গাজীপুরে বিআরটি প্রকল্প নিয়ে গণশুনানি
নগরে ছন্দময় পথচলার অঙ্গীকার নিয়ে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে দেশের প্রথম বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প। গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রকল্পটির অগ্রগতি ও সম্ভাবনা এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের চাহিদা বাস্তবায়ন নিয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। যানজট নিরসনে গাজীপুরের শিববাড়ি থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার বিআরটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। গণশুনানি অনুষ্ঠানে যোগ দেন সড়ক ও সেতু বিভাগের অতিরিক্ত সচিব একেএম শামীম আক্তার। এতে গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ বিআরটি প্রকল্পের শীর্ষ কর্মকর্তা, নগর পরিকল্পনাবিদ, শিক্ষাবিদ ও স্থানীয় সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন। গণশুনানিতে আয়োজকরা জানান, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ডিসেম্বরে চালু হচ্ছে বিআরটি প্রকল্প। এতে ২৫টি স্টেশনের মাধ্যমে যাত্রীরা ৩০-৪০ মিনিটে বিমানবন্দরে যেতে পারবেন। বিআরটি লেনে কোনো সিগন্যাল বা ক্রসিং থাকবে না। তবে শুনানিতে অংশ নেওয়া বক্তারা সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদের এ প্রকল্প নিয়ে নানা অসংগতি তুলে ধরেন। এতে গণপরিবহন ব্যবস্থায় তেমন উন্নতি ঘটবে না বলে মত দেন তারা। এ ছাড়া সরু লেন, ফুটপাত না থাকা এবং প্রকল্পের ডিজাইনের বিভিন্ন ত্রুটির কথা উল্লেখ করা হয়। এ সময় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে গাজীপুরবাসীকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে কাকলি, বনানী যেতে ৪০ মিনিট সময় লাগত, এখন এই প্রকল্পে বিমানবন্দরে যেতে লাগবে ৪০ মিনিট। এ সময় তিনি সার্ভিস সড়ক, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ইউটার্ন নিয়ে অসংগতি ও নকশার বিভিন্ন ত্রুটি নিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে তার বক্তব্য তুলে ধরেন। সমস্যা সমাধানে গণপরিবহন চলাচলের জন্য বিকল্প সড়কের প্রস্তাব দেন তিনি। এ প্রকল্পের কিছু ত্রুটির কথা স্বীকার করে অতিরিক্ত সচিব বলেন, যেসব সমস্যার কথা এখানে আলোচনা হয়েছে সমাধানের জন্য সেগুলোর সারসংক্ষেপ সরকারের কাছে উপস্থাপন করা হবে। গণশুনানিতে বিআরটি প্রকল্প বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন, মহানগর পুলিশ, গাজীপুর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করার তাগিদ দেওয়া হয়।
২৮ মার্চ, ২০২৪

জুনের মধ্যে চালু হবে বিআরটি প্রকল্প : ওবায়দুল কাদের 
এক যুগেও কাজ সমাপ্ত না হওয়া বিআরটি প্রকল্প এ বছরের জুন মাসের মধ্যে চালু হবে আশা প্রকাশ করেছেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর বনানীর সেতু ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বছরের জুনের মধ্যে বিআরটি প্রকল্প শেষ হবে। এখনই নিচের অংশের আর ভোগান্তি নেই। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক কর্তৃক বিআরটির জন্য একটি প্রাথমিক সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হয়। ১ ডিসেম্বর ২০১২ সালে একনেক ঢাকা বিআরটি প্রকল্প অনুমোদন করে। তারপর গত ১২ বছরেও প্রকল্পটি শেষ হয়নি।
১৬ জানুয়ারি, ২০২৪
X