৯৬ হাজার ৭৩৬ শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা
সম্প্রতি বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় ৯৬ হাজার ৭৩৬ পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষক নিয়োগের আবেদনে পদ পছন্দের ক্ষেত্রে স্পষ্টিকরণে নির্দেশনা দিয়েছে। এনটিআরসির এক বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টিকরণে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই বিষয়ে একাধিক পদ শূন্য রয়েছে, সেসব পদে আবেদনের সময় একাধিক পদেই পছন্দ দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পঞ্চম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আওতায় যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই বিষয়ে একাধিক পদ শূন্য রয়েছে, সেসব পদে আবেদনের সময় একাধিক পদেই পছন্দ দিতে হবে। যদি কোনো প্রার্থী ওই প্রতিষ্ঠানের শুধু একটি পদে পছন্দ দেন, তবে ফলাফল প্রস্তুতের সময় ওই প্রতিষ্ঠানের শুধু একটি পদের আবেদন বিবেচনায় নিয়ে ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ করা হবে এবং অন্য পদগুলো ওই প্রার্থীর জন্য বিবেচনা করা হবে না। উদাহরণ হিসেবে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে আরবির লেকচারার নামক পদে ২টি পদ শূন্য থাকে, তবে নিয়োগ সুপারিশ লাভের সুবিধার্থে ২টি পদেই পছন্দ দিতে হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা (http://ngi.teletalk.com.bd) অথবা (http://www.ntrca.gov.bd) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে গত ১৭ এপ্রিল থেকে অনলাইনে শিক্ষক নিয়োগের আবেদন শুরু হয়, যা চলবে আগামী ৯ মে পর্যন্ত। এতে ১০ মে রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদনের ফি জমা দিতে পারবেন আবেদনকারীরা। যেভাবে আবেদন করবেন : অনলাইনে আবেদন ফি দেওয়া সংক্রান্ত নিয়ম টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে http://ngi.teletalk.com.bd/ntrca/app/ এবং এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে https://ntrca.gov.bd/ দেওয়া হয়েছে। আবেদন এবং ফি দেওয়ার নিয়মের বিষয়ে ভিডিও টিউটোরিয়াল নমুনা (ডেমো) টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে http://ngi.teletalk.com.bd/ntrca/app/ পাওয়া যাবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী আবেদনকারীকে কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে। প্রার্থীকে আবশ্যিকভাবে কেবল তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত বিষয় সংশ্লিষ্ট পদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারী মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে চূড়ান্ত সুপারিশ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আবেদনকারীর বয়সসীমা : আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স ১ জানুয়ারি ২০২৪-এ ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে। পছন্দক্রম ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক আবেদনকারী নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী একই পর্যায়ে (স্কুল/কলেজ) একটি মাত্র আবেদন করতে পারবেন। একজন প্রার্থী শূন্য পদের তালিকা থেকে তার আবেদনে সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পছন্দ দিতে পারবেন। পছন্দ প্রদানের পর কোনো প্রার্থী যদি তার পছন্দবহির্ভূত দেশের যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে ইচ্ছুক হন, তবে তাকে e-Application ফরমে প্রদর্শিত Other Option নামের বক্সে Yes Click করতে হবে। যদি ইচ্ছুক না হন, তবে No Click করতে হবে। প্রতিষ্ঠান choice প্রদানের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে এনটিআরসিএ। যেসব প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট শূন্য পদের বিপরীতে কাম্যসংখ্যক শিক্ষার্থী নেই, সেসব প্রতিষ্ঠানের এমপিও পরবর্তী সময়/ ভবিষ্যতে বাতিল হতে পারে বিধায় বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত যেসব এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদের বিপরীতে কাম্যসংখ্যক শিক্ষার্থী নেই, সেসব পদে পরবর্তী সময়/ ভবিষ্যতে নিয়োগ সুপারিশ প্রদান করা যাবে না। কোনো প্রার্থীর যদি স্কুল ও কলেজ উভয় পর্যায়ের সনদ থাকে এবং তিনি যদি উভয় পর্যায়ের পদে আবেদন