মহিলা মেম্বারকে মেরে দাঁত ফেলে দিল চেয়ারম্যান
চট্টগ্রামের পটিয়ায় নলকূপ বণ্টনকে কেন্দ্র করে এক মহিলা ইউপি সদস্যকে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।  রোববার (৩১ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদে ঘটনাটি ঘটেছে।  আহত নাছিমা আক্তার (৪৮) শোভনদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য ও স্থানীয় মহিলা আ.লীগ নেত্রী। অভিযুক্ত এহছানুল হক শোভনদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। আহত নাছিমা আকতার জানান, পটিয়ার সাবেক এমপির সময়ে উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে চেয়ারম্যান মেম্বারদের মাধ্যমে নলকূপ বরাদ্দ দেন। প্রত্যেক মেম্বাররা নিজ নিজ ওয়ার্ডে নলকূপ বসালেও আমি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় চেয়ারম্যান আমার নলকূপটি বসাতে দেননি। ভিজিডি চাল বরাদ্দের তালিকা প্রণয়ন সংক্রান্ত মিটিংয়ের একপর্যায়ে চেয়ারম্যান থেকে আমার বরাদ্দের নলকূপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হন। এ সময় ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের ভাইপো মো. সায়েম আমাকে টেনে হিঁচড়ে ফেলে মারধর করে। একপর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান নিজেও আমাকে মারধর করে। এ সময় আমার দাঁত পড়ে মুখ দিয়ে প্রচুর রক্ত বের হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান এহছানুল হক বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ভিজিডি চাল বরাদ্দের তালিকা করতে ইউপি সদস্যদের নিয়ে মিটিং করা হয়। এ সময় আমি স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ দলীয় নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে তালিকা করতে বলি।  এ সময় নৌকার লোক ছাড়া কাউকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে নিষেধ করি। এটি শুনে নাছিমা মেম্বার রাগান্বিত হয়ে মিটিং থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় বাইরে সায়েম মেম্বারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সায়েম মেম্বারের আঙুলে কামড় দেয় নাছিমা আক্তার। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সায়েম মেম্বার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পটিয়া থানার ওসি জসীম উদ্দিন জানান, শোভনদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদে মহিলা মেম্বারকে মারধরের বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

দাঁত ব্রাশ করতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাইবোনের মৃত্যু
নোয়াখালীর কবিরহাটে পুকুরের পানিতে ডুবে ভাইবোনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের রামেশ্বপুর গ্রামের ছরআলী মাঝি বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত শিশুরা হলেন বিবি ফাতেমা বেগম (৭) ও তার ছোট ভাই আবিদ হোসেন (৪)। তারা একই গ্রামের ছরআলী মাঝি বাড়ির আব্দুল হাইয়ের সন্তান। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাপরাশিরহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন টিটু। স্থানীয়রা জানান, দুই ভাইবোন সকাল ৮টার দিকে ঘরের পাশে পুকুরে দাঁত ব্রাশ করতে যায়। এ সময় হাত-মুখ ধোয়ার সময় একজন পুকুরে পড়ে গেলে অন্যজন তাকে উদ্ধার করতে পানিতে নামে। পরে দুজনেই পানিতে ডুবে যায়। একপর্যায়ে পরিবারের সদস্যরা দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। কবিরহাট থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, পুকুরের সময় পানিতে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরে তাদের মরদেহ পরিবারের লোকজন নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হবে।  
২৭ মার্চ, ২০২৪

থাপ্পড় দিয়ে শিক্ষকদের দাঁত ফেলে দেওয়ার হুমকি দিলেন কুবি কর্মকর্তা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) নবগঠিত শিক্ষক সমিতির সদস্যদের থাপ্পড় দিয়ে দাঁত ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন এক কর্মকর্তা। তিনি কুবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জাকির হোসেন। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষে নবগঠিত শিক্ষক সমিতির নেতারা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এ হুমকির ঘটনা ঘটে। এ সম্পর্কিত একটি ভিডিও দৈনিক কালবেলার প্রতিনিধির হাতে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, নবগঠিত শিক্ষক সমিতির নেতাদের সঙ্গে ভেতরে কথা বলছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। এক পর্যায়ে সাবেক কয়েকজন শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে আবেদন করা প্রার্থী, কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়ে উপাচার্যের কক্ষে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন জাকির। তখন তাদের কক্ষে প্রবেশ করতে বাধা দেন সহকারী প্রক্টর হাসেনা বেগম। তখন ওই প্রক্টরের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায় ডেপুটি-রেজিস্ট্রার জাকির হোসেনকে। এ নিয়ে জাকিরের সঙ্গে আসা লোকজনের সঙ্গে শিক্ষকদের তর্কাতর্কি হয়। তারাও শিক্ষকদের সঙ্গে রূঢ় ভাষায় কথা বলেন। এক পর্যায়ে জাকির বলেন, ‘চিল্লাইতেছে কেন, আমরা মানুষ না। থাপড়াইয়া দাঁত ফালাইয়া দিমু।’ তবে বিষয়টি অস্বীকার করে ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, ‘এমন কোনো কিছু আমি বলিনি। ওই মুহূর্তে সবাই হইচই করছিল, কে কাকে কী বলেছে আমি জানি না।’ কর্মকর্তাদের অফিস সময় বিকেল ৪টায় শেষ হয়ে গেলেও সেখানে জাকির হোসেনের উপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজ ভিসি স্যারের সঙ্গে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের মিটিং ছিল। সেজন্য আমরা ভিসি স্যারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছিলাম। তবে উপাচার্য দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার হোসাইন মোর্শেদ ফরহাদ বলেন, ‘আজ উপাচার্যের সঙ্গে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কোনো অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল না। সবই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হয়েছে।’ অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, একজন কর্মচারী কেন এখানে এসে একজন শিক্ষককে বলে ‘হু আর ইউ’। আমরা এখানে এসেছি উপাচার্য স্যারের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য। তারা আমাদের সঙ্গে এইরকম ব্যবহার করতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘ভিসি দপ্তরে হট্টগোল হয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আমরা প্রক্টরিয়াল বডি সেটা সমাধানের চেষ্টা করেছি।’
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিচিত্র / চার্চিলের নকল দাঁত বিক্রি আড়াই লাখ টাকায়
যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত রাজনীতিবিদ ও লেখক উইনস্টন চার্চিল প্রায় সারা জীবন দাঁতের সমস্যায় ভুগেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন এ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তরুণ বয়সে সামনের উপরের পাটির ছয়টি দাঁত হারান। এ জন্য তিনি চার সেট নকল দাঁত তৈরি করেন। তার মধ্যে দুই সেট প্রায়ই তিনি কাছে রাখতেন। এর মধ্যে সোনায় বসানো একটি নকল দাঁতের সেট প্রায়ই পরতেন তিনি। এ অবস্থায় তাকে বিভিন্ন ভাষণেও দেখা গেছে। সম্প্রতি তার সেই সোনায় মাউন্ট করা নকল দাঁত নিলামে ১৮ হাজার পাউন্ডে বিক্রি হয়, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় আড়াই লাখ টাকা। দ্য কটসওল্ড নিলাম প্রতিষ্ঠানের কাছে সম্প্রতি ওই দাঁত সেট বিক্রির জন্য হস্তান্তর করা হয়। তারা বলছে, নির্দেশিত ৮ হাজার পাউন্ডের দ্বিগুণেরও বেশি ১৮ হাজারে নকল দাঁত সেটটি বিক্রি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের পরিচালক লিজ পুলে বলেন, ‘চার্চিলের ব্যবহৃত বিরল আইটেমগুলোর মধ্যে দাঁত সেটটিই এখন পর্যন্ত আমরা বিক্রি করেছি। তার এ দাঁত বিক্রিতে বৈশ্বিক আগ্রহে আমরা আনন্দিত। ক্রেতা দেশের ইতিহাসের একটি অনন্য অংশ কিনেছেন।’ সূত্র: স্কাইনিউজ
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

‘নৌকার বিপক্ষে ভোট করলে দাঁত ভাঙা জবাব’
নৌকার বিপক্ষে কেউ ভোট করলে তাকে দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প-বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ও দুধসর ইউপি চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন সাবু।  শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে ঝিনাইদহ-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল হাইকে বিজয়ী করার জন্য দুধসর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী সভায় তিনি এ হুমকি প্রদান করেন।  তিনি বলেন, আপনারা সতর্ক হয়ে যান। নৌকার বিপক্ষে ভোট দিতে আসবেন না। এদিকে আমি আছি অন্যদিকে শামীম মোল্লা আছে। আপনাদের কীসের ভয়?  শৈলকূপা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম হোসেন মোল্লা বলেন, আপনাদের এলাকায় কেউ নৌকার বিপক্ষে ভোট চাইতে আসলে তাদের প্রতিহত করবেন। অনেক যড়যন্ত্র করেছেন, আর যড়যন্ত্র করতে আসবেন না। যত যড়যন্ত্র করবেন তত বিপদে পড়বেন আপনারা। আমি শামীম মোল্লা আপনাদের পাশে আছি।  নির্বাচনী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহ-১ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আব্দুল হাই এমপি, শৈলকূপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম আহমেদ ও ধলাহরাচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানসহ প্রমুখ।  এদিকে সমাবেশে তাদের ওই বক্তব্যের পর আতঙ্কের মধ্যে আছেন ওই এলাকার সাধারণ ভোটাররা। তারা বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।  নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ওই এলাকার এক কলেজশিক্ষক জানান, নির্বাচন কমিশন যেখানে অবাধ নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। সেখানে দায়িত্বশীল পদে থাকা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের এসব বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনের সার্বিক দায়িত্বে বাধাগ্রস্ত করবে বলে আমি মনে করি। এ বক্তব্যের ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প-বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ও দুধসর ইউপি চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন সাবু জানান, বক্তব্যের মধ্যে কখন কী বলেছি আমার মনে নেই। তবে বেশি খারাপ কিছু বলিনি। তবে শামীম হোসেন মোল্লা তার বক্তব্যের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।    এ ব্যাপারে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিকে অবগত করা হয়েছে।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৩

স্বাস্থ্য / শীত এলেই দাঁত শিরশির করে?
