প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে উত্তীর্ণ ২৩ হাজার
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২৩ হাজার ৫৭ জন। গতকাল রোববার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ২০২৩ সালের ১৪ জুন এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ২৯ মার্চ এ দুই বিভাগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনেও মেসেজ পাবেন। মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরে জানানো হবে। এদিকে মেঘনা ও যমুনা সেটের প্রশ্নপত্র পাওয়া অনেক পরীক্ষার্থী ফল না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। তবে সুরমা ও পদ্মা কোডপ্রাপ্ত কেউ এমন অভিযোগ জানাননি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ কালবেলাকে বলেন, এ দুই সেট থেকে কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের ডিজি (মহাপরিচালক)। তাহলে অভিযোগ কেন? তারপরও ফের যাচাই করা হবে।
২২ এপ্রিল, ২০২৪

জুনের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ
আগামী জুন মাসের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রুমানা আলী।  শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।  প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো আবেদনকারী যেন প্রতারণার শিকার না হয় সেজন্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। পরীক্ষার্থীরা সবাই সুশৃঙ্খল পরিবেশেই পরীক্ষা দিচ্ছেন।  তিনি বলেন, আমি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পরিদর্শন করেছি। সেখানে খুব ভালোভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, তবে এ বছর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রার্থীর সংখ্যা কিছুটা কম। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জুন মাসের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে। পর্যায়ক্রমে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উত্তীর্ণরা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন।  এ সময় প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান ও পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। প্রসঙ্গত, প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় কুমিল্লা জেলায় ৩২ হাজার ১৯৯ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে নারী ১৪ হাজার ৭৬৭ এবং পুরুষ ১৭ হাজার ৪৩২ জন। এর আগে, গত বছরের ৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগের ১৮ জেলায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হয়।  এরপর গত ২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।  প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে আবেদন করেছিলেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০ জন। দ্বিতীয় ধাপে ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে আবেদন করেছিলেন ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৮ জন। আর তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে আবেদন করেছিলেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৮ জন।
২৯ মার্চ, ২০২৪

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ, ডিজিটাল নকল ধরবে ‘সুরক্ষা’ ডিভাইস
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইসের জালিয়াতি ধরতে অভিনব এক মেশিন বানিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় ‘সুরক্ষা’ নামে এ যন্ত্রটি পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারকারীকে চিহ্নিত করবে। পরীক্ষার হলে কোনো পরীক্ষার্থীর কানে বা অন্যকোনো অঙ্গে কোনো ডিজিটাল ডিভাইস ঢোকানো থাকলে হলে অথবা কোনো পরীক্ষার্থী ওই ধরনের ডিভাইস কানে রেখে থাকলে বুয়েট উদ্ভাবিত যন্ত্রে একটি লাইট জ্বলে উঠবে এবং শব্দ সংকেত বেজে উঠবে। আগামী ২৯ মার্চ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৫টি জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে এ যন্ত্র ব্যবহার করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে বুয়েটের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইআইটি) এই যন্ত্র তৈরি করেছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। তিনি জানান, কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় জালিয়াতির উদ্দেশ্যে কানের ভেতরে ডিজিটাল ডিভাইস রাখলে এ যন্ত্র তার সন্ধান দেবে। জালিয়াতির ডিভাইস কোনো পরীক্ষার্থীর কানে ঢোকানো হলে অথবা কোনো পরীক্ষার্থী ওই ধরনের ডিভাইস কানে রেখে থাকলে এ যন্ত্রে একটি লাইট জ্বলে উঠবে এবং শব্দ সংকেত বেজে উঠবে। যন্ত্রটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুরক্ষা’। সচিব জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার প্রতিরোধে যন্ত্র উদ্ভাবনের জন্য বুয়েটের আইআইটিসিকে ইনোভেশন ফান্ডের আওতায় ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এ যন্ত্র তৈরিতে প্রাথমিকভাবে ৮ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হবে। পরে বেশি উৎপাদন করা হলে দাম পড়বে ৫ হাজার ৫০০ টাকা। ফরিদ আহাম্মদ বলেন, আগামী ২৯ মার্চ তৃতীয় ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা থেকেই এই যন্ত্র ব্যবহার করা হবে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় ২৫টি যন্ত্র দিয়ে ৫টি টিম করে পরীক্ষা কেন্দ্রে এই যন্ত্রের পাইলটিং করা হবে। পরীক্ষার্থী বেশি এমন ৫টি জেলা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ এই জেলাগুলোতে আমরা পাইলটিং করব। শিগগিরই এর শতভাগ ব্যবহার শুরু হবে।
২১ মার্চ, ২০২৪

