শেকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ মে ২০২৪, ০২:২৬ এএম
আপডেট : ১৭ মে ২০২৪, ১০:০৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

শেকৃবি উপাচার্যের অনিয়ম তদন্তে ইউজিসি

গ্রাফিক্স : কালবেলা
গ্রাফিক্স : কালবেলা

দুই ছেলেকে নিয়োগ দিয়েছেন, ভাগ্নিও পেয়েছেন চাকরি। চাকরির নিশ্চয়তায় বড় ছেলের বউও করেছিল আবেদন, তবে সমালোচনা এড়াতে শেষ পর্যন্ত সরে এসেছেন। রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ছাড়াও নিয়োগ, টেন্ডার, একাডেমিক, প্রশাসনিক এবং আর্থিক ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি)। সেগুলো আমলে নিয়ে শেকৃবি প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে ইউজিসি। সেখানে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে অভিযোগগুলোর ব্যাখ্যা চেয়েছে ইউজিসি। পাশাপাশি অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চলমান সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন হচ্ছে।

জানতে চাইলে ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান কালবেলাকে বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে শেকৃবির উপাচার্যের দুর্নীতি বিষয়ে বেশকিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি ইউজিসিতে লিখিত অভিযোগও এসেছে। সেগুলোকে আমলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার শেকৃবি রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠানো ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শেকৃবির জনবল নিয়োগ, টেন্ডার, একাডেমিক, প্রশাসনিক এবং আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে কমিশন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি অভিযোগপত্র পাওয়া গেছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় এ-সংক্রান্ত প্রকাশিত সংবাদ কমিশনের নজরে এসেছে। অভিযোগগুলোর বিষয়ে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দফাওয়ারি বক্তব্য কমিশনে পাঠানোর অনুরোধ করা হলো। নিয়োগ-সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান নিয়োগ কার্যক্রমের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের নিমিত্ত কোন প্রস্তাব সিন্ডিকেটে উপস্থাপন না করার অনুরোধ করা হলো। উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রমাণকসহ লিখিত বক্তব্য পাওয়ার পর কমিশনের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে জানানো হবে।

জানতে চাইলে শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া কালবেলাকে বলেন, আমার স্ত্রীর আগের ঘরের ছেলেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাকে আমি নিয়োগ দিয়েছি বলে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। ছেলে হামিমের নিয়োগের বিষয়ে বলেন, ওর নিয়োগ বোর্ডে আমি ছিলাম না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সেখানে ছিলেন। এ ছাড়া, বোনের মেয়ের নিয়োগের সময়ও আমি বোর্ডে ছিলাম না। কাজেই স্বজনপ্রীতির অভিযোগগুলো মিথ্যা। অন্য অভিযোগগুলোও মিথ্যা দাবি করে তিনি বলেন, যারা আমার কারণে অনিয়ম-দুর্নীতি করতে পারেনি তারাই এসব বলে বেড়াচ্ছে। এগুলোর কোনো ভিত্তি নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সকাল ৯টার মধ্যে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে যেসব জেলায় 

‘কার্টা ব্লু’ ভিসা নিয়ে বাংলাদেশিদের সতর্ক করল ইতালি

যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা ড. মুজিবের ছেলের বিয়েতে সস্ত্রীক তারেক রহমান 

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ব্যাপক হতাহত, হেফাজতের শোক ও সহায়তার আহ্বান

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন কর্মসূচি দিল ছাত্রদল

বনানীর সেলসিয়াস সিসা লাউঞ্জে পুলিশের অভিযান

অবশেষে মাদক সম্রাজ্ঞী আ.লীগ নেত্রী স্বপ্না আক্তার আটক

সর্বদলীয় বৈঠক শেষে ফেরার পথে জাগপা সভাপতিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম

আদাবরে পুলিশের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা

নাটোরে ডা. আমিরুলকে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি ড্যাবের

১০

গাজীপুরের কমিশনারের দায়িত্ব থেকে সরানো হলো নাজমুল করিমকে

১১

একাত্তরে ভুল করেছেন, এখনো ভুলের রাজনীতিতে আছেন : টুকু

১২

দুই কিংবদন্তি অলরাউন্ডার সাকিব ও সিকান্দারকে ‘এক’ করলেন জুলফিকার!

১৩

বিএনপিকে এনসিপির শুভেচ্ছা / ‘আমরা তর্কবিতর্ক করব কিন্তু পারস্পরিক সৌহার্দ্য থাকবে’

১৪

পুরো সেপ্টেম্বরের পূর্বাভাস জানাল আবহাওয়া অফিস

১৫

নদীতে জাল ফেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে হামলা, জেলের মৃত্যু

১৬

ক্ষমা চাইলেন রিটকারীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া সেই শিক্ষার্থী

১৭

আহত চবি শিক্ষার্থীদের দেখতে চমেকে শাহজাহান চৌধুরী

১৮

জাঁকজমক আয়োজনে রুয়েটে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন

১৯

দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু

২০
X