তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত সংশোধনের প্রতিশ্রুতি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু রোধ ও ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স- আত্মা’র একটি প্রতিনিধি দল বুধবার (২০ মার্চ) সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় মন্ত্রী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনীর উদ্যোগকে ‘সময়োপযোগী’ বলে আখ্যা দেন। সভায় প্রজ্ঞা ও আত্মা’র পক্ষ থেকে জানানো হয় বাংলাদেশে ৩৫.৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তামাকের এই ভয়াবহতা রোধে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এ লক্ষ্যে তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন যুগোপযোগী করার নির্দেশনা দেন। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনীতে যেসব প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ রাখার বিধান বিলুপ্ত করা; বিক্রয়স্থলে তামাকজাতদ্রব্য বা প্যাকেট প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা; সব ধরনের খুচরা বা খোলা তামাকজাতদ্রব্য বিক্রয় নিষিদ্ধ করা; ই-সিগারেট, ভ্যাপিং, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ এ ধরনের সব পণ্য উৎপাদন, আমদানি ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা এবং তামাকজাতদ্রব্যের প্যাকেট বা মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৯০ শতাংশ করা ইত্যাদি। বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, আত্মা’র কনভেনর মর্তুজা হায়দার লিটন, কো-কনভেনর মিজান চৌধুরী, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের বাংলাদেশ প্রোগ্রামস ম্যানেজার মো. আব্দুস সালাম মিয়া, প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের এবং কর্মসূচি প্রধান মো. হাসান শাহরিয়ার।
২০ মার্চ, ২০২৪

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার দাবি
তামাক স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর একটি পণ্য। তামাকের ভয়াল ছোবল প্রতিদিন কেড়ে নেয় ৪৪২ জন মানুষের প্রাণ। মৃত্যুর এই মিছিল ঠেকাতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নারী মৈত্রীর আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ দাবি জানান। মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের যুবসমাজ রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। পাশাপাশি আমাদের অসচেতনতায় আমাদের পরিবার, আমাদের সন্তানরা যাতে হুমকির মুখে না পরে সেজন্য আমাদের নিজ থেকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে। তামাকবিরোধী সব কার্যক্রমে নারী মৈত্রীর পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। সভাপতির বক্তব্যে নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলি বলেন, প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ধূমপান নারী ও শিশুদের ফেলছে ঝুঁকির মুখে। বাংলাদেশে ধূমপান না করেও বছরে প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ বিভিন্নভাবে পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। স্বাভাবিকভাবে নারী ও শিশুরাই সেক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ফলে গর্ভধারণ ক্ষমতা লোপ পাওয়া, কম ওজনের বা মৃত শিশু জন্মদান, অকাল সন্তান প্রসব, জরায়ু ক্যানসারসহ ঋতুস্রাবের নানা জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় নারীদের। এ ছাড়াও কম স্মৃতিসম্পন্ন সন্তান প্রসব করার সম্ভাবনাও তামাক সেবনের ফলে হতে পারে। এই বিষয় সম্পর্কে আমাদের অনেকটাই অজানা।  তিনি জানান, সিগারেটের ধোঁয়া শিশুদের শ্বাসতন্ত্রের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ ধূমপানের ধোঁয়া সহজেই শিশুদের শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশ করে শিশু স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে শিশুর নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, হাঁপানিসহ নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি করে থাকে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সচেতনতা, পাশাপাশি নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় নারীর কণ্ঠস্বরকে বলিষ্ঠ করার জন্য আমাদের সবাইকে একত্র হতে হবে। নারী ও শিশু স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে ধূমপান এবং তামাক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইনটি শক্তিশালী করার দাবি জানান তিনি। টোব্যাকো এটলাস ২০১৮-এর তথ্যমতে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিবছর বাংলাদেশে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মানে প্রতিদিন ৪৪২ জন মানুষ প্রাণ হারান এই ভয়ংকর তামাকের আগ্রাসনে। তামাকের এই সর্বগ্রাসী আগ্রাসনকে তাই আমরা তামাক মহামারি হিসেবেই গণ্য করছি বলে জানান নাছিমা বেগম।  তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধিত খসড়াতে ধূমপানের নির্ধারিত এলাকা বিলুপ্ত, বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ, খুচরা বিড়ি-সিগারেট বিক্রি বন্ধ, ই-সিগারেট নিষিদ্ধ, তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম বন্ধ ও সিগারেটের প্যাকেটে সতর্কবার্তার পরিসর ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, যা আইনটিকে আরও শক্তিশালী করবে। ফলে তামাকের কারণে একদিকে যেমন মৃত্যুহার কমবে অপরদিকে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটবে। শবনম জাহান শিলা জানান, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি শক্তিশালী করা অত্যন্ত জরুরি। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করা হলে বাংলাদেশে তামাকের ব্যবহার কমবে। একইসঙ্গে তামাক ব্যবহারের ফলে দৈনিক প্রাণহানির মিছিল কমানো সম্ভব হবে। ক্যাম্পেইন ফর ট্যোবাক ফ্রি কিডস বাংলাদেশ প্রোগ্রামস ম্যানেজার মো. আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, তামাকের প্রতি আসক্তি যুবসমাজকে ফেলে দিচ্ছে এক অন্ধকারজগতে। অল্প বয়সেই শিশু-কিশোররা ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়ছে। ভয়ংকর শারীরিক অসুস্থতার মুখোমুখি হওয়ার পাশাপাশি মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে তারা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে বিভিন্ন দেশে ‘গ্লোবাল ইয়ুথ টোব্যাকো জরিপ’ শিরোনামে একটি জরিপ পরিচালনা করা হয়। ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে পরিচালিত এ জরিপ প্রতিবেদনে ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং বাংলাদেশে ধূমপান আসক্ত কিশোর-কিশোরীর হার সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশে প্রায় ১২ শতাংশ কিশোর-কিশোরী নিয়মিত ধূমপানে আসক্ত।