করেন, তবে প্রথমে তাকে কলেজ পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত না হলে স্কুল পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত হলে স্কুল পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে না। আবেদনের ফি : সব আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে নির্ধারিত ১০০০ (এক হাজার) টাকা ফি প্রদান করতে হবে। নির্ধারিত ফি পরিশোধ না করলে আবেদনটি বাতিল বলে গণ্য হবে। তবে একবার সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পর দেশের কোনো স্কুলে কর্মরতদের (এমপিওভুক্ত/ইনডেক্সধারী) সমপদে আবেদন করার সুযোগ নেই। তবে স্কুল পর্যায়ে যদি কোনো নিবন্ধন সনদধারী (এমপিওভুক্ত/ইনডেক্সধারী) প্রাপ্ত প্রার্থীর কলেজ পর্যায়ের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকে এবং তিনি যদি কলেজ পর্যায়ে এমপিওভুক্ত না হন, তবে তাঁর শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত কলেজ পর্যায়ের পদে ও প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। বিপরীতক্রমে কলেজ পর্যায়ে নিবন্ধন সনদধারী এমপিওভুক্ত প্রার্থীর যদি স্কুল পর্যায়ের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকে এবং তিনি যদি স্কুল পর্যায়ে এমপিওভুক্ত না হন, তবে তাঁর নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত স্কুল পর্যায়ের পদে ও প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদন করা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত হলে আগের প্রতিষ্ঠানের সুপারিশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে নতুন নির্দেশনা
তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকা দেশের সব স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা আগামীকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলবে। তবে স্কুল কলেজ খুললেও তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের শ্রেণি কার্যক্রম।  চলমান তাপপ্রবাহের  কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।   বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একশিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহ প্রতিদিন সকাল ৮ থেকে বেলা সাড়ে ১১টা চলবে।  দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহে ১ম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট ৯.৪৫ থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে।  প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে বলা হয় আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে খুলছে দেশের দেশের সব স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপপ্রবাহের কারণে গত ২০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের স্মারক মোতাবেক ঘোষিত ছুটি সমাপ্ত হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নরূপ সিদ্ধান্ত প্রদান করা হলো- ১) আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ২) তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। ৩) শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে। ৪) তাপদাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। আর ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার। তবে ছুটি না বাড়ায় রোববার থেকে ক্লাস শুরু হচ্ছে।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

জমি জরিপ নিয়ে নতুন নির্দেশনা ভূমিমন্ত্রীর
জরিপ এলাকার বাইরে বসবাসরত জমির মালিকদের ব্যাপকভাবে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।  তিনি বলেছেন, চলমান বিডিএসের আওতায় গ্রাউন্ড পয়েন্ট স্থাপনের কাজ শেষ, শীঘ্রই ম্যাপ তৈরির কাজ শুরু হবে।  মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ভূমি ভবনে বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপের (বিডিএস) কার্যক্রমের ইডিএলএমএস প্রকল্প (এস্টাব্লিশমেন্ট অব ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প) প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সংশ্লিষ্টদের তিনি এ নির্দেশ দেন। সভায় ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) জিয়াউদ্দীন আহমেদ , ইডিএলএমএস প্রকল্প পরিচালক মো: জহুরুল হকসহ ভূমি মন্ত্রণালয়, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর ও ইডিএলএমএস প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আসা প্রকল্পের সহযোগী সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  ভূমিমন্ত্রী জরিপ প্রক্রিয়া চলাকালীন জমির মালিকদের অজ্ঞাত থাকা এবং তাদের হয়রানির শিকার হতে হয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রায়ই দেখা যায়, জরিপ করার সময় প্রকৃত মালিক অনুপস্থিত থাকেন। তাদের অজান্তে জরিপ কার্যক্রম শেষ হয়ে যায়।  