সর্বজনীন পেনশনে বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্তি বৈষম্য তৈরি করবে
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার যে সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে তার, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। একই সঙ্গে উদ্বেগ জানিয়ে আগামী জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করার বাধ্যবাধকতা থেকে সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান এ আহ্বান জানান। নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা নতুন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হলে পুরোনোদের সঙ্গে তাদের বৈষম্য তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারা বলেন, সরকারের সর্বজনীন স্কিমে প্রশাসন, পুলিশ, প্রতিরক্ষা, বিচার বিভাগসহ রাজস্ব খাতের অন্য কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত না করে একতরফাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করায় দেশজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি হয়েছে। নেতারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একটি সন্তোষজনক পেনশন স্কিম কার্যকর থাকা সত্ত্বেও নতুন ‘প্রত্যয় স্কিম’ চাপিয়ে দেওয়া আওয়ামী সরকারের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার আরেকটি নজির মাত্র। তাই দল-মত নির্বিশেষে সব সহকর্মীকে এই শিক্ষা বিধ্বংসী তৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
০৭ মে, ২০২৪

‘সর্বজনীন’ পেনশনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অন্তর্ভুক্তি বৈষম্য তৈরি করবে : ইউট্যাব
‘সর্বজনীন পেনশন স্কিমে’ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার যে সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। একইসঙ্গে আগামী জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত সবাইকে সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করার বাধ্যবাধকতা থেকে সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। সোমবার (৬ মে) এক বিবৃতিতে ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান এই আহ্বান জানান। নেতৃদ্বয় বলেন, গত বছর নিম্ন-আয় ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত পেনশনের বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে পেনশনের আওতায় আনার উদ্দেশ্যে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন ২০২৩ (২০২৩ সনের ৪নং আইন)’ প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই গত ১৩ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে (এস.আর.ও. নং ৪৮-আইন/২০২৪) আগামী ১ জুলাই ২০২৪ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত সবাইকে সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তারা বলেন, আগামী ১ জুলাই ২০২৪ ইং থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা নতুন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হলে পুরোনোদের সঙ্গে তাদের বৈষম্য তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চাকরি করার পর পদোন্নতির পরিবর্তে বিজ্ঞাপিত শূন্য পদে সরাসরি নিয়োগ লাভ করলে পেনশন ব্যবস্থাপনার কী হবে, তা নতুন প্রজ্ঞাপনে সুস্পষ্ট করা হয়নি! এমনকি সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অবসরের পর শিক্ষকরা বর্তমান ব্যবস্থার মতো এককালীন অর্থ পাবেন না। অন্যদিকে সরকারি কর্মচারীরা এককালীন অর্থ প্রাপ্তির সুবিধার পাশাপাশি মাসিক ভাতা পাবেন, যা বৈষম্যমূলক এবং অন্যায়। কেননা, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং ক্ষেত্র বিশেষে চতুর্থ স্থান অর্জনকারী মেধাবী শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হন। কিন্তু এ ধরনের পেনশন স্কিমের ফলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে আগ্রহ হারিয়ে বিলাসী জীবনযাপন করা যায় এমন পেশার দিকে ঝুঁকবে। ফলে এই বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিমের কারণে শিক্ষকরা সামাজিক অবস্থানের আরেক দফা অবনমন হবে বলে আমরা মনে করি। ইউট্যাবের নেতারা বলেন, সরকারের ‘সর্বজনীন’ স্কিমে প্রশাসন, পুলিশ, প্রতিরক্ষা, বিচার-বিভাগসহ রাজস্ব খাতের অন্যান্য কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত না করে একতরফাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করায় পুরো দেশজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একটি সন্তোষজনক পেনশন স্কিম কার্যকর থাকা সত্ত্বেও নতুন ‘প্রত্যয় স্কিম' চাপিয়ে দেওয়া দীর্ঘদিন ক্ষমতা জবরদখল করে থাকা আওয়ামী সরকারের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করার আরেকটি নজির মাত্র! তারা বলেন, বর্তমানে একজন সিলেকশন গ্রেডের অধ্যাপক গ্রেড বিবেচনায় সরকারের অনেক জুনিয়র কর্মকর্তার তুলনায় পেশাগত নানান সুবিধাদিতে (দাপ্তরিক গাড়ি, ব্যক্তিগত গাড়ি ক্রয়ের জন্য প্রায় বিনা সুদে লোন এবং গাড়ি ব্যবহারের জন্য মাসিক ৫০ হাজার টাকা ব্যয়) অনেক পিছিয়ে আছেন। তাই সুযোগ-সুবিধার চরম বৈষম্যের কারণে মেধাবীরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় আসতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। এটা গোটা জাতির জন্য একটি অশনিসংকেত। জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষাকে ধ্বংস করার জন্য একটি প্রভাবশালী চক্রের বৈরী মনোভাব নতুন নয়। অথচ দক্ষ ও যুগোপযোগী জনশক্তি গড়ে তুলতে নিবেদিতপ্রাণ মেধাবী শিক্ষকের বিকল্প নেই! তবে এটি স্পষ্ট যে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব বেতন কাঠামো, নিজস্ব পেনশন ব্যবস্থাসহ সব ক্ষেত্রেই স্বায়ত্তশাসন আজ হুমকির মুখে। তাই দল-মত নির্বিশেষে সকল সহকর্মীকে এই শিক্ষা বিধ্বংসী তৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
০৬ মে, ২০২৪

নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে কাজ করছে সরকার
নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও বৈষম্য দূর করতে সরকার নিরন্তর কাজ করছে মন্তব্য করে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বলেন, জাতীয় ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মানবিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নারীর প্রতি সহিংসতা নির্মূল, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, মুক্তিযুদ্ধের আলোকে দেশপ্রেমকে সমুন্নত রাখতে সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করা দরকার। নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করি, শক্তিশালী নারী আন্দোলন গড়ে তুলি—এ স্লোগান নিয়ে দুই দিনব্যাপী আয়োজিত বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের জাতীয় পরিষদ সভার উদ্বোধন করে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সের মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়ামে গতকাল শুক্রবার এ সভা হয়। সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজের অধ্যাপক তানিয়া হক ও অ্যাম্বাসি অব সুইডেনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার রেহানা খান। শুরুতে জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর নৃত্য ও সংগীতবিষয়ক সম্পাদক সুরাইয়া পারভীন ও তার দল। সংগীত পরিবেশন করেন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সুস্মিতা আহমেদ ও শারমিন সাথী ময়না। সভায় শোক প্রস্তাব পাঠ করেন সংগঠনের সহসভাপতি রেখা চৌধুরী। এ সময় প্রয়াত বিশিষ্টজনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সাবেক সভাপতি হেনা দাসের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন ডা. মাখদুমা নার্গিস। সঞ্চালনা করেন সংগঠক সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রথম কর্ম অধিবেশন হয়। এতে সাংগঠনিক শোক প্রস্তাব পাঠ করেন সহসভাপতি লক্ষ্মী চক্রবর্তী। কার্যবিবরণী পেশ করেন মাসুদা রেহানা বেগম, সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন মালেকা বানু, অর্থের হিসাব দেন দিল আফরোজ বেগম। সভা সঞ্চালনা করেন কমিটির সদস্য সাথী চৌধুরী।
২৭ এপ্রিল, ২০২৪

‘নারীর প্রতি বৈষম্য সামাজিক ইস্যু’
২০২৪ সালে দেশের নারী সমাজের অগ্রগতি দৃশ্যমান হলেও নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নের পথে সহিংসতাসহ বিভিন্ন সামাজিক এবং পারিবারিক বাধার বিস্তার ঘটেছে। নারীর প্রতি বৈষম্য শুধু নারীর ইস্যু নয়, এটি সামাজিক ইস্যু। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনের সুফিয়া কামাল ভবন মিলনায়তনে ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। ঘোষণা পাঠ করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম। আলোচক হিসেবে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. নাসিম আক্তার হোসাইন, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শায়লা নাসরিন, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের পরিচালক শাহনাজ সুমী এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আদনান মুস্তারি। সভায় বক্তারা বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের ৫ নম্বর লক্ষ্যমাত্রা জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠিত করতে হলে নারীকে উন্নয়নের লক্ষ্য হিসেবে দেখার পরিবর্তে উন্নয়নের বাহন হিসেবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গির প্রসার ঘটাতে হবে। স্বাগত বক্তব্যে মালেকা বানু অসাম্প্রদায়িক ও সমতাপূর্ণ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে তরুণদের নারী আন্দোলন এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান। সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠন সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

নারীর প্রতি বৈষম্য কেবল নারীর ইস্যু নয়, সামাজিক ইস্যু
নারীর প্রতি বৈষম্য কেবল নারীর ইস্যু নয়, এটি সামাজিক ইস্যু। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের নারী সমাজের অগ্রগতি দৃশ্যমান হলেও নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নের পথে সহিংসতাসহ বিভিন্ন সামমাজিক ও পারিবারিক বাধার বিস্তার ঘটেছে। ‘বৈষম্যকে চ্যালেঞ্জ করি, সমতার চেতনা প্রতিষ্ঠা করি’ এই স্লোগানের আলোকে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনের সুফিয়া কামাল ভবন মিলনায়তনে ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। ঘোষণা পাঠ করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. নাসিম আক্তার হোসাইন, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শায়লা নাসরিন, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সালমা আলী, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের পরিচালক শাহনাজ সুমী এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আদনান মুস্তারি। অনুষ্ঠানের শুরুতে সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী মৃদুলা সমদ্দার। কবিতা আবৃত্তি করেন আইটি অফিসার দোলন কৃষ্ণ শীল। বক্তারা বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৫ নং লক্ষ্যমাত্রা জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠিত করতে হলে নারীকে উন্নয়নের লক্ষ্য হিসেবে দেখার পরিবর্তে উন্নয়নের বাহন হিসেবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গির প্রসার  ঘটাতে হবে।  আলোচনায় আদনান মুস্তারি বলেন, উন্নয়নের ধারায় নতুন চ্যালেঞ্জ হবে জলবায়ু পরিবর্তন। দক্ষিণাঞ্চলের নারীরা স্বাস্থ্যগত ভাবে ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে লবণাক্ততার জন্য। পানি সংগ্রহের দায়িত্ব থাকায় কিশোরীদের শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে আসায় অর্জন ম্লান হয়ে যাচ্ছে।  শাহনাজ সুমী বলেন, কেবল বাংলাদেশে নয় সারাবিশ্বে নারীর প্রতি থাকা বৈষম্য নানা মাত্রা নিয়ে সামনে হাজির হচ্ছে। বৈষম্য দূর করতে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।  সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে নারীকে নতুনভাবে নেতৃত্বের কথা বলা হলেও এখানে বৈষম্য আছে। ‘বৈষম্য যে অপরাধ’ এটা নীতি নির্ধারণী ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব না হলে বৈষম্য যাবে না।  অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে বিভিন্ন আইন থাকলেও তার বাস্তব প্রয়োগ নেই। প্রয়োগ বলবৎ করতে হলে সম্মিলিতভাবে নারী আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে; নতুন প্রজন্মকে দৃশ্যমান করতে হবে।  স্বাগত বক্তব্যে মালেকা বানু বলেন, অসাম্প্রদায়িক ও সমতাপূর্ণ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে তরুণদের নারী আন্দোলন এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে কিন্তু মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। সমাজে আজ আত্মকেন্দ্রিকতা বেশি হচ্ছে, জলবায়ু সংকট বাড়ছে। এর মধ্যে নারীর জীবনে পরিবর্তন হয়েছে। তারা অধিকার সচেতন হয়েছে। নারীর শক্তিতে বিকশিত করতে নারীদের পাশে দাঁড়াতে হবে। সঞ্চালনা করেন সংগঠন সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

বিচিত্র / চুলের জন্য বৈষম্য বন্ধে হচ্ছে আইন