কারণ কী আমাদের দাঁতের বিভিন্ন লেয়ার আছে। প্রথম লেয়ার—এনামেল (সাদা অংশ)। দাঁতের শিরশির অনুভূতি বন্ধ রাখে এনামেল। দ্বিতীয় লেয়ার—ডেন্টিন। এ লেয়ারের রং হলুদ হয়। যাদের এনামেল ক্ষয় হয়ে যায় যত্নের অভাবে অথবা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তাদের দাঁতের ভেতরের লেয়ার হলুদ কালারের ডেন্টিন বের হয়ে পড়ে। ডেন্টিন যখন অনাবৃত থাকে তখনই আমাদের শিরশির অনুভূতি হয়। দাঁতের পাথরের চাপে মাড়ি নিচে নেমে গেলে, লুজ হয়ে গেলে শিরশির অনুভূতি হয়। অনেকে জোরে জোরে ব্রাশ করেন কারণ তারা ভাবেন জোরে ব্রাশ করলে দাঁত পরিষ্কার থাকবে। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। জোরে ব্রাশ করলে এনামেল ক্ষয় হয়ে যায়। হাড্ডি জাতীয় শক্ত খাবার খেলেও এনামেল ক্ষয় হয়। দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকলে। নিয়মিত কোমল পানীয় পান করলেও এনামেল ক্ষয় হয়। কীভাবে এনামেল রক্ষা করবেন? n দুই মিনিট সময় নিয়ে আস্তে আস্তে ব্রাশ করতে হবে নিয়মিত দুই বেলা। n ডায়াবেটিস যাদের আছে তাদের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। n নিয়মিত স্কেলিং না করলে ডেন্টাল ক্যালকুলাস ওরফে দাঁতের পাথর মাড়িকে নিচে নামিয়ে দেয়। যার কারণে দাঁতের গোড়া অনাবৃত হয়ে শিরশিরে অনুভূতি হয়। ছয় মাস পরপর ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শ অনুযায়ী স্কেলিং করা উচিত। কিংবা বছরে ন্যূনতম একবার। n কোমল পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। প্রয়োজনে স্ট্র দিয়ে খেতে হবে যেন দাঁতের এনামেলে না লাগে। n ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হবে। যে অভ্যাস দাঁত সুস্থ রাখে n অতিরিক্ত মিষ্টি, আইসক্রিম, কেক, পেস্ট্রি, চকলেট খেয়ে ছোটরা যেমন দাঁত নষ্ট করে তেমনি বড়রাও জাঙ্ক ফুড এবং ধূমপানে নষ্ট করে ফেলে প্রয়োজনীয় দাঁতকে। n দাঁতের ফাঁকে খাদ্যের কণা ঢুকে থাকাটা স্বাভাবিক। কণাগুলো দাঁতের ফাঁকে একটি আঠালো স্তর তৈরি করে যা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দাঁত। ঠিকঠাক যত্ন না নিলে এই ক্ষতি ক্রমেই বাড়তে থাকে। n দন্ত বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখে দুর্গন্ধ, দাঁতে ব্যথা, মাড়ি থেকে রক্তপাত, মাঝে মাঝেই দাঁত নড়ে যাওয়া, দাঁতের ফাঁকে পাথর জমে যাওয়া এসব লক্ষণে বোঝা যায় দাঁতের আয়ু কমতে শুরু করেছে। দৈনন্দিন জীবনে কিছু খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আর যত্ন নিলেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। ওটা থেকেও কিন্তু মারাত্মক কিছু হতে পারে। n নিয়মিত দুবার ব্রাশ করলে একটি ব্রাশ তিন মাসের পর ভালো কাজ দেয় না। তাই তিন মাস পর বদলে ফেলুন টুথব্রাশ। n খুব বেশি চাপ দিয়ে যেমন ব্রাশ করা ঠিক নয়, তেমনি খুব আলগাভাবেও নয়। নরম অথচ দাঁতের ফাঁকে পৌঁছতে পারে এমন ব্রাশ ব্যবহার করুন। n খাওয়ার পর অবশ্যই ভালো করে মুখের ভেতর ধুয়ে নিতে হবে। এমনকি মিষ্টি, ঠান্ডা পানীয় ও চকলেট খাওয়ার পরও ভালো করে মুখ ধোয়ার অভ্যাস করান শিশুদের। n অতিরিক্ত চা-কফি ও ধূমপান বন্ধ করুন। এসবের কারণে দাগ পড়ে দাঁতের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। তামাকের দাগ সহজে ওঠেও না। n দাঁতের অবস্থা বুঝে টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। এর জন্য পরামর্শ নিন চিকিৎসকের। n দাঁতের গঠনগত ত্রুটি থাকলে সতর্ক হউন। শিশুদের দাঁতে কম বয়সেই সমস্যা ধরা পড়ে। সেটার চিকিৎসাও করান দ্রুত। n লবঙ্গ দাঁতের জন্য উপকারী। মাঝে মধ্যেই মুখে রাখতে পারেন লবঙ্গ। লেখক : ওরাল ও ডেন্টাল সার্জন, বিডিএস, পিজিটি (বিএসএমএমইউ)। ফেলো-ইন্টারন্যাশনাল কোর্স, থাইল্যান্ড এবং ডেভেলপমেন্টাল কোর্স, টোকিও মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল ইউনিভার্সিটি ফ্রম জাপান। চিফ কনসালট্যান্ট, স্পার্ক অব টুথ। মোবাইল : ০১৮৬৬-১৩৬১৫৩
২৯ নভেম্বর, ২০২৩

বিচিত্র / মানুষের দাঁত চুল দিয়েও তৈরি হয় গহনা!
