ফেসবুকের এক পোস্টেই গাড়ি-বাড়ি পেলেন বৃদ্ধ রিকশাচালক
৭৭ বছরের বৃদ্ধ হাবিবুর রহমান স্ট্রোক করেছেন একাধিকবার। এই বয়সে যখন তার বিছানায় শুয়ে-বসে বিশ্রাম করার কথা, সেখানে তিনি রিকশার প্যাডেল চালিয়ে অবিরাম ছুটেন ঢাকার রাস্তা-ঘাটে। দিন শেষে যা আয় হয়, তার একটা অংশ নিজের জন্য রেখে, বাকিটা পাঠাতেন গ্রামে থাকা বৃদ্ধা স্ত্রীর কাছে। জীবনের এই পড়ন্তবেলায় এসে এভাবেই চলছিল তার দিনকাল। হাবিবুরের ইচ্ছে ছিল শেষ বয়সের সময়টা তিনি শহর ছেড়ে গ্রামে থাকা স্ত্রী সঙ্গে কাটাবেন। কিন্তু সেখানে থাকার মতো ঘর ও জীবিকার নিশ্চয়তা না থাকায় বাধ্য হয়েই ঢাকায় রিকশা চালাতে হতো তাকে। হাবিবুরের দুরবস্থা নিয়ে ঢাকায় কর্মরত সাংবাদিক জ.ই মামুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। ওই পোস্টটি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেনের দৃষ্টিগোচর হলে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর উপহারের সুখবর পান হাবিবুর। পাশাপাশি হাবিবুরের কর্মসংস্থানের জন্য ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী তাকে একটি ইজিবাইক উপহার দেন । এতে করে গ্রামে ফেরার ইচ্ছা ও গ্রামেই কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে এই অসহায় বৃদ্ধের। হাবিবুর রহমানের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সহনাটি ইউনিয়নে সোনাকান্দি গ্রামে। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে জেলা প্রশাসক কর্তৃক দেওয়া উপহারের ইজিবাইকের চাবি হাবিবুরের হাতে তুলে দেন। পাশাপাশি সোনাকান্দি গ্রামে এই বৃদ্ধের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণকাজও শুরু হয়েছে বলে জানান প্রশাসনের কর্মকর্তারা। জানা গেছে, বাবার মৃত্যুর পর জীবিকার তাগিদে ১৯৬৯ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে ঢাকায় এসে রিকশা চালানো শুরু করেন হাবিবুর রহমান। সংসারে তার স্ত্রী ও চার মেয়ে রয়েছে। মেয়েদের সবাই গরিব ঘরে বিয়ে হওয়ায় বাবাকে দেখার সামর্থ্য নেই তাদের। স্ত্রী থাকেন গ্রামের বাড়িতে। সেখানে মাত্র আধা শতাংশ ভিটে ছাড়া কিছু নেই হাবিবুরের। তাই বাধ্য হয়েই ঢাকায় রিকশা চালাতেন তিনি। ঢাকায় মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকায় রাত্রিযাপন করতেন রাস্তায় রাস্তায়।   এদিকে হাবিুরের দুরবস্থা নিয়ে গত ২৫ এপ্রিল সাংবাদিক জ.ই মামুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেওয়ার পর বিষয়টি নজরে আসে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেনের। এরপরই নির্দেশনা আসে হাবিবুরকে তার এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার। এদিকে নির্দেশনা আসার পর গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ সোনাকান্দি গ্রামে গিয়ে হাবিবুরের বাড়ি পরিদর্শন করে দেখেন, তার মাত্র আধা শতাংশ জমি রয়েছে। এতটুকু জমিতে ঘর নির্মাণ সম্ভব না হওয়ায় বিপত্তি বাঁধে। এমন সময় হাবিবুরের জমির পাশেই দুই শতাংশ জমি দানের ঘোষণা দেন সহনাটি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. দুলাল আহমেদ। ইতিমধ্যে জমির দলিল সম্পাদন হয়ে গেছে। দ্রতই ঘরের নির্মাণকাজ শুরু হবে। হাবিবুর রহমান বলেন, সারাজীবন কষ্ট করেছি। আধা শতাংশ ভিটে ছাড়া নিজের আর কিছুই ছিল না। সাংবাদিক মামুন ভাইয়ের লেখালেখির কল্যাণে এখন গাড়ি-বাড়ি হয়েছে। এখন স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আমার দিন রাজার হালে কাটবে। আমি অনেক আনন্দিত ও খুশি। সেই সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাসহ যারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ইউএনও মো. শাকিল আহমেদ বলেন, বৃদ্ধ বয়সে হাবিবুর রহমানের রিকশা চালানো নিয়ে সাংবাদিক জ.ই মামুনের একটি পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবের দৃষ্টিগোচর হয়।  তার প্রেক্ষাপটে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে হাবিবুরকে নিজ গ্রামে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তার কর্মসংস্থানের জন্য জেলা প্রশাসক একটি ইজিবাইক উপহার দিয়েছেন। এছাড়াও হাবিবুর ও তার স্ত্রীকে বয়স্ক ভাতা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
০৩ মে, ২০২৪

ভাতা পাওয়া মানুষের আমানত বাড়ায় প্রশ্ন
বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার কারণে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতিও চাপের মধ্য দিয়ে গেছে। মূল্যস্ফীতির চাপে এ সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। কৃষক, মুক্তিযোদ্ধা ও পোশাক শ্রমিকদের আমানত কমেছে। কিন্তু একই সময়ে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের আমানত অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্রামে প্রভাবশালীদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে যুক্ত করায় প্রকৃত দরিদ্ররা এখনো বঞ্চিত হচ্ছেন। এ কারণেই তাদের আমানত অস্বাভাবিক হারে বাড়তে পারে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, হয়তো ওই সময়ে কোনো ভাতা বিতরণ করায় আমানত বেড়ে যেতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ডিসেম্বর শেষে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে যুক্ত ব্যক্তিদের আমানতের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা। মাত্র তিন মাস আগে সেপ্টেম্বর শেষে এই আমানত ছিল ৯০৭ কোটি টাকা। সে হিসাবে আমানত বেড়েছে ৫৯৬ কোটি বা ৬৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। আর আগের বছরের ডিসেম্বরে আমানত ছিল ৮৭৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে যুক্ত ব্যক্তিদের আমানত বেড়েছে ৬২৬ কোটি বা ৭১ দশমিক ২৭ শতাংশ। হঠাৎ করে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে যুক্ত ব্যক্তিদের হিসাবে অস্বাভাবিক হারে আমানত বেড়ে যাওয়ায় প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা আবুল হোসেন (ছদ্মনাম)। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কৃষি কাজ করেন। চার ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে তিন ছেলেই থাকেন বিদেশে। বড় ছেলে মিজান ব্যাংক ঋণ নিয়ে গড়ে তোলেন গরুর খামার। যেখান থেকে দুধ বিক্রি করে প্রতিদিন তিনি হাজার টাকার বেশি আয় করছেন। আর ছোট মেয়ে স্থানীয় একটি সরকারি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তিনিও পাচ্ছেন সরকারি বৃত্তি। এক কথায় আর্থিক অবস্থা সচ্ছল হওয়ার পরও আবুল হোসেন পাচ্ছেন বয়স্ক ভাতা। অথচ একই উপজেলার পেয়ারা বেগম (ছদ্মনাম) মৃত স্বামীর রেখে যাওয়া ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থায় হলেও তাকে দেওয়া হচ্ছে না বিধবা ভাতা। অর্থাৎ ভাতা পাওয়ার যোগ্য না হয়েও অনেকেই পাচ্ছেন সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা। আবার যোগ্য হলেও এলাকায় প্রভাব না থাকায় এই ভাতা পাচ্ছেন না অনেকেই। আর্থিক অবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল হোসেন কালবেলাকে বলেন, ছেলেরা বিদেশ যাওয়ার পর আমাদের আর্থিক অবস্থা এখন ভালো। তবে এর আগে আমি একা কৃষিকাজ করে পরিবার চালাতাম। সেই সময় অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। এরপর বয়স হওয়ার পর মেম্বারের মাধ্যমে বয়স্কভাতার আবেদন করি। এখন ভাতা পাচ্ছি। ঈদের আগেও তিন মাসে ১৮শ টাকা পেয়েছি। এখন আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আর পিয়ারা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছেলেমেয়ে নিয়ে অনেকদিন থেকেই কষ্টে আছি। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারের কাছে বারবার গিয়েও এর কোনো সুরাহা পাইনি। কীভাবে এসব ভাতার জন্য ব্যক্তি নির্ধারণ করা হয়, জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুরের বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন কাজল কালবেলাকে বলেন, চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সঙ্গে সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের যোগাযোগ রয়েছে। ভাতা পেতে ইউনিয়নের কোনো বাসিন্দা যদি মেম্বার বা চেয়ারম্যানের কাছে আসে, তখন তারা ওই ব্যক্তির আবেদন ফরম পূরণ করে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরে জমা দেন। সেটা যাচাইয়ের পর আবেদনকারীকে ভাতাপ্রাপ্তদের তালিকায় যুক্ত করা হয়। আগে মানুষ ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে এসব ভাতার অর্থ উত্তোলন করত। এখন মোবাইল ব্যাংকিংয়েই ভাতা পেয়ে যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক কালবেলাকে বলেন, ডিসেম্বরে হয়তো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি খাতে অর্থ বিতরণ হয়েছে। এ কারণে আমানত বাড়তে পারে। বিষয়টি জেনে তারপর এ বিষয়ে কথা বলব। পরে যোগাযোগ করেন। এরপর গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশে পণ্য মূল্যবৃদ্ধি পেলেও এক বছরের ব্যবধানে নো-ফ্রিল ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আমানতের পরিমাণ হাজার কোটি টাকার বেশি। নো-ফ্রিল অ্যাকাউন্ট (এনএফএ) মূলত একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট, যেখানে মাসে মাসে কোনো ন্যূনতম ব্যালেন্সের প্রয়োজন হয় না। দেশে ক্রমে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এটি। অতিদরিদ্র ব্যক্তিরা ছাড়াও কৃষক, মুক্তিযোদ্ধা, পোশাক শ্রমিক এবং সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীরা নো-ফ্রিল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে থাকেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ত্রৈমাসিক তথ্য (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) অনুসারে, এনএফ অ্যাকাউন্টগুলোতে ডিসেম্বর শেষে মোট ৪ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা জমা ছিল, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে এসব হিসাবে আমানত বেড়েছে ১ হাজার ১ কোটি টাকা। তথ্য বলছে, ১০ বা ৫০ বা ১০০ টাকার নো-ফ্রিল অ্যাকাউন্টগুলোর মধ্যে কৃষকদের অ্যাকাউন্ট সবচেয়ে বেশি। এই হিসাবের মাধ্যমেই কৃষি খাতের জন্য নিয়মিতভাবে সরকারি ভর্তুকি বিতরণ করা হয়। ডিসেম্বর শেষে কৃষকদের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭০৩টি। এসব হিসাবে আমানত জমা হয়েছে ৫৯২ কোটি টাকা, যা আগের ত্রৈমাসিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) তুলনায় ১৩ দশমিক ৩২ শতাংশ কম। অর্থাৎ সংকটের কারণে কৃষকদের আমানত ভেঙে খরচ করতে হচ্ছে। তবে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় কৃষকদের হিসাবে আমানত বেড়েছে ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা গেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের নো-ফ্রিল অ্যাকাউন্টে আমানত ডিসেম্বরে রয়েছে ৮৬৩ কোটি টাকা। তিন মাস আগেও (সেপ্টেম্বর) এসব হিসাবে আমানত ছিল ১ হাজার ১০ কোটি টাকা। অর্থাৎ আমানত কমেছে ১৪৭ কোটি বা সাড়ে ১৪ শতাংশ। আর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এই খাতে আমানত ছিল ১ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। সে হিসাবে বছরের ব্যবধানে মুক্তিযোদ্ধাদের আমানত কমেছে প্রায় ১৭ শতাংশ। তবে অত্যন্ত দরিদ্রদের এনএফএতে আমানত রাখার ক্ষেত্রে সামান্য ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। অত্যন্ত দরিদ্রদের অ্যাকাউন্টে আমানতের পরিমাণ আগের ত্রৈমাসিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) থেকে শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ। গত সেপ্টেম্বর শেষে ছিল ২৩৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আর ডিসেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৩৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। আগের বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় এটি প্রায় ১০ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া ৩ মাসে পোশাক শ্রমিকদের আমানত কমেছে ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। গত সেপ্টেম্বরে পোশাক শ্রমিকদের হিসাবে আমানত ছিল ৩০০ কোটি টাকা। ডিসেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৮১ কোটি টাকা। তবে বছরের ব্যবধানে পোশাক শ্রমিকদের আমানত বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি। তথ্য বলছে, গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার প্রয়াসে সরকার ২০০-৫০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্প থেকে কৃষক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, এসব অ্যাকাউন্টে সরকারি সহায়তা, প্রণোদনাসহ বিভিন্ন অনুদান যোগ করা হয়, যা আমানত বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। অনেকে এই টাকা সঞ্চয় করে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর তা তুলে নেয়। পাশাপাশি, অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বাড়িয়ে এই প্রান্তিক মানুষদের ব্যাংকিং চ্যানেলে আনার জন্য অন্যান্য প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

চেয়ারম্যান হলে সম্মানী ভাতা অসহায়দের দিতে চান ছাত্রলীগ নেতা বিপ্লব
ফরিদপুরে এক মুক্ত আলোচনা সভায় সাবেক কোতোয়ালি থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান বিপ্লব বলেন, যতদিন বেচে আছি এই ফরিদপুর এবং এই জনপদের মানুষের জন্য আমি অন্যায়ের বিপক্ষে কাজ করে যাব। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে আমার প্রাপ্ত সম্মানী ভাতা উপজেলার অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেব।    সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় জেলার ঐতিহাসিক বিদ্যাপীঠ রাজেন্দ্র কলেজ'র সংসদ (রুকুসু) হল রুমে শহর ছাত্রলীগের আয়োজনে এক মুক্ত আলোচনা সভায় আসন্ন ৮ মে উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে এ বক্তব্য দেন জেলার সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশিকুর রহমান বিপ্লব।  আশিকুর রহমান বিপ্লব ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক সভাপতি ছিলেন, পরবর্তীতে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতির দায়িত্ব সুনামের সাথে পালন করেন। তিনি জেলার সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের বিল মামুদপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী খন্দকার মোহাম্মদ হোসেনের পুত্র।  এর আগে বেলা ১১টাই জেলার সদর উপজেলা পরিষদে নির্বাচন কমিশনার এর কার্যালয়ে বিপ্লব  মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিপ্লবসহ মোট ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।  সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বিপ্লব আরও বলেন, বিএনপি-জোট সরকারের আমল থেকে লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করেছি, ১/১১ তে ধাওয়া, হামলা মামলার শিকার হয়েছি। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সংগঠনের অন্যান্য পদে দায়িত্ব পালনকালে আমার বিরুদ্ধে কেউ কোনো বাজে কর্মকাণ্ডের অভিযোগ দিতে পারবে না। শহর ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ২৭টি ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করে। এ সভায় ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের তামজিদুল রশিদ রিয়ানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক আফিক বিন ইসলাম অর্ক এবং সাবেক সহসভাপতি এজাজ খানসহ প্রমুখ।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪

সুবিধাবঞ্চিতদের ভাতার টাকা যাচ্ছে অন্য নম্বরে
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় প্রায় শতাধিক বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীর ভাতা থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাদের অভিযোগ, তাদের ভাতার টাকা মোবাইলে না এসে অন্যের মোবাইলে রহস্যজনকভাবে চলে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছে, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বয়স্ক, বিধবা এবং প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীদের দীর্ঘ হয়রানি দূর করতে গভর্নমেন্ট টু পারসন (জিটুপি) অর্থাৎ কোনো মাধ্যম ছাড়াই সরাসরি ভাতাভোগীদের হাতে ভাতা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সেই আলোকে ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে ব্যক্তিগত নগদ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করে সরকার।  ভাতাভোগীরা ইউনিয়ন পরিষদ তথ্যসেবা কেন্দ্র ও অফিসের সুপারভাইজারের মাধ্যমে নগদ অ্যাকাউন্ট নিশ্চিত করে নিজ নিজ নগদ নম্বর অফিসে জমা দেন। আর তখন থেকে শুরু হয় বিপত্তি।  স্বামীর মৃত্যুর পর গত দুই বছর ধরে বিধবা ভাতা পাচ্ছেন সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামের খোদেজা বেগম। কিন্তু গত ৬ মাস ধরে ভাতার টাকা পাচ্ছেন না তিনি। উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, তার দেওয়া মোবাইল নম্বরে টাকা দেওয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, অন্য নম্বরে পাঠানো হয়েছে তার ভাতার টাকা। প্রতারণার মাধ্যমে তার ভাতার তথ্যে অন্য ব্যক্তির মোবাইল নম্বরে যোগ করা হয়েছে। টাকা ফেরত পেতে সমাজসেবা কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ভাতার টাকায় আমার চিকিৎসা খরচ চলত। বাকিতে দোকান থেকে ওষুধ কিনেছি। বাকির ওই টাকা এখনো পরিশোধ করতে পারিনি। দিনের পর দিন সমাজসেবা অফিসে ঘুরেও টাকা পাচ্ছি না। এখন ওই বাকির টাকা পরিশোধ করব কীভাবে? গয়াবাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম খড়িবাড়ি গ্রামের রজব আলী ব্যাংক থেকে বয়স্ক ভাতা তুলেছেন বেশ কয়েকবার। সমাজসেবা কার্যালয়ে তিনি তার মোবাইল নম্বর দেন। ভাতার টাকা মোবাইলের মাধ্যমে দেওয়া হতেই তৈরি হয় জটিলতা। বিগত চার বছরে তিনি কোনো ভাতার টাকা পাননি। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে জানতে পারেন তার ভাতার সব টাকা চলে গেছে অন্য নম্বরে।  তিনি বলেন, ভাতার টাকা কোথায় যাচ্ছে, কেন পাচ্ছি না তা জানতে সমাজসেবা অফিসে চার বছর ধরে ঘুরছি। কারও কাছ থেকে সঠিক কোনো উত্তর পাইনি। সম্প্রতি লিখিত অভিযোগ দিলে তিন মাসের ভাতার টাকা পেয়েছি। তবে আগের কোনো টাকার হদিস নেই। একই সমস্যার কারণে প্রায় আড়াই বছর ধরে সুবিধাভোগী ভাতা থেকে বঞ্চিত বালাপাড়া ইউনিয়নের সিরাজুল হক ও ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের আলেমা বেওয়া। ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের উত্তর ঝুনাগাছ চাপানি গ্রামের বাকপ্রতিবন্ধী কুলসুম বেগমও এক বছর ধরে প্রতিবন্ধী ভাতা পাননি বলে অভিযোগ তার স্বজনদের। তাদের ভাষ্যমতে, তারা কোনো ফোন বা খুদেবার্তা পাননি। এরপরেও পিন নম্বর পরিবর্তন করে নগদ অ্যাকাউন্ট থেকে তাদের টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। বালাপাড়া ইউনিয়নের ডালিমন নেছা, রাশেদা বেগম, ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের মনিজা বেগম, কুলসুম বেগম, পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের সবুর জান, নাউতারা ইউনিয়নের আলেয়াসহ শতাধিক ভুক্তভোগী জানান তাদের টাকা পাঠানো হয়েছে ভুল নম্বরে। সমাজসেবা অফিসে ঘুরেও কোনো লাভ হচ্ছে না। সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ভাতাভোগীর সংখ্যা ২৬ হাজার ২৩০। এর মধ্যে বয়স্ক ১২ হাজার ১৮৫, প্রতিবন্ধী ৬ হাজার ৪৭ এবং বিধবা ভাতাধারী ৭ হাজার ৮৯৮ জন। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নুরুন্নাহার নুরীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। নীলফামারী সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ভাতাভোগীদের মোবাইল নম্বরের পিন অনেক সময় হ্যাক হয়ে যায়। কিন্তু তারা বুঝতে পারেন না। হ্যাকাররা নম্বর হ্যাক করে অন্য মোবাইল দিয়ে টাকা তুলতে পারে।  তিনি জানান, কতজন ভাতাভোগীর টাকা অন্যের মোবাইলে গেছে বা টাকা পাচ্ছে না তাদের তথ্য ওই উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছ থেকে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

বছরে আয় ১৫ হাজারের কম হলে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা
বছরে ১২ হাজার নয়, ১৫ হাজার টাকার কম আয় করা বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীরা ভাতার আওতায় আসবেন। বর্তমান এ আয় সীমা ১২ হাজার টাকা। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সীমা শিথিল করে ‘বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নীতিমালা, ২০২৪’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। মাহবুব বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২৫ লাখ ৭৫ হাজার বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত নারীকে ভাতা দেওয়া হয়েছে। তাদের মাসিক ৫৫০ টাকা করে দেওয়া হয়। নতুন নীতিমালায় মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে ভাতা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জিটুপি (সরকার থেকে ব্যক্তি) ভিত্তিতে এ ভাতা পরিশোধ করা হবে। তিনি বলেন, অনলাইনে আবেদন নেওয়া হবে এবং অনলাইনে বাছাই প্রক্রিয়া চলবে।
০২ এপ্রিল, ২০২৪

শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর সুপারিশ
শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের বেতনভাতা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে বেসরকারি সংস্থা গণস্বাক্ষরতা অভিযান। একইসঙ্গে শিক্ষকরা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন কি না তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণের জন্য মনিটরিং ব্যবস্থাকে জোরদার করার লক্ষ্যে বাজেটে বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ‘শিক্ষার ন্যায্যতাভিত্তিক বাজেট : আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ সুপারিশ করা হয়। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অর্থনীতিবিদ ও এডুয়েকশন ওয়াচের চেয়ারপারসন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। অনুষ্ঠান পরিচলনা করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী। সভায় জানানো হয়, গণসাক্ষরতা অভিযানের পক্ষ থেকে গত চার মাসে ‘শিক্ষায় ন্যায্যতাভিত্তিক বাজেট ও জনমানুষের প্রত্যাশা’ বিষয়ে তৃণমূলের চাহিদা ও ভাবনা জনাতে জেলা পর্যায়ে ৪টি এবং উপজেলা পর্যায়ে ৬টি মতবিনিময় সভা করা হয়। সভা থেকে তৃণমূলের যেসব চাহিদা ও প্রত্যাশা ওঠে এসেছে এবং এ সংক্রান্ত গবেষণার ফল ও বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে সুপারিশমালা তৈরি করা হয়েছে। সুপারিশমালায় বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা বাড়াতে হবে। প্রান্তিক অঞ্চল ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শতভাগ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দিতে হবে। কারিগরি শিক্ষার শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপবৃত্তি দিতে হবে। প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা নিশ্চিত এবং তাদের লেখাপড়া, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখতে হবে। আদিবাসী শিক্ষার্থীদের আলাদা উপবৃত্তি দিতে হবে। আদিবাসীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধিতে বিশেষ সহায়তার ব্যবস্থা করতে হবে। এতে আরও বলা হয়, শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাজেটের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতের জন্য মনিটরিং ও সমন্বয় জোরদার করতে হবে। বাজেট বিভাজনের ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা পরিহার করতে হবে। বাজেট তৈরিতে তৃণমূল