অতীতের বিভিন্ন ঘটনার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, জমির মালিকরা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে জমি বিক্রির সময় আবিষ্কার করেন যে, ভুলভাবে জরিপ করা হয়ে গেছে এবং অন্য কারও নামে জমির খতিয়ান গেজেট হয়ে গেছে। ফলে বৈধ মালিকরা তাদের সম্পত্তির অধিকার পুনরুদ্ধারে বছরের পর বছর আইনি ও অর্থনৈতিক ঝামেলায় পড়েন। মন্ত্রী বিডিএস জরিপ কর্মকর্তাদের স্থানীয় ও জাতীয়ভাবে জরিপ বিষয়ে প্রচারের নির্দেশ দেন। যেন এলাকার ও এলাকার বাইরে বসবাসকারী মানুষ জানতে পারেন তাঁদের এলাকায় জরিপ হচ্ছে। তবে আমাদের মূল্যবান সম্পদ তথা নিজ জমির বিষয়েও নিয়মিত খোঁজখবরও রাখতে হবে। প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের মধ্যে ইডিএলএমএস প্রকল্পের আওতায় ছয়টি এলাকায় চলমান জরিপের প্রথম পর্যায়ের বিডিএস কার্যক্রম শেষ হবে। প্রথম পর্যায় থেকে প্রয়োজনীয় আউটপুট নিয়ে দ্বিতীয় ধাপে সারা বাংলাদেশে একযোগে বিডিএস প্রোগ্রাম চালু করা সম্ভব হবে। চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, মানিকগঞ্জ পৌরসভা এবং ধামরাই ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ইডিএলএমএস প্রকল্পের (এস্টাব্লিশমেন্ট অব ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প) মাধ্যমে বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে কার্যক্রম চলমান। সভায় বিডিএস কর্মকর্তারা ভূমি মন্ত্রীকে জানান, উল্লিখিত এলাকায় গ্রাউন্ড কন্ট্রোল পয়েন্ট স্থাপনের কাজ শেষ পর্যায়ে। খুব শীঘ্রই বিমান, ড্রোনসহ অত্যাধুনিক যন্ত্র দিয়ে ম্যাপ তৈরির কাজ শেষ শুরু হবে।
২৩ এপ্রিল, ২০২৪

তীব্র গরমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নির্দেশনা
সারাদেশে চলমান তীব্র দাবদাহে তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। রমজান, ঈদ ও বৈশাখের টানা ২৬ দিনের ছুটি কাটিয়ে আগামীকাল রোববার (২১ এপ্রিল) খুলতে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তীব্র দাবদাহে মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শনিবার (২০ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, দেশজুড়ে বহমান তাপদাহের ওপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে আজ শনিবার। এই টুর্নামেন্টের খেলা হয়ে গেলে পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণাও হতে পারে। এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর দাবি জানিয়ে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) অভিভাবক ঐক্য ফোরাম গণমাধ্যমে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠায়। এতে বলা হয়, দেশে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মানুষজনকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। এর মধ্যে স্কুল কলেজ খুললে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে বলে মত সংগঠনটির। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা সাত দিনের জন্য শ্রেণি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানায় তারা।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিল ইসি
আগামী ৮ মে শুরু হতে যাচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন। এই নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রার্থীদের কাছে মনোনয়নপত্রের প্রিন্ট কপি চাইতে পারবেন না, এমন নিয়ম থাকলেও আইন না মানায় মাঠ কর্মকর্তাদের বিষয়টি নিয়ে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সম্প্রতি ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতোমধ্যে নির্দেশনাটি সব রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ অনুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান করা হয়েছে। অনলাইন মনোনয়নপত্র দাখিলের পর কোনো কোনো জেলা/উপজেলা থেকে মনোনয়নপত্রের প্রিন্ট কপি প্রার্থীর কাছে চাওয়া হচ্ছে, যা বিধি-বহির্ভূত। বিধি-বহির্ভূত প্রিন্ট কপি প্রদানে বাধ্য না করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে। তবে বিধি অনুযায়ী বাছাইয়ের সময় হলফনামার মূল কপি অথবা কোনো তথ্য বা কাগজপত্র অপূর্ণ থাকলে তা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে অবহিত করা যেতে পারে। বিধি ১৭ অনুযায়ী বাছাইয়ের সময় প্রার্থী বা প্রস্তাবকারী, সমর্থনকারী অথবা প্রার্থী কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির উপস্থিতির সুযোগ থাকলেও বাধ্যতামূলক নয়। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে। এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক। দ্বিতীয় ধাপের তপশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে। এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন। চার ধাপের উপজেলা ভোটের পরবর্তী দুই ধাপের নির্বাচন ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

ওমরাহর ভিসা মেয়াদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিল সৌদি
ওমরাহর ভিসার মেয়াদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব। নির্দেশনায় সৌদি আরবে ওমরাহর ভিসায় অবস্থান করা মুসল্লিদের দেশত্যাগের সময়সীমা জানানো হয়েছে। রোববার (১৪ এপ্রিল) সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদি আরবের বাইরে থেকে আসা ওমরাকারীদের ভিসার মেয়াদ আগামী জিলকদ মাসের ১৫ তারিখে (২৩ মে) শেষ হবে। এ সময়ের মধ্যে সব ওমরাকারীদের দেশে ফিরতে হবে।  মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগে ওমরাহকারীদের দেশে ভিসার মেয়াদ ছিল ২৯ জিলকদ পর্যন্ত। তবে এ সময়সীমা ১৪ দিন কমানো হয়েছে। ফলে তাদের আগামী ১৫ জিলকদের মাধ্যমে দেশে ফিরতে হবে। পবিত্র হজ উপলক্ষে মুসল্লিদের প্রক্রিয়া মসৃণ করার অংশ হিসেবে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।  মন্ত্রণালয় ওমরার ভিসার মেয়াদের সূচিতেও পরিরর্তন এনেছে। আগের নিয়ম অনুযায়ী, ওমরাহর ভিসার মেয়াদ সৌদি আরবে প্রবেশের পর থেকে ৯০ দিন ধরা হতো। তবে বর্তমানে নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে। ভিসা ইস্যু তারিখ থেকে ভিসার মেয়াদ ৯০ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।  মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ভিসার মেয়াদ তিন মাস হলেও বিদেশিদের আগামী ১৫ জিলকদের মধ্যে দেশত্যাগ করতে হবে। ভিসার মেয়াদ থাকা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  মন্ত্রণায়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুই মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে এ তারিখ অনুমোদন করা হয়েছে। আগের ঘোষণার থেকে ১৪ দিন সময় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি এ সময়ের পর ৯০ দিন পূর্ণ না হওয়ার কারণে সৌদি আরবে থেকে যান- তাহলে তিনি আইনি জটিলতার মুখোমুখি হতে পারেন বলেও নির্দেশনায় জানানো হয়েছে।  ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী কুরবানি ঈদের সময় হজে আকবর বা বড় হজ পালন করেন মুসলিমরা। এজন্য সারা বিশ্বের মুসলমানের এ সময় সৌদি আরবে ভিড় করেন। অন্যদিকে রমজান মাসকে ওমরাহর জন্য মৌসুম বলা হয়। এ সময়েও বিপুল সংখ্যক মুসলিম সৌদিতে ওমরাহ ও ইতিকাফের জন্য ভিড় করেন।  ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের ওপর জীবনে একবার হজ পালনকে অত্যাবশ্যক তথা ফরজ করা হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে হজের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় অপেক্ষাকৃত দুর্বল মুসলমানরা ওমরাহ পালনে সৌদি আরব যাচ্ছেন। ফলে ওমরাহকারীদের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে।  সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পবিত্র রমজান মাসে প্রায় তিন কোটি মুসলমান ওমরাহ পালন করেছে। ওমরাহকারীদের বাড়তি চাপ এড়াতে সৌদি কর্তৃপক্ষ নিজেদের নিয়মের ব্যাপারে কঠোর হয়েছিল। দেশটির পক্ষ থেকে এক ব্যক্তিকে রমজানে একাধিকবার ওমরাহ পালনের সুযোগ দেওয়া হবে না নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল।   
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

চাল বিক্রিতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা
চাল বিক্রি করার জন্য এখন থেকে বস্তায় ধানের জাত ও মিল গেটের মূল্য লিখতে হবে। সেই সঙ্গে লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। এমনকি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (জেলা ও উপজেলা) উল্লেখ করতে হবে। থাকবে ওজনের তথ্যও। এমন নির্দেশনা সোমবার (১৪ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হবে। এ বিষয়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শাখা থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। ইতোমধ্যে নির্দেশনার কপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, সব বিভাগীয় কমিশনার, সব জেলা প্রশাসক, সব জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, সব উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন স্বাক্ষর করা এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমতো জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজারমূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয় তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- চালের উৎপাদনকারী মিল মালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান/চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে। চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সব প্রকার চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন (৫০/২৫/১০/৫/১) উল্লেখ থাকতে হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে মিল গেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনটির ধারা-৬-এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান।
১৩ এপ্রিল, ২০২৪

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা : ছবি নিয়ে নতুন নির্দেশনা
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছুদের যাদের ছবি/সেলফি কর্তৃপক্ষের গাইডলাইন অনুযায়ী আপলোড করা হয়নি, তাদের আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে সংশোধিত ছবি/সেলফি আপলোডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে সকল আবেদনকারীর ছবি/সেলফি অথবা উভয়টি জিএসটির ফটো গাইডলাইন অনুযায়ী গৃহীত হয়নি তারা আগামী ৮ এপ্রিল রাত ১০টার মধ্যে অবশ্যই জিএসটির ফটো গাইডলাইন অনুসরণ করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ছবি/সেলফি অথবা উভয়টি আপলোড সম্পন্ন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে হবে। অন্যথায় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কোনো প্রকার সুযোগ থাকবে না। এদিকে, ২৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৭ এপ্রিল শুরু হবে। প্রায় ২১ হাজার আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬। এবার প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বে গড়ে ১৫ জন শিক্ষার্থী। ভর্তি কমিটির সচিব নিত্যানন্দ পাল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ৩টি ধাপে ভর্তি নেবেন গুচ্ছের ভর্তি কমিটি। আগামী ২৭ এপ্রিল বিজ্ঞান শাখার ‘ক’ ইউনিট, ৩ মে মানবিক শাখার ও ১০ মে ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ধরা হয়েছে ৩০। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য দশমিক ২৫ কাটা যাবে। এবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬ জন। ‘ক’ ইউনিটে আবেদন করেছেন এক লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ জন, ‘খ’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১ জন ও ‘গ’ ইউনিটে আবেদন করেছে ৪০ হাজার ১১৬ জন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসনসংখ্যা প্রায় ২১ হাজার।
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

অ্যানেসথেসিয়া ব্যবহারের নতুন নির্দেশনা
