টেকনাফ সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে আরও ১৩ বিজিপি সদস্য
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত এলাকা দিয়ে আবারও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৩ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) হেফাজতে রাখা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে টেকনাফের নাফ নদী সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে কোস্টগার্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদের নিরস্ত্র করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে মিয়ানমারের ৪৬ জন বিজিপি সদস্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এ নিয়ে মোট ২৭৪ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নাফ নদী সীমান্ত অতিক্রম করে তারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন। এ সময় তারা কোস্টগার্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরবর্তীতে কোস্ট গার্ড বিজিপি সদস্যদের বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) নিকট হস্তান্তর করে। বর্তমানে মোট ২৭৪ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে আছেন। উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে ৩৩০ জন বিজিপি সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার নৌ-সীমান্ত দিয়ে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। এরপর নতুন করে আরও ২৭৪ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এসব বিজিপি সদস্যদের আগামী সপ্তাহে ফেরত পাঠানো হতে পারে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলাদেশে আশ্রয় নিল আরও ৪৬ বিজিপি সদস্য
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতির জের ধরে বাংলাদেশে নতুন করে আশ্রয় নিয়েছেন আরও ৪৬ জন সেনা ও মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্য। তবে সেনা সদস্যরা কোন বাহিনীর কত জন তা এখনই বলা যাচ্ছে না। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৪৪নং পিলার সাপমরা ঝিরি ও আশারতলী সীমান্ত দিয়ে তারা পালিয়ে আসেন। তাদের নিরস্ত্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শরিফুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সেনাবাহিনী ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাসহ মিয়ানমারের মোট ২৬০ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। বিজিবি সূত্র জানা যায়, পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া সীমান্তরক্ষীর (বিজিপি) সদস্যদের ১১ বিজিবির ব্যাটালিয়ন–সংলগ্ন বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। তাদের পরিচয় শনাক্তের পাশাপাশি তথ্যভাণ্ডার তৈরির কাজ চলছে। তারা কে বিজিবির তত্ত্বাবধানে আছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি তাদের আঙুলের চাপসহ ডেটাবেজ তৈরির কাজ করা হবে। পরে তাদের ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু হবে। সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, টানা আড়াই-তিন মাস ধরে মিয়ানমারের রেখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। তুমুল যুদ্ধে ইতোমধ্যে মংডু টাউনশিপের উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব পাশের রাচিডং টাউনশিপসহ ১২ থেকে ১৫টি থানা ও পুলিশ ক্যাম্প দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে বিজিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ প্রতিবেদক বলেন, কোনো প্রকার জটিলতা সৃষ্টি না হলে চলতি এপ্রিলেই মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা জান্তা সদস্যদের তাদের দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হতে পারে।  নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার জানিয়েছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কয়েক দিন ধরে গোলাগুলি চলছে। আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে সীমান্ত অতিক্রম করে গতকাল রাতেও ৪৬ জন মিয়ানমারের জান্তা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি জানান, বর্তমানে সীমান্তে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে দেখা গেছে। পাশাপাশি তিনিও তার পরিষদের মেম্বার ও গ্রাম পুলিশদের সীমান্ত পয়েন্টে সতর্ক থাকতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জের ধরে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসে বিজিপির সদস্যসহ ৩৩০ জন। যার মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, চারজন বিজিপি পরিবারের সদস্য, দুজন সেনাসদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য ও চারজন বেসামরিক নাগরিক। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সেনাসহ ৩৩০ জনকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠানো হয়।
১৭ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলাদেশে আশ্রয় নিল আরও ৫ বিজিপি সদস্য
একদিন না পেরোতেই জীবন বাঁচাতে আবারও বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ৫ সদস্য। কক্সবাজার টেকনাফের খারাংখালী সীমান্ত দিয়ে তারা প্রবেশ করে। রোববার (১৪ এপ্রিল) রাত ১১টার পরে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং খারাংখালী এবং ঝিমংখালী সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা বাংলাদেশে ঢুকে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগে রোববার সকালে খারাংখালী সীমান্ত দিয়ে অস্ত্রসহ মিয়ানমার বর্ডারগার্ড পুলিশের ৯ জন সদস্য আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এ নিয়ে একদিনে মোট ১৪ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। নতুন করে আরও কয়েক মিয়ানমারের বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে জানিয়ে টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভাষা সমস্যাসহ নানা কারণে আমরা সম্পূর্ণ পরিচয় নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে যেটুকু তথ্য সংগ্রহ করেছি তাতে সবাই মিয়ানমারের বর্ডার পুলিশের সঙ্গে যুক্ত বলে জেনেছি। বিজিপির সদস্যরা আমাদের হেফাজতে রয়েছে। এর আগে গত মার্চে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসেছিলেন ১৭৭ জন মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্য। এরপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর আরও ৩ জন সদস্য তুমব্রু সীমান্তের কোণারপাড়া দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তাদেরকেও নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়নে নিয়ে যাওয়া হয়। এ নিয়ে সর্বমোট ১৯৪ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

