমিনুল্লাহ, সৈয়দা নাফিজা রেজা বর্ষা, ফারজানা কবির ঈশিতা, সহিবুর রহমান খান রানা, রাফসান জানি, আব্দুল আজিজ। অনুষ্ঠানে মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, আমি বেসিসের ফাউন্ডারদের একজন। আমরা বেসিস প্রতিষ্ঠা করেছিলাম সফটওয়্যার ও আইটি অ্যানাবল সার্ভিস নিয়ে কাজ করার জন্য। জিরো ও বাইনারি বুঝে, কোডিং বুঝে এমন মানুষদের সংগঠন বেসিস। আমরা নির্বাচিত হলে সফটওয়্যার ও আইটি অ্যানাবল ব্যবসা আরো সফল গতিশীল করতে কাজ করবো। ডিউক বলেন, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের সহযোগী ও সম্পূরক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করতে চাই। এখানে কোনো সদস্য সফল হলে বেসিস সফল হবে আর বেসিস সফল হলে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রগতি হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা 'টিম সাকসেস' প্যানেল কাজ করে যাচ্ছি। সফলতা অর্জন করা কঠিন কিন্তু আমরা নিষ্ঠা, সততা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে বেসিস সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে এ অগ্রযাত্রায় সফল হতে চাই।
০৭ এপ্রিল, ২০২৪

এক বাক্সে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অন্যতম পাঁচ পথিকৃৎ
আশির দশকে স্বাধীন বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতের ভিত্তি গড়ে ওঠে। বর্তমানে কম্পিউটার জানা অক্ষরজ্ঞানের মতোই জরুরি বিষয়। কম্পিউটার না জানলে কেউ টিকে থাকতে পারবে না। এই খাতে লাখ লাখ মানুষ কাজ করছে আজ। কম্পিউটার তথা মোবাইল এখন যেন মানুষের একটা অঙ্গের মতোই হয়ে গেছে। অথচ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সবাইকে তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে বেশ বেগ পেতে হতো। তবু হাল না ছেড়ে অসাধারণ কিছু মানুষ এই খাতে নিজেদের পুরোপুরি বিলিয়ে দিয়েছেন। দিনের পর দিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেছেন আজকের এই চিত্রকে বাস্তবে রূপ দিতে। তাদের অক্লান্ত ও নিরবচ্ছিন্ন পরিশ্রমেই তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতের ভিত্তি গড়ে উঠেছে, মজবুত হয়েছে। এই মানুষগুলোর অবদান অনস্বীকার্য। তাদের ত্যাগ–তিতিক্ষারই ফসল আজকের স্মার্ট বাংলাদেশ।  আজকের প্রজন্ম দেশের সেরা সেই মানুষগুলোর অবদানের কথা বিস্মৃত হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে দেশের তথ্যপ্রযুক্তিতে অবদান রাখা কয়েকজন ব্যক্তি ও তাদের উদ্যোগকে সামনে আনার লক্ষ্যে বই লিখছেন জনপ্রিয় লেখক ও সাংবাদিক রাহিতুল ইসলাম। ‘তথ্যপ্রযুক্তির নায়ক’ নামের এই সিরিজের দুটি বই এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। কাজ চলমান আরও ৩টির। মোট ১০টি বই প্রকাশিত হবে। এই সিরিজের প্রথম বই তথ্যপ্রযুক্তির নায়ক এস এম কামাল প্রকাশিত হয় চলতি বছরের অমর একুশে বইমেলায়। বইটি প্রকাশ করে স্বপ্ন ৭১ প্রকাশনী। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতের মহানায়ক এস এম কামালের দীর্ঘ যাত্রা ও অবদান নিয়ে এ বই।  বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কম্পিউটার ব্র্যান্ড আইবিএম বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ম্যানেজার ছিলেন এস এম কামাল। তার নেতৃত্বেই আশির দশকে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি বিসিএস প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সমিতির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট তিনি। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইন্ডাস্ট্রির শুরুটাই হয় বিসিএস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। এস এম কামালের নেতৃত্ব ছাড়া আমাদের দেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন গড়ে উঠতে পারত না। একই প্রকাশনী থেকে দ্বিতীয় বই তথ্যপ্রযুক্তির নায়ক আব্দুল্লাহ এইচ কাফি প্রকাশিত হয় এ বছর মার্চে। আশির দশকের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতের সব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থেকেছেন আব্দুল্লাহ এইচ কাফি। কম্পিউটার-প্রযুক্তিকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াসহ এই শিল্পের উন্নয়ন ও বিশ্ববাজারে বাংলাদেশকে পরিচিত করে তুলতে তার কার্যকর ভূমিকা অগ্রগণ্য। এই বইয়ে আব্দুল্লাহ এইচ কাফির জীবনের জানা-অজানা নানা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। লেখক রাহিতুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রোগ্রামার শাহেদা মুস্তাফিজ, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী এবং সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে নিয়ে আরও তিনটি বইয়ের কাজ চলমান। এখনো আমাদের দেশে প্রোগ্রামিংয়ে নারীরা কম আসেন। সেখানে প্রায় ৫০ বছর আগের চিত্র