নারীর সঙ্গে অডিও ফাঁস, পেরুর প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
নারীর সঙ্গে অডিও ফাঁসের পর পেরুর প্রধানমন্ত্রী আলবার্তো ওটারোলা পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (০৬ মার্চ) তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।   আলবার্তোর বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। তিনি প্রভাব খাটিয়ে এক নারীকে সরকারি লাভজনক চুক্তি পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।   গত সপ্তাহে পেরুর একটি টিভি চ্যানেলে তাদের দুজনের কথোপকথনের অডিও ক্লিপ প্রচার করা হয়। এরপর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। যদিও কোনো অন্যায় করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আলবার্তো। তবে অভিযোগের ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক তদন্তও শুরু করা হয়েছে।  আলবার্তো সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রকাশিত অডিওটি ছিল ২০২১ সালের। ওই সময়ে তিনি কোনো সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন না। এটি বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র। অডিওটি কাটছাট এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  আলবার্তোর সঙ্গে কথোপকথন ফাঁস হওয়া ওই নারীর নাম পিনেডো। তাকে ২০২৩ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটি কাজের চুক্তি দেওয়া হয়। এ চুক্তি থেকে তার ১৪ হাজার ডলার উপার্জন হয়।  ফাঁস হওয়া অডিওতে নারীর প্রতি তার ভালোবাসার কথা বলতে শোনা যায়। এছাড়া অডিওতে তাকে সিভি পাঠাতে বলতে শোনা যায়।  পদত্যাগের ভাষণে আলবার্তো বলেন, যারা আমাকে সবসময় সরকার থেকে সরাতে চেয়েছেন তারা আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে অডিও সম্পাদনা করতেও দ্বিধা করেননি।  পেরুর সাবেক প্রধানমন্ত্রী মার্টিন ভিজকারার বিরুদ্ধে ভাবমূর্তি নষ্টের অভিযোগ তোলেন তিনি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ভিজকারা।   
০৬ মার্চ, ২০২৪

জেলের তালা ভাঙার পর প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি
ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ হাইতির প্রধান কারাগার থেকে প্রায় চার হাজার কয়েদি পালিয়ে গেছেন। এ সময় গ্যাং সদস্যদের হামলায় কারাগারে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এমন অবস্থায় দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৭২ ঘণ্টার জরুরি অবস্থা জারি করে দেশটির সরকার। তবে জরুরি অবস্থা জারি করা হলেও গ্যাং নেতারা প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরির পদত্যাগ দাবি করছেন। খবর বিবিসির। হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স শহরের প্রায় ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে সশস্ত্র গ্যাংগুলো। গত বৃহস্পতিবার থেকে সেখানে নতুন করে সহিংসতা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এরপর শনিবার রাতে শহরের প্রধান কারাগারে হামলা চালায় গ্যাং সদস্যরা এবং রোববার নাগাদ হাজার হাজার কয়েদি কারাগার থেকে পালিয়ে যান। মূলত গত বৃহস্পতিবার হাইতিতে কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করতে নাইরোবি সফরে যান প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি। তিনি সফরের উদ্দেশে দেশ ছাড়া মাত্রই এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। গ্যাং লিডার জিমি চেরিজিয়ার এরিয়েল হেনরিকে উৎখাতের জন্য সমন্বিত আক্রমণের ঘোষণা দেন। পুলিশ কর্মকর্তা থেকে গ্যাং লিডার বনে যাওয়া জিমি চেরিজিয়ারের বিরুদ্ধে পোর্ট-অ-প্রিন্সে বেশ কয়েকটি গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। পোর্ট-অ-প্রিন্সের কারাগারে যারা বন্দি ছিলেন তাদের মধ্যে ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামিরাও ছিলেন। ২০২১ সালে মোয়েস নিহত হওয়ার পর হাইতিতে গ্যাং সংশ্লিষ্ট সহিংসতা আরও বেড়ে যায়। এমনকি ২০১৬ সালের পর দেশটিতে আর কোনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়নি। একটি একটি রাজনৈতিক চুক্তি অনুযায়ী, গত ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হেনরির পদত্যাগ করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি কোনো নির্বাচন আয়োজন না করে প্রধানমন্ত্রী পদে রয়ে যান। তবে কেনিয়া সফরের পর থেকে তার আর খোঁজ মিলছে না। সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের একটি এবং ক্রোয়েক্স ডেস বুকেটের একটি কারাগারে রোববার হামলা হয়েছে। এই ধরনের বিদ্রোহমূলক কর্মকাণ্ড দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। এই কর্মকাণ্ডের জবাবে তাত্ক্ষণিক নৈশকালীন কারফিউ জারি করা হলো।
০৫ মার্চ, ২০২৪