টেকো চুলের মাথার জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়া লোকের উদাহরণ—আমাদের দেশে বহু আছে। তবে চুলের রং, গঠন, আকার, শৈলী বা বিনুনি বাঁধার জন্য বৈষম্যের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের সমাজে তেমন নেই বললেই চলে। তবে ইউরোপ-আমেরিকায় কৃষ্ণকায় বা আফ্রো-আমেরিকানদের মধ্যে এটি প্রায় ঘটে। তাই এ বৈষম্য বন্ধ করতে আইন প্রণয়ন করছে ফ্রান্স। চুলের গঠন, দৈর্ঘ্য, রং বা শৈলী নিয়ে বৈষম্য নিষিদ্ধ করতে বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে আইনপ্রণেতারা একটি বিল পাস করেছেন। ফ্রান্সের ক্যারিবিয়ান দ্বীপ গুয়াদেলুপের আইনপ্রণেতা অলিভিয়ের সার্ভা এ বিল প্রস্তাব করেন। এখন এটি পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে উত্থাপন করা হবে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোর মধ্যপন্থি দল রেনেসাঁ ও বামপন্থি দলগুলো এতে সমর্থন দিয়েছে। তবে ডানপন্থি নিয়ন্ত্রিত সিনেটে বিলটি তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অলিভিয়ের সার্ভা বলেন, আমরা বৈষম্যের এ বাধাগুলো দূর করার দিকে আরও এগিয়ে যাচ্ছি। যদি এটি শেষ পর্যন্ত আইনে পরিণত হয়, তাহলে তা ফ্রান্সকে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে চুলের ওপর ভিত্তি করে বৈষম্যকে স্বীকৃতি দেবে। যার অধীনে চুলের কারণে বৈষম্য করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। সূত্র: এপি
০১ এপ্রিল, ২০২৪

দেশে আয়ে বৈষম্য বেড়েছে
দেশে ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্যের হারের পাশাপাশি আয় বৈষম্যও বেড়েছে। জাতীয় পর্যায়ে বৈষম্যের হার ২০১৮ সালে ০.৩১ থেকে ২০২৩ সালে কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.৩২-তে। তবে, ধনী এবং দরিদ্রের আয়ের অংশের দিক থেকে পর্যবেক্ষণ করলে, অর্থাৎ সবচেয়ে ধনী ৫ শতাংশের আয়ের অংশের তুলনায় দরিদ্রতম ২০ শতাংশ পরিবারের আয়ের অংশ বিবেচনায়, অনুপাতটি ২০১৮ সালে ২.১ থেকে ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৪ শতাংশে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গেল বছরের অক্টোবর ও নভেম্বরে দেশজুড়ে খানা পর্যায়ে পরিচালিত এ জরিপ চালিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সানেম। এই জরিপের আওতায় ছিল দেশের ৬৪ জেলায় ৯ হাজার ৬৫টি খানা। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্যের হারের পাশাপাশি, ক্রমবর্ধমান আয় বৈষম্যও লক্ষ্য করা গিয়েছে। গিনি সহগ ব্যবহার করে দেখা যায়, জাতীয় পর্যায়ে বৈষম্যের হার ২০১৮ সালে ০.৩১ থেকে ২০২৩ সালে কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.৩২-তে। তবে, ধনী এবং দরিদ্রের আয়ের অংশের দিক থেকে পর্যবেক্ষণ করলে, অর্থাৎ সবচেয়ে ধনী ৫ শতাংশের আয়ের অংশের তুলনায় দরিদ্রতম ২০ শতাংশ পরিবারের আয়ের অংশ বিবেচনায়, অনুপাতটি ২০১৮ সালে ২.১ থেকে ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৪-এ। তদনুসারে, সবচেয়ে ধনী ৫ শতাংশের সাথে সবচেয়ে দরিদ্র ২০ শতাংশের ব্যয়ের শেয়ারের অনুপাত ২০২০ সালে ১.৩ থেকে বেড়ে ২০২৩ সালে ২.১-এ দাঁড়িয়েছে। যেহেতু বেশিরভাগ অতিশয় ধনী পরিবারকে সমীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি, বিশেষ করে শহরাঞ্চল থেকে, তাই অসমতার প্রকৃত রূপ এরচেয়ে অনেক বেশি হতে পারে বলেও জানানো হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশে ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্যের হার ও বৈষম্যের বিপরীতে, অন্তত একটি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচী পেয়েছে এমন পরিবার বিগত বছরে (অক্টোবর ২০২২-সেপ্টেম্বর ২০২৩) দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩৭ শতাংশে। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচীগুলোর মধ্যে টিসিবি ফ্যামিলি কার্ড সেবা সর্বোচ্চ সংখ্যক পরিবারের কাছে পৌছাতে সক্ষম হয়েছে (১৫.৬৩ শতাংশ)। এছাড়া অন্য প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে বার্ধক্য ভাতা (৮.৯ শতাংশ), বিধবা/স্বামী নিগৃহীত/দুস্থ মহিলা ভাতা (৪.৯৮ শতাংশ), আর্থিকভাবে অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতা (৩.৩৪ শতাংশ) এবং খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি (৩.১৭ শতাংশ) প্রভৃতি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশে জাতীয় পর্যায়ে দারিদ্র্যের হার ২০.৭ শতাংশ। এরমধ্যে গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্যের হার ২১.