নারীর সাজসজ্জার সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকে নানা ধরনের অলংকার। বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান পাথর থেকে শুরু করে মাটি, সব কিছু দিয়েই তৈরি হয় এসব গহনা। তবে কখনো শুনেছেন কি, মানুষের দাঁত কিংবা চুল দিয়ে গহনা বানানো যেতে পারে? শুনতে অবাক লাগলেও অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে এমন গহনা তৈরি করছেন এক নারী। দেশটির গণমাধ্যম এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদন বলছে, জ্যাকুই উইলিয়ামস নামে ওই নারী ২০১৬ সালে মেলবোর্ন পলিটেকনিক থেকে গহনা তৈরির কৌশল রপ্ত করেন। কিন্তু এরপর তিনি এ ধরনের কাজ পাচ্ছিলেন না। পরে করোনাকালে ঘরবন্দি সময়ে পুরোদমে শুরু করেন গহনা তৈরি। এ সময় বিভিন্ন গ্রাহকের চাহিদা অনুসারে তাদের দাঁত কিংবা চুল দিয়ে তৈরি করতেন এসব গহনা। উইলিয়ামস জানান, অনেকেই নিজ শরীরের অংশকে গহনা হিসেবে ব্যবহার করতে চান। তাদের জন্যই উইলিয়ামস এসব গহনা বানান।
১৮ অক্টোবর, ২০২৩

পিস্তলের বাঁট দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় নাঈমের দাঁত
শনিবার রাত সাড়ে ৮টা। রাজধানীর শাহবাগ থানার তদন্ত বিভাগের পরিদর্শকের কক্ষে টেনেহিঁচড়ে নেওয়া হয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকে। এরপরই তার ওপর শুরু হয় নির্মম নির্যাতন। পুলিশ সদস্যরা কিল-ঘুসি মারতে থাকেন তাকে, বুটের লাথি পড়তে থাকে শরীরে। পিস্তলের বাঁট দিয়ে মুখমণ্ডলে একের পর এক আঘাত চলতে থাকে। ভেঙে দেওয়া হয় দাঁত। থানা কর্মকর্তার অফিস কক্ষে নির্যাতনে অংশ নেওয়া প্রায় সবার মুখে ছিল মাস্ক। এই নির্যাতনের নেতৃত্বে ছিলেন রমনা বিভাগের এডিসি হারুন-অর-রশীদ। ঘটনার শিকার নাঈমের ভাষ্য, ‘উন্মাদ হয়ে উঠেছিলেন এডিসি হারুন’। নাঈম এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রোববার কালবেলার কাছে শনিবার রাতের ভয়ঙ্কর ঘটনার বিবরণ দেন তিনি। বলেন, ‘টানা আধাঘণ্টা ধরে আমার ওপর চলে নির্মম নির্যাতন। একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। আমার মনে হয়েছে, আমি হয়তো মারা যাব। জ্ঞান হারানোর আগে পূর্ব পরিচিত এডিসি হারুনকে আমি বলেছিলাম, আপনি না ছাত্রলীগের পরিচয় দেন। আমিও তো ছাত্রলীগের নেতা। আমার সঙ্গে এমন আচরণ করছেন কেনো?’ নাঈম বলেন, এই কথা শোনার পর পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বলতে থাকেন, ‘কিসের ছাত্রলীগ? আমি নিজ যোগ্যতায় এখানে এসেছি। আমি ছাত্রলীগের কেউ না। আমাকে নির্যাতনের পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হচ্ছিল।’  হাসপাতালের বিছানায় নাঈমের কানে-গালে রক্ত জমাট বাঁধা অবস্থায় দেখা যায়। ঠোঁটে পড়েছে ৮ থেকে ১০ সেলাই। দাঁতের সামনের কিছু অংশ ভেঙে গেছে। তার কথা বলতেও কষ্ট হচ্ছিল।  নাঈম বলেন, ‘এডিসি হারুন তার পিস্তলের বাট দিয়ে আমার দাঁতগুলো ভেঙেছে। কয়েকটি ভেঙে গেলেও সব দাঁতেই নড়বড় অবস্থা। মারতে মারতে পুরো মুখমণ্ডল রক্তাক্ত করেছে। গড়িয়ে রক্ত পড়ছিল তখন। এরপরও মন গলেনি ওই কক্ষে থাকা কারোর।’  