পর্যায়ের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। শিক্ষাখাতে স্কুল ও স্থানীয় চাহিদাভিত্তিক বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। শিক্ষাবাজেট নিয়ে স্থানীয়, বিশেষ করে স্কুল পর্যায়ে আলোচনা করতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে সরকারি বরাদ্দ বাজেট জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। জেলা পর্যায়ে বাজেটের অব্যয়িত অর্থ সংশ্লিষ্ট জেলার চর, হাওর, উপকূলীয় ও ভৌগোলিকভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে ব্যয় করার নির্দেশনা বাজেটে থাকতে হবে। বাজেটবিষয়ক আলোচনাপত্র উপস্থাপন করেন গণসাক্ষরতা অভিযান এর উপ-পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, টাকার অঙ্কে বরাদ্দ বৃদ্ধি হলেও শতাংশে বরাদ্দ কমেছে। আবার যে অর্থ বরাদ্দ হয় তাও আবার শতভাগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। আমরা দেখছি, সংশোধিত বাজেটে শিক্ষাখাত থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা ফেরত নেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি অন্ততপক্ষে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।  প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, সরকার অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে, ভবন দিচ্ছে এখন শুধু সমন্বয় করে বাস্তবায়ন প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বাস্তবায়নের দায়িত্বে যারা আছেন তাদের অদক্ষতার জন্য যদি টাকা ফেরত যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
২৮ মার্চ, ২০২৪

২৫ রমজানের মধ্যে বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবি ডিইউজের
আগামী ২৫ রমজানের মধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক-শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতনভাতা (বকেয়া বেতনসহ), ঈদ বোনাস ও বৈশাখী ভাতা পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। নেতারা এ বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়, চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তরসহ (ডিএফপি) সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইউনিয়ন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ডিইউজের নির্বাহী পরিষদের প্রথম সভায় থেকে এ দাবি জানানো হয়। সংগঠনের নবনির্বাচিত সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা সঞ্চালনা করেন ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন।   সভায় বক্তারা বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক-শ্রমিক-কর্মচারীদের অবশ্যই বেতনভাতাসহ ঈদবোনাস ও বৈশাখী ভাতা পরিশোধ করতে হবে। নতুবা ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে। নেতারা আশা প্রকাশ করেন ঈদের মতো আন্দনদায়ক একটি উৎসবে মালিক পক্ষ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাংবাদিক-শ্রমিক-কর্মচারীদের ডিইউজের দাবি অনুযায়ী নায্য পাওনা পরিশোধ করবেন।   এ ব্যাপারে কোনো ধরনের শৈথিল্য প্রর্দশন করা হবে না। তা না হলে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের আন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ খোলা থাকবে না। নেতারা এ বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য তথ্যমন্ত্রণালয় চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। সভায় কাজী মোহসিন আল আব্বাসকে প্রধান করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট ডিইউজের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ২০২৬ গঠন করা হয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ডিইউজে নির্বাচন নিয়ে যারা সাংগঠনিক শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সহসভাপতি ইব্রাহীম খলিল খোকন, যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহজাহান মিঞা, কোষাধ্যক্ষ সোহেলী চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব, আইনবিষয়ক সম্পাদক আসাদুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ মামুন শেখ, দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী, কল্যাণ সম্পাদক শাহজাহান স্বপন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক দুলাল খান, নারীবিষয়ক সম্পাদক সুমি খান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য জি এম মাসুদ ঢালী, নাসরিন বেগম গীতি (নাসরিন গীতি), আনোয়ার সাদাত সবুজ, সাজেদা হক, আহমেদ মুশফিকা নাজনীন, রারজানা সুলতানা, আজকালের খবরের ইউনিট চিফ সাইফুল ইসলাম মন্টু, বাসসের ডেপুটি ইউনিট চিফ কাজী গোলাম আলাউদ্দিন (তানভীর আলাদ্দিন), নিউ নেশনের ডেপুটি ইউনিট চিফ মঈন উদ্দিন আহমেদ, করতোয়া ডেপুটি ইউনি চিফ মিজানুর রহমান।