৬ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে ১৮.৭ শতাংশ। বাংলাদেশে গ্রামীণ দারিদ্র্যের হার ২০১৮ সালে ছিলো ২৪.৫ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে ২১.৬ শতাংশ-এ হ্রাস পেলেও শহুরে দারিদ্র্যের হার ১৬.৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৮.৭ শতাংশ হয়েছে। এছাড়া বিভাগীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ দারিদ্র্যের হার রংপুর ও বরিশালে; যথাক্রমে ৪২.৯ শতাংশ এবং ৩২.৫ শতাংশ। প্রতিবেদনে বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের ক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। গ্রামীণ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের হার ৩০.৪ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ২৭.৬ শতাংশে, অন্যদিকে শহরাঞ্চলে তা ২০১৮ সালে ১৬.৮ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ শতাংশে। গবেষণায় মৌলিক চাহিদার খরচ ভিত্তিক দারিদ্র্য এবং বহুমাত্রিক দারিদ্র্য পদ্ধতি, উভয় ক্ষেত্রেই শহুরে দারিদ্র্য বৃদ্ধির পেছনের দুটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমত- নাজুক দরিদ্রদের (যারা দারিদ্র্যসীমার ওপরে থাকলেও যেকোনো ধাক্কার প্রভাব তাদের দারিদ্র্যসীমার নিচে নামিয়ে দিতে পারে) একটি বড় অংশ শহুরে অঞ্চলগুলোতে বসবাস করে, যারা দারিদ্র্যের হাত থেকে বাঁচতে অথবা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ইত্যাদি কারণে শহরে স্থানান্তরিত হয়েছিল। সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির মতো উল্লেখযোগ্য ধাক্কাগুলো এই নাজুক লোকদের দারিদ্র্যসীমার নীচে নামিয়ে দিতে পারে। এবং দ্বিতীয়ত, শহুরে এলাকাগুলো বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলোতে ব্যাপকভাবে আওতাভুক্ত না, যার ফলে অনেক শহুরে পরিবার ধাক্কার প্রতি আরও ঝুঁকিপূর্ণ থাকে।
২৬ মার্চ, ২০২৪

আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে জেন্ডার বৈষম্য ৬.৯ শতাংশ
বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে গড় জেন্ডার বৈষম্য ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ। যদিও বিভিন্ন এককে এই বৈষ্যমের হার আরও বেশি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে পরিচালিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিআরডি)’ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি: জেন্ডার প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক সম্মেলনে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। এতে বলা হয়, মোবাইলভিত্তিক আর্থিক সেবায় জেন্ডার বৈষম্য সর্বাধিকÑ৩৫ দশমিক ৪২ শতাংশ। ব্যাংকিং খাতে ১৭ দশমিক ২৮ শতাংশ বৈষম্য রয়েছে। ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেখানে ৬১ দশমিক ৯৫ শতাংশ নারী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, সেখানে পুরুষের অন্তর্ভুক্তি মাত্র ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীরা পিছিয়ে থাকার পাশাপাশি ব্যাংকের মতো আনুষ্ঠানিক আর্থিক সেবার ক্ষেত্রেও প্রান্তিক অবস্থানে রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আয়েশা বানু, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক ড. লীলা রশিদ এবং সিআরডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মোখলেছুর রহমান প্রধান গবেষক হিসেবে এতে কাজ করেন। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান এবং ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তাফা কে মুজেরি, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের ইনক্লুসিভ ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেমসের ডেপুটি ডিরেক্টর হিলারি মিলার-ওয়াইজ, স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের ডেপুটি ডিরেক্টর লিন আইজেনহার্ট এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার প্রমুখ।
১০ মার্চ, ২০২৪

দেশে এখনো ধর্মীয় বৈষম্য রয়েছে
