আন্দোলনে সাহস জোগাচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব : ফখরুল
রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যেতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন চলমান আন্দোলনে সাহস জোগাচ্ছে। রোববার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে ‘দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দেশীয়-আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা ও এই মুহূর্তে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার এবং ‘নো কমেন্টস’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ক্ষমতাসীনরা যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কাউকে তোয়াক্কা করছে না। প্রধানমন্ত্রী জবরদখল করে ক্ষমতায় বসে আছেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো হতাশা নেই। যারা মাঠে আছে, তাদের মধ্যে হতাশা থাকে না। যুগপৎ আন্দোলন যারা করছি, তাদের মধ্যেও কোনো হতাশা নেই। আমাদের কত নেতাকর্মী জীবন দিচ্ছে। তবুও হতাশা নেই। বিজয় আমাদের হবেই। আমাদের নেত্রী, এই অবস্থায়ও আপস করেননি। নেতাকর্মীরাও আপস করবে না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগের মতোই নির্বাচন করতে চাচ্ছেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো এবার আর পারবেন না। বাকি সব রাজনৈতিক দল নিয়ে গণতন্ত্র রক্ষায় রাজপথে নেমেছি। লড়াই চালিয়ে যাব, আর আমরাই বিজয়ী হব। রাজপথে ফয়সালার হুঁশিয়ারি দিয়ে মির্জা ফখরুল ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে আবারও সরকার পতনের ডাক দেন।
১৫ অক্টোবর, ২০২৩

পশ্চিমা বিশ্ব ও ভারতকে দেখাতেই জঙ্গি নাটক
পশ্চিমা বিশ্ব এবং ভারতকে দেখাতেই সরকার দেশে জঙ্গি নাটক করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দেশে কোনো জঙ্গি নেই দাবি করে তিনি বলেন, ধার্মিকদের সরকার জঙ্গি বানিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির একাংশের প্রতিষ্ঠাতা কাজী জাফর আহমদের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলটির এক স্মরণসভায় ফখরুল এ কথা বলেন। সম্প্রতি কুলাউড়ায় জঙ্গি আটকের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটা পাড়া থেকে গহিন জঙ্গলের কথা বলে নিরীহ সাধারণ মানুষজনকে জঙ্গি বলে তুলে নিয়ে এলো। এটার প্রয়োজন আছে তাদের (সরকার)। কারণ, তারা দেখাতে চায় যে, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ আছে, জঙ্গি আছে। এটা দমন করার জন্য শুধু তাদেরই দরকার। এটাই হচ্ছে তাদের মূল উদ্দেশ্য এবং সেটা দেখাতে চায় পশ্চিমা বিশ্বকে, ভারতকে। আমরা তো জানি যে, জঙ্গি আওয়ামী লীগ, জঙ্গি এই সরকার। তারা সাধারণ মানুষের ওপর সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ চাপিয়ে দিয়ে হত্যা করছে, ধ্বংস করছে, তাদের সব অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এ দেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। এটা পাপ নয়, অপরাধ নয়। কিন্তু কোনো মানুষ যারা ধর্ম পালন করেন, তাদের জঙ্গি বানিয়ে সরকার ফায়দা হাসিল করে। ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, পত্রিকায় দেখেছেন, তিনটা অস্ত্র। সেই অস্ত্রগুলো দেখে মনে হবে, ২০-২৫ বছর আগে মাটিতে লুকানো ছিল, সেই অস্ত্র তুলে নিয়ে এসেছে। মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করতে এই মিথ্যা প্রচারণা। এভাবে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। কিন্তু দেশের মানুষ এগুলো সব বোঝে। অনুষ্ঠানে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরিবারকে বলেছেন খুনি। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অবস্থান পুনরুল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। তাহলেই শুধু একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা যাবে। সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ধোঁকাবাজ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমেই নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করে সুষ্ঠু ভোটে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। দলের যুগ্ম মহাসচিব এএসএম শামীমের সঞ্চালনায় আলোচনায় কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির জহির উদ্দিন স্বপন, জাতীয় পার্টির (জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, নওয়াব আলী আব্বাস খান, সেলিম মাস্টার, মজিবুর রহমান, মওলানা রুহুল আমীন, কাজী নাহিদ, কাজী জয়া, কাজী মোহাম্মদ নজরুল প্রমুখ বক্তব্য দেন। সরকার হটাতে পেশাজীবীদের পাশে চান ফখরুল: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে পেশাজীবীদের আন্দোলন আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আমরা চাই, এ আন্দোলন চলমান থাকুক। গতকাল বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বিশিষ্ট লেখক শফিক রেহমান ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের (বিএসপিপি) সাবেক আহ্বায়ক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সাজার রায়ের প্রতিবাদে সংগঠনটির উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়। বিএসপিপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন সাংবাদিক নেতা এম আব্দুল্লাহ, রুহুল আমিন গাজী, সৈয়দ আবদাল আহমদ, শহীদুল ইসলাম, সাঈদ খান, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, ইউট্যাবের অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, ঢাবি সাদা দলের অধ্যাপক লুৎফর রহমান, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, এ্যাবের প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ড্যাবের ডা. পারভেজ রেজা কাকন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
২৩ আগস্ট, ২০২৩
X