কুয়াকাটা সৈকত / বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সাগরের ঢেউয়ের মিতালিতে পর্যটকরা
টানা তিন দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটার সৈকত এখন পর্যটকদের আগমনে টইটম্বুর। কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থানগুলো এখন পর্যটকে মুখর হয়ে উঠছে। ব্যস্থ সময় পার করছে পর্যটননির্ভর ব্যবসায়ীরা। গত বুধবার থেকে টানা পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েই চলছে। বিশ্ব পর্যটন দিবস ও ঈদে মিলাদুন্নবীসহ টানা ছুটিতে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের বাড়তি বিনোদন দিতে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন, কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন ও কুয়াকাটা পৌরসভার পক্ষ থেকে কুয়াকাটা সৈকতসংলগ্ন ট্যুরিজম পার্কে গ্রহণ করা হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা ছুটে চলছে কুয়াকাটার নান্দনিক স্পটগুলো। কেউ কেউ সৈকতে ঢেউয়ের মিতালিতে মেতে উঠছে। কেউ নিজের ভ্রমণকে স্মৃতি হিসেবে রাখতে তুলছে সেলফি। সৈকতে পেতে রাখা বেঞ্চে পর্যটকরা বসে উপভোগ করছে সৈকতের সৌন্দর্য। সৈকতনির্ভর ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা বেড়েছে। বিক্রিও বেড়েছে বহুগুণ। বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে হোটেল-মোটেল  পঞ্চাশ শতাংশ ছাড় ঘোষণা দিয়েছিল হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। এ ছাড়ের পরপরই অধিকাংশ হোটেল মোটেলের রুম অগ্রীম বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় ও ব্যবসায়ীরা মনে করছেন পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে কুয়াকাটায় পর্যটকদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে।  এখন সারাদিনই পর্যটক আসে তবে বিশেষ দিনে সেটি তিনগুণ হয়। কনফিডেন্স ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপক মো. সাইদুর রহমান বলেন, টানা তিনদিনের ছুটির কারনে পর্যটকদের বাড়তি চাপ আছে। আমরা আমাদের সেরা সেবাটাই দিয়ে থাকি পর্যটকদের। ঢাকা থেকে আগত পর্যটক মো. মেহেদী হাসান বলেন, কুয়াকাটা অনেক সুন্দর একটা জায়গা। ঢেউ, বালু ও এখানকার ব্যবস্থাপনা সব কিছুই মুগ্ধ করেছে। ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, বিশ্ব পর্যটন দিবস ও ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে হাজার হাজার পর্যটকদের আগমন হয়েছে। আগত পর্যটকদের বাড়তি বিনোদন দিতে নানা আয়োজন গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যটকদের আগমনে আমরা যেমন খুশি সেই রকম যেন পর্যটকরাও খুশি থাকে সেই চেষ্টা করে চলছে টোয়াক। হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদ হাসান বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকেই যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার ফলে পর্যটকরা কম সময়ে কুয়াকাটা সৈকত দেখতে পারে। এখন পর্যটকরা দিনে এসে দিনেই চলে যায়। যে পরিমাণে পর্যটক কুয়াকাটা আসে তাদেরকে ভালো সার্ভিস দেওয়ার মতো এখনো সে মানের হোটেল গড়ে উঠেনি। সরকারের উচিত বেড়িবাঁধ রক্ষা করা ও মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করা। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, পুরো সৈকতে আমাদের প্রশিক্ষিত পুলিশ মোতায়েন আছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য আমরা সদা প্রস্তুত। যাতে কোনো রকমের হয়রানির শিকার না হয় পর্যটকরা।
৩০ নভেম্বর, ০০০১
X