তো কল্পনাই করা যায় না। হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ছিল দেশে, যারা বিদেশে সফটওয়্যার রপ্তানি করত। কোনো নারী তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কাজ করতেন না। সুযোগও ছিল না। দেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কম্পিউটারবিজ্ঞান পড়ানো হতো না। তবু দমে থাকেননি বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রোগ্রামার শাহেদা মুস্তাফিজ। নিজ যোগ্যতা ও স্পৃহায় এনসিআর ও লিডসে কাজ করেছেন ২২ বছর। এরপর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন নিজের প্রতিষ্ঠান প্রবিতি সিস্টেমসে। বিদেশে সফটওয়্যার রপ্তানিতে এই প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আজও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পুরোপুরি সক্রিয় তিনি। ‘তথ্যপ্রযুক্তির নায়ক’ সিরিজের তৃতীয় বই তাকে নিয়ে। বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। তিনি ছিলেন এক বিস্ময়কর প্রতিভা। দীর্ঘদিন তিনি বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৮২ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বুয়েটের কম্পিউটার সেন্টারের (বর্তমানে ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি) পরিচালক ছিলেন। কেউ কেউ বলেন, তিনি মুখে মুখে জটিল গাণিতিক হিসাব সমাধান করতে পারতেন। অনেকে তাকে ‘এনসাইক্লোপেডিয়া’ হিসেবে উল্লেখ করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রাথমিক পরামর্শ দিয়েছিলেন এই মানুষটিই। ১৯৯৭ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনের সফটওয়্যার রপ্তানি এবং আইটি সার্ভিস রপ্তানি-সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি টাস্কফোর্সেরও একজন সদস্য ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই ‘তথ্যপ্রযুক্তির নায়ক’ সিরিজে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে লিখতে গেলে ঘুরে ফিরে মোস্তাফা জব্বারের নাম আসবেই। সেটি তার মন্ত্রিত্ব পালনের জন্য নয়। বরং মন্ত্রী হওয়ার আগে–পরেও বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তিতে তার অবদান বিরাট। এই বীর মুক্তিযোদ্ধার হাত ধরে আমরা ‘বিজয়’ পেয়েছি। অ্যানালগ থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার বিপ্লবে তিনি থাকবেন একদম সামনের সারিতে। তাই ‘তথ্যপ্রযুক্তির নায়ক’ সিরিজের পঞ্চম নায়ক মোস্তাফা জব্বার। সিরিজটি নিয়ে লেখক রাহিতুল ইসলাম বলেন, এই সব মানুষের হাত ধরে একটু একটু করে তৈরি হয়েছে আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত প্রতিষ্ঠিত করতে তারা এগিয়ে এসেছিলেন, এই খাতের ভিত তারা মজবুত করেছেন, অথচ ক্রমশ মলিন হয়ে যাচ্ছে তাদের গল্পগুলো। ধীরে ধীরে বিস্মৃত হয়ে যাচ্ছে তাদের অবদানের কথা। তাই আমার এই উদ্যোগ। তিনি জানান, পাঁচটি বই দ্রুতই একটি প্যাকেজের মাধ্যমে বাজারে আনা হবে। আমি তরুণ প্রজন্মকে জানাতে চাই, কীভাবে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত এত দূর এগিয়েছে, কীভাবে আমরা পেয়েছি আজকের স্মার্ট বাংলাদেশ। সিরিজটি তথ্যপ্রযুক্তি খাতের একটি ঐতিহাসিক দলিল হবে। প্রকাশিত বই দুইটি প্রথমা ডটকমসহ দেশের সকল অনলাইন বুকশপ ও বইয়ের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

নারী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্মার্ট দেশ গড়ব : প্রতিমন্ত্রী পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সারা দেশে নারীদের প্রশিক্ষণ চলছে। এই প্রশিক্ষণের নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে দিয়েছেন। তিনি নাম দিয়েছেন ‘হার পাওয়ার’ মানে নারীর শক্তি। আর এই নারী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে স্মার্ট উপহার ‘প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পের আওতায় নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘আইসিটি উপদেষ্টা ও ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় গত ১৫ বছরে সুলভ মূল্যে সারা দেশে ইন্টারনেট পৌঁছে দিয়েছি। যার ফলে আজকে ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। আমাদের সরকারি সেবাগুলোকে আমরা ডিজিটাল মাধ্যমে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যার ফলে ২ হাজার ৫শ সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে গেছে। জয়ের নির্দেশনায় ৬ লাখ ৯০ হাজার ফ্রিল্যান্সার এবং আমাদের ৫০ হাজার কল সেন্টার এজেন্ট, ৫০ হাজার বিভিন্ন ডিভাইসে কাজ করছে ছেলে-মেয়েরা। মাত্র ১৫ বছরের ব্যবধানে সবকিছু মিলিয়ে আমাদের ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।’ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসসের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল।
০৮ মার্চ, ২০২৪
X