হঠাৎ ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি গণহত্যা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শতায়েহ পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার। মোহাম্মদ শতায়েহ বলেন, পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে নজিরবিহীন সহিংসতা বৃদ্ধি এবং গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ, গণহত্যা ও অনাহারের পরিপ্রেক্ষিতে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমি সামনে পরবর্তী ধাপ দেখতে পাচ্ছি। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গাজার নতুন বাস্তবতাকে বিবেচনা নতুন সরকার ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রয়োজন। মূলত গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে রদবদল করতে মাহমুদ আব্বাসকে চাপ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ শুধু অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু অংশ শাসন করলেও যুদ্ধ শেষে গাজার শাসন ক্ষমতা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে চায় ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এমন প্রস্তাব বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একাধিকবার নাকচ করে দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। দেশি-বিদেশি চাপের মুখে গত বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা নিয়ে একটি  পরিকল্পনা প্রকাশ করলেও সেখানে এমন কোনো কিছুর কথা উল্লেখ করেননি নেতানিয়াহু। নেতানিয়াহুর পরিকল্পনা অনুযায়ী, অনির্দিষ্টকালের জন্য গাজার নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ করবে ইসরায়েল। হামাসের পরিবর্তে ইসরায়েলবিদ্বেষী নয় এমন কোনো গোষ্ঠী গাজার শাসনভার পরিচালনা করবে। এ ছাড়া গাজাকে একটি বেসামরিক অঞ্চলে পরিণত করার স্বপ্ন দেখছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। ক্ষুদ্র এই উপত্যকার জনশৃঙ্খলা রক্ষার বাইরে সব ধরনের সামরিক সক্ষমতা কেড়ে নেবে ইসরায়েল। শুধু গাজা নয়, পরিকল্পনা অনুযায়ী অধিকৃত পশ্চিম তীরের স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণও নিজের হাতে নেবে ইসরায়েলি সেনারা।
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও ফের নির্বাচন দাবি বিএনপির
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একতরফা আখ্যা দিয়ে তা বাতিল ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। গত রোববার অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে তাকে অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক মন্তব্য করে নতুন নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে দলটি। নির্বাচন নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় গতকাল সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এ মন্তব্য করেন। গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরও দুই সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন। নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে মঈন খান বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তী কর্মসূচির সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত মঙ্গলবার (আজ) ও বুধবার গণসংযোগ কর্মসূচি অব্যাহত রাখা হবে। এর আগে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করে গণরায় দিয়েছে, শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিকল্প নেই। সুতরাং অবিলম্বে ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন বাতিল করতে হবে এবং শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। মঈন খান বলেন, ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। এজন্য বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের ৬৩টি দলের পক্ষ থেকে দেশের স্বাধীনতাপ্রিয় গণতন্ত্রকামী জনগণকে বীরোচিত অভিনন্দন জানাই। সারা দেশে এমন অসংখ্য কেন্দ্র ছিল, যেসব কেন্দ্রে সারা দিনে একটি ভোটও পড়েনি কিংবা হাতেগোনা কয়েকটি ভোট পড়েছে। সরকার ভোটার উপস্থিতির হার বাড়াতে অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছিল দাবি করে বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের মধ্যে ডামি প্রার্থী দাঁড় করিয়ে কৃত্রিম প্রতিযোগিতা করেও কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারেনি। এমনকি ভাতা কার্ডধারীদের হুমকি, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাধ্যতামূলক ভোট প্রদানের আদেশ জারিসহ নানা পন্থা অবলম্বন করেও ভোটারদের কেন্দ্রে নেওয়া যায়নি। তিনি বলেন, এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে বিশ্বাস করলে জনগণের ভোটকেন্দ্রে আসার কথা ছিল। কিন্তু জনগণ ভোট বর্জন করে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দিয়েছে, এই সরকার আর নির্বাচন কমিশন সবই ভুয়া। ড. মঈন বলেন, এই ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা কোনো সরকার গঠনের চেষ্টা করলে সেটি হবে ‘গভর্নমেন্ট অব দ্য ডামি, বাই দ্য ডামি, ফর দ্য ডামি’। কিন্তু দেশের মানুষ পরনির্ভরশীল ‘ডামি সরকার’ নয়, জনগণ চায় তাদের ভোটে নির্বাচিত জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী জবাবদিহিমূলক সরকার। নির্বাচনে বিজয়ী শেখ হাসিনাকে কয়েকটি দেশ অভিনন্দন জানানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনটি দেশের দূত সরকারের সঙ্গে দেখা করেছেন অথবা সরকার একটি দেশকে নির্বাচনে জয়ের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে, বাংলাদেশের মানুষকেও তারা ধন্যবাদ জানায়নি। তাদের কথাবার্তায় এটাই প্রমাণ হয়, নির্বাচনের ফল বাংলাদেশের মানুষের ওপর নির্ভর করে না। নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা চাই জনগণের ভোটে নির্বাচিত, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ একটি সরকার। সেজন্য দরকার একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। সেটা হয়নি।