০৫ মার্চ, ২০২৪

রোগ কমাতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন জরুরি
বাংলাদেশে তামাক ও অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণে রোগের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে যা দেশের সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দিচ্ছে। চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে রোগাক্রান্ত ব্যক্তির পরিবার দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাচ্ছে। সিগারেট কোম্পানিগুলো তরুণ সমাজের স্বাস্থ্যহানি ঘটানোর জন্য নানা মিথ্যাচারের মাধ্যমে নতুন নতুন পণ্য বাজারজাত করছে। কোম্পানিগুলোর মূল উদ্দেশ্য তরুণ সমাজকে নেশায় আসক্ত করে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হওয়া। তাই রোগ কমাতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন জরুরি হয়ে পড়েছে। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভার বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘সিগারেট কোম্পানির নতুন মিথ্যাচার : টার্গেট তরুণ প্রজন্ম’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি), ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্ট এবং বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট (বাটা)। সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্য জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি)-এর সমন্বয়কারী অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার বলেন, দেশব্যাপী তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যরত সব সংগঠনকে সাথে নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে ই-সিগারেট নিয়ন্ত্রণে জোরাল দাবি জানানো প্রয়োজন। এ ছাড়া প্রমাণ সহকারে ই-সিগারেট ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলোর প্রচার বাড়ানোর পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণকে এর সাথে সম্পৃক্ত করার বিষয়েও তিনি গুরুত্বারোপ করেন। মাদক নিরোধ সংস্থা (মানস)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. অরুপ রতন চৌধুরী বলেন, ই-সিগারেট নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়গুলোকে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। এই কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে চিকিৎসকদের যুক্ত করার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে প্রচার প্রচারণা বাড়াতে হবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নওজিয়া ইয়াসমিন বলেন, সর্বস্তরের মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছানোর আগেই ই-সিগারেট বিষয়ে পর্যাপ্ত গবেষণা প্রয়োজন। একটিভ বিডি ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ডা. অনুপম হোসেন বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত নাটক সিনেমায় জনপ্রিয় অভিনেতাদের মাধ্যমে বিনাপ্রয়োজনে ধূমপানের দৃশ্য দেখানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে ই-সিগারেট ব্যবহারের দৃশ্যই প্রচার করা হচ্ছে বেশি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক বলেন, ই-সিগারেট অন্যান্য প্রচলিত তামাকজাত দ্রব্যের মতই ক্ষতিকর। সুতরাং, ই-সিগারেট নিয়ন্ত্রণ নয় বরং সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী ও প্রত্যাশা মাদকবিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি) প্রজেক্ট ম্যানেজার ফারহানা জামান লিজা, সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেলের প্রকল্প পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. নিজাম আহমেদ, ভাইটাল স্ট্রাটেজিস (বাংলাদেশ) সিনিয়র কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম, একাত্তর টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি সুশান্ত কুমার সিনহা, স্টপ বাংলাদেশের ফোকাল পয়েন্ট ফাহমিদা ইসলাম প্রমুখ।
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে পদক্ষেপ নেওয়া হবে : স্বাস্থ্য সচিব
বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম। বুধবার (১৫ নভেম্বর) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল সৌজন্য স্বাক্ষাত করেন। এ সময় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী তামাকের বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক উল্লেখ করে বিদ্যমান ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধনে স্বাস্থ্য সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তখন স্বাস্থ্যসেবা সচিব প্রতিনিধি দলকে এ আশ্বাস দেন।  ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক মো. ইউনুছুর রহমান, আব্দুস সোবহান ভূঁইয়া, অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী, ডা. মাহফুজুর রহমান ভূঁঞা ও আবু জাফর। এ সময় অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী) হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে স্বাস্থ্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমকে অবহিত করেন। প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় সংগঠনটিসহ বিভিন্ন তামাক বিরোধী সংগঠন ও ১৫ হাজারের বেশি ব্যক্তি ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (২০১৩ সালে সংশোধিত) যুগোপযোগী করে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উন্নীত করতে ছয়টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করে। সেগুলো হলো- সকল পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ নিষিদ্ধ করা; তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে তামাকজাত পণ্য প্রর্দশন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির যেকোনো ধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা; তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট/কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শশতাংশ করা; বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা, মোড়কবিহীন এবং খোলা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা এবং ই-সিগারেটসহ সকল ইমার্জিং ট্যোব্যাকো প্রোডাক্টস পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা।
১৫ নভেম্বর, ২০২৩
X