বাংলা একাডেমি পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তিনি বিজয়ীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। এবার ১১ ক্যাটাগরিতে ১৬ জনকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার দেয়াও হয়েছে। এর আগে বিকেলে ৩টার দিকে তিনি বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।  এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘পড়ো বই, গড়ো দেশ : বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ (বই পড়ো, দেশ গড়ো : বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ)।’ ১ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। তবে রাত সাড়ে ৮টার পর কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সকাল ৮টায় মেলা শুরু হয়ে চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। মেট্রোরেল স্টেশনের কারণে গতবারের মূল প্রবেশপথ এবার একটু সরিয়ে বাংলা একাডেমির মূল প্রবেশ পথের উল্টো দিকে অর্থাৎ মন্দির গেটটি মূল প্রবেশপথ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ প্রকাশনা সংস্থার স্টল-প্যাভিলিয়ন নির্মাণকাজ শেষ। এখন চলছে সাজসজ্জার কাজ। এ বিষয়ে বাংলা প্রকাশনীর প্রকাশক আহসান আল আজাদ বলেন, আমাদের স্টল নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। শুধু কিছু সাজসজ্জার কাজ বাকি। আশা করি মেলা শুরুর দিন তা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বাংলা একাডেমি পুরস্কার ফেরত দিলেন জাকির তালুকদার
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ফেরত দিয়েছেন কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার। ২০১৪ সালে তিনি কথাসাহিত্যে অবদানের জন্য এ পুরস্কার পেয়েছিলেন। গতকাল রোববার তিনি ওই পুরস্কারের অর্থ ও সম্মাননা স্মারক কুরিয়ারের মাধ্যমে বাংলা একাডেমিতে ফেরত পাঠিয়েছেন। গতকাল জাকির তালুকদার ফেসবুকে এ তথ্য জানিয়ে বাংলা একাডেমি বরাবর ১ লাখ টাকা অর্থমূল্য ফেরতের ব্যাংক চেকের ছবি পোস্ট করেন। এ প্রসঙ্গে জাকির তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলা একাডেমির গণতন্ত্রহীনতা, আমলাতান্ত্রিকতা, ২৫ বছর ধরে কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন না করে ইচ্ছেমতো একাডেমি চালানোর জন্য বাংলা একাডেমি সচেতন মানুষের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব কমে গেলে পুরস্কারের গুরুত্ব থাকে না। এ জন্য এই পুরস্কার এখন আমার কাছে অর্থহীন বোঝা বলে মনে হচ্ছে। বাংলা একাডেমি নিজের মান ধরে রাখতে পারেনি, এটা দুঃখজনক। পুরস্কার ফেরত দেওয়ার বিষয়ে বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন কালবেলাকে বলেন, জাকির তালুকদার এ কাজটি কোন যুক্তিতে করেছে, সেটা আমরা দেখব। মহাপরিচালকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হবে। ২০১৪ সালে জাকির তালুকদার তার ‘মুসলমানমঙ্গল’ গ্রন্থের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন। এ কথাসাহিত্যিকের ২৪টির বেশি সাহিত্যকর্ম আছে। এর মধ্যে ‘পিতৃগণ’, ‘কুরসিনামা’, ‘কবি ও কামিনী’, ‘ছায়াবাস্তব’, ‘রাজার সেপাই’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। # # # # # # # # # # # # # # # #
২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

বাংলা একাডেমি পুরস্কার ফিরিয়ে দিলেন জাকির তালুকদার
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ফিরিয়ে দিলেন কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার। রোববার (২৮ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে জাকির তালুকদার লিখেছেন, ‘পাঠিয়ে দিলাম। খুব ভারমুক্ত লাগছে।’ সাথে পুরস্কার ফেরত দেওয়ার আবেদন ফর্মের একটি ছবি ও একটি চেকের পাতা সংযুক্ত করেছেন তিনি।  এই কথাসাহিত্যিক ফেসবুকে এমন পোস্ট দেওয়ার পরপরই তার শুভানুধ্যায়ীরা পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার কারণ জানতে চান। তখন একজনের পোস্টে রিপ্লাই দিয়ে জাকির তালুকদার লিখেছেন, এই বিষয়ে আগামীকাল বিস্তারিত জানাবেন তিনি।  ২০১৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন জাকির তালুকদার। তিনি বেড়ে উঠেছেন নাটোরে। কর্মজীবনে তিনি একজন চিকিৎসক। বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসা ও গবেষণা বিভাগে কাজ করছেন তিনি। জাকির তালুকদার বরাবর সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সাংস্কৃতিক ও সামাজিক আন্দোলনে যুক্ত থাকায় তার গদ্যে সমাজ বাস্তবতার সঙ্গে রাজনীতি ও ইতিহাসচেতনা এসেছে ভিন্ন মাত্রা নিয়ে। লেখালেখির শুরু থেকেই তিনি আলাদা এক পথ নির্মাণে সচেষ্ট ছিলেন। তার লেখায় ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে পুরাণের সংমিশ্রণ সম্পূর্ণ ভিন্ন এক মাত্রা নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। পিতৃগণ ছাড়া কুরসিনামা, মুসলমানমঙ্গল, কবি ও কামিনী, ‘ছায়াবাস্তব, কল্পনা চাকমা ও রাজার সেপাই তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেলেন ৭ গুণীজন
বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সাত বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বাংলা একাডেমি সাম্মানিক ফেলোশিপ-২০২৩ এবং পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত বাংলা একাডেমির সাধারণ পরিষদের ৪৬তম বার্ষিক সভায় গতকাল শনিবার এ ফেলোশিপ এবং পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার ও ফেলোশিপপ্রাপ্তদের হাতে অর্থমূল্য, সম্মাননাপত্র ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন ও মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। বাংলা একাডেমি সম্মানসূচক ফেলোশিপ ২০২৩ পেয়েছেন মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু (সাংবাদিকতা), এ কে শেরাম (আদিবাসী গবেষণা), আলম দেওয়ান (ফোকলোর), তানভীর মোকাম্মেল (চলচ্চিত্র), আক্কু চৌধুরী (মুক্তিযুদ্ধ), ফালগুনী হামিদ (সংস্কৃতি) এবং হালিদা হানুম আখতার (চিকিৎসাবিজ্ঞান)। কবি নির্মলেন্দু গুণ ‘মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার’, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার ‘অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ নাট্যজন পুরস্কার’, অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ ‘আবু রুশ্দ সাহিত্য পুরস্কার’, ডা. এবিএম আবদুল্লাহ ‘মেহের কবীর বিজ্ঞানসাহিত্য পুরস্কার’, ড. অনুপম সেন ‘সাহিত্যিক মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ প্রবন্ধ-সাহিত্য পুরস্কার’, কবি ওমর কায়সার ‘সাদত আলি আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার’ এবং আবদুল গাফফার ‘হালীমা-শরফুদ্দীন বিজ্ঞান পুরস্কার’ পেয়েছেন। নির্মলেন্দু গুণের পক্ষে তার মেয়ে মৃত্তিকা গুণ এবং আক্কু চৌধুরীর পক্ষে রামেন্দু মজুমদার পুরস্কার ও ফেলোশিপ গ্রহণ করেন। সাধারণ সভা সঞ্চালনা করেন একাডেমির পরিচালক কে এম মুজাহিদুল। অনুষ্ঠানে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন মহাপরিচালক। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট অবহিত করেন একাডেমির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মো. হাসান কবীর। সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও বাংলা একাডেমির পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সভা শুরু হয়।
২৬ নভেম্বর, ২০২৩
X