অ্যানেসথেসিয়াজনিত আকস্মিক জটিলতা প্রতিরোধ এবং অ্যানেসথেসিয়া ব্যবহারে ওষুধের গুণগতমান নিশ্চিতকরণের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। নির্দেশনায় ভবিষ্যতে জটিলতা এড়াতে ও অ্যানেসথেসিয়া ব্যবহৃত ওষুধের গুণগত মান নিশ্চিত করতে অ্যানেসথেসিয়ায় হ্যালোজেন ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। বুধবার (২৮ মার্চ) স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্মসচিব জসীম উদ্দীন হায়দার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনাগুলো দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে অ্যানেসথেসিয়ার কারণে কতিপয় রোগীর মৃত্যু ও আকস্মিক জটিলতা প্রতিরোধে এবং অ্যানেসথেসিয়ার ব্যবহৃত ওষুধের গুণগত মান নিশ্চিতকল্পে অ্যানেসথেসিয়াতে হ্যালোজেন ব্যবহার ও এর বিকল্প নির্ধারণে এবং অ্যানেসথেসিয়াজনিত মৃত্যু ও এর অপপ্রয়োগ প্রতিরোধ করতে নিচের সুপারিশগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে— ১. সারা দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে ইনহেলেশনাল অ্যানেসথেটিক (নিশ্বাসের সঙ্গে যে চেতনানাশক নেওয়া হয়) হিসেবে হ্যালোথেনের (চেতনানাশক ওষুধ) পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন/সেভোফ্লুরেন (চেতনানাশক ওষুধ) ব্যবহার করতে হবে। ২. সারা দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট হ্যালোথেন/আইসোফ্লুরেন/সেভোফ্লুরেন ভেপোরাইজারের সংখ্যা এবং বিদ্যমান হ্যালোথেন ভেপোরাইজার পরিবর্তন করে আইসোফ্লুরেন/সেভোফ্লুরেন ভেপোরাইজার প্রতিস্থাপন করতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের প্রাক্কলন করতে হবে। ৩. ডিজিডির অনুমোদন ছাড়া হ্যালোজেন ক্রয়, বিক্রয় ও ব্যবহার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৪. সারা দেশের সব অ্যানেসথেসিওলজিস্টদের (সরকারি/বেসরকারি) নিয়ে হ্যালোথেনের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন ব্যবহারসংক্রান্ত নির্দেশনা প্রতিপালনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৫. সব সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যমান হ্যালোথেন ভেপোরাইজারের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন ভেপোরাইজার প্রতিস্থাপনের জন্য চাহিদা মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে। ৬. নতুন অ্যানেসথেসিয়ার মেশিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্পেসিফিকেশন নির্ধারণে স্পষ্টভাবে আইসোফ্লুরেন/সেভোফ্লুরেন ভেপোরাইজারের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২৮ মার্চ, ২০২৪

জাল টাকা প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা
পবিত্র রমজান মাসে টাকা জালকারী চক্রের অপতৎপরতা প্রতিরোধে বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নির্দেশনার মধ্যে রাজধানীর ৫৮টি স্থানসহ দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরের গুরুত্বপূর্ণ জনসমাগমস্থলে নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংবলিত ভিডিও ব্যাংকের সামনে প্রদর্শন করার কথা বলা হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন উৎসবের সময় দেশে নোট জালকারী চক্রের অপতৎপরতা বৃদ্ধি পায়। এ প্রেক্ষিতে রমজানে নোট জালকারী চক্রের অপতৎপরতা প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণে তফশিলি ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হলো। রমজান মাসে ঢাকা শহর এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখাগুলোর নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বগুড়া জেলাসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরের গুরুত্বপূর্ণ জনসমাগমস্থল, বাস টার্মিনাল, হাটবাজার, শপিংমল, রেলস্টেশনসহ রাস্তার মোড়ে সন্ধ্যার পর ব্যাংক নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংবলিত ভিডিও চিত্র কমপক্ষে ১ ঘণ্টা করে প্রচার করতে হবে। দেশের ব্যাংকগুলোর শাখায় গ্রাহকদের জন্য স্থাপিত টিভি মনিটরগুলোতে ভিডিও চিত্রটি পুরো ব্যাংকিং সময়ে প্রদর্শন করতে হবে। ব্যাংকের শাখাগুলোতে উচ্চ মূল্যমানের নোটগ্রহণ ও প্রদানকালে এবং এটিএম মেশিনে টাকা ফিডিংয়ের আগে আবশ্যিকভাবে জালনোট শনাক্তকারী মেশিন দ্বারা নোট পরীক্ষা করতে হবে। রমজান মাস শেষ হওয়ার পর ১০ কর্মদিবসের মধ্যে আলোচিত নির্দেশনা পরিপালনের স্বপক্ষে একটি সচিত্র প্রতিবেদন জমা দিতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে। এদিকে, শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে প্রতিদিনি এ ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করবে। আর অন্যান্য ব্যাংকগুলো রাজধানীর কে কোন স্থানে ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করবে তার তালিকা তৈরি করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যরত সব তফশিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে।
১৯ মার্চ, ২০২৪
X