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ / তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার্থীদের যেসব নির্দেশনা মন্ত্রণালয়ের
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এই ধাপের পরীক্ষায় অংশ নেবেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের চাকরিপ্রার্থীরা। এদিন সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চাকরিপ্রত্যাশীদের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য পরীক্ষার্থীদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার (১৮ মার্চ) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য  জানা যায়। এতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগের তৃতীয় ধাপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) লিখিত পরীক্ষা ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার জন্য প্রার্থীরা ২৩ মার্চ থেকে admit.dpe.gov.bd-ওয়েবসাইটে ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে অথবা এসএসসির রোল, বোর্ড ও পাশের সন দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদেরকে অবশ্যই ডাউনলোডকৃত প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট এবং নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (মূল এনআইডি/স্মার্ট কার্ড) সঙ্গে আনতে হবে। পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য প্রবেশপত্রে লেখা থাকবে।  বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়িজাতীয় বস্তু, ইলেকট্রনিক হাতঘড়ি বা যে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, কমিউনিকেটিভ ডিভাইস, জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) ব্যতীত কোনো প্রকার ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড অথবা অন্য কোনো কার্ড বা এ জাতীয় বস্তু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করা বা সঙ্গে রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যদি কোনো পরীক্ষার্থী উল্লিখিত দ্রব্যাদি সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে তবে তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৮ মার্চ, ২০২৪

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩’ এর প্রথম ধাপের (বরিশাল, সিলেট, রংপুর বিভাগ) পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন সর্বমোট ২ হাজার ৪৯৭ জন প্রার্থী। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।  প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর  ৩ বিভাগের ১৮ জেলার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। লিখিত পরীক্ষায় ৯ হাজার ৩৩৭ জন উত্তীর্ণ হন।
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপে পাস ২০৬৪৭
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। উত্তীর্ণ হয়েছেন ২০ হাজার ৬৪৭ জন। গতকাল মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশিত হয়। উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ পরে জানানো হবে। এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ—এ তিন বিভাগের ২২ জেলায় সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার্থী ছিলেন ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ জন। এবারই প্রথম ধাপে নেওয়া হচ্ছে প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। গত বছর ৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের আওতাধীন জেলাগুলোয় পরীক্ষা হয়।
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল জানবেন যেভাবে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপের (খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ) লিখিত পরীক্ষার ফল আজ প্রকাশিত হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় ২০ হাজার ৬৪৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফল পাওয়া যাবে। পাশাপাশি উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে ফল পাঠিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখ ৩ বিভাগের ২২ জেলার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ জন। গত ২০ মার্চ ২০২৩ এ পরীক্ষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা জালিয়াতি চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগামীকালের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ২য় ধাপের (খুলনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ বিভাগ) লিখিত পরীক্ষায় ২০-২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে টিকিয়ে দেওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়ার প্রলোভনের অভিযোগে জয়পুরহাট জেলা পুলিশ তিনজন জালিয়াতি চক্রের সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- জয়পুরহাটের পাঁচবিবি কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ মো. রুস্তম আলী, মো. ইশান ইমতিয়াজ, গোকুল, বগুড়া সদর এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের রোকনুজ্জামান। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।  প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত লিখিত পরীক্ষার প্রাক্কালে জালিয়াতিচক্রের এ ধরনের প্রলোভনে কান না দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। জালিয়াতি চক্রের কোনো তৎপরতার সন্ধান পাওয়া গেলে নিকটস্থ থানায় অভিযোগের পরামর্শ দেন তিনি। মহাপরিচালক বলেন, ১ম পর্বের পরীক্ষার সময়ও এ ধরনের চক্র সক্রিয় ছিল। আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর সজাগ ও সতর্ক ভূমিকায় তাদের অপপ্রয়াস ব্যর্থ হয়েছে। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানান, সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় যেকোনো ধরনের অনিয়ম ঠেকানোর জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আগামীকালের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  
০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩
জয়পুরহাটে প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় এ চক্রের কাছ থেকে ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জামসহ বিপুল পরিমাণ মালামাল জব্দ করা হয়। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে জয়পুরহাট পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ নুরে আলম এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উচাই কলেজের অধ্যক্ষ পাঁচবিবি উপজেলার পশ্চিম বালিঘাটা এলাকার আনিছ উদ্দিনের ছেলে রুস্তম আলী (৫৩), বগুড়া  সদর উপজেলার গোকুল এলাকার আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে ইশান ইমতিয়াজ হৃদয় (৩০) ও কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার হরিনগাছী এলাকার আরজ আলীর ছেলে রোকনুজ্জামান রোকন (২৯)। পুলিশ সুপার বলেন, দেশের ৩টি বিভাগে আগামী (২ ফেব্রুয়ারি) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে গোপন সংবাদে জানা যায়, জয়পুরহাট জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে একটি জালিয়াতি চক্র জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলায় জালিয়াতি করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। প্রার্থীদের কাছ থেকে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা করে নেয় এ চক্রের সদস্যরা। তারা ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের পাস করিয়ে চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া নামে প্রতারণা করছিল। এমন গোপন সংবাদ পেয়ে ডিবি পুলিশের একটি দল পাঁচবিবি থানা এলাকায় রাতভর অভিযান পরিচালনা করে। পরে চক্রের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সুপার আরও বলেন, এ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা জালিয়াতি প্রতারক চক্রের সঙ্গে আরও ৩-৪ জন জড়িত আছে। তারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষে প্রতারণার কাজে জড়িয়ে পড়ে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের কাছ থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র, চেক, এটিএম কার্ড, বিভিন্ন প্রকারের ডিভাইস, ৬টি মোবাইল ফোন, সিম, এন্টিনা, এয়ার পট, ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জামসহ বিপুল পরিমাণ মালামাল জব্দ করা হয়েছে। এই প্রতারক চক্রটি রাজশাহী বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে নেটওয়ার্ক বিস্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে।
০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X