ইআরডিএফবি সেমিনারে বক্তারা / '৭ই জানুয়ারি তরুণ সমাজ শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করে বিজয় উল্লাস করবে'
তারুণ্য নির্ভর একটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের এই নির্বাচনী ইশতেহারের মূল লক্ষ্যই হলো স্মার্ট নাগরিক নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।  আগামী ৭ই জানুয়ারির নির্বাচনে আমাদের এই তরুণ সমাজ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষ্যে শেখ হাসিনাকে পুণরায় বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে বিজয় উল্লাস করবে। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এডুকেশন, রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি) আয়োজিত 'আওয়ামী লীগের ইশতেহার-স্মার্ট বাংলাদেশ' শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেমিনারে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এর সদস্য ও ইআরডিএফবির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সম্মানিত অধ্যাপক ড. শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন)। সেমিনারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ও ইআরডিএফবির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাছিম আখতার এবং শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ঘোষিত এই ইশতেহার একটি সামগ্রিক ইশতেহার। এই ইশতেহার নিঃসন্দেহে আমাদের উন্নয়ন পরম্পরার গল্প। এই ইশতেহার প্রমাণ করে যে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কোনো চ্যালেঞ্জকে ভয় পায় না। সকল বাঁধা অতিক্রম করে শেখ হাসিনার যাদুকরী নেতৃত্বের ফসল আজকের এই বিশ্ব অবাক করা বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের যে চ্যালেন্জগুলো রয়েছে তার নির্দেশ এবং তা সমাধানের কর্মকৌশলও রয়েছে এই ইশতেহারে। প্রযুক্তির ওপর জোড় দিয়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই ইশতেহার গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এতে কোন প্রকার সন্দেহের অবকাশ নেই। প্রধান বক্তা অধ্যাপক ড. শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন) বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার গত ১৫ বছরের কঠোর পরিশ্রমের ফসল আজকের এই বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক খাতে বাংলাদেশের যে অর্জন তা অভূতপূর্ব। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার যাদুকরী নেতৃত্বে গত ১৫ বছরের বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, বাজেটের আকার বৃদ্ধি, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, দারিদ্র্যের হার হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, মেয়েদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি, শিশু এবং মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস ইত্যাদির মাধ্যমে দরিদ্র একটি বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তর করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের এই নির্বাচনী ইশতেহার ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট নাগরিক ও স্মার্ট সমাজ এই ৪ টি পিলারের সমন্বয়ে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিঃসন্দেহে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩
X