পাকিস্তানে কমলো জ্বালানি তেলের দাম
মুদ্রাস্ফীতিতে বিধ্বস্ত পাকিস্তানে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছে। বিশ্বব্যাপী তেলের দাম কমায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। এ নিয়ে চলতি মাসে দুবার দাম কমাল পাকিস্তান। বুধবার অর্থ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী তেলের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে ১৫ দশমিক ৩৯ পয়সা পাকিস্তানি রুপি কমানো হয়েছে। এ হ্রাসের পরে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটার ২৮৮.৪৯ রুপি থেকে কমে ২৭৩.১০ রুপিতে বিক্রি হবে। সে সঙ্গে উচ্চ গতির ডিজেলের দামও প্রতি লিটারে ৭.৮৮ রুপি কমানো হয়েছে। এতে ২৮১.৯৬ রুপি থেকে কমে ২৭৪.০৮ রুপিতে বিক্রি হবে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে দামের তারতম্যের ওপর ভিত্তি করে ভোক্তা পর্যায়ে এ মূল্য নির্ধারণ করেছে দেশটির তেল ও গ্যাস নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ। সরকার তা অনুমোদন করেছে। নতুন জ্বালানির দাম বৃহস্পতিবার (১৬ মে) থেকে কার্যকর হবে। এর আগে পয়লা মে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে ৫.৪৫ পাকিস্তানি রুপি এবং ডিজেলের দাম ৮.৪২ রুপি কমানো হয়। এদিকে গত কয়েক বছর ধরে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে পাকিস্তান। দেউলিয়া হওয়া এড়াতে বিশ্বব্যাংক থেকে আইএমএফ সবার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেরিয়েছে ইসলামাবাদ। সেই অবস্থা থেকে উত্তরণ হলেও এখনো প্রবল ঝুঁকিতে দেশটি। এ সময় জ্বালানি তেলের দাম কমায় জনগণ কিছুটা স্বস্তি পাবে। একে চরম মুহূর্তে ‘ত্রাণ’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১৩ মিনিট আগে

আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ল তেলের দাম
বিশ্বের প্রায় সব দেশের জন্য জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সৌদি। সেইসঙ্গে গাজায় কমেছে যুদ্ধ বিরতির সম্ভাবনা। সার্বিক পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে গতকাল সোমবার বেড়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এদিন ফিউচার মার্কেটে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট তেলের দাম সর্বোচ্চ ৭৭ সেন্ট বা দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে বিক্রি হয় ৮৩ ডলার ৭৩ সেন্টে। এ ছাড়া একই পরিমাণ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) দাম ৮৭ সেন্ট বা ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৭৮ ডলার ৯৮ সেন্টে। জুনে এশিয়া, উত্তর-পশ্চিম ইউরোপ ও ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের দেশগুলোয় বিক্রির জন্য তেলের অফিসিয়াল সেরিং প্রাইসেস (ওএসপি) বাড়িয়েছে সৌদি আরব। বহুজাতিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইএনজির পণ্য গবেষণা বিভাগের প্রধান ওয়ারেন প্যাটারসন জানান, গত সপ্তাহে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হওয়ায় জ্বালানি তেলের দাম ৭ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছিল। কিন্তু সপ্তাহের শুরুর দিকে সেই ধারা ভেঙে ব্রেন্ট তেলের দাম বেড়েছে। রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআই দুই ধরনের অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে। ব্রেন্টের দাম কমেছে ৭ শতাংশের বেশি আর ডব্লিউটিআইর ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু কারণে দাম কমে। এদিকে টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় তেল ও গ্যাসের খনির সংখ্যা কমেছে, বিশেষ করে তেলের খনির সংখ্যা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সাতটি কমে গিয়ে সক্রিয় খনির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯৯টিতে। ২০২৩ সালের নভেম্বরের পর দেশটিতে আর কখনো এক সপ্তাহের ব্যবধানে এত খনি উৎপাদনের বাইরে চলে যায়নি।
০৭ মে, ২০২৪

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলের জন্য সৌদি আরবের তেলের দাম বাড়ানো এবং তার সঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আরও কমে যাওয়ায় তেলের দাম বেড়েছে।  সোমবার (৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। আশঙ্কার কথা জানিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম এই তেল উৎপাদনকারী অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে ইসরায়েল-হামাস সংকট ছড়িয়ে পড়তে পারে। রয়টার্স জানায়, সোমবার সকালে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ২৮ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৮৩ দশমিক ২৪ ডলারে উঠেছে। এ ছাড়া ইউএস টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের (ডব্লিউটিআই) দাম ব্যারেলপ্রতি ২৯ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৭৮ দশমিক ৪০ ডলারে উঠেছে।  বহুজাতিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইএনজির পণ্য গবেষণা বিভাগের প্রধান ওয়ারেন প্যাটারসন জানান, গত সপ্তাহে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হওয়ায় জ্বালানি তেলের দাম ৭ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছিল। কিন্তু সপ্তাহের শুরুর দিকে সেই ধারা ভেঙে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বাড়ানো হয়েছে।  রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআই উভয় ধরনের অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম কমেছে ৭ শতাংশের বেশি আর ডব্লিউটিআই ক্রুডের ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু কারণে দাম কমে। চলতি বছরের জুন মাসে সৌদি আরব এশিয়া, উত্তর-পশ্চিম ইউরোপ ও ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের দেশগুলোতে যে তেল বিক্রি করবে, তার দাম বাড়ানো হয়েছে। এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, চলতি গ্রীষ্মকালে জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়বে। এদিকে, টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় তেল ও গ্যাসের খনির সংখ্যা কমেছে, বিশেষ করে তেলের খনির সংখ্যা কমেছে বেশি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৭টি কমে গিয়ে সক্রিয় খনির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯৯টিতে। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের পর দেশটিতে আর কখনো এক সপ্তাহের ব্যবধানে এতগুলো খনি উৎপাদনের বাইরে চলে যায়নি। 
০৬ মে, ২০২৪

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল
সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ থেকে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ চালু করে সরকার।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।  প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১০৬ টাকা থেকে এক  টাকা বৃদ্ধি করে ১০৭ টাকা, পেট্রলের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১২২ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বেড়ে  ১২৪.৫০ টাকা এবং অকটেনের বিদ্যমান মূল্য ১২৬.০০ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ১২৮.৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পুনঃনির্ধারিত এ মূল্য আজ রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর হবে।  এর আগে গত ৩১ মার্চ বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে বহুল ব্যবহৃত ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানো হয়েছিল। ওই সময় এই দুটি জ্বালানির পণ্যের দাম লিটারপ্রতি কমানো হয়েছিল ২ টাকা ২৫ পয়সা। লিটারপ্রতি ডিজেল ও কোরোসিনের দাম ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১০৬ টাকা। আর প্রতি লিটার পেট্রল আগের মতোই ১২২ এবং প্রতি লিটার অকটেন ১২৬ টাকায় বিক্রি হবে। তবে পেট্রল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।  সরকার গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকার প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৭ মার্চ প্রথম প্রাইসিং ফর্মুলা অনুসারে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছিল। এর আগে গত ৭ মার্চ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগে থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করায় দেশে ব্যবহৃত অকটেন, পেট্রল, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমেছে, যা ৮ মার্চ থেকে কার্যকর হয়। তখন ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১০৯ টাকা থেকে ৭৫ পয়সা কমে ১০৮ টাকা ২৫ টাকা পয়সা নির্ধারণ করা হয়। অকটেনের দাম লিটারপ্রতি ১৩০ থেকে ৪ টাকা কমে ১২৬ টাকা এবং পেট্রলের দাম ১২৫ থেকে ৩ টাকা কমে ১২২ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়। বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত মোট জ্বালানি তেলের ৭৩ দশমিক ১১ শতাংশ ডিজেল, পেট্রল ৫ দশমিক ৮৬ এবং অকটেন ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ। বর্তমানে দেশে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে ৭০ থেকে ৭২ লাখ টন। এর মধ্যে ডিজেলের চাহিদা ৪৮ থেকে ৪৯ লাখ টন, যার ৮০ শতাংশ সরকার আমদানি করে। বর্তমানে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি হচ্ছে। আর পরিশোধিত তেল