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে বলেছিলেন—এ দেশটি একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ হবে। ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য হবে না। এ কথা বিশ্বাস করে আমরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। এমন একটি সম্প্রদায়, যে সম্প্রদায়ে কোনো রাজাকারের জন্ম হয়নি। আমরা সবসময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সঙ্গে আছি। তবে আজকে বৈষম্য লক্ষ্য করা যায়। প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, আমাদের সংগ্রাম করতে হবে কেন? আমাদের কেন সুরক্ষা আইন, সংখ্যালঘু কমিশন গঠন কিংবা অনশন ধর্মঘট করতে হবে? আমরা তো অসাম্প্রদায়িক সরকার গঠনে কাজ করি। এ সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। লেখাপড়াসহ সব জায়গায় প্রথম হতে হবে। সারা বিশ্বে সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন প্রথম পর্যায়ে আছে। কারণ, তারা জঙ্গিবাদ বিশ্বাস করে না। তারা প্রতিবেশীর ক্ষতি করে না। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করতে হবে। আর এমন সাহসী ব্যক্তিকে দলের নেতা বানাতে হবে। মনে রাখতে হবে, দেশের আড়াই কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করি। তারা সবাই বঙ্গবন্ধুর চেতনার মানুষ। পদে না থেকেও কাজ করা সম্ভব, যদি ইচ্ছা থাকে। গতকাল শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জেলা শাখার দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনের উদ্বোধক পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজল দেবনাথ বলেন, আমাদের মেরুদণ্ড শক্ত করে কথা বলতে হবে। ’৭২-এর সংবিধানে বলা হয়েছিল সাম্য, সবার সমান অধিকার। সেখান থেকে আজকে আমরা যেখানে রয়েছি, সেখানে মাথার ওপর বিসমিল্লাহ তারপর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম একটা জগাখিচুড়ির সংবিধান। এ দেশে ভাষা আন্দোলন বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচন বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ বলেন, সবখানে প্রথম ভূমিকা ছিল সনাতন ধর্মের লোকদের। আগে হিন্দুধর্মের লোকদের ইতিহাস জানতে হবে এবং তারপর মেরুদণ্ড শক্ত করে কথা বলতে হবে। আমরা উড়ে আসিনি। পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল বলেন, চার মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল। এর মধ্যে অন্যতম মূলনীতি হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ। এরশাদ সরকার যখন সংবিধানে বিসমিল্লাহ লিপিবদ্ধ করেছিল সে সময় পূজা উদযাপন পরিষদের জন্ম হয়েছিল। আজকে এ সংগঠন সারা দেশে সনাতন ধর্মের মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় আস্থার সংগঠন ও আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। এ সময় বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সন্তোষ শর্মা, গোপাল চন্দ্র দেবনাথ, শুভাশীষ বিশ্বাস, সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তপন চক্রবর্তী, সদস্য নারায়ণ দত্ত প্রদীপ, অধ্যাপক প্রণব কুমার সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন। পরিচালনায় ছিলেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার সরকার। বিকেলে দ্বিতীয় অধিবেশনের মাধ্যমে সম্মেলনের সমাপ্তি করা হয়।
০৩ মার্চ, ২০২৪

নারী কৃষকদের প্রতি বৈষম্য নিরসনের আহ্বান স্পিকারের
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষকরাই কৃষিনির্ভর অর্থনীতির মূল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ও কৃষকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। নারী কৃষকদের প্রতি বৈষম্য নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান তিনি। গতকাল শনিবার পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্পিকার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, কৃষির আধুনিকীকরণে প্রযুক্তির জ্ঞান কাজে লাগিয়ে কৃষিকে এগিয়ে নিতে হবে। কৃষি বিভাগের উদ্যোগে আধুনিক কৃষির প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সমন্বিত কৃষিকে উৎসাহিত করতে হবে। কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বিপণনে কৃষি বিভাগকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। দেশের মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেক সংখ্যক নারীকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্পিকারের স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসেন, পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এ এস এম তাজিমুল ইসলাম শামীম, পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর মো. মণ্ডল, পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রাজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X