২৮ মার্চ, ২০২৪

চার দশকেও সরকারি ভাতা মেলেনি নির্মলার ভাগ্যে
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামের মৃত সুপেন্দ্র চন্দ্র দাসের স্ত্রী নির্মলা দাস (৬৭)। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধের বছর বারো কী তের বছর বয়সে কিশোরী অবস্থায় বিয়ে হয়েছিল তার। স্বামী আর দুই পুত্র সন্তান নিয়ে সুখের সংসার ছিল নির্মলার। কিন্তু জন্মের কয়েক বছরের মধ্যে দুই পুত্র সন্তান অসুস্থ হয়ে মারা যায় তার। এরপর বিয়ের মাত্র বছর ছয়েক না যেতেই নির্মলার স্বামী সুপেন্দ্র দাসও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তারপরই নির্মলার জীবনে যেন নেমে আসে ঘোর অমাবস্যা। আগে কাজর্কম করে জীবন কোনো রকম চালাতে পারলেও এখন বৃদ্ধ বয়সে এসে ক্ষুধা নিবারণসহ জীবন চালনার জন্য পাড়া প্রতিবেশীর দয়ার ওপরই একমাত্র ভরসা অসহায় নির্মলা দাসের। জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করার সময় সঠিকভাবে জন্ম তারিখ বলতে না পারায় জাতীয় পরিচয়পত্রে নির্মলার বয়স এখন ৫৬ বছর। স্বামী মারা যাওয়ার চার দশকের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও অসহায় নির্মলার ভাগ্যে এখনও জোটেনি সরকারি বিধবা কিংবা বয়স্ক ভাতা। কিছুদিন আগে বয়স্ক ভাতার একটি কার্ড পেলেও বয়স না হওয়ার অজুহাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য সেই কার্ড নিয়ে গেছেন বিধবা ভাতা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে। সরেজমিনে মাহমুদপুর গ্রামে নির্মলার দাসের বসত ঘরে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির উঠোনে মাটির চুলোয় রান্না করছেন নির্মলা দাস। চাল ফুটানো শেষে তেল পেঁয়াজ ও মরিচ ছাড়া শুধু লবণ দিয়ে কচুশাক সেদ্ধ করছেন খাওয়ার জন্য। বসতঘরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়লো নির্মলার মানবেতর জীবন কাটে জরাজীর্ণ এই কুঁড়ে ঘরে। ভাঙা ঘরে নেই প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। বসবাস অযোগ্য বসতঘরের ভেতরটাও। আলাপকালে নির্মলা দাস জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই জীবনের সঙ্গে প্রতিনিয়তই যুদ্ধ করে বেঁচে আছেন তিনি। বৃষ্টির দিনে ঘরের চালার বিভিন্ন ফুটো দিয়ে পানি পড়ে। তখন মাথায় পলিথিন দিয়ে ঘরের এক কোণে বসে থাকতে হয়। বয়স হয়েছে তেমন কাজও করতে পারেন না এখন। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় এখন খেয়ে পড়ে কোনো রকমে দিন কাটে তার। ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় একটি এনজিও থেকে কয়েক হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ঝুপড়ি ঘরের মধ্যে বিস্কুট, চানাচুর, চিপসসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র তোলে একটি দোকান বসিয়েছেন। কিন্তু ঠিকমতো বিক্রি না হওয়ায় ঋণের কিস্তি শোধ করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তার। তিনি আরো জানান, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার একটি বই পেয়েছিলেন। কিন্তু বয়স হয়নি বলে মেম্বার সেই বই নিয়ে গেছেন। আশ্বাস দিয়ে গেছেন বিধবা ভাতার ব্যবস্থা করে দেবেন। এ ছাড়া আর কোনো সরকারি সহায়তা জোটেনি তার। ইউপি সদস্য অরুণ কুমার তালুকদার বলেন, বয়স কম হওয়াতে বয়স্ক ভাতার তালিকা থেকে নির্মলা দাসের নাম বাদ পড়েছে। উনাকে বিধবা ভাতাভোগীদের তালিকায় যুক্ত করা হবে। বদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুসেনজিৎ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। খোঁজ নিয়ে উনাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েল ভৌমিক কালবেলাকে বলেন, উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে যোগাযোগ করে নির্মলা দাসের বিধবা ভাতার ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়াও উনাকে প্রয়োজনীয় সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
২৮ মার্চ, ২০২৪

সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিলের দাবি বিএফইউজের
