তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতে অন্তত আরও ৩ বছরের জন্য কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাসহ প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং বিশিষ্টজনেরা।
তারা বলেন, এই কর অব্যাহতি বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি বন্ধ হয়ে গেলে এই খাতে লভ্যাংশের হার আশঙ্কাজনক ভাবে হ্রাস পাবে এবং আইটি/আইটিইএস কোম্পানিসমূহের পুনঃবিনিয়োগ ক্ষমতাও কমে যাবে। ফলে এই শিল্পের উন্নতির গতি মন্থর হয়ে যাবে এবং রপ্তানিও হ্রাস পাবে।
রোববার (৫ মে) ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ভিসিপিয়াব) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারা।
রাজধানীর একটি হোটেলে -‘ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শিরোনামে ঐ আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে ভিসিপিয়াব এর প্রেসিডেন্ট শামীম আহসান বলেন, আমাদের দাবিকৃত তিন বছরের কর অব্যাহতির মেয়াদ শেষে, ১% থেকে ২% এর মধ্যে একটি বার্ষিক কর হার প্রবর্তন করা যেতে পারে। বাংলাদেশের জিডিপিতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অবদান ১.০৯%। বিপরীতে, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবদান ৭.৪০%, ফিলিপাইনের ৩.৪০%, ইন্দোনেশিয়ার ৪.২৩%, এস্টোনিয়ার ৭.০০%।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কর অব্যাহতির বিষয় তুলে ধরবো। আমাদের আইটি/আইটিইএস খাতে কর অব্যাহতি প্রত্যাহার না করে বরং অতিরিক্ত প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।
বিশেষ অতিথি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, একটা প্রচলিত কথা আছে, সোনার ডিম দেওয়া হাঁসকে পরিচর্যা করতে হয়। একবারে তার সব ডিম নিতে চাইলে হাঁসটা মারা যায়। দেশের আইটি খাত তেমনই একটি হাস। রাজস্ব বোর্ড চাইলে আয়ের অনেক ক্ষেত্র আছে।
এসময় অন্যান্যদের মাঝে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও ভিসিপিয়াব উপদেষ্টা জারা জাবীন মাহবুব, সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী সহ খাত সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন