প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে যেসব সমঝোতা স্মারক
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরে থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে পাঁচ কূটনৈতিক দলিলে সই হয়েছে। এর মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট বা অভিপ্রায়পত্র। গত ২৬ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এসব দলিলে সই করেন সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) সংবাদ সম্মেলনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়। এতে বলা হয়, আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল ১০টায় গণভবনে থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে, গত ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফরে যান প্রধানমন্ত্রী এবং সফর শেষে ২৯ এপ্রিল দেশে ফিরেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ড পৌঁছালে তাকে গার্ড অব অনার জানায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনী। এরপর থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।   বৈঠক শেষে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্রবন্দর কেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।   বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেকপার্কে বিনিয়োগে থাইল্যান্ডকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরই দেশটির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।   রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য থাইল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন বলেও জানান শেখ হাসিনা। এ ছাড়া বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রতি।
০১ মে, ২০২৪

থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর আগে থাইল্যান্ডের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে থাইল্যান্ডের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে বিমানটি। শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরে ২৪ এপ্রিল বিকেলে ব্যাংককে যান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে লালগালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার ও গান স্যালুট জানানো হয়। শেখ হাসিনা এই সফরকে ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ বলে বর্ণনা করেছেন, কারণ এটি দুদেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এ সফর দুদেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। থাই প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, এ সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রেরণা জোগাবে। তিনি আরও বলেন, সরকারি এ সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুদেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। আমাদের জনগণ ও দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আগামীতেও সম্পর্কের নবায়নের এ গতিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে। সফর চলাকালীন (২৬ এপ্রিল) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন, যেখানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি স্বাক্ষরিত হয়। নথিগুলো হচ্ছে- একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই), যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের উপস্থিতিতে স্বাক্ষর হয়। নথির মধ্যে অফিসিয়াল পাসপোর্ট হোল্ডারদের জন্য ভিসা ছাড়সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি সহযোগিতা, শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা সংক্রান্ত লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) রয়েছে। শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজেও যোগ দেন। গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে লালগালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০ তম অধিবেশনে যোগ দেন। এ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি সব বিশ্বনেতাকে যুদ্ধ, আক্রমণ এবং আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান। জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা এবং ইউএনএসক্যাপ সম্মেলনস্থলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। একই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা ও রানি মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানি সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

থাইল্যান্ড সফর শেষে সোমবার দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে আগামীকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরবেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং সূত্র জানিয়েছে, আগামীকাল সকালে (স্থানীয় সময়) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাংকক ত্যাগের কথা রয়েছে। শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরের অংশ হিসেবে ২৪ এপ্রিল বিকেলে থাইল্যান্ডে পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে লাল গালিচা উষ্ণ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে তাকে ১৯ বার তোপধ্বনী ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। শেখ হাসিনা এই সফরকে ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কারণ, এটি দুই দেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। থাই প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ সভায় শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অনুপ্রেরণা জোগাবে। তিনি আরও বলেন, সরকারি এই সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। আমাদের জনগণ ও দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আগামীতেও সম্পর্ক নবায়নের এই গতিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে। সফর চলাকালীন ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। উভয় নেতার উপস্থিতিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়। নথিগুলো হচ্ছে- একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং একটি অভিপ্রায় পত্র। নথির মধ্যে সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি সহযোগিতা, শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা সংক্রান্ত অভিপ্রায় পত্রও রয়েছে। শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজেও যোগ দেন। গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে লাল গালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন। এই অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি সকল বিশ্বনেতাকে যুদ্ধ, আক্রমণ এবং আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান। তিনি বলেছেন, টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা। তিনি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আঞ্চলিক বিরোধ ও উত্তেজনা নিরসনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সংলাপ শান্তি আনতে পারে। জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা ও ইউএনএসক্যাপ সম্মেলনস্থলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। একই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ সমঝোতা ও চুক্তি সই
থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট বা অভিপ্রায়পত্র সই হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এসব দলিলে সই হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যালয়ে পৌঁছালে গার্ড অব অনার জানায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনী। এরপর থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্রবন্দর কেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেকপার্কে বিনিয়োগে থাইল্যান্ডকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। চলতি বছরই দেশটির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য থাইল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।   থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেওয়া ছাড়াও জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনি।  
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