আবারও বাংলাদেশে আশ্রয় নিল মিয়ানমারের ৯ বিজিপি সদস্য
মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের জেরে কক্সবাজার টেকনাফের কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) নয় সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে হেফাজতে নিয়েছে বিজিবি। রবিবার (১৪ এপ্রিল) টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ কালবেলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে তারা পালিয়ে এসেছে। তবে কতজন সদস্য পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন তার সংখ্যা এখনই সঠিক বলা যাচ্ছে না। সবাইকে একত্রে করে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের সংখ্যা জানানো হবে। তবে ‍বিজিবির এক কর্মকর্তা বলেছেন, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ঝিমংখালী ও খারাংখালী সীমান্ত দিয়ে বিজিপির নয় সদস্য পালিয়ে এসেছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত অবস্থায় রয়েছে। অস্ত্র জমা নিয়ে তাদের প্রথমে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দিকে নিয়ে গেছে বিজিবি। এদিকে ঈদের দিন থেকে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ‌্যে জান্তা সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির চলমান তুমুল চলমান যুদ্ধে একের পর এক মর্টার শেল ও গোলার বিকট শব্দে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের আতঙ্ক কাটছে না।  টেকনাফের হ্নীলার স্থানীয় বাসিন্দা মো. জুলফিকার আলি বলেন, ঈদের পর শুরু হওয়া ওপারের গোলার শব্দ এখনো এপারে পাওয়া যাচ্ছে। যুদ্ধে টিকতে না পেরে প্রাণে বাঁচতে দেশটির বিজিপির ৯ সদস্য সীমান্ত দিয়ে এপারে ঢুকে পড়েছে। বিজিবি তদের হেফাজতে নিয়েছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, বিজিপি সদস্যদের নিরস্ত্র করে বিজিবি হেফাজতে নিয়েছে। সীমান্তে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। পাশাপাশি সীমান্তে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহলের পাশাপাশি সর্তক অবস্থানে আছেন। এর আগে গত ১১ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসেছিলেন ১৭৯ জন মিয়ানমার বর্ডার পুলিশ (বিজিপি) সদস্য। তারা নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়নের হেফাজতে রয়েছেন। তাদের মিয়ানমারের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।  এরও আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসে বিজিপির সদস্যসহ ৩৩০ জন। এরমধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, চারজন বিজিপি পরিবারের সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য ও চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠানো হয়।
১৪ এপ্রিল, ২০২৪

১৭৯ বিজিপি সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে গুলিবিদ্ধ ইউপি সদস্য
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত এলাকা দিয়ে গতকাল সোমবার দুপুরে ও সন্ধ্যায় দুই দফায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৯ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা মিয়ানমারের অংথাপায়া ক্যাম্প থেকে বাংলাদেশে ঢুকেছেন বলে জানা গেছে। এদিকে মিয়ানমারে দুপক্ষের গোলাগুলিতে একটি গুলি এসে লেগেছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য সাবের হোসেনের শরীরে। গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে জামছড়ি সীমান্তের শূন্যরেখায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, দুপুরে প্রথমে ২৯ জন বিজিপি সদস্য জামছড়ি সীমান্তের ৪৫ নম্বর সীমান্ত পিলারের এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকে। নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবির ১১ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাদের নিরস্ত্র করে পার্শ্ববর্তী নুরুল আলমের চা বাগানে রেখে খাওয়া- দাওয়ার ব্যবস্থা করে। সন্ধ্যার আগে ওই ২৯ জন বিজিপি সদস্যকে উপজেলা সদরের দিকে নিয়ে আসার কিছুক্ষণ পর সীমান্ত দিয়ে আরও ১৫০ বিজিপি সদস্য পালিয়ে আসেন। তাদের নিরস্ত্র করে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে বলে বিজিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ফলে একদিনে মোট ১৭৯ জন পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম। বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন রাতে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশকারী সবার অস্ত্র জমাদানের পর বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে। সন্ধ্যায় পালিয়ে আসাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত দুজন রয়েছেন বলেও কোনো কোনো সূত্রে জানা গেছে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধের মধ্যে পালিয়ে আসা বিজিপি ও মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। পরে তাদের জাহাজে করে ফেরত পাঠানো হয়। এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুপুরে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ২৯ বিজিপি সদস্যদের খোঁজ নিতে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সঙ্গে জামছড়ি এলাকা সীমান্তে যান ইউপি সদস্য সাবের। ৫টার দিকে হঠাৎ একটি গুলি তার বাঁ পায়ের হাঁটুতে লাগে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা সাংবাদকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসেন। আহত সাবের হোসেনের সঙ্গে থাকা নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবদুল হামিদ বলেন, বিজিপি সদস্যদের বিষয়ে খোঁজ নিতে এবং সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে ইউপি সদস্যসহ আমরা অনেকে জামছড়ি সীমান্তের শূন্যরেখায় যাই। তখনো ওপারে গোলাগুলি হচ্ছিল। হঠাৎ একটি গুলি সাবের হোসেনের পায়ে লাগে। আমরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসি। আহত ইউপি সদস্য সাবেরের মোবাইল নম্বর যোগাযোগ করা হলে তার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে একজন ফোন ধরেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে প্রচণ্ড যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তিনি (সাবের)। ঠিকমতো কথা বলতে পারছেন না। ভাগ্য ভালো যে গুলি বেরিয়ে গেছে।
১২ মার্চ, ২০২৪
X