কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চাল বিক্রিতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা

প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

চাল বিক্রি করার জন্য এখন থেকে বস্তায় ধানের জাত ও মিল গেটের মূল্য লিখতে হবে। সেই সঙ্গে লিখতে হবে উৎপাদনের তারিখ ও প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম। এমনকি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অবস্থান (জেলা ও উপজেলা) উল্লেখ করতে হবে। থাকবে ওজনের তথ্যও। এমন নির্দেশনা সোমবার (১৪ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হবে।

এ বিষয়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ শাখা থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। ইতোমধ্যে নির্দেশনার কপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিব, সব বিভাগীয় কমিশনার, সব জেলা প্রশাসক, সব জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, সব উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন স্বাক্ষর করা এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হওয়া গেছে বাজারে একই জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হচ্ছে।

চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা হঠাৎ বৃদ্ধি পেলে মিলার, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে পছন্দমতো জাতের ধানের চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজারমূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই যাতে চাল বাজারজাতকরণ করা হয় তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে এবং এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে নির্দেশনায় কয়েকটি বিষয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে- চালের উৎপাদনকারী মিল মালিকদের গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান/চালের জাত উল্লেখ করতে হবে। বস্তার ওপর এসব তথ্য কালি দিয়ে লিখতে হবে।

চাল উৎপাদনকারী মিল মালিকের সরবরাহ করা সব প্রকার চালের বস্তা ও প্যাকেটে ওজন (৫০/২৫/১০/৫/১) উল্লেখ থাকতে হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে মিল গেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে।

এর ব্যত্যয় ঘটলে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনটির ধারা-৬-এর অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ রয়েছে। আর ধারা-৭-এর শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জমজম কূপের ভেতরের রহস্য অবাক করল ডুবুরিদের

অনেক নারী আমাকে প্রত্যাখ্যান করেছে : প্রভাস

কেন ১৫০০ বছর ধরে কাবার চাবি এই সাধারণ পরিবারের কাছে?

মার্কিন দূতাবাসের দিকে গণসংহতির মিছিল

মালয়েশিয়ায় গিয়ে নিখোঁজ আলমগীর

হাইকোর্টে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন মৌলভীবাজারের তাজ

রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ

পুরো দলের রান মাত্র ১২

অন্তঃসত্ত্বা দীপিকার সঙ্গে কি বিচ্ছেদের পথ বেছে নিচ্ছেন রণবীর?

মিসরে ছদ্মবেশী ইসরায়েলি গোয়েন্দাকে গুলি করে হত্যা

১০

শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠক

১১

পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির শিক্ষক নিয়োগ আবেদন শেষ হচ্ছে আজ

১২

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রকৌশলীরা মুখ্য ভূমিকা রাখবে : প্রধানমন্ত্রী

১৩

বৃষ্টি আর কতদিন ঝরবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৪

আ.লীগ নেতাদের হারিয়ে সাহেদের চমক

১৫

যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সাম্রাজ্যের অনুসন্ধান চেয়ে রিট

১৬

চেয়ারম্যান হলেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ২ নেতা

১৭

চট্টগ্রামে দুর্ঘটনার কবলে প্রশিক্ষণ বিমান

১৮

উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন বিএনপির বহিষ্কৃত যেসব নেতা

১৯

হজযাত্রীদের লাগেজ লোডিং-আনলোডিংয়ে সতর্কতার নির্দেশ ধর্মমন্ত্রীর

২০
X