থাইল্যান্ড পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) অপরাহ্নে থাইল্যান্ডের রাজধানীর ব্যাংককে পৌঁছেছেন। প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট আজ ব্যাংককের স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৮মিনিটে ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরআগে বিমানটি বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সফরে এখানে এসেছেন। সফরকালে শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সোমবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির লক্ষ্যে আলোচনার আগ্রহপত্রসহ বেশ কিছু সহযোগিতার নথিতে সই করবে। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সরকারী পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও সম্পর্ক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্ক-সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আরও দুটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন ২৬ এপ্রিল শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাবেন এবং তাকে আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। একই দিন শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এই সময় দুই নেতা নথি স্বাক্ষরের অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করবেন। সফরকালে, প্রধানমন্ত্রী রাজপ্রাসাদে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানি সুথিদা বজ্রসুধা-বিমল-লক্ষণের রাজকীয় দর্শকদের সঙ্গে থাকবেন। বহুপাক্ষিক ব্যস্ততায় প্রধানমন্ত্রী ২৫ এপ্রিল ইউএনএসক্যাপ-এর ৮০তম অধিবেশনে অংশ নিয়ে সেখানে ভাষণ দেবেন। একই দিনে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল এবং এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছয় দিনের সরকারি সফরে আজ বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন। সফরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেওয়া ছাড়াও জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনি। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় থাইল্যান্ডের উদ্দেশে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে অনুষ্ঠেয় এ সফরে দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। থাইল্যান্ডের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ৫টি দলিল সই হবে। এ বিষয়ে গত সোমবার সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে লেটার অব ইনটেন্টসহ (সম্মতিপত্র) বেশ কয়েকটি সহযোগিতা চুক্তি সই হবে এই সফরে।   বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড়, জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। এ ছাড়া সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্ক সম্পর্কিত পারস্পরিক সহযোগিতা সম্পর্কিত আরও দুটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। বহুপক্ষীয় কর্মসূচিতে ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কমিশন ফর এসকাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগদান ও ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। একই দিনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়া আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছয় দিনের সরকারি সফরে আজ বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন। সফরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেওয়া ছাড়াও জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনি। আজ সকাল ১০টায় থাইল্যান্ডের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে অনুষ্ঠেয় এ সফরে দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। থাইল্যান্ডের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে পাঁচটি দলিল সই হবে। এ বিষয়ে গত সোমবার সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে লেটার অব ইনটেন্টসহ (সম্মতিপত্র) বেশ কয়েকটি সহযোগিতা চুক্তি সই হবে এই সফরে। বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড়, জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। এ ছাড়া সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্ক সম্পর্কিত পারস্পরিক সহযোগিতা সম্পর্কিত আরও দুটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। বহুপক্ষীয় কর্মসূচিতে ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কমিশন ফর এসকাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগদান ও ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। একই দিনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়া আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে সই হবে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বুধবার ছয় দিনের সফরে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন। তার এ সফরকালে দুই দেশের মধ্যে স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা আছে। গতকাল সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে লেটার অব ইনটেন্টসহ (সম্মতিপত্র) বেশ কয়েকটি সহযোগিতা চুক্তি সই হবে এ সফরে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড়, জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করতে পারে। এ ছাড়া সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্ক সম্পর্কিত ও পারস্পরিক সহযোগিতা সম্পর্কিত আরও দুটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব নথি সই প্রত্যক্ষ করবেন। সফরে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন। এ ছাড়া ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু প্রতিনিধিদলে রয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, এটি দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সফর। সফরে নৌপরিবহন সংযোগের বিষয়টিও আলোচিত হবে। আমি বিষয়টি উত্থাপন করতে খুব আগ্রহী। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনেও বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সমর্থন চাইবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের কাছ থেকে বিনিয়োগ বাড়াতে চাইবে। ১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর বাংলাদেশের কোনো প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ডে এটাই প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় এ সফরে ব্যাংককে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২৬ এপ্রিল থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার প্রদানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করবেন। এরপর থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন শেখ হাসিনার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজনে রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে প্রধানমন্ত্রী অংশ নেবেন। সফরে প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে দেশটির রাজা মহা ভাজিরালংর্কন ফ্রা ভাজিরাক্লাওচাউহুয়া ও রানী সুধিদা বজ্রসুধাবিমলালক্ষ্মণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তিনি বলেন, এ সফর বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড উভয়ের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ২৫ এপ্রিল ইউএনএসকাপের অধিবেশনে বক্তৃতা দেবেন তিনি। একই দিন এসকাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়া আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফর, সই হবে চুক্তি ও সমঝোতা
প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে দুদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ১টি চুক্তি, ৩টি সমঝোতা ও ১টি লেটার অব ইনটেন্ট (আগ্রহের সম্মতিপত্র) স্বাক্ষরিত হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফর উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  আগামী ২৪-২৯ এপ্রিল থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ ও ইউএনএসকাপের ৮০ সম্মেলনে যোগ দিতে থাইল্যান্ড সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী।  এ সময় এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান- মিয়ানমারের জাহাজ আসবে ২৪ এপ্রিল। ১৪৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক নিয়ে। ২৫ এপ্রিল সেই জাহাজে ফেরত যাবে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনারা। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন ২২ এপ্রিল ফেরত যাবে মিয়ানমারের সেনারা। তবে চলমান পরিস্থিতিতে সেটির বদলে নতুন শিডিউল হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর আগে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ড যাবেন। তিনি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন; পাশাপাশি তিনি জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) অধিবেশনে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফর উপলক্ষে গত সপ্তাহে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথ বিবৃতি প্রচার করে। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর বাংলাদেশের সরকারপ্রধান পর্যায়ে থাইল্যান্ডে এটি প্রথম সফর হবে। দুই বন্ধুদেশের মধ্যে ‘সহযোগিতার নতুন জানালা’ উন্মোচিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড উভয়ের জন্য এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ। এই সফরে থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে দেশটির রাজা ভাজিরালংকর্ন ও রানি সুথিদার সঙ্গেও সাক্ষাৎ হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় এই সফরে ব্যাংককে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউএনএসকাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন। ২৫ এপ্রিল ইউএনএসকাপের অধিবেশনে বক্তৃতা রাখবেন তিনি। ২৫ এপ্রিল জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং এসকাপের নির্বাহী সচিব আরমিডা সালসিয়াহ আলিশাবানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী বুধবার থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন। থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল তিনি এ সফর করবেন। এ সময় কয়েকটি চুক্তি ও এমওইউ স্বাক্ষরিত হতে পারে। দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর এটিই হবে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান পর্যায়ের প্রথম সফর। এ সফর দুদেশের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ। এটি দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থাকবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন অভ্যর্থনা জানাবেন। একই সঙ্গে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। একই দিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। সফরে শেখ হাসিনা থাই রাজা ও রানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। প্রধানমন্ত্রী ইউএনস্ক্যাপের কমিশনের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং ২৫ এপ্রিল ইউএনস্ক্যাপের এই অধিবেশনে বক্তব্য দেবেন। একই দিন জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল এবং ইউএনস্ক্যাপের এশিয়া ও প্যাসিফিকের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪
X