ঈদের আগে গণমাধ্যমকর্মীদের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে (একাংশ)।  বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে অনুষ্ঠিত বিএফইউজে নির্বাহী পরিষদের সভায় এ দাবি জানানো হয়।  বিএফইউজের (একাংশ) সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, সহসভাপতি এ কে এম মহসিন ও মুহাম্মদ খায়রুল বাশার, সিনিয়র সহকারী মহাসচিব বাছির জামাল, কোষাধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ, দপ্তর সম্পাদক আবু বকর এবং প্রচার সম্পাদক শাহজাহান সাজু, নির্বাহী সদস্য শাহীন হাসনাত, মোদাব্বের হোসেন, অর্পণা রায়, মুহাম্মদ আবু হানিফ, ম হামিদুল হক মানিক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, মুন্সীগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী বিপ্লব হাসান ও সাংবাদিক ইউনিয়ন ময়মনসিংহের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। সভার এক প্রস্তাবে দেশে সাংবাদিক নির্যাতন বেড়ে যাওয়ার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ এবং সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়। সভায় গতকাল (মঙ্গলবার) ফেনিতে সাংবাদিকদের উপর হামলার নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, টপটেন মার্ট ফেনি আউটলেট উদ্বোধন করতে ক্রিকেট তারকা তামিম ইকবাল আসবেন বলে গণমাধ্যমকে দাওয়াত দেওয়া হয়। সংবাদ সংগ্রহের জন্য নির্ধারিত সময়ে সাংবাদিকরা সেখানে গেলে টপটেন কর্মীরা সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে তর্কের এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার মাসুদ খানের নেতৃত্বে বিক্রয় প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর, ফেনি শাখার ম্যানেজার জামাল উদ্দিন ও নুরুল আলমসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন টপটেন মার্ট-এ কর্মরত কর্মচারী সাংবাদিকদের উপর হামলে পড়ে। তারা সাংবাদিকদের এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে। এতে ৭ জন সাংবাদিক আহত হন। তাদের মধ্যে রয়েছেন এম কাওছার, রিপোর্টার ফেনীর প্রত্যয়, তালাশ সংবাদ'র ফেনী প্রতিনিধি তানজিদ শুভ, গ্লোবাল টেলিভিশন ফেনী অফিস'র ক্যামেরাপার্সন এনামুল হক বাদশা, দৈনিক সংবাদ সংযোগ ফেনী প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল নোমান, দৈনিক অন্য আলোর ফেনী প্রতিনিধি সাজ্জাতুল ইসলাম মিরাজ, দৈনিক নয়াপয়গাম'র শহর প্রতিনিধি তাহমিদ ভূইয়া। সভায় এ সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়ে বলা হয়, সাংবাদিক নির্যাতন সরকার, সরকারি দল, সরকারি বাহিনী ও প্রভাবশালীদের রুটিন ওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। সভায় সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিরোধী কালাকানুন উল্লেখ করে বলা হয়, বিশ্ব ঘৃণিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইন নাম দেওয়া হয়েছে। সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টেও নিবর্তনমূলক উপাদানগুলো রয়েই গেছে। আগের মতোই বাকস্বাধীনতা, ভিন্নমতের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা 'ব্যাপকভাবে খর্ব' করার সুযোগ নতুন আইনেও রাখা হয়েছে। বিশেষ করে এই আইনে পুলিশকে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এখানে পুলিশ কর্মকর্তার ‘মনে করার ওপর’ নির্ভর করতে হচ্ছে। কারণ, পুলিশ কর্মকর্তা যদি মনে করেন, প্রস্তাবিত আইনের অধীনে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে- তাহলে তিনি বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে গ্রেপ্তারও করতে পারবেন। এটি ভয়ংকর আশঙ্কা তৈরি করছে। ফলে নতুন এই আইনের মাধ্যমেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিস্তর সুযোগ রয়ে গেছে। একইসঙ্গে এ আইনের মাধ্যমে ডিজিটাল মাধ্যম থেকে তথ্য-উপাত্ত অপসারণ বা ব্লক করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে। সভায় সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সকল কালাকানুন বাতিল, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, আমার দেশ, দিনকাল, চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টেলিভিশন, ইসলামিক টেলিভিশনসহ বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।  
২৭ মার্চ, ২০২৪

ঈদের আগে শ্রমিকদের সুখবর দিলেন প্রতিমন্ত্রী
ঈদুল ফিতরের ছুটির আগেই তৈরি পোশাকসহ সব শ্রমিকের পাওনা দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী। বুধবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।  নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা রাজি হয়েছে। ঈদের আগেই তৈরি পোশাকসহ সব শ্রমিকের উৎসব ভাতা, বেতন পরিশোধ করা হবে। আলোচনার ভিত্তিতে ঈদের ছুটি পর্যায়ক্রমে দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে বলে জানান নজরুল ইসলাম। এর আগেও গত ২০ মার্চ সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছিলেন প্রতিমন্ত্রী। সেসময়ও তিনি বলেছিলেন, ঈদের ছুটির আগেই পোশাক শ্রমিকদের চলতি মার্চ মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেছিলেন, ঈদের আগে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করতে পারবে না কারখানাগুলো। পাশপাশি ঈদের ছুটির আগে পোশাক শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন ও উৎসব ভাতা দিতে হবে।
২৭ মার্চ, ২০২৪
X