আমদানি হয় সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আরব আমিরাত, কুয়েত, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সাশ্রয়ী দামে ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি হচ্ছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে ডিজেল আমদানি নিয়ে আলোচনা চলছে। বেসরকারি খাতের বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি তেল ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল আমদানি করা হয়। এই তেল নিজ বিদ্যুৎকেন্দ্র ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবহারের অনুমোদন নেই। অকটেন ও পেট্রল ব্যবহার করা হয় গাড়ি ও মোটরসাইকেলে। আর বাস, ট্রাক, নৌযান এবং কিছু ক্ষেত্রে সেচ পাম্পে ডিজেল ব্যবহার করা হয়।  
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলো
মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েলের সাম্প্রতিক উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ায় বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমেছে।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।   রয়টার্স জানায়, সোমবার (২২ এপ্রিল) অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ বা ২৯ সেন্ট কমেছে। এদিন প্রতি ব্যারেল কেনাবেচা হয়েছে ৮৭ ডলারে।  অন্যদিকে, ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ২৯ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ কমেছে। বাজারে এই তেল প্রতি ব্যারেল কেনাবেচা হয়েছে ৮২ ডলার ৮৫ সেন্টে।  বিশ্বখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইজি মার্কেটের বিশ্লেষক ইয়েপ জুন বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিক্রিয়া কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ব্রেন্ট ক্রুডের দাম কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ বর্তমানে বিক্রির ওপর চাপ বাড়িয়েছে বলেও জানান তিনি।  বিশ্লেষক টিনা টেং বলেন, অর্থনৈতিক উদ্বেগগুলো পুনরায় অপরিশোধিত বাজারের জন্য নেতিবাচক ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে। দামের পাশাপাশি মার্কিন মজুদের কারণেও বাজারটি চাপের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে। এ ছাড়া ডলারের অবস্থান শক্তিশালী হওয়ায় অন্য মুদ্রা ব্যবহারকারীদের জন্যও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ক্রয়ের খরচ আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস ইউক্রেন ও ইসরায়েলের জন্য বড় অংকের সহায়তা প্যাকেজ পাস করেছে। ফলে ইরানের জ্বালানি তেল উৎপাদনের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরও প্রসারিত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ইরানের জ্বালানি তেল উত্তোলন বাধাগ্রস্ত হলে আন্তর্জাতিক বাজারেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।  এমন পরিস্থিতিতে এএনজেডের বিশ্লেষকরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজারকে প্রভাবিত করবে।   
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

ইরানে ইসরায়েলের হামলার পর বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম
ইরানের ইস্ফাহানে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। মধ্যপ্রাচ্যের তেল সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে ব্যারেলপ্রতি ৩ মার্কিন ডলার। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানে হামলার পর ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ২.৬৩ ডলার বা ৩ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৮৯.৭৪ ডলার হয়। একই সঙ্গে ওয়েস্ট টেক্সেস ইন্টারমিডিয়েট বা ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ২.৫৬ ডলার বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৮৪.৬৬ ডলারে পৌঁছেছে।   এদিন সকালে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এবিসি নিউজ জানিয়েছে, ইরানের একটি লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। পরে ইরানের সরকারি গণমাধ্যম বলেছে, দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী কয়েকটি ড্রোন ধ্বংস করেছে। ইসরায়েলে ইরানের হামলার কয়েক দিন পরই এই পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।   ইরানের বার্তা সংস্থা ফারস জানিয়েছে, মধ্যাঞ্চলের শহর ইস্পাহানের একটি সেনাঘাঁটির কাছাকাছি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইরানের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, এটা কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নয়। ইরানের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার কারণেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।  ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, মধ্যরাতের একটু পরেই ইস্পাহানের আকাশে তিনটি ড্রোন দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়। আর এর ফলে ড্রোনগুলো আকাশেই ধ্বংস করে ফেলা হয়। গত ১ এপ্রিল ইরানের কনস্যুলেটে ইজরায়েলি হামলার পর আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধ নিতে শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলে নজিরবিহীন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ইসরায়েলও পাল্টা হামলা চালাতে পারে এই আশঙ্কায় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বৈশ্বিক বেঞ্চমার্কে প্রতি ব্যারেল ক্রুড তেলের দাম উঠেছিল ৯২.১৮ ডলারে। যা অক্টোবরের পর থেকে সর্বোচ্চ।  ইরান ও ইসরায়েল যদি পাল্টাপাল্টি হামলা চালাতে থাকে তাহলে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করবে। ইরান ইসরায়েল সংঘাত হলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের সরবরাহ ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হবে। বিশ্বে প্রতিদিন যে জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে তার বেশিরভাগ সরবরাহ হয় মধ্যপ্রাচ্য থেকে। ইরান নিজেও একটি বৃহৎ জ্বালানি তেল সরবরাহকারী দেশ। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে বিশ্ববাজারে যে জ্বালানি তেল সরবরাহ হয়ে থাকে তার একটি বিরাট অংশ যায় ইরানের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং এর পার্শ্ববর্তী জলপথ দিয়ে। ইরান ইসরায়েল সংঘাত হলে এসব সরবরাহ চ্যানেল বন্ধ করে দেবে ইরান। ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের সরবরাহ ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হবে। ইরান ও ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলা চালাতে থাকলে দেশ দুটি মুখোমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তেমনটি ঘটলে সমগ্র অঞ্চলে সেই সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকে। 
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ ভোক্তারা
বোতলজাত সয়াবিন তেল দাম আগের তুলনায় লিটার প্রতি চার টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে দুই টাকা কমানো হয়েছে। এ ছাড়া সুপার পাম তেলের দামও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম।  বৃহস্পতিবার  (১৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। এ ছাড়াও প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সুপার পাম তেল প্রতি লিটারের (খোলা) দাম সর্বোচ্চ ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। পাম তেলের দাম আগে নির্ধারণ করা ছিল না বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। ভোজ্যতেলের ওপর থেকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) প্রত্যাহারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলে ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম।  মিল গেট থেকে কর দিয়ে এখন পণ্য সরবরাহ করতে হবে। তাই সময় দেওয়ারও সুযোগ নেই। ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। এর আগে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর সুপারিশের কথা জানিয়েছিলেন দেন মিল মালিকরা।  গত মঙ্গলবার থেকে প্রস্তাবিত নতুন এই দাম কার্যকরের ঘোষণা দিয়ে বাণিজ্যসচিব বরাবর চিঠি দেয় কোম্পানিগুলো সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল ওয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। তবে সেদিন ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সয়াবিনের মূল্যবৃদ্ধির ‘সুযোগ নেই বলে জানিয়েছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম। এদিকে রাজধানীর নিউমার্কেট, হাতিরপুল বাজার ও কারওয়ান বাজারের মুদি দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, সরকারের এ সিদ্ধান্তে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ভোক্তাদের মধ্যে। ব্যবসায়ীরা বলছেন এখনো নতুন তেলের দামের প্রভাব বাজারে পড়েনি। সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রতি লিটার বোতলজাত তেলের দাম ১৬৩ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াল সর্বোচ্চ ১৬৭ টাকা। আর ৫ লিটার বোতলজাত তেলের দাম ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াল ৮১৮ টাকা। আর প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৪৯ টাকা থেকে কমে দাঁড়াল ১৪৭ টাকা। হাতিরপুল বাজার থেকে ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল মামুন ৫ লিটারের দুই বোতল  মোট১০ লিটার বোতল জাত সয়াবিন তেল কিনছিলেন পরিবারের জন্য। তিনি বলেন, আমি মাত্র ৫ লিটারের দুই বোতল সয়াবিন তেল কিনলাম ১৬০০ টাকা করে তবে দোকানি বলছিলেন বাজারে যে অবস্থা কালই হয় তো নতুন বোতলে তেল আসলে ৫ লিটারের দাম পরবে ৮১৮ টাকা। এভাবে যদি সরকার প্রতিটি জিনিস পত্রের দাম বাড়াতে থাকে তাহলে আমাদের ভালোভাবে জীবনযাপন করা মুশকিল হয়ে পরবে। মুদির দোকানের বিক্রেতা রাজিব বলেন, আমরা আজ অবধি ১৬৩ টাকা বিক্রি করছি প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল। কিন্তু নতুন করে আজ বেড়েছে তেলের দাম তাই নতুন তেল ঢুকলেই ৪ টাকা বেশি দামে বিক্রি হবে। কিন্তু আপাতত আগের দামেই বিক্রি করছি। রোজার আগে গত ১ মার্চ যখন বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিনের দাম ১০ টাকা কমিয়ে ১৬৩ টাকা করা হয়। তখন ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮০০ টাকা।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমলেও বেড়েছে বোতলজাতের
খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে দুই টাকা কমানো হলেও বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। নতুন এ দাম আজ থেকে কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। এ সময় বাংলাদেশ ভেজিটেবল ওয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, দাম বাড়ার নতুন এ সিদ্ধান্ত মিল গেট (পাইকারি বিক্রেতারা যে দামে কিনবেন) থেকে কার্যকর হবে। তবে বাজারে মজুত করা আগের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য সমন্বিত ভোজ্যতেল আগের দামেই বিক্রি হবে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৬৩ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াল সর্বোচ্চ ১৬৭ টাকা। আর ৫ লিটার বোতলজাত তেলের দাম ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াল ৮১৮ টাকা। আর এক লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৪৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১৪৭ টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া সুপার পাম তেল এক লিটারের (খোলা) দাম সর্বোচ্চ ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাম তেলের দাম আগে নির্ধারণ করা ছিল না বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ভোজ্যতেল সমিতির একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক একটি বৈঠক হয়েছে। আপনারা জানেন, ট্যারিফ কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা আন্তর্জাতিক বাজার মনিটর করি। বিভিন্ন আমদানি করা পণ্যের যৌক্তিক নির্দেশক মূল্য ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে অবগত হই, যাতে মূল্যটা যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে পারি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) একটা বিশেষ বিবেচনায় ভোক্তা পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি দিয়েছিল। আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করা হয়েছিল। আমার ধারণা ছিল, আমদানি করার পর দাম বাড়বে। কিন্তু দুটো সার্কুলার ছিল। একটি হচ্ছে আমদানি পর্যায়ের, আরেকটি ভোক্তা পর্যায়ের সরাসরি মিল গেট থেকে। তিনি বলেন, এনবিআর রাজস্ব সংগ্রহের জন্য খুবই তৎপর। আমরা কিছু আলোচনা করার আগে, তেল উৎপাদনের মিলগুলোতে চিঠি চলে গেছে, ১৬ এপ্রিল থেকে যে পণ্যগুলো বের হবে, তাদের ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে পণ্য বের করতে হবে।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম
সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী লিটারপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম ১৭৩ টাকা। ৫ লিটারের সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ৮৪৫ টাকা। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোজ্যতেলের কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন পর্যায়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জারিকৃত বিজ্ঞপ্তির মেয়াদ গত ১৫ এপ্রিল শেষ হয়েছে। ফলে ১৬ এপ্রিল থেকে বাজারে ভোজ্যতেল (পরিশোধিত পাম তেল এবং পরিশোধিত সয়াবিন তেল) ভ্যাট অব্যহতি পূর্ববর্তী মূল্যে সরবরাহ করা হবে। বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, আজ থেকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৭৩ টাকায়। এছাড়া বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ৮৪৫ টাকায়। আর প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩২ টাকা।   এদিকে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স আয়োজনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, সয়াবিন তেলের দাম কমবে না। আগের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে একটি নতুন দাম বেঁধে দেয়া হবে।   প্রতিমন্ত্রী জানান, সয়াবিন তেলের মাত্র ৫ শতাংশ ট্যাক্স কমানোর কারণে লিটারে তেলের দাম কমেছে ১০ টাকা। তেল-চালের ওপর ট্যাক্স বসিয়ে রাজস্ব আদায় যৌক্তিক না। এটির সঙ্গে সাধারণ মানুষের স্বার্থ জড়িত। এদিকে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য প্রেসে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইরান ও ইসরায়েল হঠাৎ করে হামলা করেছে। এটা আমাদের জানা ছিল না। মধ্যপ্রাচ্য থেকে জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য পণ্য আসে। এখন ইসরায়েল ইরানে পাল্টা হামলা চালাবে কি-না জানি না। তারপর সব বিষয় মাথায় রেখে পণ্যের দাম যেন না বাড়ে, সেজন্য আমরা বিকল্পভাবে পণ্য আনার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, সয়াবিন তেলের দাম কমবে না। আগের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে একটি নতুন দাম বেঁধে দেয়া হবে। সয়াবিন তেলের মাত্র ৫ শতাংশ ট্যাক্স কমানোর কারণে লিটারে তেলের দাম কমেছে ১০ টাকা। তেল-চালের ওপর ট্যাক্স বসিয়ে রাজস্ব আদায় যৌক্তিক না। এটির সঙ্গে সাধারণ মানুষের স্বার্থ জড়িত।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর বিশ্ববাজারে বেড়েছে তেলের দাম
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে ইরান। মূলত চলতি মাসের শুরুর দিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলি বোমা হামলার জবাবে এ পাল্টা হামলা চালিয়েছে তেহরান। আর ইসরায়েলে ইরানের হামলার পরেই বিশ্ববাজারে বেড়ে গেছে তেলের দাম।  গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে দেশটির কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল ইরান। ইরান ইসরায়েল উত্তেজনার প্রভাব পড়ে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে।  ইরানের কনস্যুলেটে ইজরায়েলি হামলার পর আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। শুক্রবার বৈশ্বিক বেঞ্চমার্কে প্রতি ব্যারেল ক্রুড তেলের দামে উঠেছিল ৯২.১৮ ডলার, যা অক্টোবরের পর থেকে সর্বোচ্চ।  ইরান ইসরায়েলে ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে পাল্টা হামরার পর তেলের দাম আরও একলাফ বেড়েছে এবং এই দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা নির্ভর করছে দুদেশের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর। ইসরায়েল যদি ইরানে পাল্টা হামলা চালায় এবং ইরানও যদি তার জবাব দিতে থাকে তাহলে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করবে। ইরান ইসরায়েল সংঘাত হলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের সরবরাহ ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হবে।  বিশ্বে প্রতিদিন যে জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে তার বেশিরভাগ সরবরাহ হয় মধ্যপ্রাচ্য থেকে। ইরান নিজেও একটি বৃহৎ জ্বালানি তেল সরবরাহকারী দেশ। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে থেকে বিশ্ববাজারে যে জ্বালানি তেল সরবরাহ হয়ে থাকে তার একটি বিরাট অংশ যায় ইরানের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং এর পার্শ্ববর্তী জলপথ দিয়ে।  ইরান ইসরায়েল সংঘাত হলে এসব সরবরাহ চ্যানেল বন্ধ করে দেবে ইরান। ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের সরবরাহ ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হবে।  ইরানের হামলার জবাবে ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালাতে পারে এমনটা ধারণা করছেন অনেকে। তেমনটি ঘটলে ইরান ইসরায়েল মুখোমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং সমগ্র অঞ্চলে সেই সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকে। শনিবার রাতের এই হামলাকে অপারেশন ট্রু প্রোমিজ নাম দিয়েছে ইরান। এ হামলাকে সীমিত ও নির্ধারিত বলে জানিয়েছেন ইরানি কর্মকর্তারা। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরান কী করতে সক্ষম তার সামান্য চিত্র দেখাল মাত্র। এটা এমন একটি দৃশ্য যা কখনো কেউ দেখেনি। পাল্টা হামলার আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী, একই সঙ্গে ইসরায়েলের প্রতিও সতর্কবার্তা দিয়ে রেখেছে দেশটি। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া বিবৃতিতে আইআরজিসির এক কমান্ডার জানান, ইসরায়েল যদি প্রতিক্রিয়া দেখায় তাহলে তার চেয়েও কড়া প্রতিক্রিয়া দেখাবে ইরান।  
১৪ এপ্রিল, ২০২৪
X