ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তার পদত্যাগ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গাজা নীতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করেছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মানবাধিকারবিষয়ক কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদ্য পদত্যাগ করা মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওই কর্মকর্তার নাম অ্যানেল শেলিন। মধ্যপ্রাচ্যের এই বিশ্লেষক মার্কিন সরকারের পক্ষে মানবাধিকার বিষয়ে প্রচারের পাশাপাশি এ-সংক্রান্ত দায়িত্বও পালন করতেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইসরায়েল নীতির বিরোধিতায় নিজের পদ ছেড়ে দেওয়া মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সর্বশেষ কর্মী তিনি। আল জাজিরা বলছে, শেলিন বুধবার ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তিনি এমন সময়ে বাইডেন প্রশাসন থেকে সরে দাঁড়ালেন, যখন গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে এবং অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে দুর্ভিক্ষ আসন্ন বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। শেলিনের পদত্যাগের আগে গেল অক্টোবরে পদত্যাগ করেছিলেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের আরেক কর্মকর্তা জশ পল। বাইডেনের গাজা নীতির প্রতিবাদে পদত্যাগ করা ওই কর্মকর্তা ছিলেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের রাজনৈতিক-সামরিকবিষয়ক ব্যুরোর একজন পরিচালক। এ ছাড়া একই কারণে গত জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেন মার্কিন শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা তারিক হাবাশ। জ্যেষ্ঠ এই মার্কিন কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগের পরিকল্পনা, মূল্যায়ন ও নীতি উন্নয়নের অফিসের বিশেষ সহকারী পদে ছিলেন। আল জাজিরার সঙ্গে কথা বলার সময় হাবাশ বলেছেন, অ্যানেল শেলিনের চলে যাওয়ার এই সিদ্ধান্ত সেটিই স্পষ্ট করছে, গাজা যুদ্ধের মধ্যে দেশে এবং বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কীভাবে হ্রাস পেয়েছে। তারিক হাবাশ বলেন, ‘এটা আশ্চর্যজনক নয়, এমন কিছু লোক আছেন যারা স্টেট ডিপার্টমেন্টে মানবাধিকার সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করার চেষ্টা করলেও তারা মনে করছেন, তারা তাদের কাজ করতে অক্ষম। শেলিন হয়তো বুঝতে পেরেছেন, একমাত্র উপায় যে তিনি প্রভাব ফেলতে পারেন তা হলো তার চলে যাওয়া। কারণ, প্রায় ছয় মাসে মার্কিন নীতিতে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ওয়াশিংটনের প্রভাব দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
২৮ মার্চ, ২০২৪

ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিয়ে ইসরায়েলের বিচার চাইলেন মাখোঁ
ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। দেশটির পক্ষ নিয়ে তিনি ইসরায়েলি সেনাদের বিচার দাবি করেছেন। শনিবার (০২ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদেনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  গত বৃহস্পতিবার গাজায় ত্রাণপ্রত্যাশীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মাখোঁ। তিনি এতে ইসরায়েলি সেনাদের ভূমিকার সত্যতা ও বিচার দাবি করেছেন।  গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার উপত্যকায় ত্রাণপ্রত্যাশীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। এতে করে অন্তত ১১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত সাত শতাধিক ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের দাবি, গাজার বাসিন্দারা ত্রাণের ট্রাক ঘিরে ফেলেছিল। এতে করে বিতরণের দায়িত্বে থাকা ইসরায়েলি সেনাদের বিপদের মুখে পড়েছিলেন। তাদের মতে, এ সময় পদদলিত হয়ে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।  ইসরায়েলের এক কর্মকর্তার দাবি, সেনারা সামান্য প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। তারা ত্রাণবাহী ট্রাকের এতবেশি কাছাকাছি চলে এসেছিল যে, তাতে ইসরায়েলি সেনারা ভয় পেয়ে গেছিলেন। তিনি গাজার হতাহতের সংখ্যা উড়িয়ে দিলেও এ নিয়ে নিজে কোনো মন্তব্য করেননি।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে মাখোঁ বলেন, গাজার ছবিগুলোর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছি। ইসরায়েলি সেনারা বেসামরিক লোকদের নিশানা করেছে। আমি এ গুলি চালানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সত্য ন্যায়বিচার ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধার বিষয়টিও পোস্টে উল্লেখ করেন মাখোঁ।  তিনি বলেন, গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ কার্যকর করা জরুরি।  এর আগে গতকাল শুক্রবার ফ্রান্স ইন্টার রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্তেফান সেজোর্ন বলেন, স্বাধীন তদন্তের জন্য জাতিসংঘের আহ্বানকে সমর্থন করবে প্যারিস।  তিনি বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজার মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ। সেখানে যা ঘটছে তা অযৌক্তিক ও সমর্থনযোগ্য নয়। ইসরায়েলকে এটা শুনতে ও তাদের থামতে হবে। জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে স্বাধীন তদন্তের অনুরোধ করা হয়েছে—ফ্রান্স এটা সমর্থন করবে।
০২ মার্চ, ২০২৪
X