থানায় নিয়ে কেনো এই নির্যাতন : আনোয়ার হোসেন নাঈম জানান, শনিবার রাতে তিনি এবং ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম শাহবাগের বারডেম হাসপাতাল হয়ে ক্যাম্পাসের দিকে আসছিলেন। এরপর তারা বারডেম হাসপাতালের সামনে তাদের বড় ভাই বিসিএস কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুনকে দেখতে পান। তিনি তখন লিফটে করে কার্ডিওলজি বিভাগের সামনে চলে যান। নাঈম বলেন, ৫ থেকে ৭ মিনিট পরে গিয়ে আমরা দেখি, মামুন ভাই এবং এডিসি হারুনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হচ্ছে। এরপর আমি এবং মুনিম ঘটনার মীমাংসা করার চেষ্টা করি। পরে সেখানে সেটা মীমাংসা হয়। এর কিছুক্ষণ পর এডিসি হারুন ১০ থেকে ১৫ জন পুলিশকে ফোন দিয়ে সেখানে নিয়ে আসেন। তখন পুলিশ সদস্যরা মামুন ভাই, আমি এবং মুনিমের ওপর চড়াও হয়। এরপর সেখান থেকে মারতে মারতে মুনিমকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।’  তিনি জানান, ‘এই ঘটনার পর তিনি শাহবাগ থানায় যান। থানায় ঢুকলে এডিসি হারুন উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের দেখিয়ে বলেন, ‘এ আমাকে মারছে। একে তোরা মার।’ এরপর তার নেতৃত্বে শুরু হয় পৈশাচিক নির্যাতন। অবশ্য নাঈম নেপথ্যের তথ্য না জানালেও কালবেলা বিভিন্ন সূত্র থেকে নিশ্চিত হয়েছে, এডিসি হারুন পুলিশ ক্যাডারের এক নারী কর্মকর্তাকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সম্পর্কের জন্য হুমকি দিয়ে আসছিলেন। শনিবার রাতে এডিসি হারুন বারডেম হাসপাতালে তার কাছে গেলে বিষয়টি টের পান নারী কর্মকর্তার স্বামী। তখন তিনি ছাত্রলীগের নেতা নাঈম ও মুনিমকে নিয়ে সেখানে গিয়ে হারুনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। ওই ঘটনার জের ধরে মুনিমকে ঘটনাস্থল থেকে ধরে নিয়ে থানায় নির্যাতন করা হয়। পরে নাঈম থানায় গেলে তার ওপরও চলে পৈশাচিতকতা।  নাঈম বলেন, পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার (এডিসি হারুন) সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না। আরেক সরকারি কর্মকর্তার ফোন পেয়ে থানায় গেলে আমার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। ভেতরে আগে থেকেই মামুন ভাই ও হারুনসহ কয়েকজন অবস্থান করছিল। আমি থানার ভেতরে প্রবেশ করে ওসির কক্ষে গেলে আমি আমার পরিচয় দিই। ফজলুল হক ফলের সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক এটা বলে পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমার ওপর আক্রমণ করে। নির্যাতনের একপর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে নিজেকে আবিষ্কার করি ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে। এসময় আমার শার্ট রক্তে ভেজা ছিল। কানে গাল বেয়ে রক্ত বের হচ্ছিল।  তিনি জানান, নির্যাতনকারীরা সবাই মুখোশ পড়েছিল। তাদের যে নেমপ্লেট তাও খুলে রেখে আমাকে পিটিয়েছে। তবে আমি দুই-তিনজনের মাস্ক টেনে ছিঁড়ে ফেলেছিলাম। তাদের আমাদের সামনে উপস্থিত করলে তাদের শনাক্ত করতে পারব।  নাঈমের খালা ফেরদৌস রত্না কালবেলাকে বলেন, কোনো মায়ের সন্তান যেন ছাত্রলীগ করার কারণে মৃত্যুশয্যায় না লড়ে। নাঈমকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। ১০-১৫ জন মানুষ যদি একা নাঈমকে আঘাত করে তার তো বেঁচে থাকার কথা ছিল না। এডিসি হারুন পিস্তলের দিয়ে বাঁট দিয়ে আঘাত করেছে, নাঈমের নাক-মুখ দিয়ে অনবরত রক্ত পড়েছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।  তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমরা নাঈমকে উদ্ধার করে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করি। পরে রোববার সকালে সেখান থেকে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে নাঈম বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। নাঈমের ভাষ্য অনুযায়ী পরিদর্শক (তদন্ত) শাহে আলমের কক্ষে ওই নির্যাতন হয়। এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে গতকাল তার সরকারি মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি তা ধরেননি। পুরো ঘটনা জানতে শনিবার রাতেই এডিসি হারুন-অর-রশীদের সঙ্গে কথা বলে কালবেলা। যদিও তিনি দাবি করেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। যদিও কালবেলায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর তাকে প্রথমে রমনা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) বিভাগে বদলি করা হয়। বিকালে পুলিশ সদর দপ্তরের এক আদেশে তাকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়েছে।
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ঘুমের মধ্যে দাঁত কামড়ালে
অনেকেরই ঘুমের মধ্যে দাঁত কামড়ানোর অভ্যাস আছে। ভেতরকার কোনো একটি সমস্যার কারণেই এই সমস্যা দেখা দেয়। সময়মতো চিকিৎসা না করালে এটি আরও কিছু জটিলতার সূত্রপাত ঘটাতে পারে। লিখেছেন ডা. রাহেমিন সিপতি- কুফল দাঁত কামড়ানোর সমস্যা থাকলে দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়। শিরশির বেড়ে যায়, দাঁতের সাইজ ছোট হয়ে যায়, খেতেও অসুবিধা হতে পারে। আবার চোয়ালে তীব্র ব্যথা হবে ঘুম থেকে জাগার পর এবং টিএমজে (টেমপোরোমানডিবুলার) জয়েন্ট পেইন থাকবে। কারণ যদি দাঁত আঁকাবাঁকা থাকে তখন ঠিকভাবে সব দাঁতের কামড় পড়ে না। মানসিক চাপ থাকলেও এমনটি হয়। আবার ঘুম কম হলে, শিশুদের ক্ষেত্রে কৃমির সমস্যা থাকলে, অতিরিক্ত রাগ থাকলেও মানুষ ঘুমের মধ্যে দাঁত কিড়মিড় করে। শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণ কম থাকলে এবং কিছু ক্ষেত্রে অ্যালার্জির জন্যও এটি হতে পারে। চিকিৎসা প্রথমে পেশেন্টকে প্রচুর কাউন্সেলিং করতে হবে। তার মানসিক চাপ কমাতে হবে। এরপর পরিমিত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। আঁকাবাঁকা দাঁতের সমস্যা থাকলে, তা ঠিক করতে ব্রেসেস পদ্ধতিতে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। কৃমির সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে কৃমির ওষুধ খেতে হবে। মেডিটেশন, রিল্যাক্স হওয়ার মিউজিকসহ রাগ কমানো তথা অ্যাঙ্গার ম্যানেজমেন্টের আরও অনেক পদ্ধতি আছে। রাতে ঘুমানোর সময় মাউথ গার্ড ব্যবহার করতে হবে। রেডিমেড মাউথ গার্ড ব্যবহার না করাই উত্তম। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। কারণ, সবার মুখের মাপ এক নয়। এ ক্ষেত্রে ডেন্টাল সার্জনের কাছে গিয়ে মুখের মাপ নিয়ে মডেল বানিয়ে মাউথ গার্ড নিতে হবে। টিএমজে জয়েন্ট পেইন থাকলে ডেন্টাল সার্জনের কাছে গিয়ে সঠিক মেডিসিন নিতে হবে। কিছু মাউথ এক্সারসাইজও তিনি দিতে পারেন। লেখক: ওরাল অ্যান্ড ডেন্টাল সার্জন, ফেলোশিপ ফ্রম থাইল্যান্ড। চিফ কনসালট্যান্ট, স্পার্ক অব টুথ। অ্যাপয়েন্টমেন্ট: ০১৮৬৬১৩৬১৫৩
০৬ আগস্ট, ২০২৩
X