০৯ জানুয়ারি, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি ভিপি নুরের
সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ  নির্বাচনের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবিলম্বে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। বুধবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ আহ্বান জানান তিনি। সরকারের পদত্যাগ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের একদফা দাবিতে বিরোধী দলসমূহের ডাকা দেশব্যাপী তৃতীয় দফার ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের সমর্থনে পল্টন আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল বের করে গণঅধিকার পরিষদ। মিছিলটি পল্টন মোড়, নাইটিংগেল মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। নুরুল হক নুর বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতাদের বলতে চাই, আপনাদের পাশে কেউ নেই। দেশের জনগণ আপনাদের পাশে নেই, বিদেশিরাও আপনাদের পাশে নেই। আপনাদের চাপাবাজি, ফাঁপরবাজি বেশিদিন টিকবে না। ভালো চাইলে আপনারা সময় থাকতে পদত্যাগ করুন, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। তিনি আরও বলেন, পুলিশসহ সরকারি কর্মকর্তাদের বলবো- আপনারা দেখেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কারণ, র‍্যাব গুম-খুনের সাথে জড়িত। আজকে গুটিকয়েক পুলিশ কর্মকর্তার জন্য দয়া করে আড়াই লক্ষ পুলিশকে কলঙ্কিত করবেন না, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ফেলবেন না। ভিপি নুর বলেন, জনগণকে বলবো-গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলন চলছে, চলবে। তপশিলের আগ পর্যন্ত আমরা সরকারের মতিগতি দেখবো। যদি তারা একতরফা নির্বাচনের পথে হাঁটে, তপশিলের পর থেকে আরও কঠোর আন্দোলন আসবে। গণঅধিকার পরিষদের এই অংশের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, পুলিশের ভাইদের বলবো- কারও অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার অংশীদার না হয়ে জনগণের পাশে থাকুন। বাংলাদেশে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, এই আন্দোলন অবশ্যই সফল হবে। গণঅধিকার পরিষদ হামলা-মামলা উপেক্ষা করে প্রতিটা আন্দোলনে রাজপথে আছে। যদি রক্ত দিতে হয়, জীবন দিতে হয়, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য গণঅধিকার পরিষদ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত আছে। তিনি বলেন, সরকার আরেকটি পাতানো নির্বাচন করতে বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তার করছে।অনতিবিলম্বে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে। মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাক হাসান আল মামুন, আনিসুর রহমান মুন্না, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক সহ-সম্পাদক হেলেনা আক্তার, মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনজাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ সভাপতি সাব্বির হোসেন, নাহিদ তারেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুহেল রানা সম্পদসহ নেতাকর্মীরা।
০৯ নভেম্বর, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি হাস্যকর - কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমরা বাংলাদেশকে শান্ত রাখতে চাই, স্থিতিশীল রাখতে চাই। একটি নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি হাস্যকর। গতকাল শনিবার সকালে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল যারা বলছে তাদের এটি দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। একটি নির্বাচিত সরকার কোনোদিনই কারও দাবিতে পদত্যাগ করবে না। তাদের এ পদত্যাগের দাবি একটা হাস্যকর ব্যাপার। এটি কোনোদিনই বাস্তবায়িত হবে না। ২০১৪-১৫ সালে তাদের সন্ত্রাস আমরা দেখেছি। সন্ত্রাসকে এ দেশের জনগণ মোকাবিলা করেছে। মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীরা জানে এখানে সবকিছুই সংবিধান অনুযায়ী হবে। সংবিধানের বাইরে এখানে কিছুই করার নেই। তারা সুন্দর করে বলেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নিরপেক্ষ সরকার আমরা বুঝি না। দেশের আইন, দেশের সংবিধান সেটির আলোকে নির্বাচন সুষ্ঠু করার ব্যাপারেই তাদের জোরালো দাবি। প্রধানমন্ত্রী তাদের এ আশ্বাস দিয়েছেন, তার অফিস থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন একটি ভালো নির্বাচন করার। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়ছার, পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর প্রমুখ।
১৬ জুলাই, ২০২৩
X