‘ডেডবডি’র প্রচারণায় বিশুদ্ধ পানি বিতরণ
প্রযোজক-পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল। ভৌতিক ঘটনার অবলম্বনে  নির্মাণ করেছেন সিনেমা ‘ডেডবডি’। রোজার ঈদে এটি মুক্তির কথা ছিল দেশের সিনেপ্লেক্সগুলোতে। তবে শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে যায়। মের ৩ তারিখ মুক্তি পাচ্ছে এটি।  মুক্তির তারিখ সামনে রেখে সোমবার (২৯ এপ্রিল) মোটরসাইকেল পদযাত্রা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ করে সিনেমাটির কলাকুশলীরা। প্রায় দেড় শতাধিক মোটরসাইকেল ও পিকআপ ভ্যান ও মাইক্রো নিয়ে সিনেমাটিন শিল্পীরা পদযাত্রা করেন।  পদযাত্রা শুরু হয় এফডিসি থেকে। এরপর ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, শ্যামেলী সিনেমা হল হয়ে এ পদযাত্রা শেষ হয় মিরপুর সনি  স্কয়ারে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিচালক ইকবাল, অভিনেতা ওমর সানী, সংগীত পরিচালক এফ এ প্রীতম প্রমুখ। এ সময় ইকবাল বলেন, ‘আমি ভুল সময় সিনেমাটি মুক্তি দিতে চাইনি যার কারণে শেষমুহূর্তে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসি। কারণ, এবারের ঈদে ১১টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। একসঙ্গে এতগুলো সিনেমা তো হুমকি। আমাদের তো পর্যাপ্ত সিনেমা হল নেই। এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া অনেক সিনেমা ওয়েব সিরিজ হয়েছে। সিনেমা ভিন্ন বিষয়। সেগুলো দর্শক কিন্তু ফিরিয়ে দিয়েছে। মের ৩ তারিখ আরেকটি ঈদ হতে যাচ্ছে। সবাইকে সিনেমা হলে এসে ‘ডেডবডি’ দেখার আমন্ত্রণ রইল।’ ওমর সানী বলেন, ‘প্রায় দুই শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছি। তবে এমন চরিত্রে এবারই প্রথম কাজ করেছি। যারা বাংলা সিনেমা ভালোবাসেন তাদের হলে এসে সিনেমাটি দেখার অনুরোধ করব। সিনেমাটি নিয়ে আমি বেশ আশাবাদী।’ ‘ডেডবডি’তে অভিনয় করেছেন ওমর সানী, মিশা সওদাগর, শ্যামল মাওলা, জিয়াউল রোশান, মিষ্টি জাহান, রাশেদ মামুন অপু, কলকাতার এনিসহ অনেকেই। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে ট্রেলার। আর ট্রেলার মুক্তির পর রীতিমতো এর প্রশংসায় মেতেছেন নেটিজেনরা।  
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

আইএসইউর উদ্যোগে শ্রমজীবীদের মাঝে শরবত ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির (আইএসইউ) উদ্যোগে মহাখালী ওয়্যারলেস এলাকায় শ্রমজীবীদের মাঝে শরবত ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হচ্ছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) শ্রমজীবী মানুষের জন্য এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে আগামী তিন দিন। তীব্র তাপপ্রবাহে ঢাকাসহ সারা দেশের জনজীবন যখন হাঁসফাঁস, তখন শ্রমজীবী মানুষের জন্য ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগ নিয়েছে। আইএসইউ উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল খান উপস্থিত থেকে শ্রমজীবীদের মাঝে শরবত ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করেন। এ সময় উপাচার্য বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে শ্রমজীবী ও দিনমজুররা সবচেয়ে বেশি কষ্ট ভোগ করেন। মানবিক দিক বিবেচনা করে আইএসইউ চেষ্টা করেছে শরবত বা পানি পানের মাধ্যমে তাদের তৃষ্ণা নিবারণের এবং কিছুটা প্রশান্তি দেওয়ার। আমরা জাতীয় দুর্যোগে সবসময় চেষ্টা করি মানুষের পাশে দাঁড়াতে। আইএসইউর এই কার্যক্রমের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে, তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শ্রমজীবীরা বলেন, এবারের গরমে কিছুক্ষণ পরপর তৃষ্ণা পায়, তাই পানি পানের ব্যবস্থা করায় তারা খুবই খুশি। এ আয়োজনের আহ্বায়ক ও আইএসইউ প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের উপপরিচালক আবু নাজিম জানান, সামাজিক ও মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে শ্রমজীবী ও দিনমজুরদের জন্য আইএসইউ এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় মানুষকে সচেতন করাও আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত ট্রেজারার এইচটিএম কাদের নেওয়াজ, আইএসইউ রেজিস্ট্রার মো. ফাইজুল্লাহ কৌশিক, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর মোহাম্মদ আলী, মানবিক ও সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আবুল কালাম আজাদ, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বাসেদ মিয়া, সহকারী অধ্যাপক জগলুল হক মৃধা, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারপারসন ড. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান আবু জাফর মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। কর্মসূচিতে বিভিন্ন প্রোগ্রামের শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও অংশ নেন।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন পাচ্ছেন ট্রাফিক সদস্যরা
বৈশাখের খরতাপে কদিন ধরেই জনজীবন দুর্বিষহ। কিন্তু এই তীব্র গরমেও খোলা আকাশের নিচে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা। প্রচণ্ড তাবদাহে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশদের একটু স্বস্তি দিতে অনন্য উদ্যোগ নিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। তার নির্দেশনায় ৮টি ট্রাফিক বিভাগের সব সদস্যদের বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাবার স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার এ কার্যক্রম শুরু হয়। তাপদাহ যতদিন থাকবে, ততদিন তা চলবে বলে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ট্রাফিক রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সোহেল রানা জানান, এই অসহনীয় গরমে রাস্তায় ডিউটি করা কষ্টকর। পুলিশ সদস্যদের জন্য বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইনের ব্যবস্থা করায় কমিশনার স্যারের প্রতি সবাই কৃতজ্ঞ। এ উদ্যোগ তীব্র গরমেও ট্রাফিক সদস্যদের দায়িত্ব পালনে আরও উদ্বুদ্ধ করবে।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

ট্রাফিক সদস্যদের বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন দিচ্ছে ডিএমপি কমিশনার
বৈশাখের খরতাপে কয়েকদিন ধরেই হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। প্রচণ্ড দাবদাহে জনজীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। এই তীব্র গরমের মাঝেও খোলা আকাশের নিচে দায়িত্ব পালন করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা। তীব্র গরমে দায়িত্বরত সকল ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের স্বস্তি দিতে এক অনন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। তার নির্দেশনায় ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগের সকল পুলিশ সদস্যদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাবার স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে।  গত বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বরত সব সদস্যের মাঝে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এই তীব্র দাপদাহ যতদিন থাকবে ততদিন চলবে এই কার্যক্রম। এ বিষয়ে ট্রাফিক রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. সোহেল রানা জানান, এই অসহনীয় গরমে রাস্তায় ডিউটি করা সত্যিই কষ্টকর। কমিশনার স্যার এই উপলব্ধি থেকে ট্রাফিকের সব পুলিশ সদস্যের জন্য বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইনের ব্যবস্থা করেছেন, এজন্য স্যারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। স্যারের এই উদ্যোগ ট্রাফিকের সব সদস্যের এই তীব্র মাঝেও দায়িত্ব পালনে আরও উদ্বুদ্ধ করবে।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি জাহাজের বিশুদ্ধ পানি
ভারত মহাসাগরে জিম্মি বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজে সুপেয় পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। সোমালি জলদস্যুরা জাহাজটির পানি ব্যবহার করায় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে বিশুদ্ধ পানি। তবে কিছুদিন আগে জিম্মি ২৩ নাবিকের খাবারে ভাগ বসালেও পরে তারা তীর থেকে খাবার এনে খাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাহাজে নতুন করে খাবার ঢুকলে মজুতের পরিমাণ বাড়বে। জিম্মি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর প্রধান কর্মকর্তা মো. আতিক উল্লাহ খানের সঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার কথা হয় তার মা শাহানুর আকতারের। কালবেলাকে শাহানুর জানান, ইফতারের পর আমার ছেলে কল দিয়েছিল। দীর্ঘক্ষণ আলাপ হয়েছে। বলেছে, জলদস্যুরা জাহাজে যেসব খাবার আনছে, এখন তা শুধু তারাই খাচ্ছে। তিনি বলেন, জাহাজে নাবিকদের জন্য ২৫ দিনের খাবার মজুত ছিল। বিশুদ্ধ পানি ছিল ২ হাজার টন। বর্তমানে বিশুদ্ধ পানির সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে। কারণ নাবিকদের রান্না-খাওয়া এবং জাহাজের ইঞ্জিন চালু করতে প্রয়োজন বিশুদ্ধ পানি। নাবিকদের সঙ্গে জাহাজে ৫০ জলদস্যুও অবস্থান করায় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে বিশুদ্ধ পানি। বর্তমানে শুধু রান্নাতেই বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে অনেকের ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খাবার নিয়ে তেমন দুশ্চিন্তার কারণ নেই। তবে পানি সংকট ভাবিয়ে তুলেছে। বিশুদ্ধ পানি না পেলে খাবার রান্না করা যাবে না, ব্যবহারও করতে পারবে না। বর্তমানে যে পানি আছে, তা রেশনিং করে চলতে হচ্ছে। এদিকে ২৩ দিনেও জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি। মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ হলেও জলদস্যুরা তাদের ডিমান্ড জানায়নি। আলোচনা চলছে বলে জানিয়ে কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, জলদস্যুরা সাধারণত দ্রুত সমাধানে আসে না; এটা তাদের কৌশল হতে পারে। এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি চট্টগ্রামের কেএসআরএম গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন। ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪
X